নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ সংস্কার,উদার চিন্তা-ভাবনা,দেশপ্রেমে জাগ্রত ! \nজীবনে অনেক ইতিবাচক কাজ করার স্বপ্ন যার দ্বারা অন্যের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে

আনামুল হক ইনাম

ধর্মান্ধ নই কিন্ত নিজ ধর্মে প্রতি বিশ্বাস ও অন্য ধর্মকে শ্রদ্ধা করি

আনামুল হক ইনাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইমাম, মুয়াজ্জিনের বেতন প্রসঙ্গ

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:০৯


মুসলিম সমাজে ইমাম, মুয়াজ্জিনের সম্মান শিক্ষকদের চেয়ে কম নয় ! কেননা আমরা বলে থাকি,,,,,,সমাজে শিক্ষকদের সম্মান বেশী কারণ তারা মানুষ তৈয়ারীর কারিগর । আমি ছোটবেলায় প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা হিসাবে প্রথমেই মসজিদের মক্তব দিয়ে শুরু করেছি যা কিনা একজন মসজিদের ইমামের হাত ধরে । শহরের মুসলিম প্রজন্মদের সকালে মসজিদে যাওয়ার সুযোগ নাই কারণ ইংলিশ, বাংলিশ মিডিয়ামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি অনেক সকালে পাঠদান শুরু করে যা মক্তবে যাওয়ার জন্য বড় বাধাঁ । এবার আসুন আমি মক্তবে কি শিখেছি,,,? কোরআন তেলওয়াত, ইবাদতের প্রয়োজনীয় দোয়া/ দরুদ।

অনেক আধুনিক মুসলিম মনে করতে পারেন ,,,,,, এগুলা ত মধ্যযুগীয় পড়াশুনা । আমি বলব , আপনি যখন মরে যাবে তখন আপনার সন্তানরাই আপনার পরকালের মঙ্গলের জন্য দোয়া করতে পারবে যদি সে ছোটবেলায় মক্তবে শিক্ষা গ্রহন করে থাকে । নতুবা আপনার জানাজার নামাজ আর ঈদের নামাজের মধ্যে সে গুলিয়ে ফেলবে । ইমাম এবং মুয়াজ্জিনরা প্রতিনিয়ত পাড়া মহল্লা থেকে দেশের আনাচে-কানাচে সেবা দিয়ে যাচ্ছে । আপনি জানেন? গ্রামের একজন ইমাম বা মুয়াজ্জিনেরর মাসিক সম্মানি কত ?

গ্রামে একজন ইমামের বেতন ৪/৫ হাজারের বেশী হয় না এবং একজন মুয়াজ্জিনের বেতন ৩/৪হাজারের বেশী হয় না ।
এত অল্প সম্মানিতে কি ইমাম, মুয়াজ্জিনদের চলে ? আপনারা যারা ভাল মানের সিগারেট খান , আপনারের মাসিক সিগারেটের খরচও এরচেয়ে বেশী ! তাহলে বলতে পারেন,,, ইমাম, মুয়াজ্জিনরা চলে কিভাবে ? ওদের তো আর ঘুষ খাওয়ার কোন পথ নাই। অনেকেই। ইমাম,মুয়াজ্জিনের পেশার পাশাপাশী কৃষি কাজ করে ,,,,, দাওয়াতের পর আপনার বাড়িতে লম্বা একটি দোয়া করে হুজুরের চোখ থেকে পানি ঝড়ায় ! কারণ আপনার কাছ থেকে ভাল একটি হাদিয়া পাওয়ার জন্য।

হয়ত শহরের ইমাম,মুয়াজ্জিনদের সম্মানি অনেক ভাল। কারণ শহরের মানুষ বৃত্তবান এবং ওরা জানে বর্তমান যুগে একটি পরিবার চলতে কত খরচ হয়।। গ্রামের মানুষও এটা জানে তবে আর্থিক কারনে আর হয়ে উঠে না । আপনি বলতে পারেন ইমাম,মুয়াজ্জিনের আজান,নামাজ আর মক্তব পড়ানো ছাড়া কোন কাজ নাই। সারাদিন ত আজাইরা থাকে আর পরের ঘরে খেয়ে ভুড়ি বৃদ্ধি করে । এ কথা সত্য,,,,,একজন ইমাম বা মুয়াজ্জিন দাওয়াতে গিয়ে যে খাবার খান সেটা আপনার আমার বাড়িতে প্রতিদিন করা এবং খাওয়া সম্ভব নয়। সর্বোপরি ইমাম,মুয়াজ্জিনের পেট ভালই চলে তবে তার পরিবার ও সামাজিক প্রয়োজন কি এই সামান্য বেতন দিয়ে চলে ?

বাংলাদেশে সরকারী আমলাদের বেতন দিগুণ হইল,,,শুনেছি বেসরকারী কামলাদের বেতনও চল্লিশ ভাগ বাড়বে !
ইমাম,মুয়াজ্জিনের বেতনবাড়ার কোন সম্ভাবনা নাই । কারণ ওরা সরকারী বা বেসরকারী কামলা নর । ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের কামলা ।
আমি জানি, আমার লেখাটা কোন কাজে আসবে না । তবুও লিখলাম একটা পরিবর্তনের আশায়।। যে দিন সরকারীভাবে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের ইমাম,মুয়াজ্জিন,,,,,,, এবং সব ধর্মের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের বেতনের একটি স্কেল হবে । সরকার ঐ স্কেলে ভর্তুকি দেওয়ার মাধ্যমে ইমাম,মুয়াজ্জিন সহ সব ধর্মের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সমাজিক, আর্থিক সচ্চলতা নিরাপদ করবে। যেন কারো দক্ষিণা বা দোয়ার জন্য অর্থের প্রয়োজন না হয় ।



মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৯

আহলান বলেছেন: হুমমম ... যে যাই বলুক মুসলিম সমাজে ইমাম মুয়াজ্জিন চিরকাল সম্মানের সাথেই থাকবেন ...

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৮

আনামুল হক ইনাম বলেছেন: সম্মানের জন্য সম্মানী দরকার

২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:২৪

মনসুর-উল-হাকিম বলেছেন: মাশাআল্লাহ, সুন্দর লিখেছেন। আলহামদুলিল্লাহ, জাজাকাল্লাহু খাইরান। শুভেচ্ছান্তে ধন্যবাদ।
বাংলাদেশ কোনো শরীয়া নিয়ন্ত্রীত ইসলামী দেশ নয় বরং বলা যায় সংখ্যাগরিষ্ট মুসলমান (দূর্বল) দেশ। যেখানে অধিকাংশ মুসলমানই ইসলামের শিক্ষার দৃষ্টিতে অশিক্ষিত বা কুশিক্ষিত। এই অবস্থায় যে কোনো এলাকার মসজিদের ইমাম/মোয়াজ্জিন-দের অবস্থা যে করুন হবে সেটাই স্বাভাবিক। বেনামাজী অন্যদের কথা বাদ দিলেও, মসজিদের নামাজী মুসল্লীরা নামাজের ইমাম মানলেও ইসলামী শিক্ষার নেতা মানতে চায় না, . . . !! . . . আমার-আপনার জন্য অতি দুঃখজনক হলেও সত্য।
মহান আল্লাহ আমাদর সবাইকে হেদায়েত দিয়ে দুনিয়া ও আখেরাতে নেক কামিয়াবী দান করুন, আমীন।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৫৫

আনামুল হক ইনাম বলেছেন: শুকরান ভাই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.