![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ধর্মান্ধ নই কিন্ত নিজ ধর্মে প্রতি বিশ্বাস ও অন্য ধর্মকে শ্রদ্ধা করি
আবদুল কুদ্দুসমাখন, (১৯৪৭-১৯৯৪) ছাত্রনেতা, রাজনীতিক। তিনি ১৯৪৭ সালের ১ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজ থেকে উচ্চ-মাধ্যমিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। ১৯৭০ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র ইউনিয়নের (ডাকসু) সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। আবদুল কুদ্দুস মাখন ছিলেন সেসব ছাত্রনেতার অন্যতম যারা সত্তরের দশকের শুরুতে দেশে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। তিনি ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছয়দফা আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন।
১৯৭০ সালে মাখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র ইউনিয়নের (ডাকসু) সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭১ সালের ১ মার্চ স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠনে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের অপরাপর নেতা ছিলেন নূরে আলম সিদ্দিকী, আ.স.ম আবদুর রব ও শাহজাহান সিরাজ। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকবাহিনী কর্তৃক গণহত্যা শুরুর পূর্ব পর্যন্ত স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদই ছিল স্বাধীনতা আন্দোলনের পুরোভাগে।
ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের অন্যান্য নেতাসহ আবদুল কুদ্দুস মাখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন চত্বরে ২ মার্চ স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করেন এবং পরদিন তিনি তাঁর সহকর্মীসহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘জাতির জনক’ বলে ঘোষণা দেন। আবদুল কুদ্দুস মাখনসহ ছাত্রনেতারা মার্চ মাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত আইন অমান্য আন্দোলন ও অসহযোগ আন্দোলন সংগঠিত করেন। ছাত্রনেতৃবৃন্দ সারা দেশে ২৩ মার্চ ‘স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। তাঁরা ২৩ মার্চ পল্টন ময়দানে স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন ও জয়বাংলা স্বেচ্ছাসেবকদের প্যারেডে আনুষ্ঠানিক স্যালুট গ্রহণ করেন। প্যারেডে নেতৃত্ব দিয়ে তিনি ও অপর ছাত্রনেতারা বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে গিয়ে স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করেন।
পূর্বাঞ্চলীয় সেক্টরের বীর মুক্তিযোদ্ধা মাখন ছিলেন মুক্তিযুদ্ধে মুজিব বাহিনীর অন্যতম সংগঠক। তিনি ছিলেন আওয়ামী যুবলীগের প্রিসিডিয়াম সদস্য (১৯৭২)। আবদুল কুদ্দুস মাখন ১৯৭৩ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন (১৯৯২-১৯৯৪)। ১৯৯৪ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি তিনি মৃত্যুবরণ করেন ।
বিঃদ্রঃ ছাত্রলীগের চার নেতা (চার খলিফা বলে খ্যাত) আ.স.ম আব্দুর রব , শাহজাহান সিরাজ , আবদুল কুদ্দুস মাখন ও নুরে আলম সিদ্দিকী।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
শেখ সাহেবের ৬ দফা প্রচারের জন্য আওয়ামী লীগই যথস্ট ছিল; মাখন, বাখনরা বাংলার ছাত্রদের জন্য খারাপ উদাহরণ রেখে গেছেন, এরা ছাত্রদের পড়ালেখা থেকে দুরে সরায়ে ফেলেছেন; ইউনিভার্সিটিকে রেসকোর্সে পরিণত করেছিলেন।