নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলোকিত পৃথিবী চাই

আর খান

পৃথিবীর প্রতিটি প্রান্ত আলোকিত হয়ে উঠুক। অন্ধকারের বুক চিরে হেসে উঠুক সোনালী সূর্য।

আর খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাবির ৫৫ বছর: ষড়যন্ত্রের দিন শেষ হবে কবে?

০৬ ই জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৪:১৮





জাহাঙ্গীর আলম আকাশ সাহেব রাবি প্রতিষ্ঠার ইতিহাস নিয়ে চমৎকার একটি নিবন্ধ লিখেছেন। তিনি সাংবাদিক মানুষ। লেখালেখিতে বেশ হাত পাকিয়েছেন। তার সাথে লড়াই করতে যাওয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। তবু বিবেকের তাড়ণায় দুটি কথা না লিখে পারা গেল না।



তিনি লিখেছেন: বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে রাবিতে দুইজন বিশিষ্ট অধ্যাপক খুন হন। কিন্তু প্রকৃত খুনিরা ধরাছোয়ার বাইরেই রয়ে গেছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু বিচার না হওয়ায় ভীত-সন্ত্রস্ত পুরো ক্যাম্পাস। অধ্যাপক তাহের হত্যাকান্ডের অন্যতম আসামি ছাত্রশিবিরের রাবি শাখার সাবেক সভাপতি মাহবুব আলম সালেহী রহস্যজনকভাবে খালাস পাবার পর রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এখানকার প্রগতিশীল শিক্ষকরা। শিক্ষকরা জানান, শিবির নেতা সালেহী ছাড়া পাওয়াতে প্রগতিশীল যে কারো জীবন যেকোনো সময় বিপন্ন হওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। একজন অপরাধি যখন বেকসুর খালাস পায় তখন সে আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে।



আকাশ সাহেব, সম্ভবত রাবির দুজন অধ্যাপক বলতে অর্থনীতির মোহাম্মদ ইউনুস স্যার ও ভূতত্ব ও খনিবিদ্যার ড. তাহের স্যারের কথা বুঝিয়েছেন।

মজার ব্যাপার হলো এই দুজন শিক্ষক হত্যাকান্ডের পর আকাশ সাহেবরা জামাত শিবিরের দিকে তাদের আঙুল নির্দেশ করলেও আদালতের মাধ্যমে শিবিরের সবাই খালাস পেয়ে যায়। জেএমবি যখন মোহাম্মদ ইউনুস স্যার হত্যাকান্ডের দায় দায়িত্ব স্বীকার করে, পুলিশ যখন প্রফেসর ইউনুস হত্যাকান্ডের দায়ে জামাত শিবিরের পরিবর্তে জেএমবির নামে চার্জশিট দেয় তখন আকাশের মতো সাংবাদিকদের মুখে চুনকালি পড়ে।

ড. তাহের হত্যা মামলা থেকেও যখন সালেহী খালাস পায়, তখনও কিছু সাংবাদিক লজ্জায় মুখ ঢাকে।



দু:খ হয় আকাশের জন্য। কারণ অন্যদের মতো আকাশ সহজে লজ্জা পায় না। শুনেছি, দুই কান কাটারা নাকি রাস্তার মাঝখান দিয়ে হাঁটে।



ভালো কথা, আকাশ সাহেব, জেল থেকে ছাড়া পেলেন কবে?



জেলে ওরা আপনার যত্ন আত্তি ঠিক মতো করেছে তো?



আর আপনার চাঁদাবাজির মামলাটার কী হলো? শুনলাম কাকে নাকি ধরে জামিনের ব্যবস্থা করেছেন! শেষ পর্যন্ত খালাশ পাবেনতো?



সালেহী যে খুনি এটা জানার জন্যই জেলে গিয়েছিলেন নাকি? নাহলে আপনার মতো বড় সাংবাদিকের তো চাঁদাবাজির মামলায় ফেঁসে যাওয়ার কথা নয়!





মন্তব্য ৪১ টি রেটিং +১০/-৫

মন্তব্য (৪১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৪:২৬

প্রবাস কন্ঠ বলেছেন: সত্য, বস্তু নিষ্ঠ তথ্য উপস্থাপনার জন্য ধন্যবাদ।

২| ০৬ ই জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৪:৩২

কানা বলেছেন: আর সালেহীকে বাঁচানোর জন্য আপনাগো গুষ্ঠিশুদ্ধা ম্যাকানিজমের কতাডা কইলেন না?

০৬ ই জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৫:৪৬

আর খান বলেছেন: ম্যকানিজম? আদালতের রায়ে খালাস তাহলে ম্যকানিজম এর মাধ্যমে হয়? যে দেশে শিবিরের এত ম্যকানিজম সে দেশে থাকেন কেন?

৩| ০৬ ই জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৪:৩৪

কানা বলেছেন: এত বিবেকের তাড়না আপনার! যখন সাধারণ ছাত্রদের সিট দখল করে তাদেরকে রাতের আধারে চ্যালাকাঠ দিয়ে পিটিয়ে হল থেকে বের করে দেয়া হয় তখনও এই বিবেক কাজ করে?

০৬ ই জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৫:৩৯

আর খান বলেছেন:

কানা, চোখটা খুলুন। নির্দোষ একজন ব্যক্তি প্রায় ২ বছর অন্যায় ভাবে জেলে আটক থাকলো, লেখাপড়ার বারোটা বাজলো, বিবেক তাড়িত হবে না? অবশ্য কানাদের কথা আলাদা।

৪| ০৬ ই জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৪:৩৬

কানা বলেছেন: আর প্রবাস কন্ঠ, আপনাগো সত্য, বস্তু নিষ্ঠ তথ্যের একখান সংজ্ঞা দিয়েন তো!

০৬ ই জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৫:৪০

আর খান বলেছেন:
সত্য, বস্তু নিষ্ঠ তথ্যের সংজ্ঞাতো আদালতই দিয়ে দিযেছে। কানার অন্ধত্ব ঘুচে যাক।

৫| ০৬ ই জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৪:৪৮

ফরিদুল ইসলাম শাওন বলেছেন: আরে সালেহি ভাই দুধে ধোয়া মানুষ উনি শিবির করেন তো তাই তিনি খারাপ হতে পারেনইনা এমন কি খুনের সাথে জড়িত থাকলেও না
বিচারকরা তো এইটা জানেন তাই তারে ছাইরা দিছে

০৬ ই জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৫:৪৪

আর খান বলেছেন: ইয়েস। সালেহি ভাই দুধে ধোয়া মানুষ, এর প্রমাণ কোর্ট।

৬| ০৬ ই জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৪:৪৮

মাইক্রোস্টেপ বলেছেন: সৌভাগ্য যে আপনি 'কানা', পুরা আন্ধা না। তাই আপনার জন্য।

Click This Link

০৬ ই জুলাই, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৪১

আর খান বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ।

৭| ০৬ ই জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৪:৫০

কথা কম কাজ বেশি বলেছেন: রাজশাহীতে আমার বড় ভাই পড়েন।কোন রাজনিতী করেন না,তিনি বলেছেন সালেহী তার বিভাগের সবচেয়ে ভাল ছাত্র,
শিবিরের ছেলেরাই নাকি সবচেয়ে মেধাবী,চরিত্রবান।
আমারও তাই মত।

০৬ ই জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৫:৪৪

আর খান বলেছেন: ধন্যবাদ।

৮| ০৬ ই জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৪:৫২

ফরিদুল ইসলাম শাওন বলেছেন: মাইক্রোস্টেপ আপনার লিংক হতে জানলাম বাংলাদেশের সবশহিদ শিবিরের লোকই হয়েছে ৭১ এ কেউ শহিদ হয়নাই দেশের জন্য যুদ্ধ করেও না

৯| ০৬ ই জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৪:৫১

নাভদ বলেছেন:

সালেহীর জন্য আপনার পেয়ার বাড়তেই থাকুক...... :)

আমিন।

১০| ০৬ ই জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৪:৫৩

কথা কম কাজ বেশি বলেছেন: ধন্যবাদ।চালিয়ে যান।এসব কলম সর্বস্ব মানুশদের উচিৎ জবাব দেন।আমারা আছি আপনার সাথে

০৬ ই জুলাই, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:০৫

আর খান বলেছেন: ধন্যবাদ।

১১| ০৬ ই জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৪:৫৪

কানা বলেছেন: কথা কম কাজ বেশি বলেছেন: রাজশাহীতে আমার বড় ভাই পড়েন।কোন রাজনিতী করেন না,তিনি বলেছেন সালেহী তার বিভাগের সবচেয়ে ভাল ছাত্র,
শিবিরের ছেলেরাই নাকি সবচেয়ে মেধাবী,চরিত্রবান।

.........................................................................................
তাই নাকি? সালেহীর অনার্স পর্যন্ত ফলাফল কি ছিলো তাকি আপনে জাইনা কইতাছেন?

১২| ০৬ ই জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৪:৫৬

ফরিদুল ইসলাম শাওন বলেছেন: কথা কম কাজ বেশি ভাই সালেহি কি আপনার জামাই লাগে নাকি আর শিবিরের সবাই যদি বেশি হয় তাহলে ৭১ এ যাদের হত্যা করেছিল তারা কে ছিল

১৩| ০৬ ই জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৪:৫৭

আনিসুজ্জামান উজ্জল বলেছেন: শিবিরের চরিত্রবান ছেলেদের নমুনা দেখতে

Click This Link

১৪| ০৬ ই জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৫:০৫

আনিসুজ্জামান উজ্জল বলেছেন: @ কথা কম কাজ বেশি : কই গেলেন ভাই?

১৫| ০৬ ই জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৫:০৯

প্রবাস কন্ঠ বলেছেন: @মাইক্রোস্টেপ, সুন্দর ১টি লিংক দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ

১৬| ০৬ ই জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৫:১২

আনিসুজ্জামান উজ্জল বলেছেন: @ মাইক্রোস্টেপ : তুহিন ভাই ভালো আছেন? আমারে কি আপনি চিনতে পারছেন? ব্যবসায় কেমন চলছে?

১৭| ০৬ ই জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৫:৩৭

জাহাঙ্গীর আলম আকাশ বলেছেন: আর খান আপনাকে বলছি।
আপনার সুবিধার্থে আমার নামে করা মামলাগুলোর সর্বশেষ অবস্থা আপনাকে জানালাম। আর একটা কথা, আপিন আপনার পরিচয়টা গোপন না করে সাহস থাকেতো পূর্ণ নাম-ঠিকানা ও পরিচয় দিয়ে লিখুন। সাহস, সততা, স্বচ্ছতা থাকেতো নিজের পরিচয় জানিয়ে আসেন যুদ্ধ হবে। তবে এই যুদ্ধ অস্ত্রের নয় কলেমর যুদ্ধ হবে। অবশ্য শিবির কলমের চেয়ে অস্ত্রের যুদ্ধে পছন্দ করে বেশি।
আপনার পরিচয় গোপন করলেন কেন? আপনার মাথায় কত বুদ্ধি, যুক্তি আছে তা দেখার অপেক্ষায় রইলাম। নিশ্চয়ই এতক্ষণে আমার মামলার সর্বশেষ অবস্থা জেনে গেছেন তাই না ?

০৬ ই জুলাই, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:০৩

আর খান বলেছেন: নাম পরিচয় দিলে আপনার রিপোর্ট করতে সুবিধা হয়, তাই না? অপসাংবাদিকতার এই যুগে একজন সাংবাদিকের শত্রু হয়ে যাওয়াটা কি বুদ্ধিমানের কাজ? বিশেষ করে এমন একজনের শত্রু হওয়া, যিনি অলরেডি চাঁদাবাজ হিসেবে খ্যাতি কৃড়িয়েছেন?

দয়া করে প্রফেসর ইউনুস ও ড. তাহের হত্যা মামলা থেকে শিবিরের অব্যহতির পর আপনার প্রতিক্রিয়া কেমন হয়েছিল, একটু জানাবেন? বড় জানতে ইচ্ছে করে।

১৮| ০৬ ই জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৫:৪৩

জাহাঙ্গীর আলম আকাশ বলেছেন: আপনাকে আরও বলছি, জাহাঙ্গীর আলম আকাশ কখনো কাউকে ধরে কোন কিছু পেতে চায়নি। আর একারণেই তার নামে মিথ্যা অভিযোগে মামলা। আমি সংঘবদ্ধ দুর্নীতিবাজ এবং একটি বিশেষ বাহিনীর কতিপয় সদস্যের ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার আমি। অনুগ্রহ করে আপনি আমার লেখা বই "অন্ধকারে ১৫ ঘন্টা" পড়বেন। কেমন ?

০৬ ই জুলাই, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:২২

আর খান বলেছেন:

লম্বা লেখা। খানিকটা পড়েছি।

শুনুন আপনাকে একটা কথা বলি, শিবিরের বিরোধিতা করুন, আপত্তি নেই। কিন্তু সত্য তথ্যের ভিত্তিতে কথা বলুন। একজন সাংবাদিকের কাছে জাতি এটাই প্রত্যশা করে। সালেহী যে নির্দোষ, প্রফেসর ইউনুস হত্যার সাথে যে শিবিরের কোন সম্পর্ক নেই তা আজ প্রমানিত। কেন শুধু শুধু মিথ্যা তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করেন?

১৯| ০৬ ই জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৫:৪০

মাইক্রোস্টেপ বলেছেন: উজ্জ্বল অবশ্যই চিনতে পেরেছি। কেমন আছ? ক্যাফে থেকে না রুম থেকে।

২০| ০৬ ই জুলাই, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:২৬

মাইক্রোস্টেপ বলেছেন: উজ্জ্বল, চাটার্ড কম্পিউটারের সেই দিনগুলোর কথা তোমার মনে আছে। আমাদের ডানপন্থী আনিস ভাই আর তুমি সহ বাম ব্লকের আরো কয়েকজন সাংবাদিক সেখানে আসতে। কোন নিউজ আসলে তোমরা তোমাদের প্রত্রিকার পাঠক যাতে 'খায়' সেভাবে নিজেদের মত করে লিখে পাঠাতে। হালের সাংবাদিকতায় যে সততার সতিত্ব বিসর্জন দিয়েই হয় তা স্বচক্ষে সেই প্রথম দেখলাম। আমার দেশ’র ওই বড় ভাইয়ের নাম কি ছিল যেন। শুনলাম সালেহীকে আসামী খুনী বানানোর উর্বর বুদ্ধিটি নাকি সেই সাংবাদিক প্রবরেরই।
ডাঃ গালিবকে জঙ্গী বানানোর জন্য তোমাদের কলম সে সময় দারুন কাজ করেছিল। তোমাদের মত সাংবাদিক ভাইদের কল্যানে তিনি আজো শ্রীঘরে ডকাতির আসামী হয়ে। যদিও মুল আসামীর ফাসি হয়ে তারা এখনো পরপারে। তার পক্ষে বলার বা সত্য ঘটনাটা বের করে আনার সমান্য যোগ্যতাটাও যে আজকের পত্রিকার কাটতি আর নিজের তথাকথিত ক্যারিয়ার গঠনের ধান্দায় মাতাল সাংবাদিকদের নেই সেটা আমার তথনই জানা হয়ে গেছে।

নব্বয়ের পর থেকে রাজশাহীতে শিবিরের আধিপত্য। কিন্ত তার আগে যারা নেতৃত্বে ছিল তাদের বর্বরতা ও অসভ্যতা তোমাদের লেখায় দোখিনা, তাহলে কি তখন সেখানে সধুদের বসবাস ছিল? বোধহয় ছিল তা না হলে স্বয়ং ভিসির বাসভবনের রন্না ঘরে আটকে রেখে কোন মানুষকে মাছের মত কাটা সম্ভব!

০৬ ই জুলাই, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৩৯

আর খান বলেছেন: মাইক্রোস্টেপ , আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সাংবাদিকতার এরকম ব্যবচ্ছেদ করবেননা ভাই। স অদ্যক্ষরের সেই বড় সাংবাদিক ও রাজশাহীর সেই রথী মহারথীদের মাথা কাটা যায় যে!

২১| ০৭ ই জুলাই, ২০০৮ সকাল ১১:২২

আনিসুজ্জামান উজ্জল বলেছেন: তুহিন ভাই, ভালোই বলেছেন। আমরা তো `বাম পন্থী' ছিলাম। আমাদের চরিত্র তো শেষ হয়েছে কবে। কিন্তু আপনাদের সেই ডানপন্থী ভদ্রলোকের কাজটা কিরকম ছিলো সেটা আপনি বলেন নি।

আর আপনার দেয়া একটা তথ্যে অসংগতি আছে। সেটা হলো সালেহীকে খুনী আমার দেশের ওই ভাইয়ের মস্তিস্ক প্রসূত নয়, এটা পুলিশের কাছে দেয়া আসামীদের জবানবন্ধী ছিলো। আর ওই ঘটনার কয়েকমাস আগেই আমরা চার্টাড কম্পিউটারের পরিবর্তে আমারদেশ অফিসে কাজ করতাম।
ড. গালীবের ব্যাপারে আমি কিছু বলতে চাই না কারণ এ বিষয়ে আমি খুব জানিও না।
আরেকটা কথা, আপনি ক্যারিয়ারিস্ট সাংবাদিকতার বলেছেন, ভাই ক্যারিয়ার গড়তে শিবিরের বিরুদ্ধে লেখা লাগে না। বরং শিবিরের বিরুদ্ধে লিখতে গিয়েই অনেকেকর ক্যারিয়ার শেষ।

২২| ০৭ ই জুলাই, ২০০৮ সকাল ১১:২৬

আনিসুজ্জামান উজ্জল বলেছেন: @ আর খান
আপনি সব যায়গাতে মন্তব্য করেছেন তো আমি যে লিংকটা দিয়েছি সেখানে চুপ কেন? থলের বিড়াল কি বেরিয়ে আসবে?

আর মানবতা প্রসঙ্গে বলতে, আপনেরা দাবি করেন সব মানুষ সমান এমন সমাজ বাস্তবতা কায়েম করবেন। কিন্তু বাস্তবে ব্যক্তিপূজা করেন সাধারণ মানুষের সর্বনাশ করে। সাধারণ ছাত্রদের জিম্মি করে হলে সিট দখল হলে সমস্যা নাই। সালেহী আব্বা জেল খাটলে দেশের সব শেষ?

০৭ ই জুলাই, ২০০৮ দুপুর ১:১০

আর খান বলেছেন:

আপনার লিংকটি দেখেছি। আমি ঐ লোক সম্পর্কে কিছুই জানি না। তাই মন্তব্য করা থেকে বিরত থেকেছি।

দেখুন শিবিরের সবাই নিরপরাধ এমন দাবি আমি করিনি। আর কোন একজন ব্যক্তিকে দিয়ে একটি সংগঠনের সবাইকে মাপা যায় না।

২৩| ০৭ ই জুলাই, ২০০৮ সকাল ১১:২৮

আনিসুজ্জামান উজ্জল বলেছেন: রাবির নবাব আব্দুল লতিফ হলে ১/১১র কিছুদিন আগের ঘটনা। হল সভাপতি বাহিনী নিয়ে। খোঁজ খবর নিয়ে দেখা গেল তিনি ওই হলেরই না। পরে তাকে হল থেকে বের করে দেয়া হয়। এসব মানবতার নজির না?

০৭ ই জুলাই, ২০০৮ দুপুর ১:২২

আর খান বলেছেন: একজন ছাত্র ঐ হলের না, এখানে মানবতাবিরোধী কিছু তো খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

শুনুন। ক্যম্পাসে শিবির আছে বলেই সাধারণ ছাত্ররা নিরাপদে রাত্রি যাপণ করতে পারে। চাঁদা দিয়ে নিরাপত্তার গ্যারান্টি কিনতে হয় না। ৫ বছরের অনার্স ১২ বছরে শেষ করার দুর্ভোগ পোহাতে হয় না। ক্যাম্পসের দোকানদার, ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তাও শিবিরই দিয়েছে।

৮০'র দশকের ছাত্রনেতারা ক্যাম্পাসে কী পরিমাণ অরাজকতা করেছে তা জেনেও না জানার ভাণ করেন কেন?। এক সময় ছাত্রীদেরকে ছেলেদের হলে এসে রাত কাটাতে হতো। তখনকার কথাগুলো তুলে ধরেন না কেন?

ঢাবিতে ও জাবিতে এখনও সাধারণ ছাত্রদেরকে বাধ্য হয়ে ক্ষমতাসীনদের মিছিলে যেতে হয়। কই রাবি, চবি, ইবিতে তো এধরনের ঘটনার নজির নেই।

আসলে যারা জেগে ঘুমায় তাদের ঘুম ভাঙ্গানো যায় না।

২৪| ০৭ ই জুলাই, ২০০৮ দুপুর ২:১১

আনিসুজ্জামান উজ্জল বলেছেন: হল সভাপতি অন্যায়ভাবে গোটা রুম দখল করে নিয়ে থাকবে, আর সাধারণ ছাত্ররা না খেয়ে মেসে কাটাবে! সত্যিই তো এখানে মানবতা বিরোধী কিই বা আছে?

০৭ ই জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৩:৩৭

আর খান বলেছেন:
হল সভাপতির রুম দখল করে থাকাটা নিসন্দেহে অন্যায়। প্রতিকার হওয়া উচিৎ। শিবিরের কেউ করে থাকলে শিবিরের নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেয়ার কথা।

কিন্তু অন্য ছাত্রসংগঠনের নেতৃবৃন্দ যখন হলের ডাইনিংয়ে বাকী খেয়ে টাকা দেয় না, ফেন্সিডিলের বোতলসহ ধরা পড়ে, সাধারণ ছাত্রদের মারধোর করে, ডিপার্টমেন্টের শিক্ষকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে, অথবা নিজেদের মধ্যে অর্ন্তকোন্দলে প্রকাশ্যে অস্ত্র ব্যবহার করে, অথবা ক্যাম্পাসের কর্তব্যরত পুলিশকে তাদেরই লাঠি কেড়ে নিয়ে পেটায় তখন বুঝি একটুও মানবতাবিরোধী কাজ হয় না। উজ্জ্বল আপনার লেখায় কেন সেসব কথা উঠে আসে না?

শুনুন উজ্জ্বল আর একটা কথা আপনাকে বলি, অপনি বয়সে নবীন। আপনি হয়তো রাবির হলের সিটের ইতিহাস জানেন না। ৮০'র দশকে রাবির একজন সাধারণ ছাত্র জাসদ-মৈত্রি করবে না আর হলে উঠবে এমনটা ছিল কল্পনা মাত্র। তখনকার ছাত্রনেতারা ত্রি সিটেড বা ফোর সিটেড রুমে ১ বা ২ জন করে থাকতো। এমনকি হলের প্রভোস্ট ছাত্র নেতাদের ডেকে ডেকে সিট দিতে চাইতো, তবু তারা সিট করতো না। কারণ তালিকাভুক্ত হয়ে হলে থাকলে তো মাসে মাসে সিট ভাড়া গুনতে হবে। এমনিতেই যেখানে হলে থাকতে পারছে, সেখানে তালিকাভুক্ত হয়ে লাভ কী।

অবশ্য সে সময় সাধারণ ছাত্ররা হলে উঠতেই চাইতো না। নারী অস্ত্র ও মাদকের সেই নরকে গিয়ে নিজের মূল্যবান প্রাণ হারাতে কেই-ই বা চায়!

উজ্জ্বল, আপনি সাংবাদিক মানুষ। একটু চোখ তুলে ইতিহাসের দিকে তাকান। তাহলেই অতীতের সেই সময়ের সাথে বর্তমানের পার্থক্যটা বুঝতে পারবেন।

আমি বলছি না শিবিরের সবাই ফেরেস্তা। কিন্তু রাবি ক্যাম্পাসে অতীতের যেকোন সময়ের তুলনায় বর্তমানে সাধারণ ছাত্রদের অধিকার বেশি সংরক্ষিত হয়, এটা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না।

২৫| ০৭ ই জুলাই, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:২৪

মাহমুদ রহমান বলেছেন: সালেহি ষড়যন্ত্রকারীদের মুখে চুনকালি লাগিয়ে দিয়েছেন........

সত্য সমাগত, মিথ্যা অপসৃত..... সত্যের বিজয় অবশ্যম্ভাবী (আল কোরআন)

কোরআন থেকে এই একটা সহজ কথা শিখলেও তো ওরা জীবনে অনেক উন্নতি করতে পারত!

০৮ ই জুলাই, ২০০৮ সকাল ১১:৫৮

আর খান বলেছেন: ওদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক।

২৬| ০৮ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ১২:৫৭

জনাব স্পষ্টভাষী বলেছেন: উজ্জল আর আকাশেরা চোখে ঘোলা চশমা আর কতদিন লাগিয়ে থাকবেন? খালি চোখে তাকান, নির্মল আকাশ দেখতে পাবেন।

০৮ ই জুলাই, ২০০৮ সকাল ১১:৫৯

আর খান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.