![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সেই দিন পরলাম "আপ-টু-ডেট" কথা-র অর্থ হল "হালনাগাদ"। তাই, ভাবছিলাম একটু হালনাগাদ থাকার চেস্টা করা যাক সামু থেকে।
সময় সন্ধ্যা ৬:৩০।
কোন এক অজ্ঞাত কারনে আজকে ঢাকার সকল যানবাহন রাস্তায় নেমে পরেছে। মালিবাগ থেকে সাইন্স ল্যাব পর্যন্ত সব রাস্তা জ্যামে প্যাকড (সুত্রঃ পাশের রিকশার ২ আঙ্কেল) আমার গন্তব্যঃ রাজারবাগ থেকে পলাশী। যাক পয়েন্টে আসি...
বহু রং-ওয়ে, গলি ঘুপচি এবং ১ জন পথচারীর পা (বেচারা!) পেরিয়ে আমার অতি অভিজ্ঞ রিকশাওয়ালা পৌছাল কাকরাইল মোর। আমি শুধু একবার বললাম “চাচা রাস্তার ডান পাশ থেকে যাচ্ছেন কেন?” মহা বিরক্ত হয়ে তার উত্তর “ওই পাস দিয়া যাইতে ৩ ঘোন্টা লাগবো” আমি মনে মনে বললাম “ইস মে ভি এক পয়েন্ট হ্যাঁয় জাজ সাব”।
সেগুনবাগিচার মধ্যে ঢুকেই আবিষ্কার করলাম, সেগুনবাগিচাও ঢাকার অংশ, সব সময় একে জ্যাম ফ্রি ভাবা ঠিক না। তো, সেগুনবাগিচা প্যাকড। কারনটা বোঝা গেল কিছুক্ষুন পর। ২-৩ ঘণ্টা জ্যামে আটকে থাকার পর এক মহা বিরক্ত মিডওয়ে বাসের ড্রাইভার বুদ্ধিমানি করে সেগুনবাগিচায় ঢুকে পরেছে। আমি আবার মনে মনে ভাবলাম “ইস মে ভি এক পয়েন্ট হ্যাঁয় জাজ সাব। বেচারা ড্রাইভার ২-৩ ঘণ্টা জ্যামে বসে ছিল। নিশ্চয় সব বাসারু-রাও বিরক্ত ছিল। হয়ত তাদের মধ্যেই কোন এক অতি বুদ্ধিমানের আইডিয়া সেগুনবাগিচার ভিতর থেকে যাওয়া। বিরক্তির-ও তো একটা সীমা থাকা উচিৎ, না কি!”
তো, সময়ের সাথে সাথে সেগুনবাগিচার মধ্যে একের পর এক রিকশা খালি হয়ে যাচ্ছে, পাবলিক হেটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে খনে খনে। অতিরিক্ত হুন্ডা-সাইকেল আর পাবলিকের চাপে সরল সোজা ফুটপাত আর খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। কিছু পাবলিক হয়ত ফুটপাত খুজে না পাওয়ার কারনেই রাস্তার মধ্যে থেকে হেটে যাওয়ার চেষ্টা করছে। তারাও মহা বিরক্ত। একজনকে বলতে শুনলাম “রাস্তায় এত রিকশা গাড়ি থাকলে মানুষ হাঁটবে কি করে! উফ!” আমি আবার মনে মনে বললাম “ইস মে ভি এক পয়েন্ট হ্যাঁয় জাজ সাব। রাস্তা তো পাবলিকের হাটার জন্য। গাড়ি গুলার তো আকাশে থাকার কথা!”
এমন সময় এক মহা চালাক রিকশাওয়ালা আবিষ্কার করে ফেলল যে ফুটপাত হুন্ডা সাইকেলের একার সম্পত্তি নয়। ব্যাপক হিশাব নিকাশ করে আরেক রিকশাওয়ালার সহায়তায় নিজের রিকশা তুলে ফেললো ফুটপাতের উপর (২-৪ জন পাবলিকের ব্যাথা পাওয়াটা নিতান্তই কাকতালীয়) এ সময় এক হুন্ডা চালক-এর বক্তব্য “রিকশা ফুটপাতে উঠালে হুন্ডা গুলে চলবে কোথা থেকে? তোর মাথার উপর থেকে?” আমি মনে মনে ভাবলাম “ইস মে ভি এক পয়েন্ট হ্যাঁয় জাজ সাব। মাথার উপর থেকে হুন্ডা চালানো তো সম্ভব না! কথা তো ঠিক! হুন্ডার তো ফুটপাতের উপর থেকেই যাওয়ার কথা!”
এমন সময় আমার মত লেজ-গুটান কিছু জনতা যারা রিকশা থেকে না নামার প্রতিজ্ঞা করে ফেলেছে তাদের একজন পাশের একজন কে বলল “ভাই, ভবিষ্যৎ-এ আকাশে যদি গাড়ি ঘোড়া চলে, দেইখেন তখন আমাদের দেশে আকাশে জ্যাম লাগবো” আমি মনে মনে বললাম “সহমত। জ্যাম লাগার জন্য অতিরিক্ত যানবাহন, রাস্তার অভাব, ভাঙ্গা রাস্তা যতটা না জরুরি, তার চেয়ে অনেক বেশি জরুরি ষ্টুপিড জাতি। ভবিষ্যতে আর কিছু থাক না থাক, জাতি এইটাই থাকবে”।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৩২
ফাহিদ বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৪১
উদাস কিশোর বলেছেন: আপকা পোষ্ট মে ভি এক পয়েন্ট হ্যাঁয় লেখিয়ে সাব