![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিক্ষানবীস
ভাবছিলাম কিছু বলবনা। চুপচাপ দেখে যাবো।
প্রসঙ্গঃ টি এস সি ঘটনা।
যাই হোক, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, লাইভ টকশো, ব্লগস, গনমাধ্যমসহ চারদিকের প্রতিক্রিয়া দেখছিলাম এই ব্যাপার নিয়ে। বিভিন্ন স্তরের মানুষের বিভিন্ন রকমের মন্তব্য শুনছিলাম।
তবুও প্রায় পণ করেই রেখেছিলাম বলা যায়, ‘চুপই থাকব’। চুপচাপ তামাশা দেখে যাব।
আমরা বাঙ্গালী জাতি।
আমরা ইস্যু নিয়ে জলঘোলা করতে যেমন পছন্দ করি, তেমন চুপ থেকে দূরে বসে তামাশা দেখতেও পছন্দ করি।
যাক, অবশেষে ‘রোজাভঙ্গ’ করলাম।
চুপ থেকে ফায়দা কি?
আজ আমি চুপ থাকলাম। কিন্তু কাল আমার বোনকে কেউ লাঞ্চিত হতে দেখলে সেও আমার মতই চুপচাপ তামাশা দেখার পজিশান নিয়ে নিবে।
সোজাসুজি কথায় আসা যাক,
এই ব্যাপারে দেখলাম প্রতিক্রিয়াশীলদের ফতোয়ার অভাব নাই। ‘এই হইছে/ওই হইছে/ছোট জামা/ অল্প কাপড়/ পর্দার অভাব/’ হাংকি পাংকি ইত্যাদি ইত্যাদি’
এছাড়াও বিভিন্ন হাদিস-কোরান, ইসলামিক গল্পের (গল্পগুলো কতটা সত্য, কতটা কল্পিত সেটা নিয়ে যথেষ্ট ডাউট আছে) অবতারনা হয়ে চলেছে।
প্রথমে একটা কথা না বললেই নয়, ইসলাম কি পর্দার বিধান শুধু মেয়েদের জন্যই রেখেছে? ছেলেদেরকে চোখ এবং কলবের পর্দা করার আদেশ দেয়নি?
নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানানোর সময় এই হাদিসজ্ঞান কই যায়?
ওহহ হাঁ, মিষ্টি ঢেকে না রাখলেতো এর উপর মাছি বসবেই….
এখন এই টাইপ ফতোয়া দেবার ধান্দা করছেন, রাইট??
‘ঢাকা মিষ্টিতে মাছি না বসলেও পিপড়া কিন্তু ঠিকই বসে।’ পিঁপড়া আর মাছি দেখতে আলাদা হলেও জাতে কিন্তু দুইটাই একই ক্যাটাগরিতে পড়ে।
দোষটা যে মিষ্টির তুলনায় যে মাছির ক্ষেত্রে বেশি, এটাকি কখনও সামনে থেকে দেখেছেন?
আমি দেখেছি। বোরখা পরা মেয়েদেরকেও লাঞ্চিত হতে।
আমি শুনেছি, বোরখা পরা মেয়েদেরও ধর্ষিত হওয়ার করুণ কাহিনী।
না, তাই বলে বোরখা/পর্দা নিষ্প্রয়োজন, সেটা অবশ্যই বলবনা।
এখানে আসল ব্যাপারটা কিন্তু বোরখা, পর্দা, ঢাকাঢাকির না।
যারা পর্দা পর্দা করে নিজেদের জান কেটে রড বানিয়ে ফেলছেন, তারা ওই অপরাধকে আর অপরাধীদেরকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন মাত্র, আর কিছুনা।
অপরাধীরাও চাচ্ছে পর্দাকাহিনীর উদ্ভব হয়ে ওদের ম্যাটারটা ধর্মীয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাক।
বাদ দেন, আপনাদের কাছে এখন ধর্মসংকট এবং ধর্মরক্ষাটাই বড় হবে, কারণ আপনার মা/বোন যে এখনও লাঞ্চিত হয়নি।
এর উত্তরও আমার জানা আছে; এখন বলবেন, “আমার মা/বোন এসব আজাইরা অনুষ্ঠানে যায়না অথবা আমার মা/বোন অত্যন্ত পর্দানশীলা। ইত্যাদি ইত্যাদি।”
আপনার মা/বোন এসব আজাইরা অনুষ্ঠানে যায় নাতো কি হইছে?
ওঁরা কি ঘরের বাইরেই যায়না??
আপনার মা/বোন পর্দা করেতো কি হইছে?
আমার ভাষায় ওইসব জাতলুচ্চা, লাফাঙ্গা, প্রখর নুনুভুতিসম্পন্ন এবং আপনাদের ভাষায় ধর্মসংকট ধরিয়ে দেয়া এই মহাপুরুষগুলো পর্দার উপর দিয়েও তাদের দিব্যদৃষ্টি দিয়ে রাস্তায় হেঁটে যাওয়া আপনার/আমার মা-বোনেদের পর্দার ভেতরটাও স্ক্যান করতে সক্ষম, ওটা কি আপনি জানেন না?
আপনি আজ পর্যন্ত যদি এই ব্যাপারটাও না জানার মত এতবড় ভোদাই হন, তাহলে অনুরোধ রইল ব্যাপারটা পরখ করে দেখার।
আজ ধর্মরক্ষা করছেন; কিন্তু কাল যদি আপনার মা/বোন/ওয়াইফ অথবা কোন আত্মীয় কেউ লাঞ্চিত হয়, তখন প্রতিবাদ করতে যাবেন কোন মুখ নিয়ে?
এই ভোদাইমার্কা মুখে আবার প্রতিবাদ করতে লজ্জা লাগবেনাতো?
মা-বোন আপনার; সিদ্ধান্তও আপনার।
আমার মা-বোন আছে, আমি আমার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছি।
আর, আপনাদের মত কিছু ‘ভোদাই’ সমর্থন না দিলেও আমাদের প্রতিবাদ থেমে যাবেনা।
কিন্তু মনে রাখবেন, আপনারও মা-বোন আছে। পারবেনতো তাদের লাঞ্চনাকেও এভাবে পর্দার দোহাই দিয়ে চেপে যেতে?
পারবেনতো তখনও মুখে তালা দিয়ে বসে থাকতে আর কীবোর্ডে নিজের প্রতিক্রিয়াশীলতার পরিচয় দিয়ে তখনও নিজেকে মহান ধর্মানুরাগী প্রমাণিত করতে?
ওহ হ্যাঁ! আপনাদের মা-বোনতো আবার খুব পর্দানশীলা!!
কোন ধর্মসংকট তাদের পর্দা ভেদ করতেই পারবেনা; মহাপুরুষদের ধর্মসংকট ডিটেক্টিং আই তো দূরে থাক!!!
ঘুমান ওই সুখে শান্তিতে নাকে তেল দিয়ে।
ঘুম হয়তো কোন একদিন ভাঙবে। তবে ‘ইট মেরে পাটকেলটি খাওয়ার পর’।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৪৯
আজকের বাকের ভাই বলেছেন: কিছুই লাগবে না।
একবার ধর্ষের জন্য যাবৎজীবন, আর ইফটিচিং এর জন্য মাসের কারাদন্ড শুরু করলেই হবে। সরকার চাইলেই টিএসসির ঘটনার বিচার সম্ভব, তাছাড়া কেউ ফ্রেফতার হবে না। বরং নির্দোষ লোকদের ফাসানো হতে পারে।