![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিক্ষানবীস
শেষ হবে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। সবার মধ্যেই টানটান উত্তেজনা, রাতজাগা টেনশন। কি হতে চলছে যুদ্ধের ফলাফল?
ওহ হ্যাঁ!
এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের কথা বলতে যাচ্ছি।
কাল রাত একটার দিকেও অনেকে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিচ্ছিল, চিন্তায় ঘুম আসছেনা।
পরীক্ষা জিনিসটা আলাদা একটা কামিনা চিজ। শালা শুরু হওয়ার সময়ও ঘুম হারাম করে দেবে, শেষ হওয়ার পরেও।
যুদ্ধের কথা বলছিলাম।
একটা কাজিনকে কাল বলছিলাম, অনেক যুদ্ধের পর কাল রেজাল্ট পাবলিশ হবে।
জানতে চাইল, যুদ্ধের কি আছে এখানে? আমরা কি পরীক্ষা দেইনি?
যুদ্ধ নয় কি?
রাজনৈতিক নানা চড়াই-উত্রাই পার হয়ে পরীক্ষাহলে পরীক্ষা দিতে যাওয়া যেন একেকটা যুদ্ধজয়।
এই যুদ্ধজয়ী সেনাদেরই আবার দায়িত্ব আবার যুদ্ধ করে আরেকটা জয় আনা।
এই যুদ্ধ, পাশের বাড়ির আন্টির এ প্লাস নজরের সামনে মায়ের নজর ছোট না করে দেয়ার যুদ্ধ।
এই যুদ্ধ, এলাকায় বাবার সম্মান বাড়ানোর যুদ্ধ।
এই যুদ্ধ, বন্ধুদের সাথে বন্ধুত্ব রক্ষার যুদ্ধ।
যাক, কেউ কেউ হয়তো এ প্লাস অথবা গোল্ডেন এ প্লাস পেয়ে যুদ্ধজয় করেও নিল।
এই কামিনা পরীক্ষাটা হয়তো বাকিদের পরিবারে আবার নতুন যুদ্ধ লাগিয়েও দেবে।
যাদের ধৈর্য্য আছে, তারা সয়ে নিল। যাদের নেই, তারা হারিয়ে গেল।
এই 'হারিয়ে যাবো' উদ্দেশ্যপীড়িতদের জন্যই মুলত লিখতে চাচ্ছি কিছু কথা।
প্রতিভা আর পরীক্ষা আসলে এক জিনিস নয়। এ প্লাস, গোল্ডেন এ প্লাস তোমাদের প্রতিভা মাপার মাপকাঠি নয়। আমাদের দেশের প্রেক্ষিতে বলাই যায়, এগুলো হল তোমার মুখস্ত করার ক্ষমতার মাপনযন্ত্র। তোমার পরীক্ষার ফলাফল দিয়ে তুমি বড় হবেনা। তুমি বড় হবে তোমার যোগ্যতা এবং প্রতিভার জোরে।
আর প্রতিভা মুখস্ত করার জিনিস না। আপনে আপই তোমার মধ্যে তার জন্ম আর অনুশীলনের মাধ্যমে এর পূর্ণতাপ্রাপ্তি।
আজ মা-বাবার প্রেস্টিজ রক্ষা করতে পারনি বলে ভেবনা তাঁরা তোমাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না। তাঁরাও তোমার ভাল চান বলেই তোমার থেকে ভাল আউটপুট আশা করেছিলেন, আর তুমি সেটা দিতে পারনি। তো তাঁদের কষ্ট পাওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে এর মানে এই নয় যে, তাঁরা তোমাকে আর চাচ্ছেন না।
বন্ধুদের সামনে ওই যে নিজের সো কলড 'ইজ্জত' রক্ষা করতে পারনি বলে ভেঙ্গে পড়ার কিছুই নেই। এখানেই শেষ নয় আমার বন্ধু। জীবনটা অনেক লম্বা একটা রেস। দুয়েকটা বিটে এসে হোঁচট খেয়ে রেস ছেড়ে পালায় কাপুরুষেরা।
রেজাল্ট খারাপ হয়েছেতো কি হয়েছে? Never give up your life.
খুঁজে বের করো, তুমি কিসে দক্ষ। হোক সেটা অতি নগণ্য। সেটারই চর্চ্চা শুরু করে দাও। মা-বাবার সাপোর্ট না পেলে, লুকিয়ে করো।
এই মা-বাবার মাথা উঁচু করে দিতে হবেতো সবার সামনে!!
পৃথিবীর বিখ্যাতরা আসলে খুব বেশি একাডেমিক্যালি কোয়ালিফাইড ছিলেন না, জানোতো? যদিও তাদের কেউ কেউ ভার্সিটির ক্যাম্পাস ডিঙিয়েছিলেন, তাও খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে।
তাদের ছিল প্র্যাকটিক্যাল কোয়ালিফিকেশান। যেটা তোমারও আছে। শুধু চর্চ্চার অভাবে সুপ্ত। জাগিয়ে তোলো তাকে।
Then I swear, you can show and you can do better than the so expected, so honored, so dreamed 'A ' gradeds. Not only 'better', you will be the 'best'.
তাই, কাপুরুষের মতো গিভ আপ না করে 'স্টার্ট' করো। এভরিথিং স্টার্টস বাই এ ফেইলিওর।
একটা উক্তি দিয়ে শেষ করবো।
কোন একজন অধ্যাপক বলেছিলেন,"লাখ লাখ ভ্রুণের সাথে যুদ্ধ করে জয়ী হয়ে তুমি আজ মানুষ। তাই নিজেকে এত ছোট করে দেখো না। তুমিও মরে যাওয়া বাকি ভ্রুণগুলোর একজন পারতে।"
যাক, তোমাদের সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করি। সাফল্যের যাত্রায় তোমাদের প্রথম বাধাটা সফল এবং সার্থক হোক। তবে ব্যর্থ হলেও ভেঙ্গে পড়োনা। সাহসে বুক বেঁধে সকল প্রতিকুলতা ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় নিয়ে নিজেকে গড়ে তোলো।
জগতের সকল জীব সুখী ও সমৃদ্ধ হোক।। :v
©somewhere in net ltd.