![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিক্ষানবীস
টিউশনিতে তখন প্রথম প্রথম। সেজেগুজে যেতাম; যেন টিউশনিতে নয়, শ্বশুরবাসায় যাচ্ছি। :p
আমি আবার বাইরে কারো বাসায় খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে ভীষণ লাজুকপ্রকৃতির মানুষ। যেমনঃ টিউশনিতে বিস্কিট যদি ৮ টা দিত, আমি ৪টা খেতাম, দুধ/চা এক কাপ দিলে আমি তিন ভাগের একভাগ খেতাম, এমন। আবার কখনো কিছু খেতে সাধলে প্রথমেই “না” বলে দিতাম, তবে পরে ঠিকই খেতাম একটু সাধাসাধি করলে। তবে এই “না” বলা স্বভাটার জন্য মনে মনে নিজেকে অনেক শাসিয়েছি - “বেটা খেতে ইচ্ছা করছে, আর তুই না বলে দিলি কোন সাহসে? তুই না খেলে নাই, আমাকে খাওয়া।” টাইপ শাসানো আর কি। :v
যাই হোক, একদিন এরকম 'কম খেয়ে' রেখে দেওয়া বাকি খাবারগুলো ফেরত নিতে এসে ছাত্রীর মা বলে বসলেন “তুমি একদম আমাদের বড় জামাইটার মত।”
“জ্বী আন্টি?”
“মানে আমাদের বড় জামাইটাও আমার বড় মেয়ের টিউশন মাস্টার ছিল।”
(ব্যাপারটা বুঝলাম না। মহিলার মতলব কি? ওঁর জামাই টিউশন মাস্টার ছিল, আমিও টিউশন মাস্টার, এটা কি আর এমন মিল? ওই মাস্টার তাঁর বড় মেয়ে বিয়ে করছে, আমি তাঁর ছোট মেয়ে বিয়ে করলেইনা বলার মত একটা মিল হত!)
চুপ করে রইলাম।
একটু পর মহিলা খাবারের ট্রে-টা কিচেনে রেখে এসে শুরু করলেন গল্পের টুইস্টওয়ালা অংশ। কথাগুলো এগজ্যাক্টলি মনে নেই। তবে অনেকটা এমন ছিল- তাঁর বড় মেয়ের জামাই নাকি এই বাসায় টিউশন মাস্টার ছিলেন। আমার মতোই মারু হাফপ্যান্ট পরে পোজপাজ মেরে আসতেন। আর খুব লাজুক ছিলেন। বছরখানেক পরে তাঁর বড় মেয়েটাকে পটিয়ে ফেলে। তারপরের কাহিনী শুধুই হিস্ট্রী।
তবে শেষে একটা কথা বলেছিলেন,“তুমিও অনেকটা ওর মতো।”
ছাত্রীকে দেখলাম আমার দিকে চেয়ে মিটিমিটি হাসছে, আমি চোখ পিটপিট করে একবার মাকে দেখি, আবার মেয়েকে।
কপাল আর নাক ঘেমে গেল! গা দিয়ে দরদর করে ঘাম ছুটছে। জীবনে কোনদিন এরকম পরিস্থিতিতে পড়তে হয়নি, তাই সামাল দেব কিভাবে বুঝছিলাম না। তাই কিছু না বলে চুপ করে রইলাম। একটু পরে ছাত্রীকে ছুটি দিয়ে কোনমতে হেঁটে ওদের দরজা অবধি এসেই দিলাম এক ভোঁ দৌড়। এরপরে আর ওই বাসায় পড়াতে যাইনি। মহিলা ফোন দেবে ভেবে ওই রাতেই সিম চেঞ্জ করে ফেললাম।
একটা ব্যাপারে এখনও মাঝে মাঝে খটকায় পড়ে যাই- মহিলা কি বুঝাতে চেয়েছিল ওদিন আমাকে? সতর্ক করে দিতে চেয়েছিল? নাকি মারু হাফপ্যান্ট পরিহিত পোজপাজ মারা লাজুক বড় জামাইয়ের লিটল ভার্সন হতে উত্সাহ দিতে চেয়েছিল??:p
তবে হ্যাঁ, এরপরে ওই ছাত্রীটি স্কুলে যাওয়ার সময় যখনই আমাকে দেখত, দেখতাম হাসত অনেক।
হয়ত আমার বোকামী দেখে হাসত।
অথবা আল্লায় না করুক, তার দুলাভাই’র মতো একটা ছেলে পেয়ে আবার হারিয়ে ফেলায় মাথা নষ্ট হয়ে গেছিল। হাঃহাঃহাঃ
২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০২
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: হে হে হে হে
৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৩
কহেন কবি কালিদাস বলেছেন: ভাই রে কমেন্ট না করে পারলাম না, আপনি আমার টিউশনির কথা মনে করিয়ে দিলেন । এক সময় চিন্তা করতাম কবে টিউশনি করবো আর মজা করে নাস্তা করবো । কিন্তু ভাই ছাত্রের সামনে বসে খেতে লজ্জা লাগত । তাই বেশীর ভাগ সময় খেতাম না আর খেলেও খুব অল্প । তবে ছাত্রী একবার পড়িয়েছিলাম । সে এক বিচিত্র অভিজ্ঞতা ।
৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৬
অগ্নিঝরা আগন্তুক বলেছেন: ছাত্রী পড়াইতে যাও ; না ছাত্রী পড়াইতে গিয়া মনের মধ্যে কি উকি ঝুকি মারে তার অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে যাও ! আজাইরা পোলাপাইন !!
৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৬
ফয়সাল হোসেন শুভ বলেছেন: ধন্যবাদ নীল আকাশ। :p
৬| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৭
ফয়সাল হোসেন শুভ বলেছেন: ধন্যবাদ আরণ্যক। :p
৭| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৮
ফয়সাল হোসেন শুভ বলেছেন: হাঃহাঃ আমি এরপরে আর কোনদিন ছাত্রী পড়াইনি। কেউ ছাত্রী পড়াতে বললেও পড়াই না। কবি কালীদাস
৮| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩০
ফয়সাল হোসেন শুভ বলেছেন: জ্বি না ভাইজান। সত্যিই আমার মনে ওসব ছিলনা। স্টুডেন্ট মনে করেই পড়াতে যেতাম। আগন্তুক
৯| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৬
কালীদাস বলেছেন: আমার মনে হয় উনি আপনার লজ্জা পাওয়াকে মিন করেছেন, সম্ভাব্য পটানোকে না
আপনার লেখাটা সুন্দর এবং সাবলীল। চালিয়ে যান
১০| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৭
কহেন কবি কালিদাস বলেছেন: আমি ছাত্রী পড়িয়েছিলাম মাত্র দেড় মাসের জন্য । তাও এলাকার এক বড় ভাইয়ের অনুরোধে । ওই প্রথম এবং ওই শেষ @ ফয়সাল হোসেন শুভ ।
১১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৪১
এস কাজী বলেছেন: ভাই হেলায় সুযোগ হারাইছেন
১২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৫
ফয়সাল হোসেন শুভ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনাদের অনুপ্রেরণাই পাথেয় হয়ে থাকবে। উত্সাহ পাচ্ছি। @কালিদাস ভাইয়া
১৩| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৬
ফয়সাল হোসেন শুভ বলেছেন: মান ইজ্জতের বারোটা বেজে তেরোটার কাঁটায় স্থানান্তরিত হত ভাই। @এস কাজী
১৪| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৯
থিওরি বলেছেন: বড্ড বাচছেন! ছোট জামাই হইতে হয় নাই!
১৫| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৫
সিপন মিয়া বলেছেন: ভাইরে আমাদেরও এরকম হয়। পড়াতে গেলে ছাত্রের বোন ইটিস-ফিটিশ করতে চলে আসে।
১৬| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৩
তাসজিদ বলেছেন: ছাত্রী পড়ানো ভেজাল।
১৭| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০২
ফয়সাল হোসেন শুভ বলেছেন: আহাঃহাঃহাঃ ঠিক @থিওরি
১৮| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৩
ফয়সাল হোসেন শুভ বলেছেন: আমি এসব যন্ত্রণায় এখন আর পড়াই না। @সিপন মিয়া
১৯| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৪
ফয়সাল হোসেন শুভ বলেছেন: হাঁ, ঠিক বলেছেন। ব্যাক্তিগত সমস্যাতো হয়ই, এলাকার মানুষ-বন্ধুরাও মজা নেয়, যেটা সত্যিই অস্বস্তিকর @তাসজিদ
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৬
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: হাহাহহহাহাহা....++