নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সাধু সন্যাসী নষ্ট নই বিকৃত নই।

ফারদিন স্বাধীন

বেকার

ফারদিন স্বাধীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সবচেয়ে কষ্টের বিষয় কী? মৃত্যু??

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ভোর ৪:৪৩

অলৌকিক প্রত্যাশা এসে আমার বুদ্ধির কেন্দ্রটা শিথিল করে দিচ্ছে। আমি প্রার্থনা করছি, ভাগ্য নিয়ন্তা যেন কোন ভাবে কয়েকটা বছর পার করে নিয়ে যায়। আমি বই সাজাচ্ছি। নাম লেখা হচ্ছে কার্ডে -বক্সে কার্ড ফেলা হচ্ছে। কার্ড একটু বড় হয়েছে কেউ কি খেয়াল করে নি। এত বড় বোল্ড অক্ষরে বিয়ের তারিখ লিখার কি দরকার ছিল। আমি বুঝতে পারছি সে আর চোখে আমাকে দেখছে। খেয়াল করলাম তার হাত একটু একটু কাঁপছে।
ভেতরে কি হচ্ছে কে জানে। তারপরে? তারপরেই কি?
কোনটা হর্ষ কোনটা বিষাদ সেটা বোঝার ক্ষমতা আজ আমার নেই।
যুদ্ধ করছি আমার সমস্ত জীবন ভুল ভ্রান্তি অপরাধ নিয়ে ফিরে যাচ্ছি। তারপর কি? তারপরেই কি? জন্মান্তরের বিচ্ছেদ। থাক এই বিষয়টা চল্লিশ বছর পরে ভাবা যাবে। চল্লিশ বছর বেশী হয়ে যায় তার আগেই যদি মৃত্যুর কবলে পরি। অথবা যদি বিষয়টা ভুলে বসি তখন কি হবে। আচ্ছা আজকের তীব্র কষ্ট চাপা আর্তরব কি বহু বছর পরেও সমান থাকবে? না বোধহয়। খুব করে কাওকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে হচ্ছে করছে কিন্তু সেটা সম্ভব নয় বাড়ি ভর্তি লোকজন। আমার সামনে তার চলাফেরা আজকে কেমন অন্য রকম। তার চোখেমুখে যে আনন্দের ছাঁটা সবসময় দেখেছি সেটা আজ নেই। তার ভেতরেও হয়ত কপটতা ভয় বিতৃষ্ণা কাজ করছে হয়ত করছে না। কি আসে যায় সে তো বাবার বাধ্যগত বিচক্ষন রমনি সেখানে তাদেরই আমি আশ্রয়প্রাপ্ত তার ওপর বেকার। সম্মুখে তার উজ্বল ভবিষ্যত সেখানে আমার খারাপ লাগা সমাজের চোখে ভন্ডামী ছাড়া অন্য কিছু নয়। এখানে প্রথম যখন এসেছি কিছুই চিনতাম না মন খারাপ লাগাটাও স্বাভাবিক ছিল। সবচেয়ে কষ্টের বিষয় কী?
মৃত্যু??
__নাহ, সবচেয়ে কষ্টের বিষয় একলা থাকা ।ভরদুপুরে একলা কোকিলটাও নাকি অশুভ !!
কেউ একা থাকে না, হোক সে প্রাণী কিংবা জড়।বালিশগুলো পর্যন্ত একে অন্যের সাথে জড়াজড়ি করে থাকে।দেয়ালগুলো লেগে থাকে বছরের পর বছর।পর্দারা একসাথে ওড়ে, একসাথেই দোলে।দেখে মনে হয়, কর্ণারের বেসিনটা বুঝি একা !!সেটাও দেয়ালের বুকে দিব্যি ঠাঁই করে নিয়েছে।___হৃদয় ভাঙার কষ্টটা মৃত্যু থেকেও যন্ত্রণার।
কাউকে হারাবার চেয়ে একলা হবার যন্ত্রণাটা অনেক বেশি।
একলা থাকার ভয় না থাকলে হৃদয় ভাঙার কষ্টটা হয়তো এতটা তীব্র হতো না !!
আমার ঘরের জানালাটার বাম দিকে উপরে একটু ভাঙ্গা সেটা দিয়েই আকাশ দেখতাম বৃষ্টির পানি আসতো চুইয়ে চুইয়ে। আচমকা তাকে দেঁখেছিলাম। একটা মুখ যার সমস্তটাই মায়া।অনেক চেষ্টা করেও সেই মায়া কাটাতে পারি নি। থাক সে কথা ভাবছি মিস্তিরি ডেকে ঠিক করিয় নেব জানলাটা। কোথাও একটা শুনেছিলাম ভাঙ্গা জানলা অশুভ। আর শহরটাও তো ছেড়ে দিচ্ছি। একটা বেসরকারি এনজিও তে চাকরি পেয়েছি বেতন খুব সুবিধার নয় তবুও যাচ্ছি তার শহর তারই থাক। আমার বসত অন্ধকারেই তোমরা থাকো ভালো।।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.