“ক্যারিয়ার ভালবাসাকে না বলুন, সুস্থ/সুন্দর ভালবাসাকে হ্যাঁ বলুন”

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:২১

একটি মেয়ে একটি ছেলেকে অনেক অনেক ভালবাসে। আপনি কি একটু কোটা খেয়াল করেননি? পিএসসি এর মত ও মেয়েদের ভালবাসায় কোটা বিদ্যমান। মেয়েদের ভালবাসা কোটায় কোটায় পূর্ণ। মেয়েরা এত সচেতন, তারা কোটার বাইরে এক কদমও এদিক সেদিক যাবেনা। তাদের ভালবাসা কোটার পূর্ণ এক্কান জিনিষ। ধরুন- আপনি একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। আপনার কোন মাসিক ইনকামের ছিটে ফোঁটাও নেই। আপনি মোটামুটি কোন রকম দিনকাল অতিবাহিত করেন বা আপনি গ্রামের মধ্যবিত্ত ফ্যামিলির সন্তান। কোন রকম ২০/২২ টাকার পোশাকি স্টাইলে চলে যায় আপনার দৈনন্দিন ফ্যাশন। মাঝে মাঝে ধার করা দুই একটা নতুন শার্ট বা টি-শার্ট গায়ে (দিয়ে)মেখে আসেন। নাহয় কোন কোন দিন রুমমেট কে বা পাশের রুমের বন্ধুটির অজ্ঞাতসারে চুপিচুপি তার নতুন বা সুন্দর শার্ট প্যান্ট পড়েন। ক্লাসে এসে ভাব মারেন। এমন এক্কান পার্ট নেন যেন সদ্য দুবাই থেকে শপিং করে এনেছেন। প্রতিমাসের শেষে হাজার পাঁচেকের উপরে ধার থাকে যদিও। এত কিছুর মাঝে একটা মেয়েকে আপনার ভাল লেগে গেল। হয়ত মেয়েটি নিজের বিভাগের বা ক্যাম্পাস ইয়ার-মেট। নাহয় সদ্য ফাস্ট ইয়ারে ভর্তি হওয়া একটি গ্রাম ফেরত মেয়ে। যতই দিন যায় মেয়েটির প্রতি আপনি দুর্বল হয়ে পড়েছেন। তাকে আপনি এতই ভালবাসেন আপনার স্বাভাবিক কাজ ব্যাহত হচ্ছে। দিনরাত তার পিছনে গাধার খাটুনী দিচ্ছেন। সক্কাল নাই সন্ধ্যা নাই, নাওয়া নাই খাওয়া নাই, রেস্ট নাই ঘুম নাই। সিটি বাস সার্ভিসের মত এখান থেকে এখানে অবিরাম ছুটে চলেছেন। হঠাৎ কোন একদিন আপনার ডাক পড়ল। ছোটখাটো বা বড় মাপের যে কোন কাজে নিয়োগ পেয়ে গেলেন। মাঝে মাঝে হল গেইট বা মেসের সামনে যাওয়ার চান্স পেয়ে গেলেন। হল গেইটে বা মেসের পাশের বাজারে আসা মাত্র ইনি আপনাকে মিস কল দেয়। কল করতেই বলে আমি নিছে আসছিলাম-তো। আপনি এখন আসবেন কিনা জানতে চাইলে না না না করে উত্তর দেয়। একটু জোর দিলেই ফিনিশ। আপনার জন্য ২০ মিনিট বসে থাকবে কিন্তু বাজার বা প্রয়োজনীয় কোন কিছু কিনবে না। যাওয়ার সময় আপনার মহান উপস্থিতেই কিনবে। বুঝলেন তো! এবার পড়লেন মস্ত আর এক ঝামেলায়। বাড়ি থেকে বাবা ৩০০০ টাকা যা পাঠিয়েছিল ৮/১০ দিনেই শেষ। বন্ধুদের না হয় রুমমেটদের পিছনে পিছনে ঘুরে হাজার পাঁচেক জোগাড় করলেন। মনে করেছিলেন কোন রকম ৭/৮দিন চালিয়ে বাবার কাজ থেকে আবার চাইবেন। এমন সময় মিসকল পাইলেন এক্কান। মোবাইল পকেটে থাকার কারণে টের পাননি। ১০ মিনিট পর রিকল করলেন। কিন্তু প্রতিবার মেয়ের এক্কান মিষ্টি গলা ভেসে আসে, সরি। অগত্যা ৫০টাকার কার্ড হান্দাইলেন। ফোন দিলেন। রাত বি-রাত ধার দেনা করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলা শুরু করে দিলেন। এভাবেই আপনি একদিন অতি কাছের হয়ে গেলেন। কারণ আপনার হাতের আঙ্গুল দিয়ে পানি বের হওয়ার পরিমাণ এতই স্বাভাবিক যে আপনি যেন দরবেশ বাবা সালমান এফ রহমান বা শেয়ার বাজার ফটকা-কারী লোটা কামালের ছেলে নাহয় নিশ্চিত কার্লোস স্লিমের বংশধর ছিলেন। রিলেশন না সম্পর্ক হয়ে গেল। এখন আপনার প্রতি ভালবাসার কোটা ৫০%। আপনি এর মধ্যে ২০% ছাড় পেতে পারেন যদি ক্লাসের ফাস্ট হইতে পারেন বা আপনার এক্সট্রা এক্টিভিটি থাকে। বাকি বিয়ের জন্য তোলা আছে যদিও বিয়ে করবে কিনা তার নিয়ে বিস্তর গবেষণার ব্যাপার আছে। কারণ এর মধ্যে যদি কোন সুন্দর ক্যারিয়ার ওয়ালা ছেলে পাওয়া যায়। আপনি সুন্দর সুন্দর অনেক কথা বলিয়াছিলেন। মাস দেড়েক যাইতেই আপনার পোটানি পুটকি দিয়ে বের হল। আপনি তখন কিপটে হয়ে গেলেন। আগের মত আর ফোন করতে পারেননা ধারের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার কারণে, তখন আপনি আগের মত ভালবাসেন না। তখন আপনার প্রতি ভালবাসার কোটা কতটুকু জানেন, ০.৫%। এর মধ্যে এক্সট্রা কিছু ব্যাপার আছে, যেমন আপনি ক্লাসের ফাস্ট বয়, নিশ্চিত আপনি ৭০% ছাড় পেতে পারেন। রাতারাতি আপনার কাছে আলাদীন সাহেবের চেরাগ জন্মাইয়াছে। আপনি নিশ্চিত থাকুন ১০১% কোটা ও আপনি পেয়ে যাবেন। বিয়া আপনার পিছন দিকে সুনামির গতিতে ছোটাবে। তবে এর মধ্যে আপনি ব্যতিক্রম দেখতে পারেন। মেয়েদের ভালবাসা আপনার প্রতি নাকি আপনার ক্যারিয়ারের প্রতি, আপনি একটু ভাবুন। কোন মেয়ে যদি আপনার সুন্দর ক্যারিয়ারকে ভালবাসে তাকে এড়িয়ে চলুন কারণ তার ইয়ে পাবেন। মন কোনদিন পাবেন না। মেয়েরা বড়ই চালাক প্রাণী, তাহারা সুন্দর ক্যারিয়ার কোথায়, কার কাছে, কিভাবে লুকিয়ে থাকে জানতে পারে। আমার ছেলে জাতিও এক প্রকার নাকি পুরা স্বার্থপর জানিনা। কারণ কিছু পুরুষ আছে তারা নারীদের কে ভোগ পণ্য মনে করে। আমাদের স্লোগান হউক---

“ক্যারিয়ার ভালবাসাকে না বলুন, সুস্থ/সুন্দর ভালবাসাকে হ্যাঁ বলুন”

০ টি +০/-০