অপশনাল

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০২

১৬ মাস প্রতীক্ষা করেছি। নিজেকে তোমার কাছে নিরন্তর চাওয়ার জন্য বদলানোর চেষ্টা করেছি। ভার্সিটির প্রথম দেখায় তোমাকে ভাল লেগেছিল। যদিও তুমি কাল তাতে সন্দেহ নাই, নিজকে তুমি কালই মনে কর। আর আমার কাছে তোমাকে কাল বা সাদা এমন মনে হয়না। তবে তোমাকে ভালবাসার একমাত্র কারণও তাই। জগতের তৃপ্তি সাধকরা কাল আর সাদার মধ্যে প্রভেদ করে, আর কাল হলে অন্য চোখে দেখে। আমার মধ্যে রঙয়ের কোন প্রভেদ নাই, আর ছিলনা ও কখনো হবেনা। আমি তোমাকে দেখাতে চেয়েছিলাম আমি তোমাকে ভালবেসে সুখী আর জগতকে জানিয়ে দিতে চেয়েছিলাম ভালবাসা এমনই একটি ঐসর্গিক সৃষ্টি। তুমি যা পছন্দ করতে না তা আর অন্তত তোমার সামনে না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এখানে একটা যৌক্তিক প্রশ্ন উত্তাপন করা যায়- তাহলে অবর্তমানে কি অপছন্দ কাজ করা যায়??? নিজের ক্ষতি এমন কাজ হল লাইফের মত জঘন্য জায়গায় করতে হয়েছিল। যদিও বর্তমানে সেই অভিশাপ থেকে মুক্ত আছি। যখনই অভিশাপ থেকে মুক্ত হওয়ার পথ পেয়েছি, নিজকে তোমার উপযুক্ত করার জন্য চেষ্টা করার পথ খুজেছি, তুমি আমার কাছ থেকে দূরে সরে গেলে!!!



আমার ভুলের জন্য তোমাকে হারিয়েছি আবার ফিরে আসার জন্য পথ খুঁজেছি, কারণ তোমাকে অনেক ভালবাসি। সেদিন বিকাল বেলার পর এক মুহূর্তের জন্যও ভুলতে পারিনি। তুমি সব সময় বলতে ভালবাসার পরীক্ষা দিতে হয়। ভালবাসা সহজ, পাওয়া সহজ না। বিশ্বাসের মর্যাদা রাখতে হয়। হ্যাঁ, তোমার কথা আমি ও মানি। আমি ভার্সিটি লাইফের ১৬ মাস পার করেছি প্রতিটি মুহূর্ত তোমার ভালবাসার অপেক্ষায়। তুমি সব সময় নিজেকে আমার কাছে ছোট হিসাবে উপস্থাপন করতে কিন্তু আমি কোনদিন তা হতে দিতে চাইনি। আমি তোমাকে বুকে আগলিয়ে রাখার চেষ্টা করেছি। তুমি সব সময় বলতে ছেলেরা খারাপ!!! এক রকম!!! কাউকে বিশ্বাস করা যায়না!!! সাপের ভয় থাকে সব চেয়ে তার, যে সাপের বিষ দাঁতের ছোবল খেয়েছে। হ্যাঁ, তুমি যাকে পছন্দ করতে, ভালবাসতে সে তোমার সাথে প্রতারণা করেছে। এর মানে কি জগতের সব ছেলে এক রকম!!! আমাদের পিতা ও তো পুরুষ। আমার ভালবাসা তুমি উপলব্ধি করা সত্ত্বেও তার সিকিটুকু মর্যাদা দাওনি!!!



একটা কথা, ভ্রমর মধু খেয়ে পালিয়ে যায় অন্য ফুলে, তাই বলে কি ফুল তার সৌন্দর্য, তার মিষ্টি সুঘ্রাণ ছড়াবে না!!! তার সৌন্দর্য ছড়ানো থেকে বিরত থাকবে??? কাকে কি বলছি, আসলে পাগল হয়ে ছিলাম। ১৪৮০দিন ১১৫২০ ঘণ্টা কি একটা পরীক্ষা না??? নিরন্তর তোমার পিছু ছুটে চলা কি সত্যি না??? রক্ত দিয়ে লিখা চিঠি কি ভালবাসার প্রমাণ না??? আসলে কাকে কি বলতেছি! এটা-তো আবেগ!! আমি তো ৫ম ৯ম শ্রেণীর এক আবেগ-ই বালক!!! আমি তো বাস্তব কি, সত্য কি বুঝি-না!! আমি আবেগই, নাকি শাহবাগী??? জগতে কি শুধু মেয়ে তুমি!! যদি তোমার কথা মত মেয়ে বলেই যদি ছুটে চলা হত তাহলে কি ষোল মাস কি কেউ জৈবিক চাহিদার জন্য ছুটে??? না এটাও না তাহলে, হ্যাঁ- তুমি তেজী তাই নিজের ইচ্ছা পূরণ করার মন্ত্রণায় আছ!!! নিরন্তর তেজের জন্য কি চোখের পানি পেলে! কোনদিন শুনেছ কি পাথরের বুকে পানির প্রবাহ-ধারা ছুটতে!! ছেলেদের পাথরের মত বুক থেকে সহজে পানি আসেনা!!! তোমাকে ফোন করলে রিসিভ করতে না অথচ, অথচ তৃতীয়বারে অপেক্ষা কল... তবুও কোনদিন অনুযোগ করিনি, কারণ আমি তোমাকে কাছে পাইনি... তোমাকে দেওয়া দুটি টকটকে গোলাপ কি ভালবাসার চিহ্ন না!!!



আসলে, তুমি চেয়েছিলে- তোমার intension ছিল তিন বছর অর্থাৎ অনার্স কমপ্লিট করা পর্যন্ত আমাকে সেই তৃতীয় বার কলের মত অপেক্ষায় রাখবে... আর এর মধ্যে নিজের জন্য নিজের ইচ্ছেমত ভাল ছেলে খুঁজে পেলে তার সাথে প্রেম- মাসতি করবে!! আর না হয় অপশনাল তো আছেই!!! তাকে নিয়ে ঘর করবে...... তোমার মত মেধাবিনী চিন্তা এই নিরন্তরের না থাকতে পারে, তবে একটু বুঝি...।

আজ তোমাকে দেখে মন চেয়ে ছিল বুকে আগলিয়ে ধরে বেহায়ার মত একটা kiss দিয়ে বসি!! আসলে আমার তো কল্পনা করা ছাড়া কোন বাস্তবতা নাই। তাই কল্পনার জগতে হলেও তোমাকে পাওয়ার চেষ্টা করি!!! তবে পরক্ষনে তাদের একজনকে দেখে দুইটি উশটা বসিয়ে দিতে ইচ্ছা করছিল। তুমি বল আমি আমি তোমাকে ফোন না দিয়!!! এই ব্লগকে সাক্ষী রেখে বলতেছি, নিঃশ্বাস আছে তুমিও আছ আমার মনে, তুমি আছ আর তাই আমার কল জীবিত থাকবে।

০ টি +০/-০