অসমাপ্ত অধ্যায়...

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৫

তন্দ্রা, ভাবছি কি আমায়। আমি বসে আছি তোমার বুকে মাথা পেতে দেওয়ার জন্য। তোমার ঠোঁটের উষ্ণ ছোঁয়ার জন্য।নরম হাতের স্পর্শের জন্য। তোমার নাকের গরম নিশ্বাসের জন্য। তবু কোন কূল কিনারা খুঁজে পাচ্ছিনা। তোমাকে খুব করে ভাবছি হৃদয় আঙিনায়, ভালবাসার জন্যে খুব কাঙ্গাল হয়ে আছি এক তৃষ্ণার্ত কাকের মত। প্রতীক্ষায় আছি তোমার ভালবাসার এক ফোঁটা ঝরে পড়া বৃষ্টির জন্য। যতদূর মন যায় তোমার শরীরের খোলা ক্যানভাস একে চলছি, চোখ দিয়ে ক্যানভাসে ভালবাসার রং মেখেছি। ঠোঁট দিয়ে ক্যানভাসের সীমা খোঁজার ব্যর্থ চেষ্টা করছি। শুনেছি, মন থেকে প্রেয়সীকে স্মরণ করলে সে নাকি সত্যি সাড়া দেয়।



কোন এক প্রেমিককে বলতে শুনেছি, দেখার মত করে দেখলে সকল অগোচরেও নাকি প্রেয়সীর দৃষ্টিগোচর হয়। তবে আমি তোমার সাড়া পাইনা কেন, আমি কেন তোমায় দেখতে পাই না? মিথ্যা হবে একেবারে তোমায় দেখতে পাইনা বললে, তোমাকে দেখতে পাই আমার বাহুর যুগল বন্ধনে কিন্তু দেখতে আরও মন চাই। তোমাকে কাছে পাই কিন্তু ছুঁতে পারিনা, ছুঁয়ে যেতে পারিনা, ভিজে যেতে পারিনা তোমার প্রণয়ে। আমার হৃদয়-এ যে হাহাকার জন্মেছে,যদি মিথ্যে না হয়।তবে আমার আকুলতা কেন বৃথা যাবে!



দেখো তো - কতশত ভালবাসা হৃদয়-এ জমা রেখে, আমি কিনা হাহাকারের ঝড় তুলে যাচ্ছি! আমি কিনা তৃষ্ণার্ত কাকের মত হয়ে আছি! আমার তো এখন শুধুই ভালবাসা বিলিয়ে দেওয়ার কথা, ভালবাসার পাল তোলা নৌকা চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা! তোমার প্রতি হৃদয়ের সৃষ্ট বর্ণগুলোকে আঁকাতরে বিলিয়ে না দিয়ে বরং তোমার হৃদয় সাগরে ভালবাসার ডুব দেয়াটা যুক্তিপূর্ণ। তোমারো তার ব্যতিক্রম হবেনা, আবার হলেই তো হতে পারে। তুমিও তো রক্ত মাংসের গড়া মানবী, তোমার তো নিজস্ব সত্ত্বা থাকাটাই স্বাভাবিক।



আমি কেন যেন নিজেকে উপস্থাপন করতে পারিনা। নিজের উপলব্ধি গুলো বুঝাতে পারিনা। বন্ধুরা বলে, আমি নাকি রূপক ভাবে অনেক গুছিয়ে কথা বলতে পারি। অথচ আমার বিশ্বাস, আমার অধিকাংশ কথার অর্থ- মর্মার্থ খুবই সাধারণভাবে কেউ সহজ উপলব্ধি দিয়ে বুঝতে পারেনা অথবা আমি সঠিক ভাবে গুছিয়ে বোঝাতে পারিনা কি আমি কি বলতে চাই। অতএব আমার বিশ্বাস এখনো আমি গুছিয়ে কথা বলতে পারিনা। যদি সঠিক ভাবে বোঝাতে না পারি অথবা যা বোঝাতে চেয়েছি তার বিপরীত কিছু বোঝানো হয়ে যায় তাহলে তো সর্বনাশ!



আমি গতানুগতিক কেউ না, আবার যা বিশ্বাস করি তা হতে পারে না,যেমন আমি গতানুগতিক একজন, তবে, এইটা ঠিক আমি উল্টো পথে হাঁটার অভ্যাস নিয়ে জন্মানো একজন মানুষ। জানিনা আমার ভালবাসা অস্পষ্ট থাকার পেছনে আমার অজ্ঞতা, অযোগ্যতা কিংবা অদক্ষতা কতটুকু ছিলো। তবে বোঝানোর অসমর্থতা যে ছিলো, সেটা অপ্রাপ্তির মাঝে আজো স্পষ্ট হয়ে আছে! তাই আজও তাকিয়ে আছি সদ্য ভূমিষ্ঠ হওয়া সন্তানের কান্না শুনার হাহাকার বুকে নিয়ে। কবে আমার সোনা বউ তন্দ্রা বলবে, এইযে শুনছ আমি কিন্তু শুধু তোমাকেই ভালবাসি!!



কথা আছে, মনের কথা কি বুঝ না আমি যে তোমাকে ভালবাসি, তাকি মুখ ফুটিয়ে বলতে হয়!! তা হলে কেন এত অভিনয় কর? আচ্ছা বলতো, সদ্য ভূমিষ্ঠ হওয়া সন্তানের মা কি জানেনা তারই ভালবাসার ফসল পৃথিবীতে এসেছে- তবু কেন তার সন্তানের ডাক শুনতে চাই!!! মা কেন তার সন্তানের ডাক শুনার জন্য তাকিয়ে থাকে আকাশের পানে!! জানি, আমার কাছে এর উত্তর যেমন নাই তেমনি কেহই দিতে পারবেনা। আজ আমার জীবনের অসমাপ্ত .......................................।

০ টি +০/-০