বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ি...

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৫

বর্ষাকালে গ্রামের মেঠো পথ থেকে শুরু করে শহরের পথঘাট নোংরা থাকে। গ্রামের মেঠো পথে কাঁদায় পা আঁটকে যায়। শহরের রাস্তাঘাটে ময়লা পানিতে ভরপুর হয়ে যায়। তবে অল্প বৃষ্টিতে এমন হয়। যদি প্রচণ্ড বৃষ্টি পড়ে, আকাশের বাঁধ যদি পৃথিবীর উপর ভেঙ্গে পড়ে তাহলে পথঘাটের অবস্থা ভাল হয়ে যায় এমনও বলা যাবেনা।



কারণ তখন সাজানো গোছানো এই পৃথিবীর হাজারো স্মৃতিকে মুহূর্তেই আস্তা কুড়ে নিক্ষেপ করে সামনে ছুটতে হয়। কিন্তু তাতেও জীবনে কোন স্বস্তি আসেনা। প্রবাদ আছে “মধ্যমই ভাল, মধ্যমই উত্তম”। পৃথিবী যেন হঠাৎ করে আকাশের মাঝে হারিয়ে যাচ্ছে। ঝুমঝুমিয়ে আকাশ থেকে বৃষ্টি পড়ছে। পাখিরা ডাকছে না, দু একটা ভেজা কাক দিক বে-দিক ছুটাছুটি করছে।



পথঘাটে লোকারণ্য নেই তবে কেউবা বৃষ্টিতে ভিজে কেউ ছাতা মাথায় দিয়ে আপন কাজে যাচ্ছে। কোথাও কোথাও হাঁটু সমান পানি জমে আছে তার মধ্যে বাচ্চারা খেলা করছে। হেডলাইট জ্বালিয়ে যন্ত্র মানবরা যন্ত্রের হাতলে হাত রেখে কেউবা গদিতে গা এলিয়ে দিয়ে, কেউবা চোখ বুজে বিড়বিড় করে গান গেয়ে আপন গন্তব্যে ছুটে যাচ্ছে। সবাই সবার কাজে ব্যস্ত।



বৃষ্টিতেও কারও পিছনে ফিরে থাকার সময় নেই। জানিনা, ঠিক আমার মত কজন জানালার রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে দুহাত খানা বাহিয়ে প্রসারিত করে বৃষ্টিকে ছুঁয়ে দিচ্ছে। ফোঁটা থেকে ফোঁটা হয়ে বৃষ্টির ফোঁটা বেয়ে ছয় তলা থেকে নিছে পড়ছে। কিছুদূর যেতেই বৃষ্টির ফোঁটা ফ্যাঁকাসে হয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টির সাথে সাথে আমার এই মনে প্রচণ্ড ঝড় বয়ে যাচ্ছে। আকাশে মেঘের মত হৃদয়ের হাজারো রক্তক্ষরণ জমাট হয়ে আছে। গুমরিয়ে বসে আছে কখন যে বিস্ফোরিত হয়ে যাই জানা নেই।



আকাশের মত বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ে নিজেকে হালকা করতে পারছিনা। ইচ্ছে হচ্ছে বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ি দূর আকাশের কোন কোণায় আর নিজেকে নিজের মাঝে বিলিয়ে দিয়ে যায়।

একটু স্বস্তির আশায় একটু শান্তি চাই.........।

২৪-০৯-২০১৩

০ টি +০/-০