এক মুহূর্তে...

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৯

এই, এভাবে তাকিয়ে আছো কেন? এভাবে আর তাকিয়ে থেকো না প্লিজ!

না তোমাকে আজ মন ভরে দেখবো। দেখবো আমার মনের গহীনে থাকা হাজার বছরের সৌরভ দিয়ে।

এই ফাজিল, এখনই চোখ নামাও বলছি, চোখ নামাও। আমার লজ্জা লাগেতো……

আহ কি সুন্দর তোমার একখানা লাজুক রাঙ্গা টকটকে গাল, যেন গোলাপের সদ্য ফোটা কোন পাপড়ির ছোঁয়া।



আচ্ছা বলতে পারো তুমি এত সুন্দর কেন? কেন তুমি মনের মত এত সুন্দর!

হেসে উঠে আমার মাথায় একটা থাপ্পর মেরে বললে, তোমার মাথা।

আসলেই তোমার ওই সৌন্দর্যের মায়ায় আমার মাথা পুরাই উলোট-পালট!

একটা ছোট্ট অনুমতি দেবে? একটু সাহস দিবে আমায়?



আমাকে আবার কিসের অনুমতি দিতে হবে? আর কি চাই তোমার?

তোমার কাঁদে মাথা রেখে চেতনা হারিয়ে অজানার সাথে কথা বলতে চাই!

হেসে বললে, এই মন যে চুরির করার সময় তো অনুমতি নিলেনা। সব তো অজানায় ছিল... তবুও অনুমতি দিলাম।

আমি তড়িৎ তোমার কাশফুলের নরম ছোঁয়ার আলপনা লাগানো কাঁদে আমার মাথাটাকে আশ্রয় দিলাম।

প্রচন্ড একটা অজানা অনুভূতি আমার মনে সামনে এসে পড়েছে, যেন কেউ ছিঁড়ে খাচ্ছে আমাকে...

তোমার নরম হাতের পরম ছোঁয়া আমার অনুভূতি কে আরো একধাপ বাড়িয়ে দিলো যেন।



আমি অবাক হয়ে অনুভব করলাম, তোমার নিঃশ্বাসে যেন অ্যালকোহলের ঝাঁঝালো গন্ধ! আমাকে পাগল করে দিচ্ছে!

আহ, কি ভালো লাগছে আমার তোমার কাঁদে মাথা রেখে দুজনের মাখামাখি বসবাস।

তুমি উদাস মনে আলতো হাতে আমার চুলে কি যেন এঁকে দিচ্ছ, আর তলিয়ে যাচ্ছি আদরের মহা সমুদ্রে।

আর, আমি চুপ থাকতে পারলাম না, যদিও এই সময় চুপ থাকলে হয়তো ভালো হত।



বললাম, এত মায়া কেন তোমার মাঝে? কিসের এত নেশা জাগায় তোমার স্পর্শে?

তুমি মুঠিতে চুল আটকে দিলে, আর মাথা ঝাকিয়ে বললে নাটক করা হচ্ছে না?

আমাকে পটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে জনাব? আর কি চাই!

আমি হেসে উঠলাম, তাই নাকি? তোমাকে বুঝি পটাতে যাবো আমি!



আরে তুমিতো সেই কবেই চিরতরে পটে আছো...

তুমি বললে, জানো তুমি যখন কাছে থাকোনা আমার তখন ভীষণ অস্থির লাগে।

আমি তোমার একটা হাত টেনে আমার হাতে নিলাম, খুব আলতো একটা ঠোটের স্পর্শ দিলাম তোমায়।

তুমি আহ্লাদিত হয়ে আমার কপালে একটা স্পর্শ এঁকে দিলে...

আর আমি...........................(অসমাপ্ত)।

০ টি +০/-০