নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শেকড়ই শক্তি ©www.fazleelahi.com

জন্মোপার থেকে পৃথিবী হয়ে অনন্তে >>> ©www.fazleelahi.com

ফজলে এলাহি

অন্যদিগন্ত: www.bishorgo.com ভালবাসতে চাই মানুষকে, পৃথিবীকে, ভালবাসিও, কিন্তু যখনি দেখি অপচ্ছায়া ঢেকে ফেলছে আমার ভালবাসাকে, তখনি যেন নিজেকে আর খুঁজে পাই না নিজের মাঝেই,,, এই না পাওয়ার প্রকাশই আমার কথা, কাজ, কাব্য, গদ্য, নীরবতা, আক্রোশ, এটাই পৃথিবীতে আমার প্রকাশ, আমার ভূমিকা। ভালবাসতে চাই মানুষকে, পৃথিবীকে, ভালবাসিও, কিন্তু যখনি দেখি অপচ্ছায়া ঢেকে ফেলছে আমার ভালবাসাকে, তখনি যেন নিজেকে আর খুঁজে পাই না নিজের মাঝেই,,, এই না পাওয়ার প্রকাশই আমার কথা, কাজ, কাব্য, গদ্য, নীরবতা, আক্রোশ, এটাই পৃথিবীতে আমার প্রকাশ, আমার ভূমিকা।

ফজলে এলাহি › বিস্তারিত পোস্টঃ

@সওয়াবের নিয়তে ৩ মসজিদ ব্যতীত অন্য কোথাও সফর করা নিষেধ

০৮ ই আগস্ট, ২০০৭ দুপুর ১:০২

সফর বা ভ্রমণ আমরা বিভিন্ন কারণেই করে থাকি। সেসবের মধ্যে দ্বীনী বিবেচনায় বা ধর্মীয় সফরে অবশ্যই পূণ্যাকাংখা বিদ্যমান থাকে এবং এই আকাংখা দোষণীয় নয়। কিন্তু যেহেতু ইসলাম এক পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থার নাম, যেখানে মূলনীতিগত ভাবে ক্ষুদ্র-বৃহৎ আর কোন কিছুরই সংযোজন বা বিয়োজনের প্রয়োজন নেই। একথার প্রমাণ স্বয়ং আল্লার কিতাবে বিদ্যমান: ((আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ করে দিলাম।)) [সূরা আল-মায়েদা: ৩] এছাড়া কুরআন ও হাদীসের বহু দলীল প্রমাণের ভিত্তিতে গবেষকগণ আল্লাহর নিকট নেক আমল বা সৎকর্ম কবূল হওয়ার জন্য তিনটি শর্ত সাব্যস্ত করেছেন- যার মধ্যে একটি হলো সৎকাজ সম্পন্ন হতে হবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পুর্ণ অনুসরণের মাধ্যমে। অন্যথা তা ব্যর্থ হতে বাধ্য। দ্বীনী সফর বা ধর্মীয় ভ্রমণের ক্ষেত্রে তথা সওয়াব বা কল্যাণ অর্জনের জন্য যেসব সফর করা হয় সেসব ক্ষেত্রেও তা থেকে সওয়াব অর্জন ও তা আল্লাহর নিকট কবূল হওয়ার জন্য রাসূলের আনীত শিক্ষার অনুসরণের কোন বিকল্প নেই।



দ্বীনী সফর বা ভ্রমণের উদ্দেশ্য হয় যিয়ারত, যার অর্থ হলো- পূণ্যস্থান দর্শন ও প্রদক্ষিণ, ভক্তিভরে দেখা ও প্রার্থনা করা ইত্যাদি এবং এই শব্দের ক্ষেত্রে বাস্তবে কবরস্থানও যোগ করা হয়েছে যেমন, নবীর কবর যিয়ারত। জাহেলী যুগে কাফের মুশরিকরা বিভিন্ন আলোচিত ব্যক্তিদের কবরে, মাজারে এবং পূণ্য হাসিল হয় বলে ধারণার প্রেক্ষিতে তেমন স্থান সমূহে যিয়ারত করত। বর্তমানেও বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে তা বিদ্যমান এবং সেসব থেকে প্রভাবিত হয়ে দ্বীন সম্পর্কে স্বল্প ধারণা নেয়া কিংবা অজ্ঞ মুসলমানগণও একই ধারায় বিভিন্ন ওলী-আউলিয়া ও পূণ্যবাণ ব্যক্তিবর্গের কবর-মাজার ইত্যাদির যিয়ারত করে আসছে। এই কাজকে কেউ কেউ তার দ্বীনের প্রায় পুরোটাই ধরে নিয়েছে, বিশেষ করে যারা কোন কিছুর প্রয়োজন হলেই অমুক মাজার, তমুক পূ্ণ্যস্থানের নামে মান্নত করে বসে এবং অর্থকড়ি যোগাড় করে সে উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ে। এসব সিদ্ধান্তে তারা নিতান্তই নিজের অজ্ঞজনোচিত বিবেচনা এবং আশপাশের লোকজনের এক-আধখানা সত্যের সাথে হাজারো মিথ্যার মিশ্রিত মহালৌকিক রূপকথাকেই ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করে এবং সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেয়। অথচ একবারের জন্যও খুঁজে দেখতে চেষ্টা করে না যে, তার প্রভুর বিধান আলকুরআন-যেখানে তার সমস্ত জীবনের জন্য ক্ষুদ্র থেকে বৃহৎ সকল প্রয়োজনের দিকনির্দেশনা বিদ্যমান–সেখানে কি বলা আছে পূণ্যের আশায় কোথাও ভ্রমণের ব্যাপারে?



ইসলামের নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের জন্য সে বিধান অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করে গেছেন। তিনি বলেন: ((তিন মসজিদ ব্যতীত অন্য কোন স্থানের প্রতি সফর করা যাবে না; (মসজিদগুলো হলো): মসজিদুল হারাম (মক্কার বায়তুল্লাহ্), এবং আমার এ মসজিদ (মদীনার মসজিদুন্ নববী), এবং মসজিদুল আকসা (ফিলিস্তীনের বায়তুল মাকদিস)।)) [বুখারী: ১১১৫, মুসলিম: ২৪৭৫]



এই দলীলের ভিত্তিতে হজ্জ ও উমরায় আগমণকারী হাজীগণ মদীনায় আসবেন শুধুমাত্র মসজিদুন্ নববীতে সালাত আদায় করার নিয়তে; কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: ((আমার এই মসজিদের সারাত আদায় করা অন্যান্য মসজিদের চেয়ে এক হাজার গুণ উত্তম শুধুমাত্র মসজিদুল হারাম ব্যতীত।)) [বুখারী: ১১১৬] তাই মদীনায় যিয়ারত অবশ্যই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তার সাহাবীগণের কবর যিয়ারত করার নিয়তে নয়; বরং মসজিদে সালাত আদায় করার নিয়তে। তবে হাঁ, কেউ মদীনা এসে পৌঁছে গেলে সে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও মদীনায় অবস্থিত অন্যান্য সাহাবীগণের কবর যিয়ারত করতে পারবে। এটাও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নির্দেশেই: ((তোমরা কবর যিয়ারত কর, কারণ কবর যিয়ারত আখেরাতকে স্মরণ করিয়ে দেয়।)) [ইবনে মাজাহ: ১৫৫৮]



নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পক্ষ হতে আরো বর্ণিত আছে যে: ((তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কবরসমূহে নারী যিয়ারতকারিনীদের, সেখানে মসজিদ স্থাপনকারীদের এবং সেসবে (কবরসমূহে) বাতি জ্বালানোওয়ালাদের প্রতি অভিসম্পাত বর্ষণ করেছেন।)) [আবু দাউদ: ২৮১৭, তিরমিযী: ২৯৪, নাসায়ী: ২০১৬, আহমাদ: ১৯২৬, ২৪৭২, ২৮২৯, ২৯৫২]



অথচ, কবরসমূহের উপর ইমারত নির্মিত হয়, মাজার হিসেবে ঘোষিত হয়, সেসব স্থানে সিজদা করা হয় যার কোন কোনটি হয় আল্লাহর জন্য আবার কোন কোনটি হয় কবরবাসীর জন্য, সেবব মাজারের প্রতি মানুষকে আহ্বান করা হয়, মান্নতের নামে প্রকাশ্যে সাধারণ জনগণের মাল-সম্পদ ডাকাতি করা হয়! এরপরও কি কোন মুসলমান সেসব স্থানের উদ্দেশ্যে সফর করতে পারেন? ইসলাম সম্পর্কে নিতান্ত মূর্খ ব্যক্তির দ্বারাই এমনতর সফর করা সম্ভব। সেজন্যই ইসলামের জ্ঞানার্জনের গুরুত্বকে ফরয বলে ঘোষণা করা হয়েছে, কেননা ইসলামকে মেনে চলতে হলে ওহীর জ্ঞানের বিকল্প নেই।



এই পৃথিবীতে সবাই কম-বেশী চায় যে, তার মৃত্যুর পর তাকে লোকেরা স্মরণ করুক, কেউ কেউ চায় তার জন্য নানা ফলক-ইমরাত নির্মাণ করুক, অনেকে তো জীবিত থাকতেই প্রতিকৃতি প্রস্তুত করে রাখে। শুধুমাত্র নবীগণ এবং সকল সত্যপন্থী মুসলিম আলেমগণ এমনটি কখনোই চাননি। কেননা, তারা তাদের যাবতীয় সৎকর্ম শুধুমাত্র তাদের প্রতিপালক আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যেই সম্পাদন করেছেন। তাই তাদের মৃত্যুর পর কবর নিয়ে উৎসব হোক, একটা সুবিধাবাদী স্বার্থান্বেষী মহল তা থেকে ফায়দা হাসিল করুক এমনটি যেন না হয়, সেই সুদূর প্রসারী জ্ঞানের ভিত্তিতেই প্রিয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের জানিয়ে গেছেন যে: ((তোমরা আমার কবরকে ঈদগাহ বানিও না এবং তোমাদের গৃহগুলোকে কবর বানিও না।)) [মুসনাদে আহমাদ: ৮৪৪৯]



সকল মুসলিমের প্রতি আহ্বান: আসুন, আমরা সত্যিকার ভাবে আমাদের প্রিয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুসরণ করি, যা আমাদের জন্য আমাদের সৎকর্মসমূহ আল্লাহর নিকট কবূল হওয়ার শর্ত। তাই আমরা শুধুমাত্র তিনটি মসজিদে সালাত আদায়ের নিয়তেই সফর করবো, এছাড়া অন্য কোন মাজারে, দরগায়, আজমীর ইত্যাদি ইত্যাদি স্থানে সফর করা থেকে বিরত থাকবো। কেননা, প্রথমঃ এটা আমাদের রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিষেধ, দ্বিতীয়তঃ সেসব স্থানে শির্কের ছড়াছড়ি এবং যে কোন মুহূর্তে আপনিও পতিত হয়ে যেতে পারেন চাকচিক্যময় সে আগুনে!

আল্লাহ আমাদের হেফাযত করুন।



০৮.০৮.২০০৭, মদীনা মুনওয়ারা, সৌদি আরব।

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +১০/-৩

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই আগস্ট, ২০০৭ দুপুর ১:১০

অশ্রু বলেছেন: ধন্যবাদ। সুপাঠ্য লেখা

২| ০৮ ই আগস্ট, ২০০৭ দুপুর ১:১৫

নাজিরুল হক বলেছেন: আমি যদি সেখানের মসজিদ জিয়ারত করার নিয়তে যাই তাহলে সেটাও কি নিষিদ্ধ? যেমন শাহজালাল এর মাজার সংলগ্ন মসজিদ।

৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০০৭ দুপুর ১:১৭

শাইরি বলেছেন: ভালো লেখার জন্য ধন্যবাদ।

৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০০৭ দুপুর ১:১৮

অশ্রু বলেছেন: অবশ্যই নিষিদ্ধ। ফজলে এলাহি ভাই তো সেকথাই লিখেছেন

৫| ০৮ ই আগস্ট, ২০০৭ দুপুর ১:১৯

বিবেক সত্যি বলেছেন: তাবলীগ জামায়াত দ্বীন প্রচারের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে বিভিন্ন মসজিদে রাত কাটায়থথথথ র ঃযরহশ রঃং ড়শ

৬| ০৮ ই আগস্ট, ২০০৭ দুপুর ১:২১

শাইরি বলেছেন: @নাজিরুল হক
'মসজিদ জিয়ারত' বলতে কি বোঝাচ্ছেন? নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে গমন? সেটা নিষিদ্ধ হওয়ার কোনো কারণ আছে বলে মনে হ্য়না।

৭| ০৮ ই আগস্ট, ২০০৭ দুপুর ১:২২

বিবেক সত্যি বলেছেন: তাবলীগ জামায়াত দ্বীন প্রচারের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে বিভিন্ন মসজিদে রাত কাটায়থথ অাই থিঙ্ক ইটস ওকে

৮| ০৮ ই আগস্ট, ২০০৭ দুপুর ১:২৮

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: সহমত@ বিবেক সত্যি........

ধর্ম বিকৃতকারী রাজাকার রা দু চারটা চটি বাংলা বই পড়ে এক এক জন মুফ্ফাসিরে কুরআন ও শায়খুল হাদীস সেজে বসে ইসলামের সর্বনাশ করে.....

৯| ০৮ ই আগস্ট, ২০০৭ দুপুর ১:৩০

ফজলে এলাহি বলেছেন: ধন্যবাদ অশ্রু, বিশেষ করে লেখাটা পড়ে মূলভাব ধরতে পারার জন্য। অথবা আপনি অবশ্যই ভাল জ্ঞান রাখেন; এ আমার সুধারনা।
========
নাজির ভাই,
রাসূল সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিন মসজিদের কথা নির্দিষ্ট করে বলে দিয়েছেন। তাই সে সুযোগ দেখছি না। তবে সাধারণভাবে আপনি যে কোথাও যেতে পারেন ভ্রমণে, যে ভ্রমণে কোন নির্দিষ্ট স্থান, মাজার ইত্যাদির প্রতি কল্যাণ্যাকাংখা থাকবে না। আপনি কোন কাজে সিলেট গেলেন তো সুন্দর কোন মসজিদ থাকলে ঘুরে দেখে আসতে পারেন ইসলামের স্থাপত্যগুলো, সালাতও আদায় করুন সালাতের সময় হলে। কিন্তু আলাদা করে শুধু ঐ মসজিদে সালাত আদায় করার নিয়তে এতদূর সফর করার তো কোন কারণ নেই, তাই না? আর মাজারের ক্ষেত্রে তো ভয়াবহ রকমের নিষেধ। যা পরের কোন পোষ্টে লিখবো ইনশাআল্লাহ্।
এমনকি চট্টগ্রাম গেলেন তো, কিভাবে আল্লাহর সাথে মাজার গুলোতে শির্ক হচ্ছে তা দেখার জন্য গেলে তাতে তো দোষ হবার কথা নয়। কেননা, আপনার কোন সওয়াবের আকাংখা নেই এতে। মনে রাখতে হবে যে, দ্বীনী কাজ মনে করে সওয়াবের উদ্দেশ্যে সফর করাটা উদ্দেশ্য।
আল্লাহ্ সবচেয়ে ভাল জানেন। আপনি তো রিয়াদে আছেন, কোন আলেমের কাছ থেকে আরো বিস্তারিত জেনে নিতে পারবেন আশা করছি।

১০| ০৮ ই আগস্ট, ২০০৭ দুপুর ১:৩৪

নাজিরুল হক বলেছেন: "ধর্ম বিকৃতকারী রাজাকার রা দু চারটা চটি বাংলা বই পড়ে এক এক জন মুফ্ফাসিরে কুরআন ও শায়খুল হাদীস সেজে বসে ইসলামের সর্বনাশ করে...."
সাঈফ শেরিফ > আপনার এ কথা গুলোর একটু ব্যাখ্যা জানতে চাইছিলাম। কথা গুলো বুঝতে পারিনি।

১১| ০৮ ই আগস্ট, ২০০৭ দুপুর ১:৩৫

ফজলে এলাহি বলেছেন: সাঈফ শেরিফ,
একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে আপনার কাছ থেকে আরো বিবেচনাধর্মী মন্তব্য আশা করি সবসময়। কিন্তু পূর্বে কোথাও কোন ব্যক্তিকে 'প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই বলে আপনি জ্ঞানী মানতে রাজী নন' -এরূপ মন্তব্য দেখে বিস্মিত হলাম।
আর এখন উপরের এই মন্তব্য বোধ হয় বাকীটুকু সারা করলেন। জাতির কারিগরদের নিয়ে আর কিছু বলার নাই।

১২| ০৮ ই আগস্ট, ২০০৭ দুপুর ১:৩৫

বিবেক সত্যি বলেছেন: "দু চারটা *চটি* বাংলা বই....." কি বলছেন? কিভাবে সম্ভব ?

১৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০০৭ দুপুর ১:৩৮

শাইরি বলেছেন: @সাঈফ শেরিফ
ভাই দু'লাইন লিখে খতম হয়ে যান কেন?

১৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০০৭ দুপুর ১:৪১

বিবেক সত্যি বলেছেন: দু চারটা চটি বাংলা বই পড়ে এক এক জন মুফ্ফাসিরে কুরআন ও শায়খুল হাদীস সেজে বসে


সাঈফ শেরিফ(স্যার) > আপনার এ কথা গুলোর একটু ব্যাখ্যা জানতে চাইছিলাম। কথা গুলো বুঝতে পারিনি।

১৫| ০৮ ই আগস্ট, ২০০৭ দুপুর ১:৪৫

বিবেক সত্যি বলেছেন: তাবলীগ জামায়াত দ্বীন প্রচারের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে বিভিন্ন মসজিদে রাত কাটায়... অাই থিঙ্ক ইটস ওকে
@ফজলে এলাহী ভাই

১৬| ০৮ ই আগস্ট, ২০০৭ দুপুর ২:০২

ত্রিভুজ বলেছেন: সিলেটে গিয়ে শাহজালালের মাজারে গিয়েছিলাম অবস্থা দেখার জন্য। শুনেছিলাম ওখানে অনেক কিছু হয়। নিজের চোখে দেখে এসেছি মাজারে কিভাবে মানুষ সেজদায় পড়ে থাকে।


ধন্যবাদ ফজল ভাই। ৫

১৭| ০৮ ই আগস্ট, ২০০৭ দুপুর ২:০২

ফজলে এলাহি বলেছেন: শাইরি,
পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
==========
বিবেক সত্যি,
তাবলীগ জামায়াতের ভাইয়েরা দ্বীন প্রচারের উদ্দেশ্যে বের হয়ে মসজিদে রাত কাটান; এটা সম্পূর্ণ ভিন্ন টপিক। তাই এটা নিয়ে পরে অন্য কোন সম্পর্কিত পোষ্টে আলোচনা হতে পারে।

মূলত আমি আমার লেখার পাঠকদেরকে পোষ্টের মূল বিষয় থেকে বিভ্রান্ত করতে চাই না; বুঝাতে পেরেছি আশা করছি। ধন্যবাদ আপনাকে।

১৮| ০৮ ই আগস্ট, ২০০৭ দুপুর ২:০৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: @ফজু ভাই, আপনি আপনার ভিন্ন পুষ্টে তাবলীগ জামাত সম্পর্কে আপনার থুক্কু ইসলামের মূল্যায়ন টা একটু লেখবেন আশা করি!

১৯| ০৮ ই আগস্ট, ২০০৭ দুপুর ২:৩৪

ফজলে এলাহি বলেছেন: ধন্যবাদ ত্রিভূজ ভাই। অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখতে পারেন। মুসলমানদের সতর্ক করা উচিত তাদের ঈমান, সম্পদ ও জীবন(হায়াত বা সময়) বাঁচানোর তাগিদে।

২০| ০৮ ই আগস্ট, ২০০৭ বিকাল ৩:০০

বিবেক সত্যি বলেছেন: ধন্যবাদ ফজল ভাই। ৫

২১| ০৮ ই আগস্ট, ২০০৭ বিকাল ৩:৩১

নুর3ডিইডি বলেছেন: কোন ব্যক্তি শিরক করলে, ঐ শিরক তার সমস্ত নেক আমল ধ্বংস করে দেয়, ফলে তাকে চিরস্থায়ী জাহান্নমী হতে হবে।
আল্লাহ ব্যতীত অন্যের কাছে দু'আ করা বা ডাকা যেমন মৃত নবীগণ এবং অলীগণ এবং সেই জীবিত ব্যক্তিগণ যারা অনুপস্থিত তাদের ডাকা।
আল্লাহ তা'য়ালা এরশাদ করেন, " আল্লাহকে ছাড়িয়া এমন কোন সত্তাকেই ডাকিওনা যা না তোমাকে কোন ফায়দা পৌঁছাইতে পারে আর না কোন ক্ষতি, যদি তুমি এরূপ কর তাহা হইলে তুমি যালেমদের মধ্যে গণ্য হইয়া যাইবে।" ( সুরা ইউনুস ১০৬)
এবং নবী (সাঃ) বলেন, " যে ব্যক্তি আল্লাহর সঙ্গে অন্যকে শরীক করা অবস্থায় মারা গেল সে নরকে প্রবেশ করবে। "(বুখারী)
ধন্যবাদ ফজলে এলাহি ভাই।

২২| ০৮ ই আগস্ট, ২০০৭ রাত ৮:২৬

ফজলে এলাহি বলেছেন: সুন্দর মন্তব্য দিয়েছেন নূর ভাই।
নিরংকুশভাবে আল্লাহর জন্য কৃত ইবাদাতই আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য হতে পারে। তাছাড়া আল্লাহ্ চান যে, তাঁর বান্দারা তাঁর নিকটই তাদের সকল চাওয়ার কথা বলুক।

২৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০০৭ রাত ৩:৪৪

মোসতাকিম রাহী বলেছেন: লিখে যান।৫

২৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০০৭ ভোর ৬:৩১

আবূসামীহা বলেছেন: "নিঃসন্দেহে সবচেয়ে বিশুদ্ধ কথা হচ্ছে আল্লাহ্‌র কালাম, আর সর্বোত্তম হিদায়াত হচ্ছে মুহাম্মাদ (সঃ) এর হিদায়াত। আর সবচেয়ে নিন্দনীয় কাজ হচ্ছে এর মধ্যে নতুন কিছু চালু করা। নিঃসন্দেহে প্রত্যেক নতুন চালু করা কাজই হলো বিদ'আত; আর প্রত্যেক বিদ'আতই হলো গোমরাহী (পথভ্রষ্টতা); আর প্রত্যেক গোমরাহীর পরিণতি হলো জাহান্নামের আগুন। (হাদীস)

২৫| ০৯ ই আগস্ট, ২০০৭ সকাল ১০:১০

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: শিবিরের ছেলেদের দেখেছি মওদুদীর লেখা বই গুলো বাংলা অনুবাদ চটি আকারে পোলাপানের হাতে সাপ্লাই দিচ্ছে, দেখুন মওদুদীর সমস্যাটা কোথায় তা আমার আপনার মত কম জ্ঞান সম্পন্ন লোকের বোধগম্য হবার কথা নয়........মূল সমস্যাটা ধরতে পারবেন বিদগ্ধ আলেম সমাজ, যারা আরবি, ফারসি, উর্দু ভাষায় পারদর্শীতা রাখেন।

মওদুদীর উর্দুতে লিখা 'রাসায়েল মাসায়েল' বই তে অনেক বিতর্কিত বিষয় এসেছে যেটা বাংলা অনুবাদের সময় সুকৌশলে বাদ দেয়া হয়েছে.....এমন আরো অনেক তত্বগত দিক আছে যেটা বিতর্কিত........জাদরেল আলেম না হলে ধরতে পারবেন না.......কাদিয়ানীরা কেন কাফের এটা সাধারণ মানুষের মাথায় কিছুতেই আসবেনা..ষড়যন্ত্র যত সুকৌশল হয় তা ভেদ করা ততটাই দুরহ হয়ে পড়ে......

আপনি ঠিকই বলেছেন....
"প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই বলে আপনি জ্ঞানী মানতে রাজী নন"........
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলে তাকে কি ডাক্তার বলবেন নাকি হাতুড়ে কিছু?

ইসলাম কি এতটাই সস্তা হয়ে গেল যে শিবিরের ছেলেরা আজ দুচারটা মওদুদীর বই পড়ে কোরআনের তাফসীর লিখা শুরু করে দিল...যার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার কোন প্রয়োজনীয়তাই বোধ করল না..........
প্রতিষ্ঠানে ওস্তাদের কাছে তালিম নেয়া ধর্ম শিক্ষা আর স্বশিক্ষা কি এক জিনিস?

যুগ, সময়ের প্রয়োজনে ওস্তাদের অভিজ্ঞতা, দিকনির্দেশনা ছাড়া নিজে নিজে বাংলা বই পড়ে ইসলামী পন্ডিত হওয়া যায়? যে কেউ ডেভিডসনের মেডিসিনের বই পড়ে ডাক্তার হতে পারে?ইসলাম কি এতটাই সস্তা -সহজ হয়ে গেল নাকি? ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা (আপনার বা আলেম ছাড়া যে কারো নিজস্ব পড়াশোনা অনুযায়ী) আর মানুষকে বিভ্রান্ত করার যে ঝুকি থেকে যায়, দুনিয়াতে ফেতনা আর পরকালের আজাবের কথা স্মরণ আছে কি?
মাদ্রাসা গুলোর দরকার কি তাহলে? আপনারাই বিজ্ঞানী, ডাক্তার, প্রকৌশলী হয়ে কিছু বাংলা বই পড়ে খুতবা আর ফতোয়া দিন......প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা পাওয়া আলেমদের তো আর প্রয়োজন নাই.......

ইসলামের প্রায় সবকিছুই আরবি, ফারসি, উর্দুতে লিখা। এ ভাষা গুলো রপ্ত না করে, পদ্ধতিগত প্রতিষ্ঠানিক, নিয়মতান্ত্রিক শিক্ষার মধ্য দিয়ে না গিয়ে ইসলামের বিষয়াদি হৃদয়াঙ্গম করা, ব্যাখ্যা বা উপলব্ধি করার যোগত্য কখনও কি অর্জন সম্ভব?

এর নিয়মতান্ত্রিকতার ব্যতিক্রম যদি করতে চান, নিজের বাংলা ভাষার জ্ঞানে, মুখস্থ করা কিছু আরবী বুলি আর ইসলাম নিয়ে মওদুদীর লিখা সংকীর্ণ বিশ্বাস গুলোর মধ্যেই ঘুরপাক খেতে থাকেন, তবে আর যাই হোক পথভ্রষ্টতার রাস্তা পরিষ্কার হোয়া ছাড়া কিছুই হবেনা.......

২৬| ১০ ই আগস্ট, ২০০৭ সকাল ৯:২০

আবূসামীহা বলেছেন: এখানে মওদূদী (রঃ) এর প্রসঙ্গ আসলো কেন?

২৭| ১০ ই আগস্ট, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:০২

ফজলে এলাহি বলেছেন: সাইফ শেরিফ,
যদিও এক প্রসঙ্গের পোষ্টে আরেক প্রসঙ্গ টেনে আনা মানুষকে ইসলাম থেকে দূরে রাখার দুরভিসন্ধিওয়ালাদের কাজ; তথাপি একজন প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞানীজন শুধু নন, জ্ঞান বিতরণকারীর কথাকে এড়িয়ে যাই কিভাবে?

এলার্জি বলে কথা, নইলে মওদূদী যদি ভুলও করে থাকে (এবং করাই স্বাভাবিক, মানুষ তো? ফিরিশ্তা তো নন) তথাপি সেগুলো সংশোধন করে বর্তমানে যা কিছু পেশ করা হচ্ছে মানুষের সামনে তা যদি ভাল হয়, কল্যাণকর হয়; তো সমস্যাটা কোথায়? মওদূদীকে জানতে হলে উর্দূ-ফার্সী-হিন্দি-গুজরাটি সব জানার তো কোন দরকার দেখছি না। আপনার যুক্তি মত তো তাহলে হোমারের দর্শন বুঝতে হলে আমাদেরকে গ্রীক ভাষা রপ্ত করা লাগবে, অন্যথা নয়। অথবা অন্তত: তাওরাত কিতাব বুঝতে হলে হিব্রু শিখতে হবে, নাকি? মনে রাখা দরকার যে, কেবলমাত্র নবী-রাসূলগণ ব্যতীত অন্য সকলের জ্ঞান-কর্ম ও প্রকাশে ভ্রান্তি থাকাটা খুব স্বাভাবিক। কেননা, নবী-রাসূল 'আলাইহিমুস্ সালামগণকে আল্লাহ্ হেফাযত করেছেন এবং তাদের জ্ঞান ওহীর জ্ঞান। তাই দেখা উচিত অন্যদের জ্ঞান ও কর্মে-প্রকাশে কতটা ভুল আর কতটা শুদ্ধতা আছে। শুদ্ধ-সঠিকগুলো গ্রহণ করতে বাধা কোথায় শুনি?

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বা বর্তমানের মত উচ্চতর ক্লাস যে যুগে ছিল না সে যুগের আলেমগণের কি হবে তাহলে? বলতে পারেন আবু বকর, উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা; উনারা কোন প্রতিষ্ঠান থেকে "মাওলানা" ডিগ্রি নিয়েছেন? অত প্রারম্ভে নাইবা গেলাম, ফুযাইল রাহিমাহুল্লাহ্-যিনি ছিলেন ডাকাত-কিভাবে তিনি তার যুগের সর্বসেরা আলেম হলেন? আফসোস হচ্ছে তাদের জন্য যারা আপনার ছাত্র হবেন।

তাছাড়া, দ্বীনের জ্ঞানার্জনের সাথে তুলনা দিলেন 'ডাক্তারী'র? অথচ যেখানে কুরআন-হাদীস সকল মানুষের জন্য উন্মোক্ত, যে কেউ জ্ঞানার্জন করতে পারবে সেসব হতে; বরং আজকাল তো সিলেবাস নিয়েই কথা উঠছে বারংবার যে, মাদ্রাসার সিলেবাস আরো উন্নত হওয়া উচিত এবং তা দ্বীনী শিক্ষার ক্ষেত্রেও। বর্তমান বিশ্বের দুই সেরা ইসলামী চিন্তাবিদ তর্কবাগীশ মরহুম আহমাদ দিদাত এবং ডাঃ জাকির নায়েক-যারা কিনা সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত-কি হবে তাহলে তাদের? বিশ্বব্যাপী এত অপ্রতিদ্বন্ধিভাবে এগিয়ে যাচ্ছে যে, তাদের বক্তৃতা এবং বইগুলো? মূলত আল্লাহ্ যার ভাল চান তাকেই তিনি তাঁর দ্বীনের জ্ঞান দান করে থাকেন।

-যাকে নিয়ে আপনার এত সমস্যা, জানেন যে, তার এই অপ্রাতিষ্ঠানিক (আপনার ভাষায়) জ্ঞানের প্রভাবেই বিশ্বের ইসলামী উচ্চশিক্ষার নেতৃত্বদানকারী বিশ্ববিদ্যালয় "ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় মদীনা মুনওয়ারা"-এর শিক্ষা কাঠামো প্রস্তুতের জন্য মওদূদীকেও ডাকা হয়েছিল। এবং তার একটা বই পাঠ্য হিসেবেও আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের অবগতির জন্য বল্লাম।

=অবশেষে একটা কথা বলি, উপদেশ হয়ে গেলে কিছু করার নেই-
"জ্ঞান বিতরণ করতে হলে এলার্জিমুক্ত হোন; কেননা এতে আপনার অর্জনের পথ সুগম হবে।"

২৮| ১০ ই আগস্ট, ২০০৭ রাত ৯:৫৬

আবূসামীহা বলেছেন: ধান ভানতে শিবের গীত @ সাঈফ শেরিফ। আলোচনার বিষয় হলো তিন মসজিদ ব্যতীত জিয়ারতের উদ্দেশ্যে আর কোন মসজিদে না যাওয়া সংক্রান্ত।
লেখকের পোস্টের কোন অংশের সাথে ভিন্নমত থাকলে কুর'আন-সুন্নাহ্‌র দলীল দিয়ে নিজের যুক্তি পেশ করুন। অযথা ভিন্ন প্রসঙ্গ টেনে নিজের বুদ্ধিবৃত্বিক দৈন্যতার প্রকাশ না ঘটানোই ভাল।
আর এমন এক ব্যক্তির প্রসঙ্গ টেনে নিয়ে এসেছেন যার লেখনি এবং সাংগঠনিক প্রজ্ঞা দুনিয়ার কোটি-কোটি মুসলিম যুবককে (আরব-অনারব নির্বিশেষে) অনুপ্রাণিত করেছে এবং করতে থাকবে। তাঁর সমালোচনা করবেন আলেমরা, এটা স্বাভাবিক। তিনি যেমন ভুল-ত্রুটি থেকে মুক্ত নন, তেমনি তাঁর সমালোচকদের সব সমালোচনাও সঠিক নয়। আর তাঁর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা আছে কি নেই সেটাও তদন্তের ব্যাপার। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বলতে কি বুঝায় সেটাও জানা দরকার। আমি মন্তব্যে এ বিষয়ে আর বলতে চাইনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.