নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অগোছালো জীবনে কিছু সুখ পেয়ে ভেবেছিলাম বুঝি সব পেয়ে গেছি!কিন্তু ভুলে গিয়েছিলাম যে জলের উপর রাতের চাঁদটা কেবল ক্ষণীকের!বহু বসন্ত এসে চলে গেছে জীবন থেকে, নিজেকে চেনার বা বোঝার সময় হয়নি!আজ কেউ একজন চোখে আঙ্গুল দিয়ে ভুল গুলো ধরিয়ে দিলো!আর না, শুধরে ফেলব

Fokroul Hasan

আমি একজন মানুষ,এই পরিচয়ে জন্ম নিয়েছি,তাছাড়া পরিচয় দেয়ার মত বিশেষ কোন গুনাবলি আমার মধ্যে নেই...!এখনো বলার মত কিছু অর্জন করতে পারিনি, আর করতে যে পারব, সে সম্ভাবনাও নেই_______

Fokroul Hasan › বিস্তারিত পোস্টঃ

যা চলে যায়, আর ফিরে আসেনা

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ভোর ৫:৪৬

এয়ারপোর্টের বোর্ডিং রুমে বসে ফ্লাইটের
জন্য অপেক্ষা করছিল এক নিঃসঙ্গ
তরুণী৷অজ্ঞাত কারণে তার ফ্লাইট ডিলেই
হচ্ছিল এবং তাকে দীর্ঘ সময় বসে থাকতে
হচ্ছিল৷একঘেয়েমি কাটাতে সে একটা বই
কিনল,এক প্যাকেট বিস্কুট কিনলো সাথে...

তারপর একটা চেয়ারে বসে পড়ল৷ তার
ডান পাশের চেয়ারটা খালি ছিল যেটায় বিস্কুটের প্যাকেটটা রাখা৷ তার পাশের
চেয়ারে বসে এক যুবক ম্যগাজিনের পাতা উল্টাচ্ছিল৷ মেয়েটা একটা বিস্কুট তুলে
নিয়ে মুখে দিল,যুবকটিও সেখান থেকে একটা নিল...

মেয়েটা বিরক্ত হলেও কিছু না বলে বইয়ের পাতায় মন দিল৷কিন্তু ছেলেটার ঔদ্ধত্য সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছিল৷মেয়েটা যতবার একটা করে বিস্কুট নিল অভদ্র যুবকটাও ততবার নিল৷
ভিতরে ভিতরে রাগে ফেটে পড়ছিল
মেয়েটার, কিন্তু এরকম একটা জনবহুল পরিবেশে সীন ক্রিয়েইট করতে চায়নি বলে চুপচাপ মেনে নিচ্ছিল...

যখন আর একটা মাত্র বিস্কুট বাকি ছিল-
মেয়েটা ভাবল দেখা যাক বেয়াদপ ছেলেটা কি করে! ছেলেটা যেন মেয়েটার মনের কথা বুঝতে পেরেই সেটা হাতে তুলে নিল, চাপ দিয়ে দুটুকরো করে অর্ধেকটা মেয়েটার হাতে ধরিয়ে দিল তার দিকে ইভেন না তাকিয়েই...

মেয়েটার সহ্যের সীমা ততক্ষনে ছাড়িয়ে
গেছে সে তড়াক করে উঠে দাঁড়িয়ে নিজের জিনিসপত্র গুছিয়ে নিয়ে ঝড়ের বেগে সেখান থেকে বেরিয়ে গেল...

প্লেন ছেড়ে যাবার সময় সানগ্লাস বের
করার জন্য পার্সে হাত ঢুকালো মেয়েটি,
প্রথমেই হাতে চলে এল বিস্কুটের প্যাকেট!
ঝাঁ তার মনে পড়ে গেল যে কেনার পর
তার বিস্কুটের প্যাকেটটা আসলে সে
পার্সের ভিতরেই রেখেছিল৷আর এতক্ষন যাকে উছৃঙ্খল,রুড,মীন,অভদ্র,বেহায়া
ভেবে মনে-মনে গালি দিচ্ছিল সেই লোকটা একটা 'টু' শব্দ না করে তার পুরোটা প্যাকেট ওর সাথে শেয়ার করেছে...

এমনকি শেষ টুকরোটা পর্যন্ত৷ অনেক ছেলেই হয়তো খাবার শেয়ার করত,কিন্তু একটা কথাও না বলে, কোন ভাব জমানোর চেষ্টা
না করে এমনকি তার দিকে একটা বারও না
তাকিয়ে পরম সহানুভূতির সাথে কাজটি
করেছে।সে লজ্জায়,অনুতাপে শরমে মরে যাচ্ছিল মেয়েটা আর আফসোস করছিল- হায়! এখন তো 'স্যরি' বলারও সুযোগ নাই!!

জীবনে চারটা জিনিস কখনো ফিরে
আসেনা..

১।সেই পাথর যেটাকে ছুঁড়ে মারা হয়েছে।
২।সেই কথা যা উচ্চারিত হয়ে গেছে।
৩।সেই সুযোগ যা কাজে লাগানো যেত।
আর সেই মুহূর্ত যা চলে গেছে..!!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.