| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কবি এটি কী দেখে লিখেছেন আমি জানি না। কিন্তু, আজকের দুনিয়াতে এর সত্যতা কিন্তু প্রবল। আমাদের দেশের যুক্তিবাদী, স্বঘোষিত মনবতাবাদী নাস্তিক সম্প্রদায় তাদের জয়গান প্রচার করে যাইতেছে। ভাবখানা এমন, জ্ঞান-দিয়া আস্তিকদের ঋনী করতেছেন। প্রচারের উপর প্রচার চালাইতেছেন, যেন এই সভ্যতা তাদের। যে বিজ্ঞানের দোহাই দিয়ে তারা এত ফালাফালি করেন, যে টেকনলজির দোহাই দিয়ে তারা এত বড় কথা বলতেছেন, তারা দেখেন না, যে ভাত বা রূটি তারা খাইতেছেন, তা এক অভাগা আস্তিকের উৎপাদিত। সকাল বেলা উঠে যে মাঠে যায়। রোদে পুরে ফসল ফলায়। ঐ আভাগা কৃষক আস্তিক, যাকে স্বঘোষিত মনবতাবাদী নাস্তিক সম্প্রদায় অজ্ঞানী, ভন্ড অথবা সাহসহীন ভাবেন। আমি বলি, যারে আপনি অজ্ঞানী ভাবেন, তার টেকনোলজি আবিষ্কার কেন আপনারা খান। যার দ্বারা বেঁচে থাকেন। তাহলে, ঐ অভাগা আস্তিক কৃষকের আবিষ্কার আপনাদের আবিষ্কারের চেয়ে কম কিসে? বরং বেশী। আপনারা কী দিলেন এই পৃথিবীকে? আস্তিকদের আবিষ্কারে চলেন খান আবার জ্ঞানের দোহাই দেন। সামান্য কিছু ফিলসফী দিয়ে আস্তিকদের ঋনী করে ফেলছেন। দিঘিরে একফোটা শিশির দেন। হায়রে! কিন্তু ভুলে যান দিঘির পানিতেই আপনারা বেঁচে থাকেন পুষ্টি পান। দিঘির একটু পানি আপনাদের হাজারো লক্ষ ফোটা শিশিরের সমান। আর একফোটা শিশির দিয়ে লিখে রাখতে বলেন। হায়রে মানবতা, হায়রে যুক্তিবাদী!
যে বিজ্ঞানের দোহাই দেন, সেখানে আপনাদের অবদান কত? দেখেন ত বিশ্বাস হয় কিনা, যে পিথাগোরাসের সূত্র পড়েছেন, ঐ পিথাগোরাসই নাকি বলেছিলেন, “ঈশ্বর যদি না থাকেন তাহলে আস্তিক নাস্তিকের কিছু হবে না, কিন্তু যদি থাকেন তাহলে নাস্তিকরা শেষ।” এই বহু পুরাতন যুক্তি উনি প্রথম আবিষ্কার করেছিলান কিনা আমরা জানি না। কিন্তু উনি বিজ্ঞানী ছিলেন, তা নিয়ে আপনারা প্রশ্ন করতে পারবেন না। যাইহোক, রেফারেন্স এখনই না দিতে পারলেও উনি যে ধর্ম বিশ্বাসী ছিলেন তা দিতে পারবো। উনাকে এরিস্তেটল সুপারন্যচারাল ফিগার মনে করতেন, প্লেটো সহ আরো দুইজন নাকি তাকে ঈশ্বরের পেরিত পূরুষ মনে করতেন {১,২}। তা উইকিপিডিয়াতেও আছে। এক জায়গায় পড়েছিলাম, গণিতের উন্নয়ন নাকি হজরত ইব্রাহীমের দ্বারা হয়েছিল। যাইহোক, নাস্তিকদের ধারণা আছে কিনা জানি না, ইমাম জাফর সাদিক, জাবির আল হাইয়ানের, ইবনে সিনা, আল খাওয়ারিজমি, আল কিন্দি, আল রাজি, আল জাওহারি, আল ফারাবি, আল বিরুনির মত বিজ্ঞানীরা আস্তিকই ছিলেন, তাও আবার মসুলমান (৩)। কই যাব বলেন, গ্যালিলিও যাকে আপনারা ধর্মবাদীর দ্বারা মৃত্যদন্ড প্রাপ্ত বলেন সেই আবার বলেছেন “গণিত হচ্ছে ভাষা যার দ্বারা ঈশ্বর এই মহাবিশ্ব লিখেছেন” (৪)। নিকোলাস কোপেরনিকাস, স্যার ফ্র্যান্সিস ব্যাকন, জোহান ক্যাপ্লার, রেনি দেস্কাস, স্যার আইজ্যাক নিউটন, রবার্ট বয়েল, মাইকেল ফ্যারাডে, উইলিয়াম থমাস ক্যালবিন, ম্যাক্স প্লান্ক এরা সবাই আস্তিক ছিলেন (৫)। এখন, নাস্তিকরা হয়ত চার্লস ডারউইন প্রসংগ টানবেন, কিন্তু জনাব আধুনিক জীব বিজ্ঞানী থেকে আমরা যে উপকার পাচ্ছি তা কিন্তু জেনেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং এর ফসল, জেনেটিক্স কিন্তু জর্জ মেন্ডেলের আবিষ্কার। জর্জ মেন্ডেল কিন্তু ধার্মিক ছিলেন (৬)।
নাস্তিকদের হাটে হাড়ি ভেঙ্গে দিয়েছেন আলবার্ট আইনিস্টাইন। তিনি তো পুরা তাদের ঊদ্দেশ্যে বলেছেন, “কিছু লোক আছে যারা বলে কোন গড নেই, যা আমাকে সত্যিই রাগান্বিত করে তা হচ্ছে তারা আমাকে এ ধরণের ভিউয়ের সমর্থনে কোট করে” (৭)। আর কী বলবো? আইস্টাইন নিজেই নাস্তিকদের ভন্ডামি ধরিয়ে দিয়েছেন। বর্তমান সময়েও দেখি বেশীর ভাগ ইন্ডিয়ান বিজ্ঞানীরা ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন (৮)। আর আলেকজেন্ডার ফ্লেমিং ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিয়ে বলেন, গুড গড (৯,১০)। হায়রে! শৈবাল দিঘিরে বলে উচ্চ করি শীর, লিখে রেখ এক ফোটা দিলাম শিশির।
রেফারেন্স:
1. Plato, Republic, 600a, Isocrates, Busiris, 28
2. ^ John Dillon and Jackson Hershbell, (1991), Iamblichus, On the Pythagorean Way of Life, page 14. Scholars Press.; D. J. O'Meara, (1989), Pythagoras Revived. Mathematics and Philosophy in Late Antiquity, pages 35-40. Clarendon Press.
3. http://www.ummah.net/history/scholars/
4. http://quranmiracles.com/19/
5. Click This Link
6. http://en.wikipedia.org/wiki/Gregor_Mendel
7. Click This Link
8. http://www.rediff.com/news/2008/jun/15god.htm
9. Click This Link
10. http://en.wikipedia.org/wiki/Alexander_Fleming
০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১১:৪৯
ফুয়াদ০দিনহীন বলেছেন: হ আইস্টাইন বিশ্বাস করলে দোষ না। দোষ শুধু দোষ, বাংলার কৃষক আর আমি করলে ।
নিঊটন বলেছিলেন "Gravity explains the motions of the planets, but it cannot explain who set the planets in motion. God governs all things and knows all that is or can be done."
নিউটন গডের খুজ পান, আপনে পান যুক্তি । তারচেয়ে বলুন , বিজ্ঞান আস্তিকদের, যেহেতু আস্তিকরা গড মানে, তাই বিজ্ঞান ও গড মানে ।
রেফঃ http://en.wikipedia.org/wiki/Isaac_Newton
Tiner, J.H. (1975). Isaac Newton: Inventor, Scientist and Teacher. Milford, Michigan, U.S.: Mott Media.
২|
০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১২:০০
আলমগীর কুমকুম বলেছেন: দেখুন জনাব, গডকে খুজে পাওয়া না পাওয়াটা যুক্তি বা বৈজ্ঞানিক তত্তের বিষয় না, সম্পুর্ণ বিশ্বাসের বিষয়।
আপনারে আবারো বলি নিউটন আইনস্টাইন বা অন্য কেউ কি বিশ্বাস করতো না করতো বিজ্ঞানের জগতে তার কোন মুল্য নেই। নিউটনের গতিসুত্র বা আইনস্টাইনের থিওরী অব রিলেটিভিটি বৈজ্ঞানিক তত্ত্বের স্বীকৃতি পেয়েছে, গড সম্পর্কে তাদের বিশ্বাসটা নয়। নিউটন বড় বিজ্ঞানী তিনি যদি দাড়িয়ে হাগেন আমাদের বসাইকে কি ত্ই করতে হবে?
আমি কি আপনাকে কিছু বুঝাইতে পারলাম?
৩|
০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১:৫৯
স্পেলবাইন্ডার বলেছেন: +
১০ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১০:২৩
ফুয়াদ০দিনহীন বলেছেন: ধন্যবাদ
৪|
০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৩:০৬
এস. এম. রায়হান বলেছেন: তথ্যপূর্ণ লেখা। ভাল হয়েছে। +
১০ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১০:২৩
ফুয়াদ০দিনহীন বলেছেন: ধন্যবাদ
৫|
০৯ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:৫৮
পাপতাড়ুয়া বলেছেন: পিথাগোরাসই নাকি বলেছিলেন, “ঈশ্বর যদি না থাকেন তাহলে আস্তিক নাস্তিকের কিছু হবে না, কিন্তু যদি থাকেন তাহলে নাস্তিকরা শেষ
কথা টা আস্তিক্যর বাণী বলে যে লাফ টা দিলেন রে ভাই!!!!!
কথাটার মাঝে যে একটা কনফিউশন আছে,উনি যে ঈশ্বর নিয়ে কনফিউজড ছিলেন,সেটা খেয়াল করেন নি!!!
একটা প্রশ্ন করি,যে নিউটন আপেল পড়া দেখে ম্যাধার্কষণ সূত্র আবিষ্কার করেছেন,যে আইনস্টাইন রিলেটিভিটির থিউরী দিয়ে সায়েন্স কে বদলে দিয়েছেন.....উনা রা কেন ঈশ্বর আছে যে তার কোনো প্রমাণ সূত্র দিতে পারে নি??
উল্টোভাবে,ঈশ্বর যে নেই তার ও কোনো বাস্তব প্রমাণ সূত্র মিলবে না।
কারণ,দুটোই বিশ্বাস।একটা আবেগ দিয়ে,অন্য টা যুক্তি দিয়ে।
১০ ই অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১:০৫
ফুয়াদ০দিনহীন বলেছেন: গড যে আছেন তার প্রমান ও যুক্তি, আল কোরান । বিশ্বাস আবেগ নয় , বিশ্বাসে যুক্তি থাকে, ঊপলদ্ধি থাকে, আবেগ ও থাকতে পারে ।
উল্টোভাবে,ঈশ্বর যে নেই তার ও কোনো বাস্তব প্রমাণ সূত্র মিলবে না। সত্য বলার জন্য ধন্যবাদ ।
৬|
১০ ই অক্টোবর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৫৭
পাপতাড়ুয়া বলেছেন: গড যে আছেন তার প্রমান ও যুক্তি, আল কোরান ।
.....আরেকটু খোলাসা করে দিন।
বিশ্বাস মানেই আবেগ,আমি সেটা বলি নি।বিশ্বাস দুভাবেই আসতে পারে।আবেগের পথ ধরে।আরেকটা যুক্তির পথ ধরে।
এখানে একটা কথা,আবেগের পথ ধরে বিশ্বাসে ভুল থেকে যায়,যুক্তির বেলায় সেটা হয় না।
সমভাবে,ঈশ্বর যে আছে তারও কোনো বাস্তব প্রমাণ সূত্র মিলবে না।
আপনিও সত্য টা স্বীকার করে নিন।
১১ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৯:৫৯
ফুয়াদ০দিনহীন বলেছেন: ঐটি আপনার মতামত। আমার মত হল ঈশ্বর যে আছে তারও বাস্তব প্রমাণ আছে ।
৭|
১৪ ই জুলাই, ২০১০ বিকাল ৪:০৬
নিউটন বলেছেন: মামা জ্ঞানার্জনে পাপ নাই।
জ্ঞানের কমতি থাকলে ঘুরে আসতে পারেন Click This Link
১৪ ই জুলাই, ২০১০ রাত ৮:২৪
ফুয়াদ০দিনহীন বলেছেন: আপনি নিজেই নিজের পরিচয় দিলেন। আমি ঐসব দেখিছি, বহু আগেই পড়েছি জনাব, মুক্তমনার সবাই আমকে চিনে, ঐলেখা যিনি লিখেছেন তিনিও চিনেন। নাস্তিকদের জ্ঞানের দৌড় যে কেমন জানা আছে।
৮|
১৪ ই জুলাই, ২০১০ রাত ১০:২৬
নিউটন বলেছেন: তাহলে বলব আপনার ইমাজিনারী পাওয়ারের অভাব আছে। এইসব বুঝে পড়লে এই লেখা দেওয়ার সাহস পাইতেন না।
১৫ ই জুলাই, ২০১০ রাত ৮:০৯
ফুয়াদ০দিনহীন বলেছেন: এখানেও আপনি ভুল করলেন, অবশ্য নাস্তিকদের নিজেদের দোষ গুলি চোখে পরে না। ফেইথ ফ্রিডম মুক্তমনা আর আন্সারিং ইসলাম যদি আপনার জ্ঞানের উতস হয়, তাহলে আপনার জীবনে দুঃখ ই অপেক্ষা করছে। ভাল থাকবেন।
Click This Link
এই লেখাটি পড়ে দেখতে পারেন। একই লিখা এখানে ভাল পড়তে পারেন। এখানে সুন্দর করে আসছে http://shodalap.com/fuad/5732
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১১:৩৮
আলমগীর কুমকুম বলেছেন: আপনার ভাল না লাগলে পড়বেন না, ঐসব লেখা আপনাকে পড়তে কেউ বাধ্য করছে না। .... ...আর কে কবে কিসে বিশ্বাস করতো না করতো বিজ্ঞানের জগতে তার ২ পয়সা মুল্য নেই। বিজ্ঞান চলে যুক্তি, পর্যবেক্ষন প্রমানের পথ ধরে।