নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অত্যন্ত সহজ কিসিমের মানুষ...জীবনটাকে সহজভাবে দেখতেই পছন্দ করি...

ফুয়াদের বাপ

সাদা মনের মানুষ...

ফুয়াদের বাপ › বিস্তারিত পোস্টঃ

WHO vs HOW - "হয় খাদ্য নয় ফাঁসির দড়ি" দাও

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:০৫

WHO vs HOW
============
দুটো শব্দেই তিনটি বর্ণ ব্যবহৃত হয়েছে। বর্ণগুলো যাষ্ট উল্টে-পাল্টে সাজিয়ে শব্দদুটির সৃষ্টি। তাতেই শব্দদুটির অর্থের ভিন্নতা। বাস্তব জীবনেও আমরা এই দুই শব্দের ব্যবহারের ভিন্নতা দেখতে পাই।

সমাজটা ভীষন স্বার্থপর-কঠোর। আপনার পকেটে টাকা থাকলে চারপাশের সবাই আপনাকে সমীহ-সম্মান করবে। আপনাকে দেখলে হাস্যউজ্জল বদনে জিজ্ঞেস করবে-"How are you? আপনি কেমন আছে? " আর আপনার পকেটে টাকা না থাকলে আপনাকে চিনবেই না, সামনে পড়লেও বলবে- "Who are you? কে রে তুই?"

কথায় আছে পেটের ক্ষুধা আপনাকে যতটা শিক্ষা দিবে তা তাবত পৃথিবীর সমস্ত বই পাঠে তা পাওয়া যাবে না। জীবনের জন্য টাকা যে কতো প্রয়োজন তা দরিদ্রসীমার নীচে থাকা মানুষগুলো হাড়েহাড়ে বুঝে। টাকার প্রয়োজন টের পায় সেই পিতা যিনি সকাল থেকে সন্ধা অব্দি টিসিবির ট্রাকের সামনে ঠাঁয় দাড়িয়ে থাকে, টের পায় সেই মা যিনি খাবারের জন্য হন্য হয়ে টিসিবির ট্রাকের পেছনে দৌড়ায়।

কবি শহীদুল্লাহ ফরায়জী যথার্থই লিখেছেন - "হয় খাদ্য নয় ফাঁসির দড়ি"
নিরন্নকে খাদ্য বিলাও
নয় ক্ষুধার ঝুলন্ত দড়ির ওপর
ঝুলিয়ে দাও
কায়দা করে রাষ্ট্র থেকে
গরিবি হটাও।

হে জনগণ,
ক্ষুধার্ত দেহে ভিক্ষুক সেজে
দু'হাত মেলে দাঁড়াও
'মাথা পিছু আয়'
ব্যাগ ভর্তি করে নিয়ে যাও।

হে সর্বস্বান্ত জনগণ,
দুধের বাচ্চা বিক্রি করে
দেহ বাঁচাও
জিডিপি গুনে গুনে
ফ্লাইওভারে ঘুমাও
সরকারের গায়ে
মহিমান্বিত পোশাক পরাও।

হে অভাগা মানুষ,
ভাত রুটি যদি না পাও
সোনায় সোহাগা
শুধু 'রোল মডেল' খাও
অভিশপ্ত উপত্যকার দুর্নাম ঘুচাও।

উন্নয়নের কি দারুণ গতি
ট্রাকের পিছনে দৌড়াও
পণ্য শূন্য ট্রাকে
ঝুলন্ত হয়ে মৃত্যু ঝুঁকিতে
মিনতি জানাও
বৈষম্যপূর্ণ রাষ্ট্রের
জয় গান গাও।"

যে হারে দ্রব্যমূল্যর দাম বাড়ছে তাতে দরিদ্রশ্রেনীর ক্ষুধার দড়িতে ফাঁস দিয়ে মরা ছাড়া উপায় না। বিদ্যুতের দাম বাড়ছে আরো বাড়বে সাফ বলে দিয়েছেন কর্তাবাবুরা। গ্যাস সিলিন্ডারের দাম গগনে উড়তেই আছে গ্যাসবেলুনের মতো। গরীবের ক্ষুধা দেখার কেউ নাই। দরিদ্র পিতারা বাধ্য হবে তার দুগ্ধ শিশুর জন্য সুপারশপ থেকে দুধ চুরি করতে। বাধ্য হবে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্র পড়ার খরচ মেটাতে মুখ গামছায় ঢেকে রিকসার প্যাডেলে পা রাখতে।

বর্ধিত খরচ মেটাতে অবৈধ উপার্জনের পথে পা বাড়াতে পারে নতুন দরিদ্র শ্রেনীর একাংশ। পকেটে টাকা থাকা কালীন সে যেই সমীহ-সম্মান পেতো তা ঠিক রাখতে চাইবে। পকেটে টাকা না থাকার হতাশা কাউকে কুঁড়ে খাবে।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৪৮

জুল ভার্ন বলেছেন: গুড পোস্ট।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:০৩

ফুয়াদের বাপ বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় লেখক।

২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:২০

রাজীব নুর বলেছেন: জিনিসপত্রের দাম অল্প সময়ে অনেক বেশী বেড়ে গেছে।
কিন্তু কোথাও কেউ না খেয়ে নেই। একজন ভিক্ষুকও না খেয়ে থাকে না।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:০৫

ফুয়াদের বাপ বলেছেন: এমনটাই যেনো হয়-যেনো একটা মানুষও ক্ষুধার জ্বালা নিয়ে দিনাতিপাত না করে।

৩| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২১

অনামিকাসুলতানা বলেছেন: সব জায়গায় একই অবস্থা। আর ও নাকি খাবারের দাম বাড়বে।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:০৮

ফুয়াদের বাপ বলেছেন: বিদ্যুতের দাম বাড়ছে আরো বাড়বে অগ্রিম বলতেছে, গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বড়ছে আরো বাড়তে পারে ইঙ্গিত দিচ্ছে, আটা-ময়দার দাম বাড়ছেই কমার লক্ষন নাই, গরিব/ব্যাচলরের প্রথম পছন্দ ডিম পাড়া বন্ধের ঘোষনা দিতে পারে মুরগী সম্প্রদায়।

৪| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৬

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ভালো পোস্ট। এই দুনিটা বড্ড অদ্ভুত ।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:০৮

ফুয়াদের বাপ বলেছেন: ছবিটা দারুন। ছবিই বলে দিচ্ছে সবকিছু...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.