![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কি বিচিত্র এই দুনিয়া, কি বিচিত্র জাহাজের শব্দগুলি। এটি এত পুরাতন একটি শিল্প বা প্রকৌশল অনেক শব্দের ই নাম ও কাজের সাথে কোন মিল নেই।অনেক শব্দের বাংলায় প্রতিশব্দ খুজে বের করতে পারলেও কাউকে বুঝানো অসম্ভব। কোথা থেকে যে এই শব্দগুলির উৎপত্তি তার অনেক কিছুই অজানা। আমরা যারা এই শিল্প বা প্রকৌশলের সাথে যুক্ত তারা হয়ত কাজ করতে করতে এই শব্দ গুলির সাথে পরিচিত। কিন্তু আপনারা যারা এই শিল্প সম্পর্কে জানতে আগ্রহী তাদের জন্য আমার এই সামান্য প্রয়াস। আপনাদের ভালো লাগলেই আমার এই কষ্ট সার্থক।
যারা প্রথম পর্ব পড়েন নি, তাদের জন্য লিংক এখানে .........Part 1
আসুন ২য় পর্ব শুরু করি।
৪। বাল্ক হেড (Bulkhead) : এর বাংলায় কি অর্থ হতে পারে ? মোটা মাথা না খোলা মাথা নাকি অন্য কিছু, যাই হোক না কেন যে কোন জাহাজে এটা খুবই গুরুত্বপুর্ন। সহজ বাংলায় জাহাজের মাঝে বিভক্তিকরন বেড়া ছাড়া কোন শব্দ মনে আসছে না। এটি আসলে জাহাজের হালে (বডিতে) পার্টিশন ওয়াল। নৌ-স্থপতি গন যখন কোন জাহাজের ডিজাইন করেন, একেবারে প্রথমদিকেই তাকে তার জাহাজের বাল্ক হেড নিয়ে চিন্তা করতে হয়। কারন এই বাল্ক হেড ব্যাবহারে জাহাজের হাল যেমন শক্ত হবে, তেমনি জাহাজের কোন অংশ ক্ষতিগ্রস্থ বা ফুটো হলে অন্য অংশে পানি যাবে না। প্রতিটি জাহাজে নুন্যতম বাল্ক হেড সংখ্যা জাহাজ তৈরীর আইন দ্বারা নির্ধারিত। একটি জাহাজের বাইরে থেকে এই বাল্ক হেড দেখা যাবে না। আসুন একটি কন্টেইনার জাহাজের বাল্ক হেড দেখি ছবিতে।
৫। বাল্ক হেড নিয়ে আলোচনা থেকে এবার বাল্ক হেড এর একটু গভীরে যাই। একটু গভীরের এই শব্দ স্টুল (Stool), হ্যা ভাই স্টুল , আরে ভাই হাত থেকে নাক সরান !! আপনার পেটে ও আছে !! কিন্তু জাহাজের এই স্টুলে কোন গন্ধ নাই। এটি বাল্ক ক্যারিয়ার (Bulk Carrier, যে সকল মালবাহী জাহাজে চাল, ডাল বা সিমেন্ট ক্লিংকার ইত্যাদি বস্তায় বা খোলা আনা হয়) জাহাজে দেখা যায়। যেহেতু জিনিস পত্র খোলা, তাই এই বাল্ক হেড কে শক্ত করতে উপরে এবং নিচে প্রশস্ত করে দেওয়া হয়। আর এই প্রশস্ত করে দেওয়া প্লেট কেই বলে স্টুল। উপরের টি আপার আর নিচার টি লোয়ার সাথে স্টুল তো আছেই। একটি ছবি স্কেচ সেখানে নাম লিখাই আছে, আর আরেকটি জাহাজ থেকে তোলা ছবি।
৬। ব্রীজ (Bridge) : এটা নদী বা খালের উপরের ব্রীজ না। একেবারে জাহাজের উপরের ব্রীজ। এটি আসলে জাহেজের সবচেয়ে উপরের কক্ষ, মানে যেখান থেকে জাহাজটি চালানো হয়। জাহাজ চলাচলের মানে নেভিগেশনের জন্য সকল যন্ত্রপাতি এই রুমে বসানো থাকে। এই রুমেই জাহাজের নেভিগেশন অফিসারগন চলাচলের সময় জাহাজের সকল গতিবিধি পর্যবেক্ষন করে থাকেন। ব্রিজের ভিতরের একটি ফটো দেখুন।
৭। ব্রীজেই যখন উঠলেন ই, তাড়াতাড়ি নামালে তো মাইন্ড করবেন। আরো দুই একটা জিনিস দেখে ই যান। এবার চলুন মানকি আইল্যান্ড (Monkey Island) আবার অনেকে মানকি ব্রীজ (Monkey Bridge) ও বলে। এটি আসলে ব্রীজ টপ বা ব্রীজ রুমের ছাদ। আগের কালে যখন তারা দেখে রাতে নেভিগেশন করতে হত, তখন নেভিগেশন অফিসারগন এই ছাদ থেকে ই হিসাব নিকাস করতেন। যেহেতু ছাদ থেকে চতুর্দিকে পানি দেখা যেত, তাই নাম আইল্যান্ড। তবে মানকি শব্দটি কোথা থেকে এসেছে এটা নিয়ে তেমন জোরালো কোন ব্যাখ্যা নেই। সাধারন একটা মতবাদ হলো, ব্রীজ থেকে মানকি আইল্যান্ড আসতে সব সময় খাড়া সিড়ি দিয়ে আসতে হয়, আর সিড়ি বেয়ে উঠা লোকটিকে বানরের মত দেখায়। এর থেকেই ছাদের নাম মানকি আইল্যান্ড (Monkey Island) বা মানকি ব্রীজ (Monkey Bridge) হয়েছে বলে মনে করা হয়। ছবিতে দেখুন
৮। ব্রীজে আসলেন আর ব্রীজ উইং (Bridge Wing) এ যাবেন না তা কি হয় ? কি ? ব্রীজের আবার ডানা ও আছে নাকি ? আছে আছে !! আরে ভাই আপনাদের মত যারা মেহমান তারা জাহাজে উঠলে এই ব্রীজ উইং টাই প্রধান আকর্ষন। কারন এখান থেকে পুরো জাহাজটাই দেখা যায়। জাহাজ যখন বন্দরে ভিড়ানো হয়, তখন নেভিগেশন অফিসার বা মাষ্টার এখান থেকে তদারকি করেন ? ভাই মাষ্টার সাব আবার কোথা থেকে আসলেন, জাহাজে আবার স্কুল ও আছে নাকি? ঠিক ষ্কুল নাই, তবে ক্যডেট জয়েন করলে তিনি মাষ্টারের ভুমিকায় অবতীর্ন হন। তিনি আসলে জাহাজের ক্যাপ্টেন আবার মাস্টার ও বলা হয়।
৯। আজকে শেষ করব মানকি লেডার (Monkey Ladder) দিয়ে। আমি অবশ্য জানি না জাহাজে বানরের এত জনপ্রিয়তা কেন ? এটা মেরিন ইন্জিনিয়ার রা ভালো বলতে পারবেন। এটি আসলে রসির সিড়ি। দুই পাশে রশি আর স্টেপস গুলি বিশেষ ধরনের কাঠ দিয়ে তৈরি। এটি আসলে পোর্টেবল সিড়ি। কোন ছোট নৌকা বা বোট থেকে জাহাজে উঠতে এটি ব্যবহৃত হয়। ছবিতে দেখুন
ধন্যবাদ কষ্টকরে পড়ার জন্য।
যাদের জানার আরো ইচ্ছা আছে কষ্ট করে এই শব্দ গুলি সাথে of ship লিখে গুগল মামার সাহায্য নিতে পারেন।
১১ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:২৭
জাহাজ মিস্ত্রী বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ১০ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:২০
মিলটন বলেছেন: ভালো লাগলো জেনে
১১ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:৩১
জাহাজ মিস্ত্রী বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ১০ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:২৪
হেডস্যার বলেছেন:
মজা পাইলাম।
ব্রীজ উইং এ উঠতে মঞ্চায়....
১০ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:২০
জাহাজ মিস্ত্রী বলেছেন: আপনাকেই খুজছে ব্রীজ উইং !!
৪| ১০ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৯
মামুন রশিদ বলেছেন: নতুন কিছু জানলাম ।
১১ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:৩১
জাহাজ মিস্ত্রী বলেছেন: ধন্যবাদ
৫| ১০ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:১৭
রাতুল_শাহ বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট
৬| ১০ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:২০
রাতুল_শাহ বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট
১০ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:১৯
জাহাজ মিস্ত্রী বলেছেন: ধন্যবাদ
৭| ১০ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:৩১
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: আসলেই মজার কিছু জানলাম।
১০ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:১৮
জাহাজ মিস্ত্রী বলেছেন: ধন্যবাদ
৮| ১০ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:৩৬
ভিটামিন সি বলেছেন: আমি ৩টা ব্রিজে উঠছি। জিও ওয়েভ ভয়েজার, এমএমএম কিংস্টন আর এইচ মাস সাকসেস। এখন আর জাহাজে উঠা লাগে না। গ্যাংওয়ে ধরে জাহাজে উঠতে গেলে হয়রান লাগে। আর ইণ্জিন রুমে ঢুকলে গরম গরম ঠান্ডা লাগে।
১০ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:১৭
জাহাজ মিস্ত্রী বলেছেন: ৩টা ব্রিজে উঠছেন, তাহলে তো আপনি এখন অনেক জ্ঞানী।
৯| ১০ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৯
এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন: আমি ও আপনার মত একজন মিস্ত্রি তবে উড়োজাহাজ। উড়োজাহাজ পরিচিতি লেখা আরম্ভ করেছি কিন্তু টাইপের ঝামেলায় পোষ্ট করা হয়নি। শিগ্রই পোষ্ট আরম্ভ করবো কিন্তু আপনার মত এমন রস দিয়ে কি পারবো?
১০ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:০৮
জাহাজ মিস্ত্রী বলেছেন: আরম্ভ করেন ভাই, অপেক্ষায় থাকলাম।
১০| ১০ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৬
মোঃ মোশাররফ হোসাইন বলেছেন: বরাবরের মতো আজও ভালো লাগলো। এক জীবনে কতটাই বা জানতে পারবো?
১১ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:২৫
জাহাজ মিস্ত্রী বলেছেন: আমার ও মনে হয়, এক জীবনে কতটাই বা জানতে পারবো?
১১| ১০ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৪৫
সুমন কর বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। গুড পোস্ট।
এ পর্বে পূর্বের পর্বটির লিংক দিলে ভাল হতো। সময় করে দিয়েন।
১১ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:২৪
জাহাজ মিস্ত্রী বলেছেন: ভাই পোষ্টের প্রথম দিকেই দেওয়া আছে। আপনি বোধহয় এড়িয়ে গিয়েছেন। ধন্যবাদ
১২| ১০ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:০১
এহসান সাবির বলেছেন: দারুন পোস্ট। বেশ ণতুন কিছু জানলাম।
শুভকামনা।
১১ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:২৬
জাহাজ মিস্ত্রী বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:১৪
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: বাহ আমার প্রিয় সিরিজ।