নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জাহাজ মিস্ত্রী

জাহাজ মিস্ত্রী › বিস্তারিত পোস্টঃ

নোয়াখাইল্যা মোহাম্মদ হাসেম। - একজন জীবন্ত কিংবদন্তী

২২ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:২০

একটা প্রশ্ন দিয়ে শুরু করি। আপনারা কি মোহাম্মদ হাসেম নামে কোন ব্যক্তিকে চিনেন যিনি এক সঙ্গে একজন গীতিকার, সুরকার এবং সঙ্গীত শিল্পী ? যেন তেন নয় একেবারেই বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত। আসলে শুধু এই নামটি আমাদের কাছে পরিচিত নয়। কারন এই নিভৃতচারী মানুষটি আমাদের চেয়ে একটু আলাদা। তিনি তার নামে নয়, তিনি পরিচিত তার কর্মে। ইদানিং ফেসবুকে একজন বয়স্ক মানুষের কন্ঠে ঃআঙ্গো বাড়ি নোয়াখালী রয়াল ডিস্ট্রক্ট ভাই ঃ এই শিরোনামে একটি গান খুব শোনা যায়। না শুনে থাকলে একটু শুনে নেন এখনই ......





এই গানটির রচয়িতা, সুরকার এবং প্রথম শিল্পী মোহাম্মদ হাসেম। শুধু এই একটি গানই নয়, ঃ রিকসাআলা কুচকাই চালা ইস্টিশন যাইয়াম ঃ , ঃ আল্লায় দিছে বল্লার বাসা নোয়াখাইল্যা মাডি ঃ সহ এ পর্যন্ত নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষায় প্রায় এক হাজার গান লিখেছেন। শুধু নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষায় নিজেকে সীমাবদ্ধ না রেখে প্রায় পাঁচ শতাধিক আধুনিক ও পল্লীগীতি রচনা করেন। এবং এখনো লিখে যাচ্ছেন।



মোহাম্মদ হাসেম ১৯৪৭ সালে রয়াল ডিস্ট্রক্ট নোয়াখালির শ্রীকৃষ্ঞপুর গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। তিনি ঢাকার পুরানা পল্টন লাইন হাই স্কুল, জগন্নাথ কলেজ এবং পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে শিক্ষাজীবন অতিবাহিত করেন। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকেই তার সঙ্গীত প্রতিভার ঊন্মেষ ঘটতে শুরু করে। ১৯৭৩-৭৪ সালের দিকে তিনি নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষায় গান লিখতে শুরু করেন।এই সময়েই তিনি লিখেন তার সেই বিখ্যাত গান ঃআঙ্গো বাড়ি নোয়াখালী রয়াল ডিস্ট্রক্ট ভাই ঃ লেখাপড়া শেষ করে তিনি কলেজে অধ্যাপনা শুরু করেন। দেশের বিভিন্ন কলেজে অধ্যাপনার পর ২০০৫ সালে নোয়াখালী সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে অবসর গ্রহন করেন।





কর্মজীবনে প্রথমে যোগ দেন ঢাকা সংগীত মহাবিদ্যালয়ে। সেখানেই তিনি সংগীতের প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। তিনি ঢাকা সংগীত মহাবিদ্যালয়ের একাধারে ছাত্র ও শিক্ষক। তার সঙ্গীতের প্রথম গুরু বাংলা লোজক সঙ্গীতের দিকপাল শিল্পী আব্দুল আলীম। তার কাছেই প্রথম তালিম নেন। এরপর ওস্তাদ বারীন মজুমদার এর কাছে উচ্চাংগ সঙ্গীত, ওস্তাদ আবিদ হোসেন খান এর কাছে তত্বীয় সঙ্গীত, ওস্তাদ মোহাম্মদ হোসেন খান এর কাছে তবলায় দীক্ষা নেন। এর পর তিনি আঞ্চলিক গান, আধুনিক গান ও পল্লীগীতি চর্চা শুরু করেন।



২০০৫ সনে বইমেলায় উৎস প্রকাশন ঢাকা থেকে বের হয় তার ১০১ টি গানের সংকলন নোয়াখালীর আঞ্চলিক গান। তার একটি ওয়েব সাইট আছে, যেখানে বইটি *.jpg তে দেয়া আছে। link সময় পেলে পড়ে দেখতে পারেন।



এখন পর্যন্ত নোয়াখালীর আঞ্চলিক গান বলতে মোহাম্মদ হাসেমের গানকেই বুঝায়। মোহাম্মদ হাসেম ও নোয়াখালীর আঞ্চলিক গান যেন সমর্থক। তিনিই নোয়াখালীর আঞ্চলিক গানের সম্রাট।



ইন্ডিপেনডেন্ট টিভিতে উনার কর্ম ও সাধনার উপর রিপোর্ট





গত ঈদে এই শিল্পীকে নিয়ে একটি অনুষ্ঠান প্রচারিত হয় বৈশাখী টেলিভিশনে।





চ্যানেল ২৪ এ তিন পর্বের হাশেম এর গান





মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:২১

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: বাহ! অনবদ্য।

২| ২২ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৫৪

হাফিজ হিমালয় বলেছেন: ভাল লাগল। জানা ছিলনা

৩| ২৩ শে জুন, ২০১৪ রাত ১:৩৮

আহসানের ব্লগ বলেছেন: ভাল পোস্ট ।

৪| ২৪ শে জুন, ২০১৪ রাত ১২:০৯

খেয়া ঘাট বলেছেন: তিনিই নোয়াখালীর আঞ্চলিক গানের সম্রাট।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.