নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পুরোপুরি একজন অতি সাধারন মানুষ । আমি যা আমি তাই ই । শয়তানও নই কিম্বা ফেরেশতা । একজন মানুষ আপনারই মতো দু'টো হাত, চোখ আর নিটোল একটা হৃদয় নিয়ে আপনারই মতো একজন মানুষ । প্রচন্ড রকমের রোমান্টিক আবার একই সাথে জঘন্য রকমের বাস্তববাদী...
চড়া দামে কেনা পৃথিবীর সব ছবিরা
....মানি হ্যাজ নাথিং টু ডু উইথ আর্ট !
[ প্রথম পর্ব ]
কতোগুলি রঙচঙ মাখানো একখানি ক্যানভাস প্যানেল । কতোইবা মূল্য এর ? সব খরচ-খরচা মিলিয়ে শ'কয়েক ডলার, এই তো ? অথচ এর গায়ে প্রাইজট্যাগ ঝুলছে " ১০০ মিলিয়ন ডলার " । ভাবা যায় ? আমার - আপনার ধারনার একদম বাইরে ।
আপনি মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের ছবি কিনতে চান ? ওটা তো দেয়ালেই ঝুলিয়ে রাখবেন ! তাহলে অনেক ঝৈ-ঝামেলা করে একটুকরো ক্যানভাস কিনে টাকাটা এভাবে পানিতে ফেলার দরকারটা কি ? ডলারগুলো একটা পলিথিন ব্যাগে ভরে দেয়ালে ঝুলিয়ে রাখলেই তো হয় ! লোকজন আপনার ঘরে ঢুকলেই ডলারগুলো দেখতে পাবেন ।
এরকম একটা মষ্করা আপনি করতেই পারেন ।
এই মষ্করা উপেক্ষা করেও কিন্তু ছবিগুলো বিক্রি হচ্ছে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারে । এমোন কি নিলামে পর্য্যন্ত তুলতে হচ্ছে ছবি , এতো ক্রেতা । যারা কেনেন, টাকা তাদের কাছে কোনও ফ্যাক্টর নয় ।
কারা কিনছেন এই ছবিগুলো ? কেনই বা কিনছেন ?
মিলিয়ন ডলার প্রশ্নই বটে !
কিসের যাদুতে রং-তুলি-ক্যানভাসের খেলা কোটি কোটি টাকায় পরিনত হয়ে যায় ?
মনে রাখবেন , ছবি মানুষের হৃদয়কে উৎফুল্ল করলেও মূলতঃ এতো দাম দিয়ে কেনা ছবিগুলো আসলে বিলাসী এক বস্তু । আর এর যাদুটি হলো , এটা একটা বিক্রয় যোগ্য পণ্য । কেবলমাত্র ধনাঢ্য আর ক্ষমতাশালীরাই এর ক্রেতা । যারা সারাটি জীবন দৌঁড়ুচ্ছেন স্ট্যাটাস আর প্রেষ্টিজ এর পেছনে । গুটি কয়েকজন আছেন যারা শিল্পকে বা শিল্পীকে ভালোবেসে ছবি সংগ্রহ করেন আত্মতৃপ্তি পেতে । আর বাকীরা সব " টাকায় টাকা আনে" এ সূত্রটি ধরে রিয়েল এষ্টেট ব্যবসার মতো টাকা খাটাচ্ছেন এখানে । নেশার মতো তারা ছুটছেন টাকার পেছনে , "নাফা কেতনা হোগী ?" এরকম একটি হিসেব নিকেশ করে । এই রকম ছবি ক্রেতা হলে আপনাকে মিলিয়নিয়ার নয় , হতে হবে বিলিয়নিয়ার । যে কারনেই আপনি ছবি কিনুন না কেন তার চড়া দামটি দিচ্ছেন কিন্তু ছবির শৈল্পীক দিকটির মূল্য ভেবে নয়, মুনাফার দিকটি ভেবেও নয় । দিচ্ছেন মূলতঃ আর্ট ব্রোকার, ছবি নিলামঘরগুলোর টোপ গিলে । তারাই ঠিক করে দিচ্ছেন কতো মিলিয়ন বেশী খসানো যায় আপনার পকেট থেকে ।
দ্য ডেইলী টেলিগ্রাফ পত্রিকার আর্ট ক্রিটিক আলষ্টেয়ার সূক ২০১১ সালের জুলাইতে বিবিসিতে প্রচারিত একটি প্রামাণ্যচিত্রে এই মিলিয়ন ডলার প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বলেছেন , "ছবির জগৎটা আসলে কুখ্যাত ভাবেই একান্ত গোপনীয় , লুকায়িত এজেন্ডা নিয়ে টগবগে, রহস্যময় রাজনীতিতে আর মানুষের ফুটন্ত ইগোতে ভরা । তাই চড়া দামে ছবি ক্রেতারা মুখ খোলেননি কেউ , তাদের গোপনীয়তা বজায় রাখতে ।"
তবুও আলষ্টেয়ার থেমে থাকেননি । দু- দু'জন বিলিয়নিয়ার ছবি সংগ্রাহক যার মধ্যে রয়েছেন বিখ্যাত ছবি নিলামঘর " ক্রিষ্টি'জ " এর মালিক ফ্রাঙ্কোয়িজ পিনো , ক্রিষ্টোফার বার্জ নামের স্বনামধন্য একজন ছবি নিলামকারী । আর নিউইয়র্কের এক সফল আর্ট ডিলারকে ও খুঁজে বের করেছেন । আপনাদের পরিচিত ঔপন্যাসিক জেফরী আর্চার এর সাথেও দেখা করেছেন । এদের সাথে দেখা করে আলষ্টেয়ার যা জানতে পেরেছেন তার সার কথা উঠে এসেছে জেফরী আর্চারের জবানীতে । ঔপন্যাসিক হলেও একজন ছবি সংগ্রাহক হিসেবে তিনি সরাসরি বলেই ফেলেছেন , " তুমি যদি এই পাগলের রাজ্যে ঢুকে পড়ো তো জানবে, এটা একটা ড্রাগের মতো - তোমাকে একটা "ফিক্স"এর পর আর একটাতে টানবেই । আমি বুঝিনা এরা কেন এতো গর্দভ আর উন্মাদ ! গতমাসেই আমার কিছু ছবি ক্রিষ্টি'জ নিয়ে গিয়ে বিক্রি করে দিলো ৫.১ মিলিয়ন পাউন্ডে । এর মাঝে একটি, ক্লদ মনে'র আঁকা সীন নদীতীরের দৃশ্য,যার দাম উঠেছে ৩ মিলিয়ন পাউন্ড ।"
এমনতরো জেফরী আর্চার বৃটেনের ধনীদের তালিকায় রয়েছেন ৫৮৩ নম্বরে । তারপরেও তিনি আক্ষেপ করেছেন এই বলে যে , নামকরা ইম্প্রেশনিষ্টদের ছবি কেনার ক্ষমতা তার নেই । তাহলে বুঝুন, জেফরী আর্চারের কথামতো আরো অনেক পাগলেরই দেখা পাবেন আপনি ছবি কেনাবেচার জগতে ।
যেমন ধরুন, এই ছবিটি "হোয়াইট সেন্টার " ।
কি আছে এতে ? কে জানে কি আছে ! এই ২০০৭ সালে এর দাম হাকা হয়েছিলো ৭২.৮ মিলিয়ন ডলার । বিক্রি হয়েছে ৭৪.৯ মিলিয়নে । যিনি কিনেছেন তিনিই বলতে পারবেন কি দেখে মজেছেন তিনি । ছবিটি কারো ঘরের দেয়ালের শোভা বাড়িয়েছে হয়তো কিন্তু এই টাকা দিয়ে আপনি সিডর আক্রান্ত কমপক্ষে ১,৫০,০০০ ( দেড় লাখ ) পরিবারের ভাঙ্গা ঘর আবার নতুন করে তুলে দিতে পারতেন !!!!!!!!!
কোনও একটি ছবির জন্যে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচা করার এই খেয়ালীপনাকে কেউ কি "জাষ্টিফাই " করতে পারবেন ?
আপনার মতোই আর্ট ক্রিটিক আলষ্টেয়ার ও পারেননি । অবাক হয়েছেন এধরনের ক্রেতাদের মানসিকতা দেখে । ১৬১০ সালে রুবেন্স এর আঁকা "ম্যাসাকার অব দ্য ইনোসেন্টস" ছবিটি যখোন ২০০২ সালে নিলামে ওঠে তখোন টেলিফোনে নিলাম ডাকেন কানাডিয়ান বিলিয়নিয়ার ডেভিড থমসন আর তার বাবা । টেলিফোনে ৭৬.৫ মিলিয়ন ডলারের ডাকটি ডেকে যখোন ডেভিড থমসন জিতে যান তখোন তার কাছে আলষ্টেয়ার জানতে চেয়েছিলেন, কি এমোন তাড়া ছিলো তার এতো দামে ছবিটি কেনার ! আলষ্টেয়ারের দিকে শক্ত একটা চাহনি দিয়ে ডেভিড থমসন শুধু বলেছিলেন , "টু ট্রায়াম্ফ "।
ভাবুন একবার ! শুধু মাত্র কারো উপর দিয়ে টেক্কা মারতে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার ঢেলে দিতেও দ্বিধা নেই কারো কারো । এখানে টাকার জৌলুসই মূখ্য, ছবি নয় । শুরুতে যে মস্করাটির কথা বলা হয়েছে তা বোধহয় মস্করা নয় একবারেই !
আর্ট এ্যাডভাইজার তানিয়া পস শুনিয়েছেন ভিন্ন আর এক ধরনের নেশার কথা । এক অজ্ঞাতনামা ক্রেতার পক্ষে ২০০৮ সালে "ক্রিষ্টি'জ" এ নিলামে ওঠা শিল্পী ক্লদ মনে' র "ওয়াটার লিলিজ" ছবিটি যখোন ৮০.৪ মিলিয়ন ডলারে কিনে নেয়ার জন্যে এ্যাডভাইস করেন তিনি, তখোন এতো দামে কেন তিনি ছবিটি কেনার পরামর্শ দিলেন এমোন প্রশ্নের জবাবে বলেছেন , " আমি যাদের সাথে কাজ করি সেইসব বিত্তশালীদের চারপাশটাতে ঘিরে থাকে কেবল- কোয়ালিটি । তারা তাদের চারপাশে এটা দেখতেই অভ্যস্ত । এই কোয়ালিটির নেশা কেন ছবির বেলাতে এসে মার খাবে ? তারা নিজের দখলে সেরা জিনিষটিই চান । সেটা হোকনা কেন তাদের বাড়ী, গাড়ী কিম্বা উড়োজাহাজ । ইট’স জাস্ট দ্য ওয়ে দে লিভ দেয়ার লাইভস ।"
ঠিকই তো ! এটা তাদের জীবন, তারা কিভাবে কাটাবেন তা আমার মতো আদার ব্যাপারীর খোঁজ-খবর করার দরকারটি কি !
ছবির এই যে এতো চড়া দাম তা কিন্তু ছবির কান্তিময় ছটা নয় । এখানেও আছে বর্ণভেদ । আপনি হয়তো জানেন , ছবি কেনা অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে । ছবি নিলাম ঘরগুলোর অর্জন থেকে যে জ্ঞানটুকু পাওয়া যায় তাতে দেখা যায়, বাদামী রংয়ের ছবিগুলো কেমন যেন দরিদ্র , চড়া দামে বিকোয় না কোনও হাটে । ন্যাংটো মেয়েদের ছবিগুলোর ঝাঁজ অনেক বেশী, টেক্কা মেরে দেয় পুরুষের নান্দনিক ছবির উপরেও । নিউইয়র্কের পার্ক এ্যাভেন্যুর এলিভেটরে ছবিটি তার গা-গতর নিয়ে চড়তে পারবে কিনা, তা ও পকেটের টাকা খসাতে কাজে লাগে । আর চড়া দামে যে ছবিটি কেনা হয়ে জাতে উঠলো, তার যে আবার একদিন জাত যাবেনা এমোন গ্যারান্টিও কিন্তু নেই ।
তাহলে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন, মানি হ্যাজ নাথিং টু ডু উইথ আর্ট !
একটুকরো ক্যানভাসের জমিনে ফুটে ওঠা ছবি দেখে স্বপ্নের রাজ্যে চলে যাওয়া বা মুগ্ধতার ঘোরে হারিয়ে যাওয়া নয়, কেবল ভিরমি খেতে হলে আসুন - যে ছবিগুলোতে "মানি হ্যাজ নাথিং টু ডু..." এমোন একটা ব্যাপার জড়িয়ে আছে, তাদের একনজর দেখে আসি ।
দ্য কার্ড প্লেয়ারস / পল সেজান
The Card Players / Paul Cézanne
পৃথিবীতে এ পর্য্যন্ত সবচেয়ে চড়া দামে বিক্রি হওয়া এই ছবিটি, পাঁচটি ছবির সিরিজের মধ্যে একটি । কতো এর দাম ? দাম হাকা হয়েছিলো ২৫৯ মিলিয়ন ডলার । শেষমেশ রফা হয়েছে ২৬৮ মিলিয়ন ডলারে । আপনি যদি মাসে ৭৫ থেকে ৮০ হাযার টাকা বেতন পান তবে এই রকম একটি ছবি কিনতে আপনাকে মাত্র ২২ হাযার ৩৩৩ বছরের বেতন গুনতে হবে ! ঘর-সংসারের খরচ - খাওয়া-দাওয়া , লেখাপড়া, চিকিৎসা বাদ । কতো জন্মে সম্ভব ???
পোষ্ট ইম্প্রেসনিষ্ট শিল্পী পল সেজান ১৮৯৫ সালে এঁকেছিলেন ছবিটি । পাঁচটি ছবি নিয়ে "দ্য কার্ড প্লেয়ারস" সিরিজের একটি । সিরিজের সব ছবিই ফার্ম শ্রমিকদের নিয়ে । সম্ভবত সেজানের র্ফাম হ্যান্ডসদের কেউ । মুখে পাইপ টানতে টানতে তারা তাস খেলায় মশগুল । সতের শতকের ফ্রেঞ্চ বা ডাচ শিল্পীদের আঁকা তাসারুদের মতো নয় তাদের চেহারা কিম্বা হাবভাব । তখোনকার ছবিতে এই কার্ড প্লেয়ারদের চেহারা সুরৎ ছিলো মাতালদের মতো , বন্য-রুক্ষ । সারা ছবি জুড়ে থাকতো উচ্চকিত ড্রামার মূহুর্তগুলি । সেজান সেইসব অভব্য কার্ড প্লেয়ার আর তাস খেলার ড্রামাটিক পরিবেশ সযতনে বাদ দিয়েছেন এই সিরিজের ছবিগুলোতে । এনেছেন একটা টানটান সমাহিত ভাব , কি তাসারুদের চেহারায় , কি পরিবেশে !
তার কার্ড প্লেয়াররা নিমগ্ন খেলায়, চোখ নিবদ্ধ তাসে । সিরিজের সব ছবিতেই তাই । প্রথম দু' টিতে একাধিক ফার্ম শ্রমিকদের উপস্থিতি থাকলেও শেষের তিনটিতে সেজান রেখেছেন মাত্র দু' জন করে যারা খেলছেন শুধু । কোনও দর্শক রাখেননি । সিরিজের প্রথম ছবিতে রয়েছে পাঁচজন । তিনজন তাসারু , খেলছেন মগ্ন হয়ে । ঢিলেঢালা পোষাক সবার । দু' জন দর্শক , একজন কিশোর , চোখ তার স্থির তাসের দিকে । অন্যজন আলস্য ভরে দেয়ালে হেলান দিয়ে আছেন যেন অপেক্ষা করছেন, কখোন তার পালা আসবে খেলার । কেউ কেউ বলেন , সেজান ছবিতে গভীরতা আনতেই এই লোকটিকে এখানে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন । সিরিজের দ্বিতীয় ছবিটিতে কিশোরটি উধাও । দেয়ালের তাকের ফুলদানী আর ঝোলানো ছবিটিও নেই । যেমন ঝোলানো ছিলো তেমনিই ঝোলানো আছে শুধু তামাক পাইপ চারটি । ছবিটি আগেরটির চেয়ে বেশ "কনডেন্সড" মনে হয় । সেজান কি আমাদের দৃষ্টি কেবল মাত্র কার্ড খেলার দিকেই " ফোকাস " করতে চাইছেন ? তাই কি তার বাকী তিনটি ছবিতে শুধু দু' জন কার্ড প্লেয়ারের উপস্থিতি রেখেছেন ? ক্রমান্বয়ে ছোট করে আনছেন দৃশ্যপট ? জুম–ইন ষ্টাইল ?
The Card Players, 1890–92, Barnes Foundation, Philadelphia, Pennsylvania ( প্রথম ভার্সন)
The Card Players, 1890–92, Metropolitan Museum of Art, New York( দ্বিতীয় ভার্সন)
ছবির ইতিহাস কিম্বা গপ্পের খোঁজে আর্ট গবেষকরা বা ক্রিটিকরা পারলে যে কোনও ছবি যেমন করে পরতে পরতে খুলে ন্যাংটো করে দেখতে চান , তেমনি দ্বিতীয় ছবিটির কাটাচেরা হয়েছে অনেক । ছবিটির এক্স-রে আর ইনফ্রারেড সমীক্ষায় দেখা গেছে ছবির নীচে স্তরে স্তরে রয়েছে গ্রাফাইটের আন্ডার-ড্রয়িং আর তেল রংয়ের ভারী আবরন । আর এ থেকেই ধারনা যে, সম্ভবত এটাই হলো সেজানের কার্ড প্লেয়ার সিরিজের প্রাথমিক ছাদটি যা থেকে অন্যগুলো আঁকা হয়েছে । যদিও ঐতিহাসিক ভাবে বিশ্বাস করা হয় এটাই দ্বিতীয় ছবি । আবার আন্ডার-ড্রয়িং থাকার কারন বিশ্লেষনে এটাও মনে করা হয় যে, সেজানকে বেশ খাটুনী খাটতে হয়েছে পরবর্তী ছবিতে মানুষগুলিকে সরাতে যা প্রথম ছবিটিতে একটি ক্যানভাসে আঁকা হয়েছিলো একত্রে । কেবল মাত্র "এ্যাবসোল্যিউট এসেনসিয়াল " অর্থাৎ দু' জন কার্ড প্লেয়ারকে সামনে আনতে,দর্শক আর অপ্রয়োজনীয় বিষয়গুলোকে হটিয়ে শেষ পর্য্যন্ত সেজান যে পরবর্তী তিনটি ছবিতে স্থান সংক্রান্ত এই ধাঁধা কাটিয়ে উঠতে পেরেছিলেন সে ধারনারও জন্ম হয়েছে এই আন্ডার-ড্রয়িং থেকে ।
২৬৮ মিলিয়ন ডলার দামের ছবিটিতে তাই আপনি দেখতে পাবেন দু' জন কার্ড প্লেয়ারকে মাত্র । মাঝখানে না-খোলা মদের বোতল । মদের গ্লাস নেই টেবিলে , নেই টাকাও । নিমগ্ন তারা নিজেদের হাতে থাকা কার্ডের দিকে একাগ্র চিত্তে । যেন কার্ডগুলিই তাদের ধ্যান-জ্ঞান । প্রথমদিকের ছবিতে থাকা পর্দাটি আর তামাক পাইপগুলো উধাও, বদলে এসেছে সাধারন একটি দেয়ালের দৃশ্যপট । সেজান কি চেয়েছেন , দর্শকদের দৃষ্টি যেন কার্ড প্লেয়ারদের দিকেই শুধু নিবদ্ধ থাকে ! যেন শিল্পী নিজেই নিমগ্ন থেকেছেন এই ছবিটি আঁকতে, তা বোঝাতে ! নিঃসঙ্গ মদের বোতলটি দু' জনার ঠিক মাঝখানে রেখে কি বোঝাতে চেয়েছেন সেজান ! দু' জন প্রতিযোগীর মাঝখানের অতিক্রম্য দেয়াল ? নাকি ছবির ফ্রেমের সিমেট্রি বোঝাতে ছবির কেন্দ্র বিন্দু ?
এই হলো " দ্য কার্ড প্লেয়ারস " ছবির বৃত্তান্ত । বিষয়বস্তু কিম্বা আঁকার ধরনে আলাদা, অসাধারন কিছু কি ? তবুও সব বাঘা বাঘা ছবিকে একশো হাত পেছনে ফেলে সবচেয়ে চড়া দামে বিক্রি হয়ে গেছে ছবিটি ।
ক্রেতা, তেল বেচা টাকায় বিশ্বের সেরা ধনী দেশগুলোর একটি ; ছোট্ট দেশ - কাতার এর রাজ পরিবার । বিক্রেতা , গ্রীক শিপিং ম্যাগনেট - জর্জ এম্বিরিকোস । বেশ কয়েক বছর ধরে ছবিটি বিক্রি নিয়ে এম্বিরিকোস পরিবারের দো-টানা আর দর কষাকষির পরে ২০১১ সালের এপ্রিলে বিজয়মাল্যটি ছিনিয়ে নেয় কাতারের রাজ পরিবার ।
আধুনিক ছবির বাজারকে কাৎ করে দিয়ে সর্বকালের অসম্ভব চড়া দামে পাঁচটি ছবির একটি কিনে কাতার যেন ছবির জগতের "এক্সক্লুসিভ ক্লাব" মেম্বার হয়ে উঠলো । ছবি সংগ্রাহকদের আঁতেল ঘরানায় নাম লেখালো যেন । বাকী চারটি রইলো পৃথিবী খ্যাত মিয়্যুজিয়মগুলোতে ।
একটি ছবির জন্যে ২৬৮ মিলিয়ন ডলার , তা ও আবার ভ্যান গ্যঁ'র ক্লাসিক ল্যান্ডস্কেপ কিম্বা ভারমীর এর আঁকা অনবদ্য কোনও পোর্টেট নয়; আপনার মাথা ঘুরিয়ে দেয়ার জন্যে যথেষ্ট । তবে এটা কিনে পোষ্ট ইম্প্রেসনিষ্ট একটি মাষ্টারপীস এর মালিক বনে যাওয়ার চেয়েও কাতারের অর্জন আরো বেশী কিছু । এর মধ্যে দিয়ে মাষ্টারপীস ছবির কালেকশান করেন এমোন সম্ভ্রান্তদের কাতারে সামিল হবার টিকিটটি কিনে ফেলা
হ' ল তার । এবার তারা অন্য সুরে কথা বলতেই পারেন ।
এ কথা তো আপনি জানেনই, কাতারের সব কিছুই যে বড় বড় । কাতার যে ছবির জগতেও প্রথম আর বড় স্থানটি দখল করতে চাইবে এটাও স্বাভাবিক । আর তার চেষ্টাও সে করে যাচ্ছে গেল ক ' বছর ধরে । ২০০৮ সালে গড়ে তুলেছে মিয়্যুজিয়ম অব ইসলামিক আর্ট । এর উদ্বোধনে ছিলো বিশাল নাটকীয়তা । অনুষ্ঠান স্থলে পৃথিবীখ্যাত মিয়্যুজিয়মগুলোর প্রতিনিধিদের আনা হয়েছে ভিনটেজ জাহাজে চড়িয়ে । ২০১০ সালের মধ্যেই আবার গড়ে তুলেছে "এ্যারাব মিয়্যুজিয়ম অব মডার্ণ আর্ট "এবং "কাতার ন্যাশনাল মিয়্যুজিয়ম " । সুপারষ্টার আর্কিটেক্ট জিন নওভেল এটিকে আবার নতুন সাজে সাজানোর কাজটি শেষ করবেন ২০১৪ সালের মধ্যেই । সম্ভবত এখানেই রাখা হবে এই ২৬৮ মিলিয়ন ডলারের ছবিটি । তাই সেরাদের সেরা হতে কাতার দু'হাতে কিনছে ছবির পর ছবি । রথকো, ওয়ারহলস, হির্স্ট, পিকাসো সহ নামীদামি শিল্পীদের ছবি কিনছে বিয়ের কনের শাড়ী কেনার মতো করে । মনে হচ্ছে যেন, মানি হ্যাজ নাথিং টু ডু উইথ আর্ট , জাষ্ট বাই টু বি এ্যাট দ্য টপ !
জাষ্টিফাইড ?
নং ৫ , ১৯৪৮ / জ্যাকসন পোলক
No. 5, 1948 / Jackson Pollock
ছবির নাম না পেয়ে অবাক হবেন না ! এ ছবির কোনও নাম নেই । কেবল একটি সংখ্যা । প্রচলিত ধারার বাইরে । বাইরে অবশ্য আমার- আপনার ধারনারও । সাদা চোখে কোনও বিষয়বস্তু এখানে ধরা দেবেনা আপনাকে । এলোমেলো হাযারো রেখা টেনে জঞ্জালের মতো কিছু একটা । এরকম না বোঝা বিষয়বস্তুর পোষাকী নাম, বিমূর্ত অভিব্যক্তিবাদ (Abstract Expressionism ) ! এর দামটি শুনলে আপনার মুখের চেহারা যা হবে তাকেও বিমূর্ত অভিব্যক্তিবাদ বললে খুব একটা দোষের কিছু হবার কথা নয় ! বিডিং প্রাইস ১৪০ মিলিয়ন ডলার ধরা হলেও ছবিটির দাম উঠেছে ১৬১.৭ মিলিয়ন ডলার ।
বেশীদিনের কথা নয় , ১৯৪৮ সালে আমেরিকান শিল্পী জ্যাকসন পোলক এঁকেছেন ছবিটি । আঠারো-উনিশ শতক পেরিয়ে ততোদিনে ছবি আঁকার ষ্টাইলে এসেছে নতুন নতুন ভাবনারা । মূলস্রোতে এসেছে "ইনোভেটিভ আর্ট ষ্টাইল"। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঠিক পরে পরেই যা গতিময় হয়েছে আরো । আমরা যাকে বলি "বিমূর্ত "। একটি ক্যানভাসের জমিনে নিজের অনুভূতি মিশিয়ে কি ফসল বোনা যায়, আর কি দিয়েই বা যায় শিল্পীরা তার কসরৎ করে চলেছেন সময়ের সাথে সাথে । আর ছবিপ্রেমীরা খুঁজছেন ছবির পেছনের ইতিহাস কিম্বা বিভিন্ন শিল্পীর আঁকার ষ্টাইল ও টেকনিক ।
( আমার নিজের ও একটা ধারনার কথা আছে, কি করেই বা বিমূর্ত ছবি আঁকা যায় তা নিয়ে । সুযোগ হলে বলতে চেষ্টা করবো । হয়তো আপনার ধারনার সাথে মিলেও যেতে পারে )
আট বাই চার ফুটের একটি ফাইবার বোর্ডে আঁকা হয়েছে ছবিটি । জ্যাকসন পোলক এখানে ঢেলেছেন তরল রং । প্রচলিত আঁকার ধরনের বাইরে গিয়ে , মনের মাধুরী মিশিয়ে রং ঢেলে গেছেন ফাইবার বোর্ডটিকে মাটিতে শুইয়ে ।
জ্যাকসন পোলক অন এ্যাকশন ....
বোর্ডের বেশীর ভাগটাতেই ফোঁটায় ফোঁটায় ছিটিয়েছেন হলুদ আর বাদামী রং । ছিটিয়েছেন বোর্ডের চারদিকে ঘুরে ঘুরে । খড়কুটো দিয়ে গড়া পাখির বাসাটির মতো মনে হবে ছবিটিকে । অথবা আপনারা ঢাকা শহরের রাস্তা আর অলিগলির টেলিফোন বা লাইটপোষ্টে কেবল নেট্ওয়র্ক প্রোভাইডারদের জগা খিচুরী পাঁকানো কেবলগুলো ঝুলতে দেখেছেন নিশ্চয়ই ! এটি তার চেয়েও জঘণ্য রকমের জটিল । ছবিতে এই জটিলতা আর এটি আঁকতে গিয়ে শিল্পীর গভীর অভিনিবেশ ছবিটিকে নিয়ে গেছে বিমূর্ত ছবির শীর্ষে । স্বতঃস্ফুর্ত রং ছেটানো , তাকে আবার প্রলেপ দেয়া এটাই পোলক এর নিজস্ব ষ্টাইল । যা তাকে এনে দিয়েছে বিমূর্ত ছবির জগতে আলাদা খ্যাতি । দুঃখের ব্যাপারটি হলো , সেই খ্যাতি নিয়ে বেশীদিন শিল্পী পৃথিবীর আলো দেখেন নি । মদ খেয়ে ফেলেছে তাকে । মদ্যপ হয়ে গাড়ী চালাতে গিয়ে সময়ের আগেই মাত্র ৪৪ বছর বয়েসেই ঝরে পড়েছেন তিনি ।
বেশী ছবি এঁকে যেতে পারেনি পোলক । মাত্র নয় বছর ছবি এঁকেছেন । অল্প যে ক'টি এঁকেছেন তাই-ই তাকে আমেরিকার শ্রেষ্ঠ শিল্পীদের আসনে বসিয়েছে । বসিয়েছে বিমূর্ত অভিব্যক্তিবাদ নিয়ে আঁকা ছবির রাজার আসনে ।
যাবার আগে ছবি আঁকা সম্পর্কে নিজের ধারনার কথা বলে গেছেন জ্যাকসন পোলক ।
বলেছেন- "আমার অবচেতন আমার ছবি আঁকার প্রেরনা । আমি যখোন ছবি আঁকি, আমি মোটেও সচেতন থাকিনে, কি আঁকছি আমি তা নিয়ে । আঁকতে আঁকতে জিনিসটি পরিচিত হয়ে গেলে পরে মনে হয় , আসলেই কি করছি আমি ! "
তাই আপনি তার ছবিতে মূল কোনও বিষয় দেখতে পাবেন না । এ ছবিতে কেন্দ্র নেই, কোনও ফোকাস নেই, নেই কোনও ফিগার ও । আর একারনেই মনে হয় শিল্পী তার ছবির কোন্ও নাম দেননি । দিয়েছেন শুধু নাম্বার । ইজেল আর প্যালেট এর বদলে লাঠি বা কঞ্চি, কর্ণিক আর ছুরি এইগুলোই তার আঁকার হাতিয়ার । তার এইসব হাতুড়ী দিয়ে ছবি আঁকার ষ্টাইল আর টেকনিক একই সাথে কিউবিজম, স্যারীআ্যালিজম আর ইম্প্রেশনিজমে মিলেমিশে ছাপিয়ে গেছে সবগুলো ।
আর্ট ক্রিটিক হ্যারল্ড রোজেনবার্গ পোলক এর আঁকার এই ধরনটাকে ব্যাখ্যা করেছেন এভাবে-
"শিল্পীর এটা একটা এ্যাকশন পেইন্টিং । আঁকতে গিয়ে হঠাৎ করেই তার মনে হয়েছে এটা যেন একটা মল্লভূমি যেখানে এখোন তাকে লড়তে হবে । তাই ভুলে যান যে, এটা একটা ক্যানভাস যেখানে তাকে জন্ম দিতে হবে, ফুটিয়ে তুলতে হবে একটি বস্তু, হোক না তা বাস্তবিক কিমবা কল্পনার । পোলক এর আঁকার এই ধরনটা, ছবি যে কম বেশী একটি ফিনিসড প্রোডাক্ট সে ধারনাকে বাতিল করেছে । যেন বলতে চাইছে শিল্পের খাতিরেই শিল্প আর তাতে শিল্পীর অনুভব । তার এই বিমূর্ত ধরনটাই জন্ম দিয়েছে "বিমূর্ত অভিব্যক্তিবাদ "এর ।"
বিমূর্ত এই অভিব্যক্তিবাদকে ব্যাখ্যা করা বেশ ঝামেলাই বটে । ছবিটির সাম্প্রতিক কালের বিশ্লেষণ বলছে , ছবিটি আসলে বিশৃংখল মোটেও নয় । মূলতঃ এখানে রয়েছে ম্যাথেমেটিক্যাল প্যাটার্ণস । অনেকটা খন্ড খন্ড কিছু আকৃতি, যা স্তরে স্তরে একটি অন্যটির বর্ধিত ( ম্যাগনিফিকেশান) রূপ । আর আমার-আপনার মতো সাধারন মানুষ দেখবেন অন্য কিছু । অনুভব করবেন অন্য ধরনের একটি আবেগ , যা ছবিটির এলোমেলো লাইনগুলোতে খুঁজে বেড়াবে কিছু আকার – আকৃতির, হঠাৎ কিছু মুখ আবিষ্কারের আনন্দ । আমরা যেমন মেঘের আদলের ভেতর হঠাৎ হঠাৎ কিছু আকৃতি খুঁজে পাই তেমনি ।
আপনি যা ভাবছেন ছবিটি দেখে, তেমনটি কিন্তু ভাবছেনা আমেরিকান গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ (CIA)। তাদের উর্ব্বর মস্তিষ্ক খুঁজে পেয়েছে অন্য কিছু । ঠান্ডা যুদ্ধের (Cold War) সময়কালটিতে ১৯৪৮ সালে ছবিটি প্রদর্শিত হলে তারা ধরে নিলেন , শিল্পী নিশ্চয়ই কিছু গোপন সংকেত লিখে রেখেছেন ছবির বিশৃংখল রেখাগুলোর ভেতর , সাংকেতিক কিছু । আমেরিকান কগ্রেস সদস্য জর্জ ডনডেরো আবার অভিযোগ তুলে বসলেন," পোলক যে ছবিগুলো আঁকছেন তা গুপ্তচরবৃত্তির উদ্দেশ্যে । আর আপনি যদি জানেন এটা কি ভাবে পড়তে হয় তবে শত্রুদের কাছে আমেরিকার দূর্গ ব্যবস্থার দূর্বল দিকগুলো প্রকাশ হয়ে পড়বে অচিরেই।"
বুঝুন ঠ্যালা !
তবে রেখার এই বিশৃংখলতা থেকে সিআইএ যা শিখেছে তা হলো ঠান্ডা যুদ্ধকালীন সময়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করার বক্রতা । ধারনা করা হয় , ঠান্ডা যুদ্ধের একটি কৌশল হিসেবে এই জাতীয় Abstract Expressionist ছবি আঁকায় উৎসাহ দিতে সিআইএ গোপনে গোপনে টাকা ঢেলেছে যাতে শত্রুপক্ষ বিভ্রান্ত হয় ।
২০০৬ সালের নভেম্বরে নং-৫ ছবিটি কিনে নেন ডেভিড মার্টিনেজ । ছবি নিলামঘর সোথবী’র মাধ্যমে এটা একটি ব্যক্তিগত বিক্রয় । বিক্রেতা ডেভিড গ্রিফিন, ১৬১.৭ মিলিয়ন ডলারে বেচে দিয়েছেন ছবিটি । অথচ ১৯৪৮ সালে জ্যাকসন পোলক নিজেই নিউইয়র্কের পারসন গ্যালারীর মাধ্যমে ছবিটি বিক্রি করে দেন মাত্র ১৫০০ ডলারে যা ছবি বিক্রিতে ইতিহাস সৃষ্টিকারী ২০০৬ সালে দাঁড়াতো মাত্র ১২৬১৫ ডলার । কোনক্রমেই তা লাখ বা মিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবার কথা নয় ।
তাহলে কি এমোন সে কারন যা ছবিটিকে তুলে দিয়েছে মাল্টিমিলিয়ন ডলারে ?
শিল্পবোদ্ধারা বলছেন, জ্যাকসন পোলক আমেরিকার শ্রেষ্ঠ একজন শিল্পী , ছবির জগতে আইকন । তার ছবি হাতে গোনা । তার উপর ছবিটি বিমূর্ত অভিব্যক্তিবাদের পথিকৃত । আর শিল্পীও মৃত । তাই ছবিটি দুষ্প্রাপ্যতার ছাপ গায়ে মাখবে তো বটেই । তাই এমোন একটি মাইলষ্টোন ছবির মালিক হতে চাইবেন অনেকে সৌখিন ধনবানরাই ।
দূর্জনেরা কিন্তু বলছেন অন্য কথা । শিল্পী মৃত । তার হাত থেকে আর এরকম ছবি বেরুবেনা । তাই এর দাম দিনদিন চড়তেই থাকবে । ছবিকে যারা প্রফিটেবল বিজনেস বলে জানেন তারা তো হুমড়ি খেয়ে পড়বেনই ! ১৫০০ ডলারের ছবি যদি ৫০ বছরের মাথায় মাল্টিমিলিয়ন ডলার আপনার পকেটে এনে দেয়, তবে কে বলতে পারে আগামী ৫০ বছর পরে তা বিলিয়ন ডলারে গিয়ে ঠেকবেনা ?
চমকে উঠবেন না বা এরকম একটি ছবির মালিক হতে পারলেন না বলে দীর্ঘশ্বাস ফেলবেন না । একখানা বোর্ড কিনে এখুনি মাটিতে ফেলুন । কয়েক ডাব্বা যেনতেন অয়েল পেইন্ট কিনে আনুন হার্ডওয়্যারের দোকান থেকে । তারপর নারকেল পাতার শলার ঝাড়ুখানা আপনার পিচ্চির হাতে ধরিয়ে দিন । বলবেন, বৎস ইচ্ছেমতো রং ছিটাও আর ঢালো । ব্যস, হয়ে গেলো বিমূর্ত একখানা ছবি ।
আর আরো উচ্চমার্গের বিমূর্ত ছবি পেতে হলে আমার ধারনা মতো কাজ করুন । রাস্তার পাশের নর্দমা থেকে একতাল ময়লা তুলে আনুন । এর সাথে আঠা মেশান । ক্যানভাসে পুরু করে লেপ্টে দিন বা ঢেলে দিন আপনি যেমনটি আকৃতি দিতে চান তেমন করে । এবড়ো থেবড়ো আর উঁচু নীচু হয়ে থাকে যেন । এবার রোদে শুকোতে দিন । শুকিয়ে গেলে ময়লা আরো ধূসর বা কালো হবে । গ্রানাইটের মতো । বাজারে যতো রকমের পেইণ্ট আছে তা কিনে আনুন । এবার উঁচু নীচু ফাঁক গুলোতে ইচ্ছে মতো এখানে সেখানে উজ্জল রং ঢেলে ক্যানভাসটিকে কাত করে ধরুন । রং নিজের ইচ্ছে মতো গড়িয়ে যেতে থাকবে । আপনার যেটুকু আর্টিষ্টিক সেন্স আছে তা খাটিয়ে যখন থামার থামুন । কিছু কিছু জায়গায় ভার্ণিশ ঢেলে দিন । ব্যাস..................
এবার শুধু সোথবী বা ক্রিষ্টি'জ এর নিলাম ঘরে ছবিটি পৌছে দিতে পারলেই কেল্লা ফতে । মাল্টিমিলিয়ন ডলারের ট্যাগ ছবিটার গায়ে উঠতে কতোক্ষন ? কিছু না হোক , নিদেন পক্ষে ওয়ান মিলিয়ন হলেই বা ক্ষতি কি ?
[লেখাটি তিনটি পর্বের প্রথম পর্ব । প্রতিটি পর্বই স্বয়ং সম্পূর্ণ । অনুগ্রহ পূর্বক বাকী পর্ব গুলির অপেক্ষায় থাকুন । ]
ছবি ও তথ্য ইন্টারনেট থেকে ।
১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩০
আহমেদ জী এস বলেছেন: অন্যমনস্ক শরৎ ,
ধন্যবাদ, মন্তব্য আর প্লাস দেয়ার জন্যে ।
২| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৬
অশ্রু কারিগড় বলেছেন: দারুণ লাগল । আসলেই খুব ভাল লিখেছেন ।
১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩২
আহমেদ জী এস বলেছেন: অশ্রু কারিগড় ,
দারুন একগোছা ধন্যবাদ আপনাকেও ।
ছবি নিয়ে ব্লগে আমার আরো খানকয়েক পোষ্ট দেখে নিলে খুশি হবো ।
৩| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৬
শায়মা বলেছেন: আমারও খুব ভালো লেগেছে, লেখাটার সাবজেক্ট আর ছবির কথাগুলোও তবে ছবিগুলো এমনি এমনি দিলেও দেওয়ালে ঝুলাতাম কিনা সন্দেহ ভাইয়া!
১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: শায়মা
আমিও ঝোলাতাম না । বরং পলিথিনে "ট্যাহা" ঢুকিয়ে দেয়ালে ঝোলাতাম । সাথে কিছু খুচড়া কয়েন রাখলে বাতাসের দোলায় পিয়ানোর ঠুংঠাং আওয়াজ উঠতো । দারুন একটা আইডিয়া কি বলেন ?
আর আমি এর চেয়ে খারাপ আঁকি কিছু । উপরে শিরোনামের ছবিটি কি খুব খারাপ এঁকেছি ? বিমূর্ত !!!!!! তাও আবার পেইন্টশপে, ইঁদুরের লেজ টেনে টেনে ।
এটায় না চললে আপনার নিকের ছবিখানিও অনেক সুন্দর । এটা ঝোলালেও দেয়ালের শোভা অনেকটা বাড়তো ।
ভিরমী খেলেন নাতো ?
শুভেচ্ছান্তে ।
৪| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৮
মামুন রশিদ বলেছেন: মাথা ঘুরছে
১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: মামুন রশিদ ,
এই সব বস্তা পঁচা ছবিতে কথায় কথায় মিলিয়ন -বিলিয়নের টংকার শুনলে মাথা খারাপ হবারই তো কথা । পাগল যে হননি হাযার শোকর ....
৫| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৩
কপোতাক্ষের তীরে এক অসামাজিক বলেছেন: খোজ নিয়ে দেখবেন, এই আকিয়েদের বেশিরভাগ মারা গেছেন, না খেয়ে, বিনা চিকিৎসায় চরম দারিদ্রতার মাঝে।
১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০২
আহমেদ জী এস বলেছেন: কপোতাক্ষের তীরে এক অসামাজিক ,
এটাই নিয়ম । এমোনকি এদের অনেকেরই রং-তুলি-ক্যানভাস কেনার পয়সাও থাকেনা ।
ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্যে ।
৬| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১২
আসফি আজাদ বলেছেন: আমি বুঝিনা এরা কেন এতো গর্দভ আর উন্মাদ - আসলে ছাগল-পাগলের কারবার বোঝারও কিছু নাই
+++
১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০১
আহমেদ জী এস বলেছেন:
আসফি আজাদ ,
আপনার আসলে তাই মনে হবে । শুধু আপনার কেন আমাদেরও হবে ।
একটি ক্যানভাসের জমিনে নিজের অনুভূতি মিশিয়ে কি ফসল বোনা যায়, আর কি দিয়েই বা যায় শিল্পীরা তার কসরৎ করে চলেছেন সময়ের সাথে সাথে । আর আমরা , ছবিপ্রেমীরা খুঁজছি ছবির পেছনের ইতিহাস কিম্বা বিভিন্ন শিল্পীর আঁকার ষ্টাইল ও টেকনিক । খুঁজছি এর নান্দনিকতা , এর ভেতরের মধুর কিছু কিম্বা কোন ও কান্নার দাগ । যে যেমোন চোখে দেখে , সে রূপটিই ধরা দেয় তার কাছে ।
পাগল বলুন আর ছাগলই বলুন এই সব ছবি প্রেমী কিম্বা ছবির ফেরিওয়ালাদের আসলেই বোঝা বড় ভার !
প্লাসের জন্যে ধন্যবাদ আর মন্তব্যের জন্যে তো বটেই ।
শুভেচ্ছান্তে ।
৭| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০৩
জুন বলেছেন: আহমেদ জী এস পৃথিবীর অত্যন্ত দামী দামী চিত্রকলা আর তাকে বিশ্লেষন করে অত্যন্ত সুন্দর একটি পোষ্ট প্রকাশ করেছেন।
ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করবোনা এই বিশালত্বকে।
আর্টের প্রতি আমার ভালোবাসা আশৈশব । মনে আছে যখন আমাদের কৈশর সেই সময়টায় কলম বন্ধু-বান্ধবী খুব প্রচলিত ছিল। তাদের সাথে নিস্কাম এক গভীর বন্ধুত্বের সুচনা হতো এমনকি তাদের সাথে হয়তো দেখাও হতোনা কখনো। তখন আমার এমনি এক কলম বন্ধু স্কুলের গন্ডী পেরিয়ে ঢাকার বাইরে থেকে এসে চারুকলায় ভর্তি হয়েছিল। চিত্রকলার প্রতি বাবু নামে আমার সেই বন্ধুটির এতই সুগভীর টান ছিল যে তার প্রতিটি চিঠিতে কেবল পৃথিবীর বিখ্যাত অখ্যাত শিল্পীর জীবনি আর তাদের চিত্রকলা নিয়ে আলোচনা থাকতো।তার কাছ থেকেই আমি এ ব্যাপারে অনেকটা ধারনা পেয়েছিলাম।শিখেছিলাম কোনটা বিমুর্ত, আর কোনটা তেল রঙ কোনটা জলরং এ আকা। আমি বাবুর কাছে কৃতজ্ঞ আমাকে এই ব্যাপারে চোখ খুলে দেয়ার জন্য।
তার আগ্রহেই রেনেসা পরবর্তী শিল্পি পিকাসো, ভ্যানগগ, রদ্যা, সেজান এদের ছবির প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠি। পরবর্তীতে নেটের কল্যানে আমি তাদের সাথে আরো সুগভীর ভাবে পরিচিত হই।
আপনার দেয়া ২য় ছবির মত ছবি দেখে তাকে বার বার প্রশ্ন করেছি কি আছে এতে কেন দাম এর ? সে চিঠিতে অনেক কিছু ব্যাখা করতো এর মুল্যের কারন। বলতো একটা শিল্পীর চোখ দিয়ে দেখ। কিন্ত আমি ব্যার্থ হয়েছি তাতে। আমি গুএর্নিকার মুল্য বুঝিনি তার চেয়ে জলরং এ আকা যে কোন প্রাকৃতিক দৃশ্যের ছবি আমাকে টানতো বা এখনো টানে।
পৃথিবীর অনেক অনেক বিখ্যাত শিল্পীর চিত্র আমি চর্ম চক্ষে দেখেছি।
কিন্ত যেগুলো নিলামে উঠে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারে কেনা বেচা হয় সেই সব চিত্রকলা সত্যি আমাকে বিস্মিত করে। আবারো আসি ২য় ছবিটায় । কি আছে এতে !!
ক্রিস্টিজের কথা আর নাইবা বললাম তারা মনে হয় রিতিমত শেয়ার বাজারের দালালদের মত ছবিগুলো নিলামে উঠায় আর সেইসব তথাকথিত ধনীরা প্রতিযোগীতার মাধ্যমে কিনে নিয়ে তাদের ড্রইং রুমের দেয়ালে ঝুলিয়ে রাখে । ভালো করে দেখে কিনা জীবনে একবার আমার সন্দেহ আছে। শুধুমাত্র তার সমগোত্রীয় কাউকে দেখিয়ে তাদের ঈর্ষাকাতর দৃষ্টিকে চেখে চেখে উপভোগ করা ।
সিলের চামড়ার কোট এবং ফার আর হীরার দ্যুতি ছড়ানো বড়লোকদের বিভিন্ন পার্টিতে আলোচনার বিষয় সৃষ্টি করাও এত দাম দিয়ে এসব ছবি কেনার একটা হিডেন এজেন্ডা থাকে।
তবে আমি শুনেছি এগুলো নাকি ধনীদের টাকা ইনভেষ্টমেন্টের এক বিশাল মাধ্যম ।
অনেক বড় মন্তব্য হয়ে গেল বলে আমি আন্তরিক দুঃখিত ।আসলে মনের মত বিষয় হওয়ায় এ অবস্থা। অনেক অনেক সুন্দর করে তুলে ধরেছেন বিষয়টি। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন ,
আপনি সেই সৌভাগ্যবানদের একজন যিনি তামাম পৃথিবী ঘুরেছেন, দেখেছেন বিখ্যাত বিখ্যাত সব মিয়্যুজিয়মে রাখা পৃখিবীর সেরা ছবি গুলো । আমার সে সৌভাগ্য হয়নি আলসেমীর কারনে । তবুও ছবিরা আমাকে টানে । নিজে আঁকতে জানিনে বলে সেই অক্ষমতার লজ্জা , ছবির কথা লিখে লিখে পুষিয়ে নিতে চাই হয়তো ।
তাই আপনিই চাক্ষুষ দেখার অভিজ্ঞতা থেকে ভালো বলতে পারবেন আমি না দেখে যা লিখেছি তা ছবিগুলোর প্রতি আমার অবিচার হয়ে গেলো কিনা । কিম্বা বেশী প্রশ্রয় দিয়ে ফেলেছি কিনা কোনও বিশেষ ছবিকে ।
আপনি যে যে বিষয়ে আপনার মতামত দিয়েছেন আমি বোধহয় সবটারই কথা এখানে বলে গেছি । জী, অনেকেই ছবি কেনার ব্যাপারটিকে রিয়েল ষ্টেট ব্যবসার মতো মনে করেন । বছর ঘুরলেই দাম দশগুন ।
মনে রাখবেন , ছবি মানুষের হৃদয়কে উৎফুল্ল করলেও মূলতঃ এতো দাম দিয়ে কেনা ছবিগুলো আসলে বিলাসী এক বস্তু । আর এর যাদুটি হলো , এটা একটা বিক্রয় যোগ্য পণ্য । কেবলমাত্র ধনাঢ্য আর ক্ষমতাশালীরাই এর ক্রেতা । যারা সারাটি জীবন দৌঁড়ুচ্ছেন স্ট্যাটাস আর প্রেষ্টিজ এর পেছনে । গুটি কয়েকজন আছেন যারা শিল্পকে বা শিল্পীকে ভালোবেসে ছবি সংগ্রহ করেন আত্মতৃপ্তি পেতে । আর বাকীরা সব “টাকায় টাকা আনে” এ সূত্রটি ধরে রিয়েল এষ্টেট ব্যবসার মতো টাকা খাটাচ্ছেন এখানে । নেশার মতো তারা ছুটছেন টাকার পেছনে , “নাফা কেতনা হোগী ?” এরকম একটি হিসেব নিকেশ করে ।
লিখেছেন - পৃথিবীর অনেক অনেক বিখ্যাত শিল্পীর চিত্র আমি চর্ম চক্ষে দেখেছি। কিন্ত যেগুলো নিলামে উঠে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারে কেনা বেচা হয় সেই সব চিত্রকলা সত্যি আমাকে বিস্মিত করে।
এ প্রসঙ্গে আমি কারো উদ্ধৃতি দিয়ে পোষ্টে বলেছি - এইসব বিত্তশালীদের চারপাশটাতে ঘিরে থাকে কেবল- কোয়ালিটি । তারা তাদের চারপাশে এটা দেখতেই অভ্যস্ত । এই কোয়ালিটির নেশা কেন ছবির বেলাতে এসে মার খাবে ? তারা নিজের দখলে সেরা জিনিষটিই চান । সেটা হোকনা কেন তাদের বাড়ী, গাড়ী কিম্বা উড়োজাহাজ । ইট’স জাস্ট দ্য ওয়ে দে লিভ দেয়ার লাইভস ।
আমার মন্তব্যটিও একমাইল লম্বা হয়ে গেলো বলে আমিও দুঃখিত । মনের মতো একটি মন্তব্য পেয়ে জবাব দেয়ার এই অবস্থা ।
রাতের শুভেচ্ছা ।
৮| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১১
জুন বলেছেন: এত দাম দিয়ে ছবিগুলো কেনার পেছনে বড়লোকদের আত্মশ্লাঘাও একটা বিরাট ফ্যাক্টর । এই লাইনটি আগের কমেন্টে জুড়ে দিয়েন আহমেদ জী এস।
৯| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৪
জনাব মাহাবুব বলেছেন: কপোতাক্ষের তীরে এক অসামাজিক বলেছেন: খোজ নিয়ে দেখবেন, এই আকিয়েদের বেশিরভাগ মারা গেছেন, না খেয়ে, বিনা চিকিৎসায় চরম দারিদ্রতার মাঝে।
১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: জনাব মাহাবুব,
এটাই নিয়ম । এমোনকি এদের অনেকেরই রং-তুলি-ক্যানভাস কেনার পয়সাও থাকেনা । অনেকেরই আবার উল্টোটা ।
ধন্যবাদ আপনাকে ।
১০| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০৪
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
অসাম পোস্ট ||
১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২০
আহমেদ জী এস বলেছেন: ইমরাজ কবির মুন ,
দুই শব্দে অসাম একটি মন্তব্য !!!!
ধন্যবাদান্তে ।
১১| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৩
সোনালী ডানার চিল বলেছেন:
চমৎকার একটা পোস্ট; কিছু কিছু জানা ছিল, কিন্তু এত দারুণ একটা লেখা পড়ব ভাবিনি!!
প্রিয় তে রাখলাম আর আপনার জন্য খুব বড় একটা থ্যাংকস!!!
১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনালী ডানার চিল ,
লেখার সময় আবেগের সোনালী ডানায় ভেসে যাচ্ছিলাম বলে হয়তো লেখাটি আপনার কাছে দারুন লেগেছে ।
প্রিয়তে নেয়ার জন্যে কৃতজ্ঞ হয়ে রইলুম ।
খু্ব বড়সড়ো একটা ধন্যবাদ আপনাকে ও ।
সাথেই থাকুন.....
১২| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০২
রক্ত পলাশী বলেছেন: জানার বাইরেও আরও কিছু জানা হলো । ধন্যবাদ আপনাকে...
১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: রক্ত পলাশী ,
আমার সৌভাগ্য কিছু যে জানাতে পেরেছি ।
অনেক ভালো লাগলো মন্তব্য ।
ধন্যবাদ ।
১৩| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৯
ধূর্ত উঁই বলেছেন: দারুণ লিখেছেন ছবির চেয়ে আপনার লেখা বেশি ভাল লাগলো।প্রাণের ছুয়ে গেল। ভাল লাগার ছবির দাম এত হলে ভাললাগার মানুষটির কি মূল্য হওয়া উচিৎ?
১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০২
আহমেদ জী এস বলেছেন: ধূর্ত উঁই,
প্রান ছুঁয়ে গেল আপনার মন্তব্যটি ।
ভালোলাগার মানুষটির মূল্য ধরতে নেই ! এই জিনিষটি অমূল্য । দাম ধরতে গেলে উঁই পোকার মতো মানুষটিকে কুরে কুরে খেয়ে ফেলা হবে ।
সাথেই থাকুন । শুভেচ্ছান্তে ।
১৪| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৯
নুর ফ্য়জুর রেজা বলেছেন: বিশাল ব্যাপার-স্যাপার দেখি !! টাকার অংকটা দেখে মাথা ঘুরতেছে।
১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪০
আহমেদ জী এস বলেছেন: নুর ফ্য়জুর রেজা,
হুমমমমমম........ তাই-ই । মাথা ঘোরার ব্যাপার-স্যাপারই , ঘুরবেই ।
আপনার আমার ২২০০০ বছরের বেতনেও কুলোবেনা ।
১৫| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫১
অথৈ সাগর বলেছেন:
বেসম্ভব পোস্ট !
১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: অথৈ সাগর,
অথৈ সাগরের মতো বিশাল একটা বেসম্ভব ধন্যবাদ ..........
১৬| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৭
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট।
প্রিয়তে রেখে দিলাম, ভালমত পড়ব সময় করে।
১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০১
আহমেদ জী এস বলেছেন: প্রোফেসর শঙ্কু,
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি প্রিয়তে রাখার জন্যে ।
পড়ুন সময় নিয়ে , একদম খারাপ লাগবেনা । আর সাথেও থাকুন ।
শুভেচ্ছান্তে ।
১৭| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২২
রাবেয়া রব্বানি বলেছেন: এবক্সট্রাক্ট বুঝিনা বলেই ভালো লাগে নাই।
১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১০
আহমেদ জী এস বলেছেন: রাবেয়া রব্বানি,
ভালো লাগার কোন্ও কারন নেই । বিমূর্ত বলে কথা ! আগেই তো লেখার মধ্যে বলেছি, এই বিমূর্ত ছবিগুলোর এক একটির দাম শুনলেই আপনার মুখের চেহারা যা হবে তাকেও বিমূর্ত অভিব্যক্তিবাদ বললে খুব একটা দোষের কিছু হবার কথা নয় !
বোঝা তো ...দিল্লী হনুজ দুর অস্ত......
কানে কানে বলি ----- আমিও বুঝি নাই ।
১৮| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫২
মুরশীদ বলেছেন: দামী দামী চিত্রকলা নিয়ে আপনার সুদীর্ঘ বিশ্লেষনাত্নক পোস্ট পড়ে শেষ করেছি খানিক আগেই। কিন্ত টাইপিষ্টের সময় হচ্ছিল না নানা কারনে।
আপনাকে প্রথমেই অভিনন্দন জানাই। এত ব্যাস্ততার মাঝেও আপনি এতটা পরিশ্রম করে আমাদের জানার জন্য এই সুখপাঠ্য লেখাগুলোর সময় বের করেন ? সত্যি শ্রদ্ধা জাগায় আপনার এই চেষ্টা।
আমার স্ত্রীর মত আমারো অনেক আর্ট গ্যালারী দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। বরং তার চেয়ে কিছু বেশি। আমিও অবাক হয়েছি যখন শুনেছি কিছু কিছু ছবির অস্বাভাবিক মুল্য। আমিও বোঝার চেষ্টা করেছি এর পেছনের কারনটা কি?
কিছুটা টিভি দেখে কিছুটা এই বিষয়ে পড়াশোনা করে আর কিছুটা স্ত্রীর কল্যানে একটু ধারনা হয়েছিল। এখন আপনার পোষ্টের কল্যানে পুরোটাই ক্লিয়ার হলো।
আপনার সাথে আমিও একমত পোষন করছি যে বিলিয়নিয়ার যারা এসব কিনে থাকেন কোটি কোটি ডলার দিয়ে তাদের কাছে এই ছবিগুলি সৌন্দর্যের চেয়েও ব্যাবসায়িক মুল্যই বেশী ।
ধন্যবাদ
১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: মুরশীদ,
সুখপাঠ্য ? তাই কি ? ব্যস্ততার মাঝে এতো দীর্ঘ লেখাটি পড়া বেশ কষ্টসাধ্য হয়েছে আপনার , বুঝতে পারছি ।
আপনি ও অনেক সৌভাগ্যবান এই জন্যে যে, আপাত নিরীহ ছবিগুলোর মাঝে যে ডলারের সুনামী ছয়লাবের অপেক্ষায় সুপ্ত থাকে সেসব ছবি দেখেছেন নিজ চোখে । খুব অবাক লাগে তাই না ? কি সহজেই মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খসে যায় পকেট থেকে , হয় ইগোর কারনে নয় তো " নাফা"র আশায় ।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে । সাথেই থাকুন আগামী পর্বগুলোতে ।
শুভেচ্ছান্তে ।
১৯| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৭
এহসান সাবির বলেছেন: চমৎকার। পরবর্তি পর্বের জন্য অপেক্ষা....
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫২
আহমেদ জী এস বলেছেন: এহসান সাবির ,
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ।
ভালো লাগলো সাথে থাকছেন বলে ।
২০| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৯
রাজীব বলেছেন: আমার মনে হয় চিত্রকলা নয়, নিলামে জিতাটাই আসল।
একবার ভাবুনতো, ছবি ছাড়া আর কোন কোন সৌখিন জিনিসের নিলাম হয়??
যদি কোন বিলিওনিয়ার তার টাকার গরম দেখাতে চায় ও অন্যন্য ধনীদেরকে হারাতে চায় আর কোথায় হারাতে পারে??
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: রাজীব,
সে কথাই তো বলেছি আমি এখানে । জেতাটাই আসল । কে জিততে চায় না বলুন ?
ছবি ছাড়াও অনেক সৌখিন জিনিসের নিলাম হয় । যেমন এই ব্লগ পাতার উপরে বিজ্ঞাপন দেখছেন না , বিক্রয় ডটকম ? গিটার টি আর বাজাচ্ছেন না ? বেচে দিন ......
বিলিওনিয়ার তার টাকার গরম দেখাতে চাইলে তা নারীতে , উড়োজাহাজে কিম্বা নিদেন পক্ষে ক্যাসিনোতে দেখাতে পারে । দেখায় ও......
শুভেচ্ছান্তে ।
২১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৬
গৃহ বন্দিনী বলেছেন: বড় পোষ্ট পড়তে খুব আলসেমি লাগে । ভাইয়া আপনার ফিচারের টপিক গুলো দারুন হয় , লেখার ঢং টাও দারুন । প্লিজ একটু ছোট ছোট করে পোষ্ট গুলা দিয়েন এর পর থেকে ।
আপাতত কপি করে রাখলাম সময় করে পড়ব ।
আপনার আঁকা উপরের ছবিটা বাঁধাই ড্রয়িং রুমে সাজায় রাখতে পারলে ভাল হত। এই রকম রঙ্গিন ছবি রুম রাখলে রুমের কালার অনেক উজ্জল দেখায়।
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩০
আহমেদ জী এস বলেছেন: গৃহ বন্দিনী,
লেখাটিকে গৃহ বন্দী করেছেন শুনে ভালো লাগলো । সময় করে বন্দীদশা থেকে মুক্তি দিয়ে চোখ বোলালে খুশি হবো ।
আমার ছবিটিকেও গৃহ বন্দী করতে চান ? ভালো !!! কিন্তু বেশি নয়, মাত্র এক মিলিয়ন ডলার দেবেন তো ? ( হা...হা..হা ...)
শুভেচ্ছান্তে ।
২২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১৫
ড. জেকিল বলেছেন: অনেক কথাই মনে ধরেছে।
আমার তো জয়নুলের ছবিই বেশি ভালো লাগে, কিংবা ভিঞ্চি। মোটের উপর, যেসব ছবিতে বেশি ডিটেইলস থাকে সেসব। কোন বস্তু একেবারে নিখুঁত, বাস্তবের মতো হলে বেশি পছন্দ হয়। ছবি নিয়ে বেশি কিছু বুঝিনাতো তাই। দর্শক হিসেবে যেটুকু মনে হয়, সেটুকুই প্রকাশ করলাম।
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০২
আহমেদ জী এস বলেছেন: ড. জেকিল,
বোঝা গেলো আপনার রিয়েলিষ্টিক ছবি পছন্দ । অনেকরই তাই ।
আপনার জন্যে তাই এই লিংকগুলো দিলুম, ভালো লাগতে পারে -
Click This Link
Click This Link
শুভেচ্ছান্তে ।
২৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪৭
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
দুইটা পড়েই মাথা ঘুরতে আছে। প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম পরে পড়তে হবে
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০২
আহমেদ জী এস বলেছেন: স্নিগ্ধ শোভন,
মাথা কি এখোনও ঘুরছে ? তাহলে থাক , পরেই পড়ুন । কিন্তু ভুলে যাবেন না যেন !
কৃতজ্ঞতা এবং শুভেচ্ছা দু'টোই .......
২৪| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৫৮
লিন্কিন পার্ক বলেছেন:
কিছু কিছু ছবির দাম কেন অস্বাভাবিক বেশি তা আজও বুঝতে পারলাম না ! সত্যিকার অর্থে আমায় মাথায় ঢুকে নাহ
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: লিন্কিন পার্ক ,
কি বলবো বলুন ! মূল্য কেন চড়া হয় তা তো অনেকটাই খোলাসা করে বলেছি এখানে , তারপরেও মাথায় ঢুকছেনা ?
তাহলে এই লাইন ক'টি লিখে খুব খারাপ কিছু একটা বলে ফেলিনি - কেবল ভিরমি খেতে হলে আসুন - যে ছবিগুলোতে “মানি হ্যাজ নাথিং টু ডু...” এমোন একটা ব্যাপার জড়িয়ে আছে, তাদের একনজর দেখে আসি ।
২৫| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:১৫
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: পোষ্ট নিয়ে কি বলবো আগেই অনেকে অনেক কিছু বলে ফেলেছেন !
ছবিগুলোর শিল্পগুণ এবং অন্তর্নিহিত তাৎপর্য ! আর দাম !
ওফফ মাথা ঘুরায় ! আসলেই বেসম্ভব পোষ্ট !
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১০
আহমেদ জী এস বলেছেন: স্বপ্নবাজ অভি ,
আসলেই বেসম্ভব পোষ্ট !
ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন........
২৬| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: ছবির দামের পেছনের রহস্য জানতে পারলাম। বেশ রোমাঞ্চকর ব্যাপার।
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান মাহবুব,
রোমাঞ্চকর নয় রহস্যময় !
ইগো আর টাকার ঝংঝনাৎ , আর্ট ডিলারদের গাঁট কাটার কেরামতি , ছবির পেছনের ছবি , শিল্পীর আক্কেল-জ্ঞান এইসব মিলিয়ে আসলেই বেশ রহস্যময় ।
২৭| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩২
বশর সিদ্দিকী বলেছেন: দামের পিছনের রহস্য জানাতে পেরে ভাল লাগল। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২০
আহমেদ জী এস বলেছেন: bashor_17,
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে ।
২৮| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪২
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আবারো প্রিয় পোস্টের সিরিজ আসলো আপনার হাতে। ভালো লেগেছে ছবির পেছনের ব্যাপার গুলো জানতে , সে হিসেবে আপনার আইডিয়াতে ছবি আঁকার ধরণ এর কথা পড়ে মজাও পেয়েছি, শেষের দিকে এসে যা বলেছেন।
কার্ড খেলার ছবি গুলোতে বিস্তারিত না বললে তো বুঝতেও পারতাম না এতো কিছু। প্রথম ছবিতেই যে একটা কালো মদের বোতল আছে সেটাও হয়তো চোখেই পড়ত না।
প্রিয়তে নিলাম। সুপ্রভাত।
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: অপর্ণা মম্ময়,
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য আর লেখাটি প্রিয়তে নেয়ার জন্যে ।
আমি চেষ্টা করেছি আমার সম্মানিত পাঠকবৃন্দ যাতে ছবির রসটি আস্বাদ করে উঠতে পারেন সহজেই ।
আমার আইডিয়াতে ছবি আঁকলে বিমূর্ত অভিব্যক্তিবাদের ভালো একজন শিল্পী হয়ে উঠতে পারবেন সহজেই । এই আইডিয়া বাবদ কনসাল্টিং কিছু .......
শুভ সন্ধ্যা ।
২৯| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪০
বোকামন বলেছেন:
মন্তব্য করা সম্ভব হচ্ছে না ...
প্লাস রেখে গেলুম, পোস্টটি সময় নিয়ে পড়েছি ...
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: বোকামন,
"মন্তব্য করা সম্ভব হচ্ছে না ..." দুর্বোধ্য কিছু ?
"প্লাস রেখে গেলুম ...." , আমিও ধন্যবাদ জানিয়ে রাখলুম ।
শুভেচ্ছান্তে ।
৩০| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৩
সুস্মিতা গুপ্তা বলেছেন: ছবির পিছনে এত কাহিনি ?? সত্যি আপনার এই বিষয়ে লেখা পোস্টগুলি না পড়লে এসব জানাই হতোনা আহমেদ জি এস।
মন্তব্যের ঘরে দেখে ভালো করে খুটিয়ে দেখলাম পয়লা ছবিটা আপনার আকা। আপনিতো দারুন ছবি আকেন । আরেকটু হলেই বিভ্রান্ত হয়ে যাচ্ছিলাম।
অসাধারন আপনার এক একটি পোস্ট। প্রিয়তে নিয়ে গেলাম
++++্
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২০
আহমেদ জী এস বলেছেন: সুস্মিতা গুপ্ত
ভালো লাগলো লেখাটিতে আপনার প্লাস দেয়া আর প্রিয়তে নিয়ে রাখার কথায় । কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি সবিনয়ে ।
আর আমাকে বেহুদা জাতে তুলতে চেষ্টা করছেন । আমি হলুম বটতলার "আটিস" । মনের সুখে যা মনে হয় তাই আঁকি । তবে বিমূর্ততার দিকে ঝোঁকটা বেশী । কারন এখানে শিল্পী যা বোঝাতে চান দর্শক তার চেয়ে বেশি কিছু দেখতে পান , নিজেদের মনের মাধুরী মিশিয়ে দেখেন । এতে শিল্পীর নাম ফাঁটে ... তাই !!!!
৩১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৯
লালপরী বলেছেন: কিছুদিন আগে একটা গান শুনেছিলাম দুইটা লাইনই মনে আছে
ছবি যেন শুধু ছবি নয়,
আজ শুধু তাই মনে হয়.।।
আপনার এই লেখা পরে সেই গানের কথা মনে হলো। কত কিছু জরানো এক ছবির পিছনে।
আজ আপনার দু একটা ছোট গল্প পড়লাম। জেসাস রিবর্ন, কুত্তা আর আয়না ।জনাব আহমেদ জি এস আপনার গল্প পরে মনে হচ্ছে আপনি সামহোয়ার ইন ব্লগের এক অলংকার।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: লালপরী
আপনার এই আন্তরিক মন্তব্যটিও আমার পোষ্টের অলঙ্কার হয়ে রইলো ।
নিজেকে " সামহোয়ার সামওয়ান " বলে আর মনে হচ্ছেনা ! যেন আপনাদের কাছের হয়ে উঠছি । আপনার দেয়া এই সম্মানটুকু যেন আমি বাঁচিয়ে রাখতে পারি !
শুভেচ্ছান্তে । সাথেই থাকুন..........
৩২| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: সাম্প্রতিক সময়ে যে সামুতে যে অল্প কিছু ভালো ফিচার বা সামগ্রিক বিবেচনায় পোষ্ট প্রকাশিত হচ্ছে, তার মধ্যে আপনার এই সিরিজটি অন্যতম। এর প্রতিটি পর্বই প্রিয়তে রাখার মত।
এই বিষয়গুলো আমার বেশ আগ্রহ। তাই হয়ত ভালোলাগাটাও বেশি!!
ভালো থাকবেন, শুভেচ্ছা রইল।
২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: কাল্পনিক_ভালোবাসা,
অনেক ভালো লাগা আপনার অকৃত্রিম মন্তব্যে ।
ছবি ভালোবাসেন বোঝা গেলো । এটুকুকে ধরে রাখবেন চিরকাল ।
আপনাকেও শুভেচ্ছা ।
৩৩| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আহমেদ ভাই এটা কী পোস্ট পড়লাম?
এইখানে অনেক কথা হড়বড় করে বলতেই হবে।
এই পোস্টে আপনি নিজেই মাস্টার। নিজেই নিয়ন্ত্রক। কখনো খেলো করে আনছেন ঘটনাকে, কখনো শিল্পের সমাদর শিখাচ্ছেন তো কখনো টাকা ও শিল্পবোধের সমালোচনা করছেন... এটা কী লিখলেন?
প্রিয়তে তো অবশ্যই।
আজ পর্যন্ত কোন সংক্ষিপ্ত লেখা এমনভাবে শিল্পের প্রতি আগ্রহী করেনি।
অবশ্যই, টাকা থাকলে আমি সিডর আক্রান্তদের জন্য, পৃথিবীর ভালর জন্য কিছু না কিছু করতাম এবং অবশ্যই এই কার্ড খেলার ছবিটা বা ওই নম্বর ফাইভ ছবিটা বা গগ-পিকাসো-রবীন্দ্র-শিল্পাচার্য-হুমায়ূন-হুসেইন-এবং আরো আরো অনেকের ছবি কিনতেই থাকতাম, কিনতেই থাকতাম, তাতে যত লক্ষ কোটিই খরচ হোক না কেন!
আর একটা মারাত্মক উপকার করেছেন, নিজেকে ঢেলে দেয়ার একটা ক্ষেত্র নতুন করে চিনিয়ে দিয়েছেন। ইজেল-ব্রাশ কিনছি, দাঁড়ান। নিজের জন্য। রঙ নিয়ে খেলার জন্য। টাকা পয়সা হাতে আসুক আগে।
সব দোষ আপনার।
(বিখ্যাত হওয়ার শখ কিন্তু হয়নাই, যে চরম শূণ্যতার অনুভূতি হয় একটা মহান ছবি আঁকার সময়, সেটা ধারণ করার শখ হয়েছে।)
২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: গোলাম দস্তগীর লিসানি,
লিসানি, আপনার হড়বড় করে বলা কথার ভেতরের মাধুর্য্যটুকু আমাকে "লিসেন" করতে বাধ্য করলো আপনার সব কথা। হ্যাঁ, আমি লিখতে চেষ্টা করছি নিজের মতো করেই । নিজে যেমোনটা বুঝেছি তেমনি করে সহজ আলাপীয়া ঢংয়ে আপনাদের সাথে নিজের কথাই বলে গেছি । দেখলুম, আপনি এর রসবোধটুকু গোগ্রাসে গিলেছেন ।
এ দোষ আমারই !
এই দোষের নাগর দোলায় চড়ে যদি একজনও বুকের ভেতরে শিল্পের জন্যে গড়ে ওঠা শূন্যতার তুমুল বাতাসে ভেসে যান , তবে এমোন দোষ আমি করতে চাই হাযার বার ।
লিখেছেন - " টাকা থাকলে আমি সিডর আক্রান্তদের জন্য, পৃথিবীর ভালর জন্য কিছু না কিছু করতাম এবং .................................অনেকের ছবি কিনতেই থাকতাম, কিনতেই থাকতাম, তাতে যত লক্ষ কোটিই খরচ হোক না কেন!"
আরো লিখেছেন - "যে চরম শূণ্যতার অনুভূতি হয় একটা মহান ছবি আঁকার সময়, সেটা ধারণ করার শখ হয়েছে।"
প্রার্থনা করি - ছবি আঁকার যে আনন্দ , যে অনুভূতি তা ছাপিয়ে যেন মানুষের জন্য ভালোবাসার ছবি, আপনার নতুন কেনা রঙ-তুলির ছোঁয়ায় খেলা না হয়ে জীবন্ত হয়ে ওঠে ।
( আঁকুন । নিজের ভেতরে ডুবে যেতে এর চে' নীলসমুদ্র আর নেই । )
কোটি কোটি ধন্যবাদ আপনাকে ।
ভালো থাকুন আর শুভেচ্ছান্তে ।
৩৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০৭
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আহমেদ ভাই, প্রথম ছবিটা আপনার আঁকা, প্রোপিকের ছবিটাও তাহলে আপনার আঁকা!
অভিনন্দন। শিল্পীমানুষের সাথে পরিচয় হল।
২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১১
আহমেদ জী এস বলেছেন: গোলাম দস্তগীর লিসানি ,
সবটাই ঠিক বলেছেন তবে আমার ছবি আঁকার ব্যাকরন জ্ঞান নেই মোটেও । বকলম ।
আপনার সুবিধের জন্যে এই লিঙকটি দিলুম । দেখতে পারেন -
Click This Link
৩৫| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫১
শাহেদ খান বলেছেন: আবারও চমৎকার একটা পোস্ট ! এবং আপনার কাছ থেকে ব্যাপারটা রীতিমত প্রত্যাশিত হয়ে দাড়াচ্ছে !
অনেক শুভকামনা, আহমেদ ভাই !
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:২৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: শাহেদ খান,
সবটুকু ঠিক সময়ে পোষ্ট করতে পারিনি বিশেষ সঙ্গত কারনে । আর আপনার মন্তব্যের উত্তরও ।
সময় আমার কাছে বিপ্রতীপ হয়ে ছিলো কিছুদিন । আবার ফিরেছি ঘরে ।
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ । আপনাদের প্রত্যাশাটুকু যেন আমি ভরিয়ে তুলতে পারি সে চেষ্টা করবো ।
ভালো থাকুন ।
৩৬| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪২
উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: চমৎকার উৎকৃষ্ট মানের পোস্ট। প্লাস সহ প্রিয়তে।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৩১
আহমেদ জী এস বলেছেন: উৎকৃষ্টতম বন্ধু,
দুঃখিত, বেশ দেরী হয়ে গেছে উত্তর দিতে । একটা বৈরী সময় পার হতে হয়েছে আমাকে , তাই ।
প্রিয়তে নেয়ার জন্যে কৃতজ্ঞ হয়ে রইলুম ।
রাতের শুভেচ্ছা ।
৩৭| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:০২
সোহানী বলেছেন: ঠিক তাই আমার মত। আর আপনার বিমূর্ত ছবি আকাঁর কৈাশল কিন্তু দারুন....... আর অনেক ধন্যবাদ চমৎকার পোস্টের জন্য।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৫৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী ,
বিনে পয়সায় বিমূর্ত ছবি আঁকার কৌশল তো শিখে গেলেন শুধু ধন্যবাদের বিনিময়ে কিন্তু আমার কন্সালটেন্সী ফি এর কি হবে ?
অনুগ্রহ করে লেখাটি পড়েছেন দেখে ভালো লাগলো ।
ভালো থাকুন আর শুভেচ্ছা ।
৩৮| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৫৯
একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
লাস্ট টা ছাড়া একটাও ভ্যালা লাগে নাই
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:২৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: একজন ঘূণপোকা ,
দুঃখিত , এ হয়তো আমারই ব্যর্থতা বাকীগুলো ভালো লাগাতে পারিনি বলে ।
বলুন , একজন মানুষ কতোজনকেই বা ভালো লাগাতে পারে !
নিজ গুনে ক্ষমা করে দেবেন এই অক্ষমতা । দেবেন তো ?
ভালো থাকুন ।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৮
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: খুব ভালো পোষ্ট। +।