নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পুরোপুরি একজন অতি সাধারন মানুষ । আমি যা আমি তাই ই । শয়তানও নই কিম্বা ফেরেশতা । একজন মানুষ আপনারই মতো দু'টো হাত, চোখ আর নিটোল একটা হৃদয় নিয়ে আপনারই মতো একজন মানুষ । প্রচন্ড রকমের রোমান্টিক আবার একই সাথে জঘন্য রকমের বাস্তববাদী...
[ পূর্বকথাঃ স্বাধীনতার মাস। মাসটি এলেই স্বাধীনতার প্রসঙ্গ নিয়ে অনেক পুরোনো কথাই আবার নতুন করে সামনে আনা হয়। যে যার ধারনা থেকে কিছু প্রশ্ন তোলেন। কিন্তু অনেকেই মনে হয় প্রশ্নগুলি বা তার উত্তর যৌক্তিক সম্ভাবনা থেকে বিশ্লেষণ করে দেখেন না। ]
অনেককেই দেখি, দেশের স্বাধীনতার ঘোষনাটি ৭১ এর মার্চেই শেখ মুজিব কেন দেননি তা নিয়ে শেখ মুজিবের হঠকারীতা -অস্পষ্টতা - ক্ষমতার লোভ ইত্যাদি নিয়ে বাহাস করেন বীরদর্পে। আমার ধারনা, তাদের মগজে বুদ্ধির ঘাটতির সাথে সাথে অংক কষার ক্ষমতারও ঘাটতি রয়েছে। যুক্তির বদলে নিজ নিজ আবেগটাকেই তারা শেষ কথা বলে জাহির করতে চেয়েছেন। যার বেশীর ভাগই “ইনডিউসড” বা “ বায়াসড কনসেপশান”।
যারা এমন বাহাস করে শেখ মুজিবকে খাটো করতে চান তাদেরকে বলি-ইতিহাসের সমস্ত প্রেক্ষাপট ভালো করে একবার বিচার করে দেখুন।
যদি শেখ মুজিব সরাসরি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষনা করতেন তবে তিনি পাকিস্তান কেন, সকল বিশ্ববাসীর কাছে রাষ্ট্রদ্রোহী হিসেবে বিবেচিত হতেন একবাক্যে। সব দোষ পড়তো তারই ঘাড়ে। বাংলাদেশের মানুষের প্রতি বিশ্ববাসীর সমর্থন থাকতোনা মোটেও। সবাই পাকিস্তানের পক্ষে থেকে যেতো কারন তখনও পূর্ব পাকিস্তান যা পাকিস্তানেরই এ্কটি অংশ সেখানে রাজনৈতিক সংকট ছাড়া গনহত্যার মতো কোন ঘটনা ঘটেনি, বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবার মতো কিছু হয়নি। ভোটের রায় কার ভাগে কতোটুকু যাবে এটা নিয়ে টানাহেচড়া হচ্ছে, এই আর কি! সেখানে বিচ্ছিন্ন হতে চাওয়া সরাসরি ক্ষমার অযোগ্য ধৃষ্টতা বলেই দেখতো সবাই। বিশ্ব বলতো, যে সংকট টেবিলে বসে সমাধান করা যেত সেখানে স্বাধীনতার ঘোষনা সর্বোচ্য রাষ্ট্রদ্রোহীতা-ই।
এখন অনেকে বলতেই পারেন , টেবিলে বসেও তো সংকটের সমাধান হয়নি। তাদের কে বলি- মনে করুন আপনি কেউ একজনের সাথে কোনও রেষ্টুরেন্ট বা কলেজ ক্যান্টিনের টেবিলে বসে কোনও বিষয় নিয়ে তুমুল বাকবিতন্ডায় লিপ্ত। আশেপাশের লোকজন আপনাদের ঝগড়া দেখছে। আপনার কথা ন্যায্য হলেও অন্যজন কিছুতেই তা মেনে নিচ্ছেনা। এখন রাগ করে ভরা মাহফিলে আপনি প্রতিপক্ষের গালে ঠাস করে একটি চড় মেরে বসলেন। কি হবে? লোকজন আপনার পক্ষ নেবে, না আপনাকেই দোষী সাব্যস্ত করবে? আপনিই দোষী হবেন সবার চোখে। সবাই বলবে, আপনি কেন আগে ঐ লোকের গায়ে হাত তুললেন? এরকম ঘটনা আপনারা প্রায়ই দেখে থাকেন, অংশ নিয়েও থাকেন। শত যৌক্তিকতা সত্ত্বেও একজন রিকশাওয়ালার গায়ে আপনি আগে হাত তুলেছেন কি পাবলিক আপনাকে নিয়েই পড়বে। রিকসাওয়ালার পক্ষে চলে যাবে সবাই। ( উদাহরণটি মনে রাখুন)
আর স্বাধীনতার ব্যাপারটি রাস্তাঘাটের কোন মামুলী সমস্যা নয়, সমস্যা একটি জাতির। সেখানে স্বাধীনতা ঘোষনা করার মতো মাথাগরম সিদ্ধান্ত নিলে সারা পৃথিবী আপনার বিপক্ষে চলে যেতো। যদিও সে সময় আপামর মানুষের মনের বাসনাটি ছিলো-“স্বাধীনতা ঘোষনা”। তাই-ই যদি হতো তবে আজকে আপনি একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক বলে গর্ব করতে পারতেন না। সারা জীবন আপনাকে পাকিস্তানের গোলামী করে যেতে হতো। সবাই বলতো - তুমিতো ভোটে জিতেছোই তবে স্বাধীনতা ঘোষনা করলে কেন? দোষটা তো তোমারই! পাকিস্তান ইজ কারেক্ট.....................
“ পারফেক্ট ডিফেন্স ইজ দ্য বেষ্ট অফেন্স” এই পথটাই শেখ মুজিব বেছে নিয়েছিলেন তখন। সমগ্র পরিস্থিতি বুঝেই ছাত্রনেতাদের চাপের মুখে থেকেও ৭ই মার্চের ভাষনে তাই তিনি বলেছেন --“ আমি যদি হুকুম দেবার না ও পারি, তোমরা তোমাদের যা কিছু আছে ...........”।
বলেছেন - “এবারের সংগ্রাম. স্বাধীনতার সংগ্রাম।”
এই কথা বলার পরে ইনফর্মাল স্বাধীনতা ঘোষনার আর কিছু বাকী থাকে কি? সরাসরি বা স্বাধীনতার ফর্মাল ঘোষনা দেয়ার মতো আহাম্মকী না করেই বিশ্ববাসীর সহানুভূতি বাংলাদেশের মানুষের পক্ষে নিয়ে এসেছেন তিনি। পাকিস্তানকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ না ছুঁড়েই স্বাধীনতার বিষয়ে যা বলার তা ইঙ্গিতেই বলেছেন, কি করতে হবে বলেছেন তাও। পাকিম্তানকে দ্বিধায় ফেলে দিয়েছেন।
এটাই তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা।
এ কারনেই বাংলাদেশের মানুষের উপরে প্রথমেই পাকিস্তানীদের বন্দুক নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়াটাকে অনেক দেশই মেনে নিতে পারেনি। কোনও দোষ ( সরাসরি স্বাধীনতার কথা) না করা নিরীহ বাঙালীদের উপড় মেশিনগানের গুলি ছোঁড়াটাকে মানবাধিকার লঙ্ঘন - জেনোসাইড বলে সোচ্চার হয়েছে বিশ্ব। মনে রাখতে হবে, এর পরেও কিন্তু বাঙালীকে বেগ পেতে হয়েছে অনেক। পাকিস্তানকে নিজেদের স্বার্থে টিকিয়ে রাখতে ক্ষমতাধর দু-তিনটি রাষ্ট্র পাকিস্তানকেই সাপোর্ট দিয়ে গেছে সারা বিশ্ববাসীর বিপক্ষে দাঁড়িয়ে। সপ্তম নৌ-বহর পাঠানো হয়েছে। চীন হুমকি দিয়েছে ভারতকে। দোষ না করেও যদি এই হয়, দোষ করলে যে কি হতো; এটা কি যারা শেখ মুজিবের ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেন তারা কখনও ভেবে দেখেছেন কি ? আমরা প্রথমেই অফেন্সিভ হই নি বলেই ভারতের পক্ষে আমাদের জন্যে সারা বিশ্বের সমর্থন আদায় করা সহজ হয়েছে। প্রথম বুলেটটি পাকিস্তান ছোঁড়ায় সারা বিশ্ব পাকিস্তানের নিন্দা করেছে। প্রথমেই অফেন্সিভ হয়ে হামলে পড়লে আমরা কি কারো সমর্থন পেতাম ? ভারতের পক্ষে তখন আমাদের জন্যে সমর্থন আদায় ইন্ধিরাজীর জন্যে রাজনৈতিক আত্মহত্যা হোত। ভারত জড়াতো না কিছুতেই। আমরা পাকিস্তানী মিলিটারীর বুটের তলাতেই থাকতাম।
ভেবে দেখুন তো, কুয়েতের পক্ষ থেকে কোনও আগ্রাসন বা অফেন্সিভ ছাড়াই কুয়েত দখল করে ইরাক কি বিশ্বের সমর্থন আদায় করতে পেরেছিলো ? নাকি নিন্দা ? এমন কি আপনিও ইরাকের কুয়েত দখলের বিরূদ্ধে সোচ্চার ছিলেন সে সময়। আবার সেই ইরাককেই প্রথম আক্রমন করে আমেরিকা কি হাততালি পেয়েছে শেষ পর্যন্ত ? আবার ভারতের দিকে দেখুন, “গো-রক্ষা” সমিতি কোনও উস্কানী ছাড়াই নিরীহ মুসলমানদের উপরে নির্যাতন চালিয়ে সে দেশের বুদ্ধিজীবি থেকে শুরু করে সকল ধর্মের সাধারন মানুষদেরও বিরাগভাজন হয়ে পড়েছে তো বটেই বিশ্ববিবেকও তাদের ছেড়ে কথা কইছেনা।। তাতে ভারত সরকারকেও পড়তে হয়েছে বিব্রতকর অবস্থায়।
এগুলো হলো বৈশ্বিক বাস্তবতা।
শেখ মুজিব জানতেন, বোমার সলতেয় আগুন যখন লাগানো হয়েছেই তখন বোমাটি ফাঁটবেই একসময়। সেকারনেই তার বলা ---“ আমি যদি হুকুম দেবার না ও পারি.....”। যিনি এতোকিছু পেরেছেন তিনি কেন আর একটা হুকুম দিতে পারবেন না? এ হলো তাঁর দূরদর্শিতা।
স্কুল জীবনে ক্লাসে বসে আপনি যেমন পেছন থেকে কারো মাথায় চাঁটি মেরে নিরীহ মুখে বসে থেকেছেন যেন আপনি কিছুই জানেন না, এটাও অনেকটা তেমনই। চাঁটি মারা তো হয়েই গেছে, মাথায় ব্যথাও লেগেছে; আপনার উদ্দেশ্যটি পুরন হয়েছে। যদি জানান দিয়ে ঘটনাটি ঘটাতেন তবে ক্লাসটিচারের বেতের বাড়ি একটাও মাটিতে পড়তোনা!
যারা যারা শেখ মুজিবের তখনকার ভূমিকাকে দোষনীয় ধরে বসে আছেন তাদেরকে উপরের উদাহরণগুলো স্মরণ করিয়ে বলতে চাই - ৭১ এর আগ থেকে রাজনৈতিক গতিধারা পর্যালোচনা করে দেখুন, তারপরে বলুন কোন পথটি সঠিক ছিলো। সরাসরি স্বাধীনতা ঘোষনা করা ? যেখানে পাকিস্তানীরা বাঙালীদের পাখির মতো গুলি করে মারার লাইসেন্স নির্বিধায় পেয়ে যেতো রাষ্ট্রীয় ভাবেই, তা? নাকি, স্বাধীনতার ঘোষনা না দিয়েই বিশ্বের সমর্থনে রক্তপাত কমিয়ে যৌক্তিক ভাবেই স্বাধীনতা লাভ করা ?
কেউ কেউ আবার শেখ মুজিব স্বাধীনতা ঘোষনা না করেই যে বাংলাদেশের মানুষকে অরক্ষিত রেখে নিরস্ত্র বাঙালীকে মেশিনগানের সামনে ঠেলে দিয়েছেন, তাও বলেন। ভেবে দেখুন তো, স্বাধীনতা ঘোষনা করলেই কি পাকিস্তানীরা সুড়সুড় করে মেশিনগান বগলে নিয়ে ক্যান্টনমেন্টে গিয়ে সুখনিদ্রা যেতো? এমনটাই যদি আপনার ভাবনা হয়, বুঝতে হবে আপনার মাথায় কোথাও ঘিলু কম আছে। তখন বৈধভাবেই পাকিস্তানীরা গণহত্যা চালিয়ে যেতো বীরবিক্রমে। ত্রিশ লাখের সংখ্যটা কোটি ছাড়িয়ে যেতো। আপনিও সেখানে একটি সংখ্যা হতে পারতেন। স্বাধীনতার ঘোষনা না দেয়ায় সে বৈধতা পাকিস্তানীরা পায়নি বলেই রয়ে সয়ে গণহত্যা চালিয়ে গেছে গোপনে গোপনে। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের যেমন ঘোষনা দিয়েই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ কোনও অনুকম্পা ছাড়াই গুলিতে ঝাঝরা করে , আভ্যন্তরীন ব্যাপার বলে কিছু বলার থাকেনা বাইরের কারোই তেমনি করতো পাকিস্তানীরাও।
এটা আমাদের জন্যে সুখকর হোত কিনা! একটি রেগুলার সেনাবাহিনীর বিরূদ্ধে স্বল্প সময়ে যুদ্ধ প্রস্তুতি নেবার মতো সামর্থ্য কি বাংলাদেশের ছিলো? যারা এর প্রবক্তা তারা আবেগের জোশেই মনে হয় এমনটা বলেন, বুদ্ধিতে ধার দিয়ে নয়। এমন পরিস্থিতিতে ঢালু মাঠে বলটি গড়িয়ে যেতে দেয়াই বুদ্ধিমানের কাজ ছিলো। শেখ মুজিব সেটাই করেছেন মনে হয়।
এখানে অনেকেই জেনারেল জিয়াকে টেনে আনেন, ত্রানকর্তা হিসেবে। বলেন যে , জিয়া না হলে মানুষ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তোনা। যারা এমনটা বলেন তাদেরকে বলি- শুকনো আকাশ থেকে বৃষ্টি হয়না, আমি-আপনি বললেই মেঘশূন্য আকাশে মেঘ জমেনা। বৃষ্টি হতে হলে আগে বাতাসের, মাটির তাপমাত্রা বাড়তে হয়, তাপমাত্রা বেড়ে গেলে নদনদী-সাগরের পানি জলীয় বাষ্প হয়ে উপরে উঠে যেতে হয়। সেই বাষ্প বায়ুস্তরের ধূলোবালির সাথে মিশে মেঘ হয়। এগুলো আপনার ছেলেবেলার পাঠ্যপুস্তকের পাঠ।
আবার মেঘ হলেই বৃষ্টি হবে এমন কোনও কথা নেই। মেঘের যখন আর জলীয়বাষ্প ধরে রাখার শক্তি থাকবেনা অথবা মেঘের ভেতরে থাকা জলীয়বাষ্পের ওজন যখন মেঘের তুলনায় বেশি হয়ে যাবে তখন মেঘেরা না চাইলেও সেই জলীয়বাষ্প বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়বে। এতোকিছু ঘটতে হবে আগে তবেই বৃষ্টি হবে।
তেমনি আপনি চাইলেন আর অমনি মানুষ দলে দলে পথে নেমে এলো, এটা যদি সত্যি বলে ভেবে থাকেন তবে আপনাকে বলি, আপনি এই করোনা ক্রান্তিকালে মাইক ফুঁকিয়ে সবাইকে ঘরে থাকতে বলেন। কারন এটাও তো আরেক ধরনের মৃত্যুর বিপক্ষে যুদ্ধ। দেখেন আপনার এলাকারই কে কে থাকে , কতোজন থাকে ঘরে ! যদি পারেন তবে তা জাতির কল্যানের জন্যে আপনার সর্বশ্রেষ্ট অবদান বলে স্বীকার করতে কারোই বাঁধা থাকবেনা।
তেমনি আপনার এলাকার সামান্য ওয়ার্ড কমিশনার পদের জন্যে একদিন সকালে উঠে আপনি আপনার প্রার্থীতা ঘোষনা দিলেন। এর ফলাফল যে কি, আপনি যদি তা বুঝতে ব্যর্থ হন তবে বলতেই হবে আপনার মগজের ঘাটতি রয়েছে। সামান্য একজন ওয়ার্ড কমিশনার পদের জন্যে লালায়িত হলে আপনাকে আপনার এলাকায় পরিচিত হতে হবে আগে, এলাকায় কিছু না কিছু উন্নয়নের কাজ করে দেখাতে হবে, জনগণের সাথে হাত মেলাতে হবে, পেছনে নাড়া দেবার লোকজন থাকতে হবে। এইসব কাজগুলো ( প্রি-ওয়র্ক) অনেক সময় ধরে করার পরেও যে আপনার ভাগ্যে শিকে ছিঁড়বে এমনটা নয়। এখন বলতে পারেন পয়সাওয়ালারা তো দিব্যি ওয়ার্ড কমিশনার হয়ে যাচ্ছে হঠাৎ এসেই। সত্যি। কিন্তু সেখানেও তো তাদের পেছনে নাড়া দেবার, পেশী ফুঁলিয়ে দল ভারী করার লোক থাকেই। এবং আপনার চেয়ে বেশীই থাকে মনে হয়।
পেছনে মানুষ নেই, নাড়া দেয়ার লোক নেই, কেউ চেনেনা, এমন কে ওয়ার্ড কমিশনার পদে প্রার্থীতা ঘোষনা করে লোক জড়ো করতে পেরেছেন, ভোটে জিতে কমিশনার হয়েছেন ? উত্তরটা আপনি নিজেকেই দেবেন সততার সাথে।
আর স্বাধীনতার যুদ্ধে আহ্বান করে যোদ্ধা জড়ো করা কোনও ওয়ার্ড কমিশনার প্রার্থীর লোক জড়ো করা নয়। উপরের বৃষ্টির উপমাটি স্মরণ করুন।
তবে নিঃসন্দেহে জেনারেল জিয়া একজন সাহসী মুক্তিযোদ্ধা। জীবন বাজী রেখে যুদ্ধ করেছেন। সন্মান তার অবশ্যই প্রাপ্য। রাষ্ট্রীয় সম্মানও পেয়েছেন তিনি। কিন্তু তাঁর ডাকেই যে মানুষ জেগেছে এমনটা কি ? মানুষ তো সেই ৭০ এবং আরো অনেক আগে থেকেই জেগে ছিলো। হ্যা, জিয়ার ঐ আবেদন আমাদের সাহস যুগিয়েছে। আগে উল্লেখ করা বোমার জ্বলতে থাকা সলতেয় তিনি কিছু বারুদ যোগ করেছেন মাত্র, সলতে আর বোমাটি তাঁর নিজের বানানো নয়। জেনারেল জিয়াও কিন্তু আপনাদের কারো কারো মতো অযৌক্তিক আবেগে ভেসে যাননি। বেঁচে থাকাকালীন তিনি নিজেও অমন দাবী করেন নি, আপনারা অনেকেই যা করছেন শুধু বিরূদ্ধাচারণের স্বার্থে। দীর্ঘদিন জিয়া রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিলেন, তিনি কি পারতেন না তাঁর এই ভূমিকাকে (আপনারা তাঁকে যা বানাতে চেয়েছেন, চাচ্ছেন) প্রতিষ্ঠিত করে যেতে? কেন করেন নি, এর উত্তরটাও আপনি নিজেকে দিন।
থিংক র্যাশনালী। যৌক্তিকতার সাথে ভাবুন। আপনি যদি নিরপেক্ষ ভাবে সত্যিকার অর্থেই র্যাশনাল হতে পারেন তবে জাতির বিভাজন অনেকটা কমে আসতে পারে। সেল্ফ কোয়ারেন্টাইন যখন আপনাকে করোনা থেকে বাঁচাতে পারে তেমনি উদ্ভট-অযৌক্তিক- অসার ধারনাগুলোকেও কোয়ারেন্টাইনে রাখুন, জাতি বাঁচতে পারে ............................
পরের কথা - আমি আওয়ামী লীগার নই। কোনও কালেই ছিলুম না। নেতান্তই আপনারই মতো। সচেতন থাকতে চেষ্টা করি। আপনার মতোই দেশের ভালোটা হয়েছে দেখলে ভালো লাগে, মন্দটা হতে দেখলে রাগ হই। যে বা যারা ভালো করেন তাদের প্রশংসা করি, মন্দ করলে সুযোগ পেলে রাগটা ঝেড়ে দেই।
( ছবির কৃতজ্ঞতা - নেট থেকে নিয়ে সাজানো।)
২৮ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:০০
আহমেদ জী এস বলেছেন: ঢাবিয়ান,
প্রথম মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
বলেছেন - "এমনই নির্বোধ ও উন্মাদ এই দেশের জনগন!!!"
তবুও এরা তো আমাদেরই লোক। তাদের বুদ্ধি জাগ্রত হোক এ আশা তো করাই যায়!!!!!!
২| ২৮ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:০১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বিলম্বিত স্বাধীনতা ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে আপনার যুক্তিটি ভালো লেগেছে। যেটুকু জানি তৎকালীন পরিস্থিতিতে হাজার সমস্যার মধ্যে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে পাকিস্তানকে আরও কোণঠাসা করার জন্য সময়ের প্রয়োজন ছিল। অনেকটা হুইলে মাছ গেথে খেলিয়ে খেলিয়ে তাকে হস্তবন্দি করার মতো আরকি।
দ্বিতীয়ত যে কথাটা হয়তো আপনি বলতে চাননি, বঙ্গবন্ধু সে সময়ে কোন সিদ্ধান্ত নিলে তার দায় যে ভারতের ঘাড়ে আসতো যেটা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতকে যথেষ্ট পরিমাণে অস্বস্তিতে ফেলত, সেই মুহূর্তে প্রতিবেশী বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে হয়তো ভারতের পরামর্শ' বঙ্গবন্ধু উপেক্ষা করতে না পেরে সময় নিয়েছিলেন।
২৮ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:২৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: পদাতিক চৌধুরি,
চমৎকার বুদ্ধিদীপ্ত মন্তব্য।
একটি প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্রের বিরূদ্ধে, তাও আবার সেই রাষ্ট্রের স্বীকৃত ভৌগলিক সীমানার মধ্যে থেকে যুদ্ধের ঘোষনা দিতে যে বিপুল প্রস্তুতি, যে বিপুল সমরাস্ত্রের প্রয়োজন হয় তার কিছু কি যোগাড় করা সম্ভব ছিলো বাঙালীদের পক্ষে ? তাই আপনার কথা মতো হুইলে মাছ গেঁথে খেলিয়ে খেলিয়ে তাকে ক্লান্ত করে ডাঙায় তোলাই বুদ্ধিমানের কাজ ছিলো। যেটা করা হয়েছে।
ভারতের ঘাড়ে যে দায় আসতো সেটাও কিন্তু বলেছি ইন্দিরাজীর "রাজনৈতিক আত্মহত্যা" হোত শব্দ যুগল দিয়ে। সে সময়ে শেখ মুজিব যুদ্ধের সিদ্ধান্ত নিলে তার দায় অবশ্যম্ভাবীভাবে ভারতের ঘাড়েই পড়তো। তাতে স্বাধীনতার সুযোগটি কেঁচে যেতো। পাকিস্তানের আভ্যন্তরীন বিষয়ে নাক গলিয়ে সশস্ত্র সংগ্রামে মদদ যোগানোর কারনে বাংলাদেশের জন্যে বিশ্ব জনমত তৈরীতে ভারতকে একঘরে হয়ে পড়তে হতো। ইন্দিরা গান্ধী সেটা সামলেছেন কুশলতার সাথে সারা বিশ্বের দরজায় গিয়ে গিয়ে। বিশ্বের সায় নিয়েই ভারত বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারকে স্বীকৃতি দিয়ে সামরিক সাহায্য দিতে পেরেছে।
মন্তব্যে প্লাস।
৩| ২৮ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৪২
রাজীব নুর বলেছেন: বঙ্গবন্ধুর উপরে কোনো কথা নাই।
উনি বিশাল আকাশ।
২৮ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৪৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: রাজীব নুর,
যার যেথা ঘর সে ঘরটাই তাকে দিতে হবে।
৪| ২৮ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৪২
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
বর্তমান আওয়ামী লীগ আর শেখ সাহেবের আওয়ামী লীগ এক নয়। শেখ সাহেবের আওয়ামী লীগ তাঁর জীবদ্দশায় পরিবর্তীত হয়েছে না হয়নি তা যেমন বিতর্ক আছে ঠিক তেমনি বিতর্ক আছে মেজর জিয়া - লেফটেন্যান্ট জেনারেল জিয়াউর রহমান - প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও শহীদ জিয়াউর রহমান এ ।
শেখ মুজিবুর রহমান তার স্থানে যেমন সঠিক ছিলেন তেমনি জিয়াউর রহমান তার স্থানে সঠিক। জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের কিংবদন্তি রাষ্ট্রপতি। জিয়াউর রহমানের মতো হয়তো আরো শত সহস্র রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশে আসবেন যাবেন (হয়তোবা) কিন্তু বঙ্গবন্ধু বা জাতির পিতা আর সম্ভব নয়। জাতির পিতা জাতির জনক বঙ্গুবন্ধু এক জনের নামে নামকরণ সিল্ড করা হয়ে গেছে। জাতির পিতা সম্পর্কে যিনি বুঝেন তিনি জানেন প্রেসিডেন্ট আর জাতির পিতা এক ব্যক্তি নন। জাতির পিতা প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টের চেয়ে অনেক অনেক উঁচুস্থানে অবস্থান করেন।
শেখ মুজিবুর রহমান ও জিয়াউর রহামান দু নামের সাথে পারস্পরিক কোনো সংঘর্ষ নেই।
ধন্যবাদ।।
২৮ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৩১
আহমেদ জী এস বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ,
সুন্দর মন্তব্য।
আমি কিন্তু কোন কালের কে তা বলিনি। কার কি অবদান সে বিষয়েও বলিনি। বলতে চেয়েছি ৭০ এর নির্বাচনের পরবর্তী ঘটনার রেশ ধরে স্বাধীনতার পরে যে সুবিধাজনক বিভেদের রাজনীতি করা হচ্ছে তা যে ঠিক নয় সেটা । বলতে চেয়েছি ঘটনার প্রেক্ষিতে যার যা প্রাপ্য তাকে সেটা দিয়ে বিভেদের মূল কারন কয়টি যে আসলেই যৌক্তিকতার বাইরে, সময়ের বাইরে তা। সেই সব যার যা ভাবনা তা যে সারবস্তু শূণ্য অথচ এখন পর্যন্ত তা-ই যে বিভেদ জিইয়ে রেখেছে তাকে তুলে ধরে বিভেদের সেই বার্লিন প্রাচীরকে ভাঙতে চেয়েছি মাত্র।
শেখ মুজিবুর রহমান ও জিয়াউর রহমান দুই নামের সাথে পারস্পরিক কোনো সংঘর্ষ নেই যেমন সত্য তেমনি সত্য তাঁদের নিয়ে রাজনৈতিক সংঘর্ষ বাঁধিয়ে রেখে দুই দলেরই নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমানের প্রতিযোগিতা।
ভালো থাকুন, নিরাপদে থাকুন, থাকুন কোয়ারেন্টাইনে।
৫| ২৮ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৪৬
মা.হাসান বলেছেন: আপনার এই পোস্ট টি কিছুটা অসম্পূর্ণ মনে হলো, মনে হলো ২য় পর্ব থাকবে, অথবা আমার বোঝার ভুল। কোন একটা বিশেষ কারণে পোস্ট টি দিয়েছেন অনুমান করছি। দলীয় ইতিহাস আর সত্য এক না, সত্য বের হয়ে আসে।
ব্যক্তিগত ভাবে আমি জেনারেল এরশাদের ফ্যান নই। কিন্তু তার সময়ে দেশে বেশ কিছু ভালো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয়েছে। ওষুধ নীতি প্রনয়ন, ডিস্ট্রিক বোর্ডের রাস্তা গুলোর সম্প্রসারন, যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যপক উন্নয়ন ইত্যাদি। ঢাকার বাইরে হাইকোর্টের বেঞ্চ বসানোর বিধান বাতিল করা হাইকোর্টের জন্য সুফল বয়ে আনেনি।
বৃটিশ পিরিয়ড থেকেই বিভিন্ন আমলে বিভিন্ন উন্নয়ন হয়েছে। আমাদের সঙকির্ণতা আমরা আমাদের পছণ্দের নেতাদের দেবতা বানাতে যেয়ে অন্যদের দানব হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করি।
বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষন কোনো মেঠো বক্তৃতা না। অনেক আলোচনার পর এর টেক্সট ঠিক করা হয়েছিলো। এমন কি -এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম - বলা হবে নাকি উল্টো অর্ডারে - এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সঙগ্রাম স্বাধীনতার সঙগ্রাম বলা হবে এই বিষয়টিও আলোচনার মাধ্যমে ঠিক হয়েছিলো। (সুত্র- সিরাজুল আলম খান- স্বাধীনতা-সসস্ত্র বাংলাদেশ এবং আগামীর বাংলাদেশ, সম্পাদনা- মোঃ সাখাওয়াত হোসেন)।
আমার ভারত প্রীতি কম। হয়তো ভারত যা দিয়েছে তার চেয়ে অনেক বেশি নিয়েছে। কিন্তু ভারতের সহায়তা না পেলে স্বাধীনতা পাওয়া আদৌ সম্ভব হতো কিনা সন্দেহ করি।
সাতাত্তরের পূর্বে জিয়াউর রহমানের পরিচিতি খুব বেশি ছিলো বলে মনে হয় না। সাধারণ মানুষের বিভ্রান্তি দূর করার জন্য যুদ্ধের যে মিলিটারি কলের দরকার ছিলো তা জিয়াউর রহমানের কাছ থেকে এসেছে। তিনি বিরত্বের সাথে যুদ্ধ করেছেন। বীর উত্তম উপাধী পেয়েছেন। ওনাকে রাজাকার বলা বা স্বাধীনতার রূপকার বলা দুটোই বাড়াবাড়ি। বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখিয়েছেন, ওনার নেতৃত্বে আমরা নতুন পতাকা পেয়েছি, কিন্তু যুদ্ধ করেছে দেশের সাড়ে সাত কোটি লোক, এদেরকে বাদ দিলে বঙ্গবন্ধু বা আওয়ামীলীগের পক্ষে একা স্বাধীনতা আনা সম্ভব হতো না।
পাকিস্তানী সেনা বাহিনী গত ৭০ বছরের বেশি সময় ধরে নিয়মিত ভাবে তাদের দেশে সিভিলিয়ান হত্যা করেই যাচ্ছে। আমরা সৌভাগ্যবান নয় মাসে স্বাধীন হতে পেরেছি।
আপনার পোস্ট মানুষের সঙ্কীর্ণতা দূর করতে পারবে না। মানুষের পাঠের অভ্যাস কম। ফরমায়েসি বই থেকে সত্য বের করার দূরূহ কাজে মানুষের আগ্রহ কম। এর পরেও অকপট পোস্টটির জন্য অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
২৯ শে মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: মা.হাসান,
বিশদ মন্তব্যে আপনার প্রাজ্ঞতার প্রমানই মিললো আবারও।
এবার আপনার মন্তব্যের বিষয় প্রসঙ্গে বলি -
কি কারনে এ পোস্টটি দিয়েছি তা শুরুতেই উল্লেখ করেছি। সময়ের যখন যেমন চাহিদা তেমন করে সরবরাহ করতে চেষ্টা করি মাঝে মাঝে। যেমন ২০১৮ সালে্র মার্চেই লিখতে হয়েছে এই শিরোনামে-“যে কথা বলতে চাইনি.....”
লিংক -- যে কথা বলতে চাইনি .....................
পোস্টটি আপনার কাছে অসম্পূর্ণ মনে হয়েছে এ কারনে যে, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে সবটুকু কথা এখানে নেই বলে। প্রয়োজন মনে করিনি সবটুকু লেখার, কারন মূল যে দু’টো ভ্রান্ত ধারনা দিয়ে অনেকদিন থেকেই এই বিভেদের রাজনীতি ( খেয়াল করবেন, জেনারেল জিয়ার জীবিত কালে কিন্তু এই বিভেদের রাজনীতির বাতাস ছিলোনা এতোটুকু।) আমাদেরকে বিভ্রান্ত করেছে, বার্লিন প্রাচীরের মতো যে দূর্লঙ্ঘ্য প্রাচীর তুলে জাতিকে আলাদা করেছে, ওটুকুই দেখিয়ে দেবো বলে।
দলীয় ইতিহাস আর সত্য এক না,সে জাতীয় কথা উপরে আমার দেয়া লিংকের লেখাতেই আছে। দেখে নিতে পারেন।
এটা ঠিক বলেছেন, যতো দোষই থাক না কেন জেনারেল এরশাদের সময়ে অবকাঠামোগত উন্নয়ন তখন পর্যন্ত হয়েছে যথেষ্ঠ এবং চোখে লাগার মতো, এটা স্বীকার করতেই হবে। ব্যবসা-বানিজ্যেও তখন রমরমা একটা ভাব ছিলো। বিভাগীয় শহরে হাইকোর্টের বেঞ্চ বসানোর মতো যুগান্তকরী সিদ্ধান্ত তারই ছিলো। কিন্তু ব্যুরোক্রাটিক প্যাঁচে তা সফল করতে পারেন নি তিনি। কারন একবার যদি সেক্রেটারিয়েট থেকে কাউকে বাইরে পাঠানো যেতে পারতো তবে তা ধারাবাহিক থাকতো। আর তেনারা ঢাকার বাইরে যাবেন না বলেই প্যাঁচ কষে বিকেন্দ্রীকরণের প্রক্রিয়াটি মাটিতেই পুঁতে ফেলেছেন। যদি পারতেন তবে প্রাশাসনিক বিকেন্দ্রীকরন সহজ হয়ে যেতো, হয়তো হয়েই যেতো, ঢাকাকে শ্বাসরূদ্ধ করে মৃতপ্রায় করে ফেলা হতোনা, যে বিকেন্দ্রীকরণ এখন আঁতেল সমাজও চাইছেন, চাইছেন নগর পরিকল্পনাবিদরা।
আবার এটাও সত্য, জেনারেল জিয়ার শাসনকালে তাঁর ধারেকাছের মানুষ দৃশ্যতঃ আঙুল ফুলে কলাগাছ হতে পারেনি। সম্ভবত ব্যক্তিগত ভাবে সৎ থাকতে চেয়েছিলেন তিনি।
আমাদের সংকীর্নতা থেকে নয়, আমাদের ব্যক্তিগত লাভ ক্ষতির হিসেব থেকেই আমরা কাকে দেবতা, কাকে দানব বানাবো সেটা ভালোই বুঝি।
এটা জলের মতো পরিস্কার যে, ভারত যা দিয়েছে তার চেয়ে অনেক বেশি নিয়েছে, নিচ্ছে এখনও। আবার এটাও সত্য ভারতের সহায়তা না পেলে স্বাধীনতা পাওয়া সম্ভব হতো না আদৌ। একা একা দীর্ঘ কয়েক বছর গেরিলা যুদ্ধ চালিয়ে গেলেও শেষতক ভারতের সাহায্য নিতেই হতো।
বলেছেন, জিয়াউর রহমানকে রাজাকার বলা বা স্বাধীনতার রূপকার বলা দুটোই বাড়াবাড়ি। এক অর্থে এসব বাড়াবাড়ি নয়, এসবই হলো ক্ষমতার কাছাকাছি বলয়বৃত্তে ঢুকে পড়ার মোক্ষম দাওয়াই। অনেকটা লক্ষনরেখা পেরিয়ে সীতাকে হস্তগত ( সীতা হরন ) করার মতো সুবিধা হস্তগত করার কৌশল। যারা এসব বলে তারা নিজেরাও তা বিশ্বাস করে বলে মনে হয় না।
৭ই মার্চের ভাষন নিয়ে “ ইট ইজ দ্য আলটিমেট রেজাল্ট দ্যাট কাউন্টস” এর অংকটি কষে দেখাতে চেয়েছি। এই ভাষনের তর্জনীটি একটা “ ডেভিলস অল্টারনেটিভ” এর দিকেই তোলা হয়েছে বলে মনে হয়।
ভালো থাকুন, থাকুন নিরাপদে আর কোয়ারেন্টাইনে...............
৬| ২৮ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৫৯
এইচ তালুকদার বলেছেন: কোন জাতির জন্মের ইতিহাস নিয়ে সংশয় থাকা বাঞ্ছনীয় নয়,বাংলাদেশের জন্মের ইতিহাস নিয়ে বাংলাদেশিরা যে পরিমান কাদা ছোড়াছুড়ি করে সেটা দেখে মনে হয় এই জাতির র্যাশনালি চিন্তা ভাবনা করার ক্ষমতা প্রায় শুন্যের কাছাকাছি চলে গেছে।
২৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৮:২৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: এইচ তালুকদার,
"কোন জাতির জন্মের ইতিহাস নিয়ে সংশয় থাকা বাঞ্ছনীয় নয়" অথচ তাই-ই বাঞ্ছনীয় করে তোলা হয়েছে ব্যক্তিগত ফায়দা হাসিলের কূটকচালী থেকে। কোনও রাজনৈতিক আদর্শ থেকে নয়।
জাতির কথা কি বলবো!!!!!! শিক্ষা...শিক্ষা .......এবং শিক্ষা ছাড়া এ জাতির কোন ধরনের ভাবনা ভাবারই ক্ষমতা হবেনা।
ভালো থাকুন, নিরাপদে থাকুন আর থাকুন কোয়ারেন্টাইনে...............
৭| ২৮ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১১:৪০
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: পড়ে ভাল লাগলো। যদিও সেই সময়ের অনেক কিছুই নিজের চোখে দেখা।তবু বিশ্লষণ খুবই ভাল লাগল।
২৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৫১
আহমেদ জী এস বলেছেন: নুরুলইসলা০৬০৪,
ধন্যবাদ আপনাকে সাথে পেয়ে।
ভালো থাকুন, নিরাপদে থাকুন...............
৮| ২৮ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১১:৪৩
নেওয়াজ আলি বলেছেন: মানুষ মরতেও চায় না আবার বাঁচতও চাইছে না।
০২ রা এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:১৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: নেওয়াজ আলি,
মানুষ বাঁচতেই চাইছে কিন্তু জানেনা বাঁচতে হয় কি করে........
৯| ২৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ২:৩৫
আর. হোসাইন বলেছেন: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আর জিয়াউর রহমানে সাহেবকে কাদা ছোড়াছুড়ি না করে যার যেটুকু সম্মান প্রাপ্য তাকে সেটুকু দেয়ার জন্যে জাতীয় ঐক্যমতে পৌঁছা সময়ের দাবি। আর এটা যতদ্রুত হবে ততই দেশ ও জাতির জন্যে মঙ্গল।
০২ রা এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:০৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: আর. হোসাইন,
দু'জনকে নিয়ে কাদা ছোঁড়াছুড়ি শুরু হয়েছে ৭৫ এর আগষ্টের পরে। এর দায় যাদের তাদেরই উচিৎ এসব বন্ধ করা।
এটা ঠিক বলেছেন - এটা যত দ্রুত হবে ততই দেশ ও জাতির জন্যে মঙ্গল।
১০| ৩১ শে মার্চ, ২০২০ ভোর ৪:৫১
মলাসইলমুইনা বলেছেন: আহমেদ জী এস ভাই,
আপনার লেখার কিছু অংশের সাথে একমত হলাম যদিও দ্বিমতও আছে প্রচুর । সেগুলো নিয়ে এখন অনেক বলতে ইচ্ছে করছে না । কয়েকটা কথা শুধু বলি । আসলে আমার যা মনে হয় তা হলো একাত্তুরে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রস্তুতি সম্পর্কে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়ে এখন আমরা অনেক কিছুই নিজেদের মতো করে এনালাইসিস করতে পারি সেগুলো হয়ত এখন ঠিক ও স্বাভাবিকও মনে হবে কিন্তু আস ব্যাপারগুলো এখন আর জানা যাবে না ।কারণ আমাদের রাজনৈতিক নেতাদের কারুরই ডাইরি লেখার মতো অভ্যেস বা কালচার ছিল না একমাত্র তাজউদ্দীন আহমেদ ছাড়া । তাই ঘটনার অনেক দিন পরে যারা সেদিনের ব্যাপারগুলো নিয়ে লিখেছেন তারা অনেকেই হয়তো তাদের লেখার সময়কার পরিবেশ দিয়ে প্রভাবিত হয়েছেন । আমি বলছিনা সেটা ইচ্ছাকৃত ।তাদের অজান্তেই হয়তো হয়েছেন ।
আমার কাছে ১৯৭১ -এর মার্চের ৮,৯ তারিখের ইন্ডিয়া, আমেরিকা আর ব্রিটেনের মূল নিউজ পেপারগুলোর অনেকগুলোর নিউজ কাটিং আছে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের । সে নিয়ে তাদের তখনকার এনালাইসিস আর বর্ণনার সাথে আপনার এনালাইসিসের পার্থক্যটা বেশ পরিষ্কার । যাহোক, এনিয়ে আমি একটা একাডেমিক লেখা লিখবো ভেবেই সেই ইনফর্মেশনগুলো জোগাড় করেছিলাম । আমার এক প্রফেসর উনি আজ প্রায় দশ পনেরো বছর ধরে দেশের বাইরের একটা ইউনিভার্সিটিতে পড়ান ।গত বছর আমেরিকায় এসে যখন শুনলেন আমি ওগুলো নিয়ে কাজ করছি তখন প্রথম কথাটাই বললেন 'তুমি এ নিয়ে কোনো কাজ করবে না যদি দেশে বেড়াতে যেতে চাও' । সেটা শুনে আমি আপাতত বন্ধ রেখেছি আমার কাজ । আমি জানি সেই তখনকার পেপারের ফার্স্টহ্যান্ড নিউজের ওপর ভিত্তি করে একাত্তুরের স্বাধীনতা ঘোষণা নিয়ে একটা এনালাইসিস দাড়া করালেও অনেকেই পছন্দ করবেন না । যাহোক, আপনার লেখাটাথেকে অনেক কিছু জানা হলো । থাঙ্কস ।
০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৪১
আহমেদ জী এস বলেছেন: মলাসইলমুইনা,
দ্বিমত থাকতেই পারে কারন এগুলো আমার নিজের বিশ্লেষণ।
এটা ব্রিটেন, আমেরিকার মূল নিউজ পেপারগুলোর সাথেও মিলবে এমন কথাও নেই। তাদের বিশ্লেষণ তাদের, আমারটা আমারই। কোনটা বেশী যৌক্তিক সেটাই মূখ্য। পাশাপাশি এটাও মনে রাখতে হবে তারা বিদেশী আর আমি দেশী। ঘটনার সাথে দেশীর সম্পৃক্ততা আত্মিক, বিদেশীর সম্পৃক্ততা দায়িত্বের।
তবে এটাও বলি - তখনকার পেপারের ফার্স্টহ্যান্ড নিউজের ওপর ভিত্তি করে একাত্তুরের স্বাধীনতা ঘোষণা নিয়ে করা যে কোনও এনালাইসিস তো বস্তুনিষ্ঠ না-ও হতে পারে। কারন কোনও খবরই সময়ের আবেগ, ঘটনার অন্তর ধ্বনির সুর ফোটাতে অনেকটাই ব্যর্থ। সেসব খবর, সংবাদ পরিবেশনকারীর মতাদর্শের প্রতিফলনই বেশী ঘটায়।
মা.হাসান এর মন্তব্যের জবাবে আমি তাই এমনটাই বলেছি -
"৭ই মার্চের ভাষন নিয়ে “ ইট ইজ দ্য আলটিমেট রেজাল্ট দ্যাট কাউন্টস” এর অংকটি কষে দেখাতে চেয়েছি। এই ভাষনের তর্জনীটি একটা “ ডেভিলস অল্টারনেটিভ” এর দিকেই তোলা হয়েছে বলে মনে হয়।"
"আসলে আমার যা মনে হয় তা হলো একাত্তুরে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রস্তুতি সম্পর্কে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়ে এখন আমরা অনেক কিছুই নিজেদের মতো করে এনালাইসিস করতে পারি সেগুলো হয়ত এখন ঠিক ও স্বাভাবিকও মনে হবে কিন্তু আসল ব্যাপারগুলো এখন আর জানা যাবে না ।" ----------- এটা আপনি একদম ঠিক বলেছেন। আমরা আমাদের মতো করেই ভাবতে পারি কারন সেই ইতিহাসের পাত্রপাত্রী এখন আর কেউ নেই যে তাদের মুখে সত্যাসত্য শুনতে পারি।
প্রচুর দ্বিমত নিয়েও যে মন্তব্য করেছেন তাতে আমারও কিছু জানা হোল।
শুভেচ্ছান্তে।
নিরাপদে থাকুন, থাকুন সুস্থ্য।
১১| ০২ রা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫১
জুন বলেছেন: বিভাজন ছাড়া আমরা বাংগালী জাতি থাকতেই পারবো না আহমেদ জী এস । কাদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ হলেই বাচি ।
অনেক ভালো লাগলো লেখাটি
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:২৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,
বিভাজন ছাড়া যদি থাকতেই না পারি তবে কাদা ছোঁড়াছুড়ি বন্ধ হবে কি করে ?
১২| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৭:৫০
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আহমেদ জী এস ভাই
ভয় : মাকড়সা আপনাকে উৎসর্গ করে সামান্য পোষ্ট।
১১ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৪৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ,
দেরীতে প্রতিমন্তব্য করার জন্যে দুঃখিত।
যদিও আপনার মন্তব্যের বিষয়ে তৎক্ষনাত সাড়া দিয়েছি।
১৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:০৫
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আমাদের ইতিহাস বিকৃতি যে কবে শেষ হবে ? আমার মনে হয় বিশ্বে আর কোথাও ইতিহাস এতটা বিকৃত হয় না । তবুও বাংলাদেশ নিয়ে গর্বিত ও আশাবাদী।
১১ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:২৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: মোঃ মাইদুল সরকার,
আসলেই আমাদের ইতিহাস বিকৃতি যে কবে শেষ হবে!!!!!!!!
যাতে হয় সেই আহ্বানই সুচিন্তকদের কাছে রাখা।
১৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:৫৭
জেন রসি বলেছেন: থিংক র্যাশনালী.....র্যাশনালী খুব কম মানুষই ইতিহাসকে পাঠ করে। এবং অনেক সময় বায়াসড কনসেপশান মাথায় রেখেই ইতিহাসের দিকে তাকায়। আমি নিজেও এই প্রবণতা থেকে মুক্ত হতে পেরেছি তা বলবনা। তবে সচেতন থাকার চেষ্টা করি। এ জন্যই কোন সুনির্দিষ্ট পর্যবেক্ষণে স্থির থাকতে পারিনা অনেকসময়। আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে আমাদের দেশে স্বাধীনতার পর এসব বিষয় নিয়ে গবেষণা, নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষণ খুব একটা হয়েছে বলে মনে হয়না। যা হয়েছে তার অনেকটাই রাজনৈতিক প্রোপ্যাগান্ডা।কেউ বঙ্গবন্ধুকে ফেরেশতা বানানোর চেষ্টা করেছে। কেউ শয়তান। এবং সেটা করেছে পলিটিকাল প্রয়োজনে। তার ভালো কাজ গুলোয় শ্রদ্ধায় অবনত হওয়া এবং খারাপ কাজগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে ভুল শোধরানো তাই জাতি হিসাবে আমাদের আর হয়ে উঠেনি।
যে বিষয়টি নিয়ে আপনি লিখেছেন এবং কিছু যুক্তি উপস্থাপন করেছেন তার পক্ষে বিপক্ষে বেশ কিছু ন্যারেটিভ আছে। একটা ন্যারেটিভ হচ্ছে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা চাননি। কিন্তু ছাত্রনেতরা তার উপর চাপ সৃষ্টি করে যাচ্ছিল। সেসময়ের ইতিহাস পড়ে এবং সেসময়ে রাজনীতি করতেন এমন কিছু মানুষের সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলে আমার মনে হয়েছে বঙ্গবন্ধু কোন স্থির সিদ্ধান্ত আগে থেকে নিয়ে রাখেন নাই। বরং তিনি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত নিতে চাচ্ছিলেন। এবং কোন হঠকারী সিদ্ধান্ত না নেওয়ার চাইতে কি ঘটে বা কে কি চায় সে ব্যাপারটা সম্পর্কেও নিশ্চিত হতে চেয়েছিলেন। সে সময় যে পরিস্থিতি ছিল তা আবেগ বা সেন্টিমেন্ট দিয়ে মোকাবেলা করা একজন জাতীয় নেতা হিসাবে বঙ্গবন্ধুর জন্য জুয়া খেলাই হত। যে খেলাটা তিনি খেলতে চাননি। বরং সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষা করেছেন। এবং জিও পলিটিক্সত ছিলই। জিও পলিটিক্সকে রিলেট করে আপনি কিছু শক্ত যুক্তিও দিয়েছেন।
আপনার পর্যবেক্ষণ র্যাশনাল। ভালো লেগেছে।
১২ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৫৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: জেন রসি,
সবিনয়ে বলে রাখি, আমি কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের ক্রম ইতিহাস লিখিনি। বলতে চেয়েছি ৭০ এর নির্বাচনের পরবর্তী ঘটনার রেশ ধরে স্বাধীনতার পরে যে সুবিধাজনক বিভেদের রাজনীতি করা হচ্ছে তা যে ঠিক নয় সেটা । বলতে চেয়েছি ঘটনার প্রেক্ষিতে যার যা প্রাপ্য তাকে সেটা দিয়ে বিভেদের মূল কারন কয়টি যে আসলেই যৌক্তিকতার বাইরে, সময়ের বাইরে তা।
সে কারনেই, কেন ৭১ এর ৭ই মার্চ শেখ মুজিবর রহমান স্বাধীনতার ঘোষনা দেন নি তার একটা যৌক্তিক ও সম্ভাব্য কারন নিজের দৃষ্টিতে বিশ্লেষণ করেছি মাত্র। যেমনটা আপনিও বলেছেন মন্তব্যের দ্বিতীয় প্যারায়। স্বল্প সময়ে জুয়ার ফল যে কি হবে তা জেনেই তিনি একটি “ডেভিলস অল্টারনেটিভ” এর দিকে গেছেন।
সবটা মিলিয়ে এটাই মূখ্য যে “ ইট ইজ দ্য আলটিমেট রেজাল্ট দ্যাট কাউন্টস” ; যেটা বলেছি আমি মা.হাসান এর মন্তব্যে।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছান্তে।
ভালো থাকুন, নিরাপদে থাকুন ।
১৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:২২
জেন রসি বলেছেন: জিয়াউর রহমান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। কিন্তু একাত্তর পরবর্তী প্রেক্ষাপট পর্যবেক্ষণ করলে একজন ক্ষমতালোভী, বিপদ্গামী, এবং ঝোপ বুঝে কোপ মারার মত বুদ্ধিমান জিয়াকেও আমরা দেখতে পাই। এবং তিনি ঝোপ বুঝে কোপ মারতে পেরেছিলেন বঙ্গবন্ধুর কিছু ভুল সিদ্ধান্তের কারনেই। সেসব ভুলের কনসিকয়েন্সেই ৭৫ পরবর্তী অবস্থার জন্ম দেয়। যে অবস্থায় জিয়া স্বাধীনতা বিরোধী এবং মৌলবাদী শক্তিকে দেশের রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করেন। আহমদ ছফা খুব যৌক্তিক ভাবে বিষয়টা ব্যাখ্যা করেছিলেন। সুতরাং স্বাধীন দেশে বঙ্গবন্ধুর করা কিছু ভুল কাজের জন্যও জাতিকে মূল্য দিতে হয়েছে।
২২ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:৪৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: জেন রসি ,
ঠিক বলেছেন, ঝোপ বুঝে কোপ মারার মতই ধূর্ত ছিলেন জেনারেল জিয়া। স্বাধীনতা বিরোধী এবং মৌলবাদী শক্তিকে দেশের রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করা, খাল কাটা কর্মসূচি দিয়ে মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে রাখা ইত্যাদি করে করে নিজের জায়গাটাকে সুরক্ষিত করতে চেয়েছিলেন তিনি। শেখ মুজিবের কিছু ভুল তো তাকে সেটা করতে সহায়তাই করেছে মনে হয়!
ব্যক্তিগত জীবনে সাদাসিধে থাকার চেষ্টার আড়ালে জিয়া ছিলেন একজন "ডঃ জেকিল এ্যান্ড হাইড"।
১৬| ২১ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:২৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যুক্তির সাথে বিশ্লেষণ করেছেন - অশেষ ধন্যবাদ।
পদাতিক চৌধুরি এর মন্তব্য এবং আপনার উত্তর, দুটোই ভাল হয়েছে। তার চেয়েও চমৎকার হয়েছে মা.হাসান এবং মলাসইলমুইনা এর মন্তব্য এবং আপনার উত্তর।
২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২০
আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,
কারো কারো মন্তব্য ভালো লাগার কথা তো বললেন কিন্তু নিজের মন্তব্যখানা কই ? আপনি যে, যে কোনও লেখার রাইট-লেফট বিবেচনায় নিয়ে এসে মন্তব্য করেন তার ওজনটাই তো অন্যরকম! যে দু'টো বিষয়ের প্রসঙ্গ টেনেছি তা রাজনৈতিক বিষয় বলে হয়তো এড়িয়ে যেতে পারেন।
আমি কিন্তু রাজনৈতিক ভাবে মোটেও তা উপস্থাপন করিনি, একজন পর্যবেক্ষকের বা বিশ্লেষকের নিজস্ব দৃষ্টি কোন থেকেই দেখার চেষ্টা করেছি মাত্র। কারো মতের সাথে তা মিলতে না ও পারে।
১৭| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৩৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমি যে পোস্ট সম্পর্কে একেবারে কিছু বলিনি, তা কিন্তু নয়। একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যুক্তির সাথে বিশ্লেষণ করেছেন - এ কথাটার মধ্যেই কিন্তু উহ্য আছে যে আমি আপনার বিশ্লেষণের সাথে একমত। তবুও, যখন জানতে চাইলেনই, তাহলে আরেকটু খোলাসা করেই বলি।
এ কথা অনস্বীকার্য যে বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ভাষণটি ছিল অত্যন্ত ব্যালেন্সড, নিখুঁত এবং সময়ের ডাকে যথোপযুক্ত, সুবিবেচিত। এর চেয়ে বেশী কিছু বলা ঐ পরিস্থিতিতে সম্ভব ছিল না, আর বললেও তা হতো আত্মঘাতী। কিভাবে এবং কেন, তা আপনি আপনার পোস্টে যথেষ্ট পরিষ্কার করেই বলেছেন। তবে বঙ্গবন্ধুর আহবান অনুযায়ী আওয়ামী লীগের দলীয় নেতারা অনেক ক্ষেত্রেই প্রাপ্ত সময়টুকুতে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে পারেন নি। ২৫শে মার্চের পর দেশের সাধারণ জনগণ দিক নির্দেশনাহীন ছিল, সেই সাথে কিংকর্তব্যবিমুঢ়ও। জনগণের মনে আশা জমতে থাকে যখন তারা দেখতে পায় যে সেনাবাহিনীর কিছু ইউনিটের বাঙালি সৈনিক ও অফিসারগণ বিদ্রোহ ঘোষণা করে পাক সেনাবাহিনীর মোকাবিলা করার উদ্দেশ্যে নিরাপদ ঘাঁটি খুঁজছে। কিন্তু এ তথ্য তো সবার জানা ছিল না, কেবল যারা নিজ চোখে দেখেছে তাদেরকে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সেনানিবাস থেকে বের হয়ে আসতে, তাদের এবং বিদ্রোহী সেনা, পুলিশ, ইপিআর যে পথ দিয়ে হেঁটে গেছে, সে পথের আশে পাশের লোকজনের মুখে মুখে শুনে এ তথ্যটুকু প্রথমদিকে যতদূর পর্যন্ত ছড়িয়েছিল, ততটুকুই লোকজনকে উজ্জীবিত করেছিল। কালুরঘাট বেতার থেকে যখন মেজর জিয়ার কন্ঠ শোনা গেল, তখন থেকেই সাধারণ জনগণ আশায় বুক বাঁধতে থাকলো, এবারে তবে কিছু একটা হবে। একথা অনস্বীকার্য, সেই দুঃসময়ে জিয়ার কন্ঠটি ছিল ঘোর অমানিশার মধ্যে একটা সিলভার লাইনিং। বিদ্যুৎ চমকের মতই এর ম্যাজিক এফেক্ট চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে।
এই সাধারণ জনগণের মধ্যে কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও ছিল। মুক্তিযুদ্ধের সারাটি সময়ে যুদ্ধরত বাঙালি সেনাদের সাথে সাধারণ জনগণ এবং রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করেছে, মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য সহযোগিতা করেছে। তখন সেনাবাহিনীর সাথে রাজনীতিবিদদের কোন সংঘর্ষ ছিলনা, কারণ তখন সবারই লক্ষ্য ছিল একটাই, যুদ্ধ করে দেশের স্বাধীনতা অর্জন। সংঘর্ষ ও স্বার্থের সংঘাত দানা বাঁধতে থাকে স্বাধীনতার বছর দেড় দুই পর থেকে, যখন বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে সেনাবাহিনী অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে এবং চোরাচালান বিরোধী অভিযানে নামে।
আমি কিন্তু রাজনৈতিক ভাবে মোটেও তা উপস্থাপন করিনি, একজন পর্যবেক্ষকের বা বিশ্লেষকের নিজস্ব দৃষ্টি কোন থেকেই দেখার চেষ্টা করেছি মাত্র - সেটাই করা উচিত, কারণ ব্লগটা রাজনীতির কোন প্ল্যাটফর্ম নয়। ইতিহাসে কেউ কারো অবদান চিরতরে জোর করে দখলও করতে পারেনা, নিশ্চিহ্নও করতে পারেনা।
২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৫৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,
চমৎকার ... অতি চমৎকার! +++++++
প্রাঞ্জল ভাবে কিছু সত্য বলে লেখাটিকে আরো সমৃদ্ধ করে গেলেন।
শেষেরটুকুই ঠিক - ইতিহাসে কেউ কারো অবদান চিরতরে জোর করে দখলও করতে পারেনা, নিশ্চিহ্নও করতে পারেনা।
মাহে রমজানের শুভেচ্ছা।
১৮| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:২৬
সোহানী বলেছেন: চমৎকার একটা বিশ্লেষনধর্মী পোস্ট মিস করেছি। ভালোলাগলো আপনার বিশ্লেষন।
২৫ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৩৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী ,
এটা আমার নিজের বিশ্লেষণ। আপনার তা ভালো লেগেছে মানে, যৌক্তিক মনে হয়েছে।
ভালো থাকুন, নিরাপদে থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৫০
ঢাবিয়ান বলেছেন: বাধার মুখে বন্ধ আকিজের করোনায় আক্রান্তদের জন্য হাসপাতালের কাজ। বিনা চিকিৎসায় নিজেদের মারার বন্দোবস্ত করছে নিজেরাই।এমনই নির্বোধ ও উন্মাদ এই দেশের জনগন!!! এই জাতি কিভাবে র্যাশনালী থিংক করবে?