420 girl

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:২৩

জোষ্ঠ মাসের কাঁঠাল পাকা রোদে শরীরের
চামড়া
পুড়ে তামাটে বর্ণ ধারন করে। তৃষ্ণায় ক্লান্ত
পথিকের
গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে আসে। হাইওয়ে তে
তখন মরীচিকা
দেখা যায়। মরীচিকার পেছনে ছুটতে ভাল
লাগে না।
তাই দুপুরের কড়া রোদে আর ঘোরাঘুরি করাও
আমার
পক্ষে সম্ভব হয় না।রোদ যখন ফ্যাকাসে হয়ে
এসেছে ঠিক
তখন মেস থেকে বের হলাম। পিচঢালা কাল
রাস্তা
থেকে ভ্যাপসা গরম উঠছে। আমি হাঁটছি
কলেজপাড়ার
দিকে। প্রতিদিন যাই।এসময়ে রাস্তায়
লাল,নীল,হলুদ
প্রজাপতি চোখে পড়ে। বিকেলের রঙে
প্রজাপতিদের
(মেয়ে) না কি খুবই সুন্দর দেখায়। তাই মেসে
আর কেউ
থাকে না। সৌন্দর্য প্রদর্শনের
প্রতিযোগীতায় নামে।
আমি নীরব দর্শকের ভূমিকায় থাকি।মাঝে
মাঝে মুচকি
হাসি দিয়ে ওদের উৎসাহিত করি। তবে
লিপিস্টিক
মাখা প্রজাপতিদের দিকে ভুল করেও আমার
চোখ স্থির
হয় না। কারণ এই জিনিষটা আমার অসহ্য
লাগে। যাইহোক
আমি হাঁটছি বাউন্ডুলের মত। আমার সামনে
দুটি মেয়ে
হাঁটছে। আমি যেহেতু একলা তাই পুরো
মনোযোগটাই
ওদের দিকে।ওদের কথাবার্তাগুলো
শুনছিলাম।
১ম মেয়েঃ বিষয়টা আমি মানতে পারছি না।
আবিদের
সাথে ব্রেক_আপ করাটা কি তোর ঠিক হল?
২য়ঃ কী করব বল! গাঁইয়া একটা ছেলে। কোন
স্মার্টনেস
ওর মাঝে নাই।
বোরিং একটা রিলেশন বিল্ড আপ করছিল ওর
সাথে।
আমি আর নিতে পারছিলাম না রে।
১মঃ তাহলে ওর কাছ থেকে ফোন, ল্যাপটপ
এগুলা নেয়ার
কী দরকার ছিল?
২য়ঃ আরে গাধা ফোনটা তো আমার নতুন
বয়ফ্রেন্ড এর
জন্য নিয়েছিলাম।আর ল্যাপটপটা আমার
কাজেই
লাগবে।
১মঃ তুই যাই বলিস কাজটা তোর ঠিক হয় নি।
আর কোন কথা শুনার সুযোগ হল না।কারণ
মেয়ে দুটি ভা
আই পি রোডের দিকে গেল। আমি চলে
আসলাম
কলেজপাড়ার দিকে।
ভাবছি, এটাই কি আমাদের অত্যাধুনিক নারী
জাতির
মানসিকতা। দুদিন পর পর বয়ফ্রেন্ড চেন্জ
করা! আর
ছেলেদের কাছ থেকে ভুলিয়ে ভালিয়ে
গিফট আদায়
করা। তবে সব মেয়ে কিন্তু এরকম নয় সেটা ১ম
মেয়েটির
কথা থেকেই বুঝা যায়। তবে এরকম মেয়ের
সংখ্যা খুবই
কম।
যাইহোক আমার মত বাউন্ডুলের এসব নিয়ে না
ভাবলেও
চলবে । থাকি না আমি আমার মত।

২ টি +১/-০