আসুন নারী পুরুষ উভয় মিলে দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাই।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৪

রাস্তা দিয়ে একটা মেয়ে হেঁটে যাচ্ছে।পেছন থেকে
একটা ছেলে বলে উঠল,ওহ!কি মাল মাইরি!কি বডি
ফিগার! এ কথা শুনে ওর সঙ্গের ছেলেগুলো খুব মজা
পেল।তারা হো হো করে হেসে উঠল।
.
মেয়েটা অশ্রুভেজা চোখ নিয়ে মাথা নিচু করে হেঁটে
গেল।সে প্রতিবাদ করার সাহসটুকু পেল না।কারণ সে
একা।আর প্রতিবাদ করলে বাজে কোন ঘটনা ঘটাতেও
হয়ত দ্বিধা করবে না ছেলেগুলো।
.
প্রায়ই পথেঘাটে মেয়েটা ইভটিজিং এর শিকার হতে
লাগল।একসময় সহ্য করতে না পেরে সে বাসায় বলে দিল।
কিন্তু বাসা থেকেও বখাটে ছেলেগুলোকে প্রতিবাদ
করার সাহস পেল না। কারণ মেয়েটাকে একলা পেয়ে
যদি ওর ক্ষতি করে।যদি ওকে ধর্ষণ করে।
.
তখন মেয়েটাকে বিয়ে দিতে সমস্যা হবে।কারণ
ধর্ষিতাকে কেউ বিয়ে করতে চাইবে না।আর আমাদের
সমাজ ধর্ষিতা মেয়েদেরকে মেনে নিতে জানে না বা
মেনে নিতে পারে না।
.
ফলে মেয়েটির বাসা থেকে বের হওয়া বন্ধ হয়ে যায়।
তার বুকে লালিত স্বপ্নগুলো চোখের নোনাজলে
ভিজতে থাকে।ভিজতে ভিজতে একসময় স্বপ্নগুলো
ছিঁড়ে যায়।সে নতুন করে স্বপ্ন দেখার সাহস পায় না।
.
মধ্যবিত্ত পরিবারে মেয়েদেরকে বোঝা মনে করা হয়।
আর বাবা-মা এই বোঝাটা বেশি দিন বয়ে বেড়াতে চায়
না।মেয়ের বিয়ে দিয়ে তারা দায়মুক্ত হতে চায়।
ফলে অল্পবয়সেই মেয়েটির বিয়ে হয়ে যায়।বছর ঘুরতেই
সে সন্তানের মা হয়। একজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক অল্পশিক্ষিত
মা,একজন প্রাপ্ত বয়স্ক শিক্ষিত মায়ের তুলনায়
তার সন্তানের জীবনে খুব কম অবদান রাখেন।
.
শিক্ষিত, কর্মজীবী নারী দেশের জন্য সম্পদ। কিন্তু
নারীদেরকে সম্পদে রুপান্তর হওয়ার সুযোগটাই তো
আমরা নষ্ট করে ফেলছি। তাহলে এই দরিদ্র দেশ উন্নত
দেশে পরিণত হবে কীভাবে?
শুধু পুরুষের একার পক্ষে কি সমাজ তথা দেশের উন্নয়ন
করা সম্ভব? যদি সম্ভব না হয় তাহলে আসুন আমরা
ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ, অশ্লীলতা,পতিতাবৃত্তি
ইত্যাদি সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই। নারী
পুরুষ উভয় মিলেই দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে
যাই।

২ টি +০/-০