নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবাই যখন নীরব, আমি একা চীৎকার করি \n--আমি অন্ধের দেশে চশমা বিক্রি করি।\n

গিয়াস উদ্দিন লিটন

এত বুড়ো কোনোকালে হব নাকো আমি হাসি-তামাশারে যবে কব ছ্যাব্‌লামি। - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গিয়াস উদ্দিন লিটন › বিস্তারিত পোস্টঃ

নোয়াখালীতে গান্ধী, গান্ধীর ছাগল চুরি ও গান্ধী আশ্রম ভ্রমণ সমাচার (ছবি ব্লগ)

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৫৫


(নোয়াখালী ভ্রমণে গান্ধীর অন্যতম সহচর দুই নাতনি মনু ও আভা)

ভারতে ব্রিটিশ শাসনের অবসানের এক বছর আগে থেকেই অবিভক্ত বাংলা প্রদেশ ছিল অগ্নিগর্ভ। হিন্দু ও মুসলমান সমাজের পারষ্পরিক সন্দেহ, অবিশ্বাস আর ঘৃণা এমন এক অবিশ্বাস্য পর্যায়ে পৌঁছেছিল যার জেরে ১৬ই অগাস্ট, ১৯৪৬ ঘটে যায় পূর্ব ভারতের ইতিহাসের কুখ্যাত সাম্প্রদায়িক হত্যাযজ্ঞ - 'দ্য গ্রেট ক্যালকাটা কিলিংস'।দাঙ্গা শুরুর প্রথম ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রাণ হারান ৪,০০০ নিরীহ হিন্দু ও মুসলমান, এবং গৃহহীন হন এক লক্ষেরও বেশি মানুষ।
ঐ দাঙ্গার কিছু বিলম্বিত প্রতিক্রিয়ায় তৎকালীন নোয়াখালীতে শুরু হয় আরেকটি হত্যাযজ্ঞ।

যেভাবে শুরু হয় দাঙ্গা: দশই অক্টোবর ছিল কোজাগরী লক্ষ্মীপূজার দিন। উত্তপ্ত সাম্প্রদায়িক আবহাওয়ার মধ্যে হঠাৎ করেই একটি গুজব ছড়িয়ে পড়ে : লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ থানার করপাড়ার জমিদার রাজেন্দ্রলাল চৌধুরীর বাড়িতে ভারত সেবাশ্রম সংঘের এক সন্ন্যাসী এসে উঠেছেন। তার নাম সাধু ত্রিয়াম্বাকানন্দ। তিনি ঘোষণা করেছেন, পূজার জন্য ছাগবলির বদলে এবার তিনি মুসলমানের রক্ত দিয়ে দেবীকে প্রসন্ন করবেন।

নোয়াখালীর এক কুঁড়েঘরে বসে চিঠি লিখছেন মি. গান্ধী।


এটা বারুদে স্ফুলিঙ্গের কাজ করে। করপাড়া থেকে সামান্য দূরে শ্যামপুর দায়রা শরীফ। গোলাম সারোয়ার হুসেইনী এই পীর বংশের উত্তর পুরুষ।গুজব পত্রপল্লবে ছড়িয়ে পড়ার পর তিনি ১০ই অক্টোবর ভোরবেলা চৌকিদারের মারফৎ রাজেন্দ্রলাল চৌধুরীর কাছে একটি চিঠি পাঠান এবং বিষয়টি নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব দেন।
কিন্তু মি. চৌধুরী এতে সাড়া না দিলে গোলাম সারোয়ার হুসেইনী সকালে শাহ্‌পুর বাজারে তার অনুগত ভক্ত এবং মুসলমানদের এক সমাবেশ ডাকেন।

সেখানে তিনি মুসলমানদের সেই সময়কার অবস্থান তুলে ধরেন এবং হিন্দু জমিদারকে উৎখাত করার ডাক দেন। অভিযোগ রয়েছে, ঐ সমাবেশ থেকে তিনি জমিদার ও সাধুর মুন্ডু কেটে আনার নির্দেশ দেন।এরপরই সহিংসতার আগুন ছড়িয়ে পড়ে সবখানে।

শাহ্‌পুর বাজারের সব হিন্দু ব্যবসায়ীদের দোকানপাট লুঠ করা হয় এবং আগুন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়। রামগঞ্জ এবং দশঘরিয়া বাজার লুঠ হয়। নারায়ণপুরের জমিদার সুরেন বোসের কাছারি বাড়িতে হামলা হয়।পরের দিন ১১ই অক্টোবর সকাল বেলা করপাড়ার চৌধুরী বাড়িতে হামলা হয়। পরিবারটি প্রথম দিকে বন্দুক ব্যবহার করে হামলাকারীদের ঠেকিয়ে রাখলেও একসময় তাদের গুলি ফুরয়ে যায়।
উত্তেজিত জনতা এসে রাজেন্দ্রলাল চৌধুরীর মাথা কেটে ফেলে। সাধু ত্রিয়াম্বাকানন্দ এর আগেই কোনক্রমে প্রাণ নিয়ে পালিয়ে যান।

রায়পুরের জমিদার চিত্তরঞ্জন রায় চৌধুরী নোয়াখালীতে মুসলমানদের ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক শক্তিকে গোড়া থেকেই মেনে নিতে পারছিলেন না। এ নিয়ে তার সাথে গোলাম সারোয়ার হুসেইনীর শুরু হয় দ্বন্দ্ব।

যেহেতু মি. রায় চৌধুরী কংগ্রেসের সাথে যুক্ত ছিলেন, তাই মি. হুসেইনী কংগ্রেসের বিভিন্ন নেতা এমনকি মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর কাছেও চিঠি পাঠিয়ে জমিদারের অত্যাচারের কথা জানান এবং তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করেন।

কিন্তু কোন সাড়া না পেয়ে তিনি নিজেই চিত্তরঞ্জন রায় চৌধুরীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধের ডাক দেন।তার অধীন আধাসামরিক বাহিনী 'মিয়ার ফৌজ' এবং এক সহযোগীর অধীন 'কাশেম ফৌজ'র সদস্যরা রায়পুরের জমিদার বাড়ি অবরোধ করে।এ নিয়ে শুরু হয় সংঘর্ষ, যার পরিণামে মি. রায় চৌধুরী তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করে নিজেও আত্মহত্যা করেন।

এসব ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়লে নোয়াখালী জেলার রায়পুর, রামগঞ্জ, বেগমগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর, ছাগলনাইয়া এবং পার্শ্ববর্তী ত্রিপুরা (বৃহত্তর কুমিল্লা) জেলার চাঁদপুর, চৌদ্দগ্রাম, হাজীগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ এবং লাকসাম থানার বিশাল এলাকাজুড়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।ধারণা করা হয়, এসময় ঐ অঞ্চলের পাঁচ হাজারেরও বেশি হিন্দু প্রাণ হারান।

নোয়াখালী দাঙ্গার চার সপ্তাহের মধ্যে হাজার হাজার হিন্দু ঘরবাড়ী হারিয়ে কুমিল্লা, চাঁদপুর, আগরতলা ও অন্যান্য জায়গার অস্থায়ী আশ্রয় শিবিরে আশ্রয় নিতে শুরু করেন। এই পটভূমিতে মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী নোয়াখালীতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
মি. গান্ধী নোয়াখালীর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন ৬ই নভেম্বর। পরদিন চৌমুহনীতে যোগেন্দ্র মজুমদারের বাড়িতে দুই রাত কাটিয়ে ৯ই নভেম্বর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি তার শান্তির লক্ষ্যে পদযাত্রা শুরু করেন।



এর পরের দিনগুলোতে তিনি খালি পায়ে মোট ১১৬ মাইল হেঁটে প্রায় ৪৭ টি দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাম পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি নিয়মিত প্রার্থনা সভা পরিচালনা ছাড়াও স্থানীয় মুসলমানদের সাথে বৈঠক করে হিন্দুদের আস্থা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করেন।
নোয়াখালীতে এসে মি. গান্ধী গোলাম সারোয়ার হুসেইনীর সাথেও দেখা করতে চান।মি. হুসেইনী ততদিনে মি. গান্ধীর ওপর সম্পূর্ণভাবে আস্থা হারিয়ে ফেলেছিলেন। তাই তিনি প্রথম দিকে সাক্ষাতে রাজী ছিলেন না।
পরে মি. গান্ধীর আহ্বানে চাটখিলে দুজনের মধ্যে বৈঠক হয়। বৈঠকে তিনি গান্ধীকে বলেন যে, দাঙ্গার সূত্রপাত নোয়াখালীতে নয়। কলকাতা ও বিহারে যখন দাঙ্গা থেমে যাবে তখন নোয়াখালীতেও হানাহানি বন্ধ হবে।

ইতোমধ্যে নোয়াখালীর ঘটনার জের ধরে বিহারে শুরু হয় দাঙ্গা।এতে প্রচুর মুসলমান প্রাণ হারাতে শুরু করলে মুসলিম লীগ নেতারা তাকে বিহারে যেতে অনুরোধ করে।ভগ্নহৃদয়ে নোয়াখালী শান্তি মিশন অসমাপ্ত রেখেই মি. গান্ধী ১৯৪৭ সালের ২রা মার্চ বিহারের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
(উপরের তথ্যগুলি বিবিসি বাংলার একটি আর্টিকেল থেকে নেয়া।সুত্র-নিচে)

গান্ধীর শান্তি মিশন চলাকালে ১৯৪৭ সালের ২৯ জানুয়ারি তিনি জয়াগ গ্রামে এসে পৌঁছেন। সেদিনই নোয়াখালী জেলার প্রথম ব্যারিস্টার জয়াগ গ্রামের কৃতী সন্তান হেমন্তকুমার ঘোষ মহাশয় তাঁর জমিদারির স্থাবর- অস্থাবর সম্পত্তি জনকল্যাণ খাতে ব্যয়ের উদ্দেশ্যে মহাত্মা গান্ধীর নামে উৎসর্গ করেন।গান্ধীজি সম্পত্তি পেয়ে ‘অম্বিকা-কালীগঙ্গা দাতব্য ট্রাস্ট’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।

ট্রাস্টে পরিচালনার ভার দেয়া হয় গান্ধীজীর স্নেহভাজন, জনসেবা ব্রতী, চিরকুমার শ্রীযুক্ত চারু চৌধুরী মহাশয়ের ওপর। তখন হতে উক্ত সম্পত্তি সদ্ব্যবহারের মাধ্যমে স্থানীয় অধিবাসীর ভাগ্য উন্নয়নের কার্যক্রম শুরু হয়।

১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ সরকার অম্বিকাকালীগঙ্গা চেরিট্যাবল ট্রাস্ট ভেঙে দিয়ে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ বলে এর নামকরণ করেন গান্ধী আশ্রম ট্রাস্ট। এ অধ্যাদেশ অনুসারে বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গান্ধী আশ্রম ট্রাস্ট গঠিত হয় এবং বিচারপতি দেবেশ চন্দ্র ভট্টাচার্যকে এর সভাপতির দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। এই ট্রাস্টের মাধ্যমেই মহাত্মা গান্ধীর জীবনদর্শন প্রচার ও বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। বর্তমানে গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টের সচিব হিসাবে কর্মরত আছেন জনকণ্ঠের নির্বাহি সম্পাদক সাংবাদিক স্বদেশ রায়।

গতকাল দেখে আসলাম গান্ধীর স্মৃতিবিজড়িত গান্ধী আশ্রম। প্রায় একশ একর ভূমিতে অবস্থিত আশ্রমের শুরুতেই রয়েছে একটি সুদৃশ্য তোরণ।



তোরণের ঢুকার আগেই রাস্তার দুইপাশে রয়েছে দুটি প্রাচীন স্থাপনা-



আশ্রমের রাস্তা-

গেটের ভিতর ঢুকলেই গান্ধীর বিশাল মুর্তি

মুর্তির সাথে পোজ দিচ্ছে এক দর্শনার্থী


গান্ধী স্মৃতি জাদুঘর , মিউজিয়ামের ভিতর ছবি তোলা নিষেধ।
‘অহিংস’ সমাজ প্রতিষ্ঠায় গান্ধীর কর্মময় জীবনকে সাধারণ মানুষের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতিবিজড়িত বিভিন্ন দুর্লভ ছবি, বই ও জিনিসপত্র নিয়ে ২০০০ সালের ২ অক্টোবর গান্ধী আশ্রমের মূল ভবনে প্রতিষ্ঠা করা হয় গান্ধী স্মৃতি জাদুঘর। রবিবার বাদে সপ্তাহে ছয়দিন এটি খোলা থাকে।
জাদুঘরে গান্ধীর কর্মময় জীবনের কিছু কথা, কিছু ছবি, কিছু স্মৃতি যে কারো চিন্তার জগতকে নাড়া দেবে। কোনো ব্যক্তির স্মৃতি কিংবা ব্যক্তিজীবনের কর্মকাণ্ড নিয়ে এমন জাদঘুর সত্যিই বিরল।
গান্ধীজির শৈশব থেকে মৃত্যু পর্যন্ত জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ের ১৩০টি ছবি শোভা পাচ্ছে এ জাদুঘরে। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে স্বদেশি আন্দোলনের সময় বিলাতি পোশাক বর্জনের ডাক দিয়ে যে চরকায় গান্ধী সুতা কাটতেন, জাদুঘরে সংরতি সেই চরকা এখনো মানুষের চিন্তাকে নাড়া দেয়।



মিউজিয়ামের পাশেই রয়েছে একটি দুর্লভ নাগলিঙ্গম গাছ। নিচে অনেকগুলি ফল পড়ে আছে। সাথের প্লেটে লেখা আছে সারা বাংলাদেশে এই গাছ মাত্র পঞ্চাশটি রয়েছে।ছবিতে নাগলিঙ্গম ফল হাতে একজন পর্যটক !

নাগলিঙ্গমের পাশে আছে আরেকটি অশোক গাছ, যা তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদ লাগিয়েছিলেন-

মিউজিয়ামের গায়ে লাগানো একটি পোড়ামাটির ফলক-

মিউজিয়ামের পেছনে গান্ধী মেমোরিয়াল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়

সাথে গান্ধী মেমোরিয়াল ইনিস্টিটিউট (উচ্চ বিদ্যালয়)

সাথে রয়েছে চরকায় কাটা সুতায় হাতে তৈরি তাঁতবস্ত্রের প্রদর্শনি ও বিক্রয় কেন্দ্র। ত্রিশ জন অনাথ মেয়ে কাজ করছে এখানে।

স্মৃতি হিসাবে কিনলাম একটা গামছা-


পুনশ্চঃ মি. গান্ধী ছাগলের দুধ পান করতেন। তাই তিনি নোয়াখালী আসার সময় সাথে করে একটি ছাগল এনেছিলেন।কিন্তু চাটখিলের বৈঠকের আগে কাশেম ফৌজের লোকজন ছাগলটিকে হস্তগত করেছিল। চাটখিলে ঐ বৈঠকে সেই ছাগলের রান্না মাংস নিরামিষাশী মি. গান্ধীর সামনে পরিবেশন করা হয়। এর মাধ্যমে মি. হুসেইনী একটি বার্তা দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন বলেই জানা যায়।(সূূত্র-বিবিসি)


তথ্যসূত্র- https://www.bbc.com/bengali/news-49900307
https://greenwatchbd.com/
https://newsinside24.com/




মন্তব্য ৫৬ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৫৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:২৬

নাহার জেনি বলেছেন: দুর্দান্ত লেগেছে। বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থানের আরো ছবি ব্লগ পাব বলে আশা করি।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৫০

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: নতুন অতিথির প্রথম মন্তব্য পেয়ে ভাল লাগলো।
ঐতিহাসিক স্থানের ব্যাপারে আমার দুর্বলতা আছে, সুযোগ পেলেই দেখার চেষ্টা করি। আশা করছি পুর্বের মত আগামীতেও আরও পোস্ট হবে।
ধন্যবাদ নিন নাহার জেনি ।

২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৩৭

ইসিয়াক বলেছেন: অনেক চমৎকার তথ্য বহুল পোষ্ট ।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৫৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জানবেন ইসিয়াক।

৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৩৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: দ্য গ্রেট ক্যালকাটা কিলিংস শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ লজ্জা। বিষয়টি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। তবে গান্ধী মূর্তির সামনে পোজ দেওয়া ভদ্রলোক যে এ যুগে গান্ধীর ভাই সে কথা বলাই যায়। চেহারার অবয়বে প্রচুর মিল, শুধু পোশাকটিই আলাদা। হাহাহা

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: গান্ধী ছিলেন শান্তির পক্ষের মানুষ। উনার পদাঙ্ক অনুসরণে যে কোন প্রকার কিলিংস বা সহিংসতার প্রতি আমাদের ঘৃণা থাকবে।


তবে গান্ধী মূর্তির সামনে পোজ দেওয়া ভদ্রলোক যে এ যুগে গান্ধীর ভাই সে কথা বলাই যায়। চিনেন নাকি লোকটাকে ? :P

৪| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০৭

দ্যা প্রেসিডেন্ট বলেছেন: প্রিয় রম্যকার,
১ম মন্তব্যকারীর মনের আশা পূরণের জন্য একটা মহফিলের আয়োজন করতে পারো, সেই সাথে দাওয়াত দিতে পারো উনার মতো আরো কিছু উদারপন্থী মন্তব্যকারদের। সভাপতি হিসেবে আমায় রাখতে পার ;) আমি কিন্তু সভাপতি হিসেবে খারাপ না! B:-/



চোর চলে যাওয়ার পর পুলিশের আগমন এমন বিশ্বাসটা কি আমরা মাগনা মাগনা অর্জন করেছি! আর ধৈর্যধারণের ক্ষমতা না থাকায় হুসাইনী সাহেবের মত আমাদের বর্তমান সময়কার ধর্মীয় নেতারাও ভুল করে যাচ্ছেন। কখনো কখনো ভারত মহাদেশের অতীত বর্তমানের হিসাব মিলাতে গিয়ে ভেতর থেকে বড়ই তৃপ্তির ঢেকুর আসে। এতকাল পরও আমরা আমাদের ঐতিহ্য ধরে রাখতে পেরেছি। বুঝতে হবে, এটাই বাঙালির ধর্ম প্রেম :)



ছবিতে তোমাকে দেখতে পেয়ে অনেকটা ভাল লাগছে। শান্তিও পাচ্ছি সুস্থ আছো ভেবে।
ভালো থাকো সবসময়।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২০

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: এখন যেভাবে আরাকান থেকে রোহিঙ্গাদের ঢল নেমেছে। সেসময় বিহার হতে নোয়াখালীতে মুসলমানদের ঢল নেমেছিলো। নোয়াখালী যদিও একেবারে মুসলিম অধ্যুষিত ছিল না, তবে নানান কারণে নোয়াখালীতে বিহারীরা এসেছিলো। এর অন্যতম কারণ নোয়াখালীর মুসলিমরা অন্য মুসলিমদের মতো অসচেতন ছিল না। তারা ছিলেন রাজনৈতিকভাবে বেশ সচেতন। এর কারণ এখানে ওহাবী আন্দোলন এবং হাজী শরীয়ত উল্লাহর ফরায়েজী আন্দোলন অত্যন্ত শক্তিশালী ছিল। বিহারীরা নোয়াখালীতে আসার আরেকটি কারণ ছিল গোলাম সরোয়ার হুসেইনী। তাঁর বাড়ি বর্তমান লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ থানার শামপুরে। তিনি ছিলেন পীর পরিবারের। তারা বংশানুক্রমিকভাবে মুসলিমদের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। তিনি নির্যাতিত বিহারীদের নোয়াখালীতে আহ্বান জানিয়েছেন। এই লক্ষ্যে তাদের নিরাপত্তা ও আবাসনের ব্যবস্থা করার জন্য একটি বাহিনী তৈরি করেন। এটি মিয়ার ফৌজ নামে পরিচিত ছিল। গোলাম সরোয়ার হুসেইনী রাজনৈতিক লোক ছিলেন। তিনি ১৯৩৭ সালের নির্বাচনে কৃষক প্রজা পার্টির নমিনেশন নিয়ে বঙ্গীয় আইন পরিষদের নির্বাচিত সদস্য হন।
আর সভাপতি হওয়ার কথা বলছেন? আপনিতো এমনিতেই দ্যা প্রেসিডেন্ট :D
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ নিন।

৫| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০৮

মা.হাসান বলেছেন: গামছাটি আপনার গায়ে ভালো মানাবে, গামছা পরিহিত ছবির অনুরোধ থাকলো।

সাম্প্রদায়িকতা এই অঞ্চলে একটা বড় ক্ষত রেখে গেছে। ঢাকা এবং নোয়াখালীর ধর্ম ভিত্তিক খুনাখুনি পীড়াদেয়। মুসলমানদের আর হিন্দুদের কি দুইজন আলাদা শ্রষ্টা তৈরি করেছেন? শ্রষ্টার তৈরি মানুষ হত্যা করলে কি শ্রষ্টা প্রীত হন?

আপনার লেখাটি বড় সুন্দর ও পূর্নাঙ্গ হয়েছে। ইনফরমেটিভ পোস্ট কি ভাবে দেয়া যায় তা এই পোস্ট থেকে শেখার আছে। তথ্যের কারনে না, লেখার স্টাইলের কারনে পোস্টটি প্রিয়তে রাখছি।

** গামছা পরা মানে ভাববেন না শুধু গামছা, সাথে স্যান্ডেল, জুতা, তাবিজ আর সব প্রয়োজনীয় জিনিস থাকতেই পারে।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: গামছা পরিহিত ছবি দিতে আমার আপত্তি ছিলনা।
ভয় হচ্ছে বাসন্তীর মত আপনারা না আবার এই ছবি দিয়ে প্রচার শুরু করেন,' অভাবে লুঙ্গি কিনতে না পেরে গামছা পরছে মানুষ' । :P

৬| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২৩

টারজান০০০০৭ বলেছেন: দেশভাগের বেদনাদায়ক ইতিহাস আবারও স্মরণ করাইয়া দিলেন !

তৎকালীন কংগ্রেসের সনাতনধর্মী নেতাদের মধ্যে গান্ধিজীই ছিলেন মানবিক,যাহার কারণে তাহাকে প্রাণ দিতে হইয়াছিল টেরোরিস্ট নাথুরামের হাতে ! ভারতে আজ গান্ধীজিকেও ভিলেন বানানো হইতেছে !!

নেহেরু, গোখলে, প্যাটেল সহ বাকি সবাই ছিল সাম্প্রদায়িক ! তাহারা এই দাঙ্গায় ইন্ধন জোগাইয়াছে ! দেশভাগ না হইলেই ভাল হইতো !

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২৯

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: তৎকালীন কংগ্রেসের সনাতনধর্মী নেতাদের মধ্যে গান্ধিজীই ছিলেন মানবিক, সুন্দর বলেছেন।
যাদের নাম বলেছেন এদের সাথে জীবদ্দশায়ই গান্ধীর বৈরিতা সৃষ্টি হয়েছিল।

৭| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩০

নুরহোসেন নুর বলেছেন: ভালো লেগেছে,
অজানা অনেক কিছুই দেখা ও জানা হলো।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:১৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ধন্যবাদ জানবেন নুরহোসেন নুর ।

৮| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: ছবি ব্লগ আমার সব সময় ভালো লাগে।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:২০

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনার পোস্ট গুলাও আমার পছন্দ রাজীব ভাই !

৯| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:২৩

সোহানী বলেছেন: অনেক ইতিহাস ও তার সাথে বর্তমান অনেক কিছু জানলাম প্রিয় লেখক।

পর্যটক ভদ্রলোককে কেমন যেন চেনা চেনা লাগছে। ভদ্রলোক আরো অনেক স্থান ভ্রমণ করে আরো চমৎকার লিখা উপহার দিক এ প্রত্যাশায়।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:২৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: পর্বতমালা, সিন্ধু দেখার সামর্থ নাই তাই ঘর হতে দুই পা ফেলে শিশির বিন্দুই দেখি।
ধন্যবাদ জানবেন বুবু।

১০| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৩২

রুমী ইয়াসমীন বলেছেন: লিখাটা পড়ে অনেক অজানা তথ্য জানতে পারলাম তৎকালীন আমাদের নোয়াখালী জেলার হিন্দু মুসলমান নিয়ে দাঙ্গা সাম্প্রদায়িকতার ঘটনা যা আগে এতো বিস্তারিত জানতে পারিনি। আর ভাইয়া আপনার দেয়া ছবিগুলোর মাধ্যমে গান্ধী আশ্রম সম্পর্কে জানার ও সৌভাগ্য হলো যদিও আমার দুর্ভাগ্য নোয়াখালীতে থেকেও আমি এখনো গান্ধী আশ্রম দেখতে পারলাম না!
আর আপনি নোয়াখালী এসে ঘুরে গেছেন শুনে অনেক আনন্দিত হলাম আর আপনার এমন তথ্যবহুল লিখাটা পড়ে তৎকালীন অবিভক্ত নোয়াখালী সম্পর্কে জানতে পেরে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:২৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: তোমাদের বাড়ি থেকে ৩০ টাকা ভাড়া গান্ধী আশ্রম। সুযোগ করে দেখে আসবে। সুন্দর মন্তব্য অনেক ধন্যবাদ জেনো রুমী ইয়াসমীন ।

১১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫৪

করুণাধারা বলেছেন: নোয়াখালির দাঙ্গার কথা জানতাম, কেন দাঙ্গা হয়েছিল জানতাম না। এটা ভেবে অবাক হতাম, কত বড় দাঙ্গা ছিল যে গান্ধীকে ছুটে আসতে হয়েছিল এতদূরে! আপনার তথ্যবহুল পোস্টে হি অনেক প্রশ্নের উত্তর পেলাম। গান্ধীর ছবিগুলোও আগে দেখিনি...

গান্ধী স্মৃতি জাদুঘর বলে কিছু আছে এটাই জানতাম না। জানার সাথে সাথে জাদুঘরের অনেক কিছু দেখা হয়ে গেল আপনার ছবির মাধ্যমে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। তবে একটা জিনিস বুঝতে পারছি না, গান্ধী ছাগলের দুধ খাবার জন্য যে ছাগল নিয়ে এসেছিলেন, সেই ছাগল রান্না করে নিরামিষাশী গান্ধীকে পরিবেশন করে কি বার্তা দেয়া হয়েছিল!!! জাতিগতভাবে অতিথিবৎসল বলে আমাদের সুনাম রয়েছে। এ কেমন আতিথেয়তা!

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৫২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সে সময় বিহার থেকে প্রচুর শরনার্থী নোয়াখালীতে আশ্রয় নিচ্ছিল। গোলাম সরোয়ার সাহেব বিহারীদের আশ্রয় দিচ্ছিলেন পাশাপাশি বিহারে ও কলকাতায় দাঙ্গা বন্ধ করার জন্য রাজনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে থাকেন। এদিকে রায়পুরের হিন্দু জমিদার চিত্তরঞ্জন রায় চৌধুরী নোয়াখালীতে বিহারীদের এই অনুপ্রবেশ পছন্দ করছিলেন না। তিনি বিহারীসহ মুসলিমদের আগমন ঠেকানোর প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। চিত্তরঞ্জন রায় চৌধুরীর এই আচরণ সরোয়ার সাহেবকে ব্যাথিত করেছিলো। তিনি তাকে বুঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু জমিদার তা মানতে নারাজ। জমিদার কংগ্রেসের সাথে যুক্ত ছিলেন। সরোয়ার সাহেব তাই গান্ধীকে খবর জানালেন যাতে তিনি জমিদারকে তার নিষ্ঠুর আচরণ থেকে বিরত রাখেন। হুসেইনীর মতে 'গান্ধী তার আহ্বানকে পাত্তা দিলেন না'। এদিকে জমিদার নোয়াখালী থেকে সকল বহিরাগত মুসলিমকে উচ্ছেদের অভিযানে নেমেছেন। সরোয়ার হুসেইনী কারো থেকে কোন সাহায্য না পেয়ে অবশেষে তিনি তার আস্তানা সামপুরের দিয়ারা শরীফে তার ভক্তদের ও মুসলিমদের এক সমাবেশ ডাকলেন। সেখানে তিনি মুসলিমদের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানিয়েছেন এবং চিত্তরঞ্জনের রায় চৌধুরীর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আহ্বান জানান।
এর পরেই শুরু হয় ভয়াবহ দাঙ্গা। অনেক হিন্দু প্রান হারাতে থাকেন।
গান্ধীকে জমিদারের বিরুদ্ধ্বে অবস্থান নিতে আহবান করে সরোয়ার হুসেইনী কোন জবাব পাননি। সরোয়ার হুসেইনীর বক্তব্য ছিল কলকাতা, আসাম ও নোয়াখালীর মুসলিমদের রক্ষার জন্য জন্য গান্ধী কোন ভূমিকা নেননি। এখন তাকে থামানোর জন্য, হিন্দুদের রক্ষার জন্য গান্ধী আসলেন নোয়াখালীতে। তিনি গান্ধীকে জানান আসাম, কলকাতার দাঙ্গা বন্ধ করেন তাহলে নোয়াখালীর দাঙ্গাও বন্ধ হয়ে যাবে।
যখন সারোয়ার সাহেবের সাথে তার কথা হচ্ছিলো তখনই রান্না করা ছাগল উপস্থাপন করা হয় গান্ধীর সামনে। এটা ছিল সরোয়ার সাহেবের একটি থ্রেট। গান্ধী সরোয়ার সাহেবের এই আচরণেই তার গোয়ার্তুমি আর মনোভাব সম্পর্কে আন্দাজ করতে সক্ষম হয় !
পরে সরোয়ার সাহেবকে থামানোর জন্য গান্ধী বরিশালের এ কে ফজলুল হক সহ মুসলিম নেতাদের সাথে যোগাযোগ শুরু করেন।




১২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১:২৮

বলেছেন: আমার গামছাটা কই ??

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:১১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: এক সাধুবাবা তার অনুসারীদের নিয়ে পাপ মোচন স্নানে গেলেন গঙ্গায়। গোসল শেষ করে সবাই উঠলো কিন্তু সাধুবাবার ওঠার কোন নাম নেই। তা দেখে একজন বলল, “কি সাধুবাবা, আপনি উঠছেন না কেন?” সাধুবাবা উত্তরে বললেন, “বৎস, পাপ ধোয়ার সাথে সাথে গামছাটাও যে ধুয়ে চলে যাবে তা ভাবতেই পারিনি। আমার গামছাটা ঢেউয়ের সাথে হারিয়ে গেছে!”
তা 'ল' ভাই কি সাধু বাবার মত গামছা হারাইছেন? :P

১৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৫১

জোবাইর বলেছেন: লিটন ভাই, অল্প কথায় ছবিসহ তথ্যসমৃদ্ধ লেখা। পোস্টের জন্য ধন্যবাদ। ইতিহাসের পাতা থেকে জানা আর প্রত্যক্ষদর্শীর কাছ থেকে জানার মধ্যে অনেক পার্থক্য।

ভারতীয় উপমহাদেশের কলঙ্কিত অধ্যায় "দ্য গ্রেট ক্যালকাটা কিলিংস"-এর সাথে পূর্ববঙ্গ তথা আজকের বাংলাদেশের নামটিও চলে আসে এই নোয়াখালী হত্যাযজ্ঞের কারণে।
জমিদার রাজেন্দ্রলাল চৌধুরীর বাড়িতে আশ্রয় নেওয়া সাধু ত্রিয়াম্বাকানন্দ ঘোষণা করেছেন, "পূজার জন্য ছাগবলির বদলে এবার তিনি মুসলমানের রক্ত দিয়ে দেবীকে প্রসন্ন করবেন।" এই গুজবের ওপর ভিত্তি করে পীর গোলাম সারোয়ার হুসেইনী জমিদার ও সাধুর মুন্ডু কেটে আনার নির্দেশ দেন।

তর্কের খাতিরে যদি এই গুজবকে সত্যি বলেও মেনে নিই তারপরেও নির্দেশ দেয়ার আগে পীর সাহেব বাস্তবতা যাচাইয়ের জন্য সাধুর পুজা দেয়া পযর্ন্ত অপেক্ষা করতে পারতেন। হুসেইনী সেই সামান্য অপেক্ষাটুকু করলে হয়তো নোয়াখালী ও বিহারের নির্মম এই হত্যাযজ্ঞ হতো না। মুসলমান নেতাদের মোটাবুদ্ধি, রক্তগরম সিদ্ধান্ত এবং কিছু মুসলমানের অজ্ঞতা বারবার এই ধরনের নির্মম পৈশাচিক ঘটনার জন্য দায়ী। উদাহরণ: লাদেন ও আফগানিস্তান, তেতুল হুজুর ও শাপলা চত্বর।

দেশভাগের দাঙ্গার সময় মহাত্মা গান্ধী ছাড়া কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের অন্য কোনো নেতার কথা শুনতে একসাথে হিন্দু ও মুসলমানরা রাজী ছিল না। তাই মহাত্মা গান্ধী দাঙ্গা বন্ধ করার জন্য কলকাতা, নোয়খালী, বিহার, পাঞ্জাব দৌড়েছেন। আর নোয়াখালীর লোকেরা নিরামিষভোজী সেই মানুষটার ছাগল চুরি করে জবাই করে তার সামনেই পরিবেশন করলো! নোয়াখালীর লোকেরা কাজটি ভালো করে নাই! :(

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:১৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: মুসলমান নেতাদের মোটাবুদ্ধি, রক্তগরম সিদ্ধান্ত এবং কিছু মুসলমানের অজ্ঞতা বারবার এই ধরনের নির্মম পৈশাচিক ঘটনার জন্য দায়ী। মুসলমান মাথা গরম জিনিস। এরা মগজের ব্যবহার না করে রক্তের প্রচুর অপচয় ঘটিয়েছে।
আর দাঙ্গা আসাম নোয়াখালী বা আমেরিকায় যেখানেই হোক সব দাঙ্গাই ইতিহাসের কলঙ্কিত অধ্যায়।
সুন্দর দির্ঘ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ নিন জোবাইর

১৪| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:১১

ধ্যত্তেরিকাষতড়এএতধ্যত্তেরিকা বলেছেন: আমার যুদ্ধের স্মৃতিবিজরিত নোয়াখালি।

কাশেম ফৌজের ছাগলহরণ আর ৫০০০ হিন্দু নিধন নিয়ে যথেষ্ট মতবিরোধ এবং অতিকথন আছে।

সোহানী আজকাল ভালোই মন্তব্য করছেন। অপু উকীল কি নিলুফার মনি মুক্ত হোক সামু।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:১৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনার নাম পড়তে গিয়ে একটা দাঁত বোধ হয় খুলে পড়ল। :P
নির্মোহ ইতিহাস খুব কমই আছে। প্রায় সকল ঐতিহাসিক মত নিয়েই মতবিরোধ আছে।

১৫| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনার পোস্ট গুলাও আমার পছন্দ রাজীব ভাই !

শুকরিয়া ভালো থাকুন। দোয়া করবেন।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:২০

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সুরভি পরী, পরীর ছা পরীকে নিয়ে আপনিও ভাল থাকুন । :)

১৬| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:১৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: এতটা বিস্তারিত জানা ছিল না। খুব ভাল লাগলো পড়ে। ++++++++++++++++++

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:২১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নিন ঢাবিয়ান।

১৭| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৫২

কিরমানী লিটন বলেছেন: ইতিহাসের অনেক অজানার সাথে পরিচিত হলাম। দারুন তথ্যবহুল। ঐতিহাসিক ছবিগুলো লিখাটিকে আরও প্রাণ দিয়েছে। খুবই ভালো লাগলো মিতা। অভিবাদন আপনাকে।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪০

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনার মন্তব্যও ভাল লাগল। অনেক ধন্যবাদ জানবেন মিতা।

১৮| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৩৭

জুন বলেছেন: জানা কাহিনি আবার পড়লাম গিয়াস লিটন ( আমারতো অসীম জ্ঞ্যান ) :P
গান্ধীর ছাগল চুরি করলো কোন ছাগলে? যাই হোক গান্ধীর দেশে এখন গোমাতার জয়জয়কার। কাল আনন্দ বাজারে পড়লাম কোন এক বিজেপি মন্ত্রী বলছে একমাত্র ভারতীয় গরুই হলো গোমাতা,
তাদের গরুর দুধেই স্বর্ন পাওয়া যায় আর বাকি সব দেশের গরু হলো "আন্টি "। ওরা ভবিষ্যতে কত বড় ছাগল জাতি হবে এটা বুঝতে পেরেই গান্ধী জি ছাগল নিয়ে ঘুরতেন ;)

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৯

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: একমাত্র ভারতীয় গরুই হলো গোমাতা,---- আর বাকি সব দেশের গরু হলো "আন্টি " =p~
ষাঁড় বলদের ব্যাপারে কিছু বলেনি আপু?
সব দেশের মন্ত্রী সভায় কিছু আবাল রাখা ট্রেন্ড হয়ে গেছে দেখছি--

১৯| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
পূজার জন্য ছাগবলির বদলে নরবলি!
এবার মুসলমানের রক্ত দিয়ে দেবীকে প্রসন্ন করবেন।"

কল্লা কাটা গুজব সেই আমলেও ছিল? ফেসবুক ছাড়াই?

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: হাহাহাহা বেশ মজার মন্তব্য ! ধন্যবাদ নিন হাসান কালবৈশাখী

২০| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৫

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: হা হা হা হা হা হা।
ছাগলের ভোজন পর্বের মত আমরাও এমন ভোজন পর্ব সম্পাদন করেছি অনেক। গান্ধিজীর জায়গায় সেখানে ছিল আমাদের বন্ধুদের এক একজন এক একসময় ;) ;) ;)

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ছাগলের ভোজন পর্বের মত আমরাও এমন ভোজন পর্ব সম্পাদন করেছি অনেক। ছাগ ভোজন হয়নি। তবে ভেড়া হয়েছে। আমাদের এলাকায় কারো কারো ১৫শ ২ হাজার ভেড়া ছিল, দুএকটা দিয়ে ভুরি ভোজ করলে এরা টের পেতনা, টের পেলেও কিছু বলতোনা।

২১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৫

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: ছাগল একবার আর অধিকাংশ সময় আমরা দেশীয় জাতি মুরোগগুলোকে খুব সুন্দরভাবে ভোজন করতাম । মাঝে মধ্যে হাঁসও আমাদের এদিকে ঘুরতে এসে আর ফিরতে পারতো না । একবার তো প্রিয় এক বন্ধুর শেৱালি মোরগ আমাদের প্লেটে এসে নৃত্য করতে শুরু করে । যাক , পরবর্তী বিচার কার্যের কথা নাই বা বললাম ।

ভেড়া ভালোভাবে রাঁধতে পারলে কিন্তু স্বাদ খারাপ হয় না। আমি এই প্রাণীটি চেখে দেখতে পারিনি । আচ্ছা লিটন ভাই, ভেড়ার মালিককে দাওয়াত দিয়েছিলেন ;) ?

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:০৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আমাদের কোন ভোজে মালিক পক্ষ ছিল না।
২০১৫ সালের ঘটনা।
এলাকার বিখ্যাত জলদস্যু পরে ক্রসফায়ারে নিহত, ১৫ আগস্টে ভুরিভোজের জন্য নানা বাড়ির সামনে চর থেকে ধরে আনা একটি মহিষ জবাই করে বিশাল মেজবানি দেয়। তিন দিন পরে জানা গেল ভুল করে মামাদের মহিষ জবাই হয়ে গেছে । ভোজে অবশ্য তার সকল মামাই ছিল ।

২২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০১

আহমেদ জী এস বলেছেন: গিয়াস উদ্দিন লিটন,




বেশ কিছু অদেখা ছবি সহ ইতিহাসের দেখা মিললো। ইতিহাস অনেক সময়ই প্রশ্নবিদ্ধ হয়, প্রশ্নবিদ্ধ হয় ঘটনার বহু বহু বছর পরে। ফলে যারা প্রশ্নবিদ্ধ করেন তাদের কোনও সময়ই প্রত্যক্ষ ভাবে ঘটনার স্বাক্ষী থাকার কথা নয় এবং ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতও তাদের জানা থাকেনা।

আমার মনে হয়, গান্ধীকে যতোখানি হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের সারথী বলা হয় আসলে তিনি ততোখানি নন।

উপরে সহব্লগার "জুন" এর মন্তব্যটি জোশ।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:২০

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অস্বস্থির সাথে বলছি যেখানে হিন্দুরা আক্রান্ত হচ্ছিল সেখানেই গান্ধী ছুটে গেছেন, ইতিহাসে এরকমই দেখছি। তাই আপনার মন্তব্যের মাঝের প্যারাটি ফেলে দেয়া যাচ্ছেনা ।
ধন্যবাদ জানবেন আহমেদ জী এস ভাই

২৩| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৫৫

লুৎফুর হুমায়ূন বলেছেন: নোয়াখালীর মানুষের আচরণ সম্পর্কে একটা অভিযোগ বহুল প্রচলিত। অনেকে সিরিয়াসলি বলেন, অনেকে মজা করার জন্যও বলেন। নোয়াখালীর মানুষ নাকি মহাত্মা গান্ধীর ছাগল চুরি করে খেয়ে ফেলেছিল….

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৫০

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সেটাতো পোস্টে বলেছি !!

২৪| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: অত্যন্ত সাবলীল ভাষায় চমৎকার এক টুকরো ইতিহাস তুলে ধরেছেন। সেই সাথে কিছু দুর্লভ ছবি পোস্টকে করেছে সমৃদ্ধ। তবে গান্ধীর মূর্তির সাথে পোজ দেয়া সেই দর্শনার্থীর ছবিটি এবং নাগালিঙ্গম ফল হাতে দাঁড়ানো পর্যটকের ছবিটি সেই রকমের হয়েছে!!! :)
চমৎকার একটি রম্য মন্তব্যের জন্য "জুন" কে ধন্যবাদ।



১৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৫৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: গান্ধীর মূর্তির সাথে পোজ দেয়া সেই দর্শনার্থীর ছবিটি এবং নাগালিঙ্গম ফল হাতে দাঁড়ানো পর্যটকের ছবিটি সেই রকমের হয়েছে!!! :D :D অনেক ধন্যবাদ জানবেন জনাব খায়রুল আহসান ।
বইমেলায় এবার কি আপনার কিছু আসছে ?

২৫| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৫৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বিস্তারিত এত কিছু জানা ছিল না! ছবি গুলো যে পূর্ণতা দিয়েছে পূর্ণ মাত্রায় :)
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভায়া শেয়ার করে জানানোয় :)

মন্তব্য প্রতিমন্তব্যেও অনেক ভাল লাগা।

তবে গান্ধীর মূর্তির সাথে পোজ দেয়া সেই দর্শনার্থীর ছবিটি এবং নাগালিঙ্গম ফল হাতে দাঁড়ানো পর্যটকের ছবিটি সেই রকমের হয়েছে!!! :)

প্রিয় সিনিয়রের মন্তব্যে সহমত

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:২৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানবেন বিদ্রোহী ভৃগু ।

২৬| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:১৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: বইমেলায় এবার কি আপনার কিছু আসছে? - এখনো পান্ডুলিপি চূড়ান্ত করতে পারিনি, তাই আগামী বইমেলায় আমার নতুন কোন বই প্রকাশ অনিশ্চিত।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:১৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: শুভ কামনা রইল ।

২৭| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:২৩

নেক্সাস বলেছেন: অত্যান্ত সুন্দর পোস্ট

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:১৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ধন্যবাদ জানবেন নেক্সাস ।

২৮| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:৫১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: বিলম্বিত পাঠের জন্য দু:খবোধ হচ্চৈ ।
পাঠে জানা গেল অনেক বিষয়।
অত্যন্ত তথ্যসমৃদ্ধ মুল্যবান পোষ্ট ।
সরাসরি প্রিয়তে ।
শুভেচ্ছা রইল

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা জানবেন জনাব ডঃ এম এ আলী ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.