![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এত বুড়ো কোনোকালে হব নাকো আমি, হাসি-তামাশারে যবে কব ছ্যাব্লামি। - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
আন্তমহাদেশীয় কবি সম্মেলন উপলক্ষে রবি ঠাকুর এখন ঢাকায়। উঠেছেন ইন্টারকন্টিনেন্টালে। বিকেলের কনে দেখা আলোয় তিনি ঢাকা শহর দেখতে বেরুলেন। সাথে গুন গুন করে সুর ভাজছিলেন,"আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালো বাসি--"।
সবে দুশ কদমও এগুননি এমন সময় এক তরুণ চেঁচিয়ে উঠল—
“পাওয়া গেছেরে পাওয়া গেছে একটা এক্সক্লুসিভ জটাধারী পাওয়া গেছে! ভাইসব, এইবার ভাইরাল হবই।”
কথাটা কবির কানে যেতেই তিনি হকচকিয়ে এদিক সেদিক তাকিয়ে দ্রুত সামনে কদম বাড়ালেন। পেছনে ৪/৫ যুবকের কন্ঠ শোনা যাচ্ছে "বুড়া মিয়া খাড়ান,বুড়া মিয়া খাড়ান।"
শুরু হল দৌড়ঝাঁপ। কেউ ধরছে কবির পাঞ্জাবি,কেউ পাতলুন,কেউ দাড়ি কে একজন উনার টু-টুনিও চেপে ধরেছে সাথে বিভিন্ন ডায়লগ -ক্ষুর ল,ট্রিমার ল,দাড়ি কাট,চুল কাট।
হঠাৎ রবীন্দ্রনাথ সাহেবের মনে পড়ল,কোথায় যেন পড়েছেন ঢাকার রাস্তায় আজকাল এক নতুন ট্রেন্ড চলছে—ভবঘুরে, উন্মাদ, কিংবা রাস্তাঘাটে থাকা জটাধারীদের ধরে এনে “সামাজিক সেবা”র নামে মাথার চুল ও দাড়ি কেটে দিচ্ছে একদল সদাশয় তরুণ। কারও আশা জান্নাত কারো আশা ভাইরাল!
টুন-নির ব্যাথায় কবি ফুটপাতে লুটিয়ে পড়লেন। অনেক কষ্টে চিঁচিঁ করে বললেন,“আরে ধৈর্য ধরো! তোমরা কি করছো? আমি নোবেল বিজয়ী কবি,আমি রবিন্দ্র নাথ ঠাকুর। এ চুল দাড়ি যে আমার ব্র্যান্ড আইডেন্টিটি।
পাগলা কয় কি? বলেই যুবকরা মুহূর্তের মধ্যে ক্ষুর,কাঁচি, ইলেকট্রিক ট্রিমার বের করে ফেললো। আশপাশে দেখা গেল জনা বিশেক তামশগির যারা মোবাইল ক্যামেরায় ভিডিও করছে।
“বুড়া মিয়া চুপ চাপ বসে পড়ুন,একটু হাসুন। লাইভ দিচ্ছি। দর্শক চাইছে রিঅ্যাকশন।”
ঠাকুর শেষ চেষ্টা করলেন—
“দেখো ভাই, আমি কিন্তু নোবেলজয়ী মানুষ। এই দাঁড়ি কাটলে কিন্তু ইতিহাস পাল্টে যাবে।”
এক তরুণ হেসে জবাব দিল,
“বুড়া মিয়া ইতিহাস পাল্টে গেলে তো ভাইরাল হব আরও দ্রুত!”
ফলাফল? অল্প সময়েই রবীন্দ্রনাথ হলেন একেবারে বেল মাথা, ক্লিন শেভড। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে তিনি গভীর নিঃশ্বাস ফেলে বললেন—
“হে কাঁচি, হে ট্রিমার,
তুমি বড় নির্মম...
দাঁড়ি লইয়া করিলে যে তাণ্ডব,
ভাইরাল হইল মনুষ্যসমাজ,
হারাইল রবি—পরিচয় তাহার!”
সাথে ভাবনা উদয় হল,হায় এই বেশে আমি যদি শান্তিনিকেতনে ফিরে যাই, ছাত্ররা তো চেনবেই না উল্টো ভাববে কোন হিরুইঞ্চি বোধহয় বদনা টদনা চুরি করতে এসেছে।”
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৪৬
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জানবেন কামাল ভাই।
২| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:২১
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: পাগল টাইপ লোকজনের চুল দাড়ি কাটা শুরু হয়েছিলো ভারতের কিছু সংস্থার দেখাদেখি। যখন কতিপয় লেবাসধারী একই কাজ শুরু করলো ভিউ র আশায় বাঙ্গু সুশীলরা ক্ষেপে গেল। লেবাসিরা এইকাজ নিজেদের বুদ্ধি থেকে করেনি। যারা শুরু করেছিলো তারা ছিলো সুশীল! শুরুতেই এটা নিয়ে প্রতিবাদ হলে এই কান্ড হতো না।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৫০
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সমস্যা লেবাসে নয়। সমস্যা হয়েছে এই লেবাসধারীদের জ্ঞান বুদ্ধি হাটুর নিচে। তারা এক সাধুকে ও এক সুস্থ যুবককে ধরে জোর পুর্বক মাথা ন্যাড়া করে দেবার পর পাব্লিক নড়ে চড়ে বসে। হালিম সাধু মামলা করেছে ভুই ব্যবসায়ীরা গা ঢাকা দিয়েছে।
৩| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৩২
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
আপনি কি কখনো বুঝবেন যে, আমেরিকান ক্যু আমাদের জাতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে?
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৫৩
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: জাতীকে এভাবে ধ্বংস(?) করতে থাকলে ২শ বছর লাগবে হাসিনার কাছাকাছি পৌঁছাতে।
৪| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:১৪
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
জাতির কপাল শনির যাত্রা তো সবে মাত্র শুরু।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৫৭
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: প্রথম প্রথম এসবে কেউ গা করেনা যখন মহামারী আকারে ছড়ায় তখন সবার টনক নড়ে।
৫| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৩৩
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: প্রথম মন্ত্যব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ জানবেন কামাল ১৮
৬| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৪৬
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ১/ওয়াইফাই থেকে দূরে গেলে গ্রামীণ সিমে সামহোয়্যারইন ব্লগ আসেনা। এমতাবস্থায় মন্তব্যের তিপ্লাই দিলে সেটা আলসদা মন্তব্য হয়ে যায়।
২/ আজ কয়েকদিন সামুর ফুল ভার্সনে ক্লিক করলেও ফুল ভার্সন আসেনা।
উপরোক্ত দুটো কারনে সময় মত মন্তব্যগুলোর রিপ্লাই দিতে পারিনি তাই দুঃখ প্রকাশ করছি।
এইমাত্র ফুল ভার্সন এলো।
৭| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:০৪
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: জোর করে চুল কাটা ওরা মহা পুণ্যের কাজ মনে করছে।
৮| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩৮
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ‘মাহবুব ক্রিয়েশন ফোর’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে প্রথম ছিন্নমূল মানুষদের চুল ও জটা কাটার উদ্যোগ নেওয়া হয়। পথে পথে ছিন্নমূল মানুষদের পরিষ্কার করার নামে তাদের চুল কেটে দেওয়া হতো। শুধু ছিন্নমূল নয়, ফকির-সন্ন্যাসী কেউই এর বাইরে থাকতেন না। পুরো দৃশ্য ভিডিও করে ফেসবুকে প্রকাশ করা হতো।
উদ্দেশ্য ছিল স্পষ্ট—ফেসবুক থেকে রাজস্ব আয়ের জন্য এসব ভিডিও বানানো। পাশাপাশি প্রবাসীদের কাছ থেকেও অনুদান নেওয়া হতো।
বিশ্লেষণে দেখা যায়, একজন মানুষকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার নামে যে ব্যয় হয়, ভিডিও থেকে তার বহুগুণ আয় করা সম্ভব হয়। এর সঙ্গে যোগ হয় দেশি ও প্রবাসীদের অনুদান।
চুল ও জটা কেটে দেওয়ার আড়ালে গড়ে ওঠে বড় এক বাণিজ্য। অথচ যারা অর্থ সহায়তা দেন, তারা এই নেপথ্যের হিসাব জানেন না।
মাহবুব ক্রিয়েশন ফোরের এসব কাজ মাঝেমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হতো। তবে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আসে একটি ভিডিও—যেখানে এক ব্যক্তির জোর করে জটা কেটে দেওয়া হয় এবং তাঁর হাতের বালা খুলে নেওয়া হয়।
কারণ, ওই ঘটনায় ধ-স্তাধস্তি ও মা-রামারিও হয়। জানা যায়, ওই ব্যক্তির নাম লিটন সাধু। তিনি রাজধানীর পোস্তগোলা মহা-শ্মশানে লা-শ সৎকারের কাজ করেন এবং পাশাপাশি সদরঘাট এলাকায় ফল বিক্রি করেন। আধ্যাত্মিক ভাবনা থেকে তিনি দীর্ঘদিন চুল-দাড়ি লম্বা রেখেছিলেন। দুই হাতে ছিল ধাতব বালা।
মাহবুব ক্রিয়েশন ফোরের উদ্যোক্তা মাহবুবুর রহমান ও তার দল লিটন সাধুর জটা ও চুল-দাড়ি জোরপূর্বক কেটে দেন। এসময় লিটন সাধু প্রাণপণ চেষ্টা করেও নিজেকে রক্ষা করতে পারেননি। তিনি লাথিও মেরেছিলেন, কিন্তু সব ব্যর্থ হয়। চুল কেটে দেওয়ার পর তার হাতের প্রায় ৫০ ভরি রুপার বালা লুটে নেওয়া হয়, যার মূল্য আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা।
লিটন সাধুকে যেভাবে ধরে চুল ও জটা কেটে দেওয়া হয়েছে, একইভাবে আরো অনেককেই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার নামে এভাবে চুল ও জটা কেটে দেওয়া হয়েছে। মাহবুবের এমন কর্মকাণ্ডের খবর প্রথম প্রকাশিত হয় গত ১৪ আগস্ট কালের কণ্ঠ অনলাইন সংস্করণে। এরপর দেশের অন্যান্য গণমাধ্যমও বিষয়টি প্রকাশ করে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলে। মাহবুবই দেশে এ ধরনের চুল ও জটা কাটার প্রবণতা প্রথম শুরু করেন— সম্প্রতি তার ফেসবুক লাইভের বক্তব্য থেকেও সেটি স্পষ্ট হয়।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:১১
কামাল১৮ বলেছেন: মজার সাথে লুকিয়ে আছে এক গহীন বার্তা।