নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লিখি, ছবি তুলি আর সিনেমা বানাই ।

জিপসি রুদ্র

লিখি, ছবি তুলি আর সিনেমা বানাই ।

জিপসি রুদ্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাঙলাদেশ ছাত্রলীগঃ প্রত্যাশা এবং প্রাপ্তির মাঝখানে বিরাট হতাশা ।

১১ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:০৮


সারাদেশে উগ্রধর্মান্ধ মৌলবাদের মাত্রাতিরিক্ত উত্থান , মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধীদের নাকের ডগায় আস্ফালন এবং রাজাকার বাচ্ছাদের রাষ্ট্রের সকলস্থরে শক্তিশালী অবস্থানের বিরুদ্ধে বাঙলাদেশ ছাত্রলীগ আশার প্রতিফলন ঘটাতে পারে নাই ।

ধর্মনিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক চেতনার রাজনীতিকে দূরে ঠেলে বাঙলাদেশ ছাত্রলীগ স্বস্ব নেতার দালালি চামচামি এবং গোলামিতে ব্যস্তছিলো । মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থায় জাতীয় সংগীত , জাতীয় পতাকা , জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, জাতীয় দিবস এবং শহীদ মিনার স্মৃতিসৌধকে চরম অবমূল্যায়ন আর অবজ্ঞা করা হয় কিন্তু বাঙলাদেশ ছাত্রলীগের সেই দিকে কিঞ্চিত পরিমানও নজর নাই ।

একটা দেশের নয়া প্রজন্ম যদি জাতীয় সংগীত , জাতীয় পতাকা , জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, জাতীয় দিবস এবং শহীদ মিনার স্মৃতিসৌধের প্রতি চরম ঘৃণা আর বিদ্বেষ নিয়ে বেড়ে উঠে তাইলে এই দেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের যে গৌরব উজ্জ্বল ইতিহাস ঐতিহ্য আছে তা রক্ষা করবে কে ?

জাতির পিতা বাঙলাদেশ ছাত্রলীগকে গঠন করেছিলো , নয়া প্রজন্মকে সংগঠিত করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভিত্তিক বাঙালি জাতীয়তাবোধ সম্পন্ন বাঙলাদেশ গড়তে ।

কিন্তু দুখের বিষয় বাঙলাদেশ ছাত্রলীগ এখন উগ্রধর্মান্ধ মৌলবাদপ্রেমী , ধর্মনিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক চেতনা এবং জাতির পিতার আদর্শ বিরোধী , দেশপ্রেমহীন ছেলেপেলেদের আখড়ায় পরিনত হয়েছে ।

নীতি নৈতিকতা , চেতনা এবং আদর্শের সাথে আঁতাত বাঙলাদেশ ছাত্রলীগকে সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের কাছে একটা আতংক আর ঘৃণার সংগঠনে পরিনত হয়েছে । কারণ সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কোন আন্দোলন সংগ্রামে ছাত্রলীগের কোন সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায় না । ছাত্রলীগের আন্দোলন সংগ্রাম মানে এখন নেতার পিছনে জয় বাঙলা শ্লোগান দেওয়ায় পরিনত হয়েছে !

অথচ ৬২'র শিক্ষা কমিশন আন্দোলনে বাঙলাদেশ ছাত্রলীগ "ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ" গঠন করে আইয়ুব শাহীর সাম্প্রদায়িক ,ব্যয়বহুল এবং অবৈজ্ঞানিক শিক্ষানীতিকে রুখে দিয়েছিলো । আজ সেই ছাত্রলীগ মাইক্রোস্কোপ দিয়ে খুঁজলেও পাওয়া যায় না ! বাঙলাদেশ ছাত্রলীগের এই গৌরব উজ্জ্বল ইতিহাস বেশির ভাগ নেতা কর্মী সমর্থকরাও জানে না ! আমি এই যাবত যতোজন ছাত্রলীগ নেতা কর্মী সমর্থককে জিগাইছি , ৬২ শিক্ষা কমিশন আন্দোলন সম্পর্কে কিছু বলতে পারবা ?- তারা এক বাক্যে বলছে তারা জানে না । তারা অমুক ভাই তমুক ভাইয় সম্পর্কে ভালো বলতে পারে কিন্তু ৬২ শিক্ষা কমিশন আন্দোলন সম্পর্কে জানে না !

তৎকালীন ছাত্রলীগ সাধারণ ছাত্রদের অধিকার আদায়ের পাশাপাশি গণমানুষের অধিকার আদায়ে আন্দোলন সংগ্রাম করতো । যার উদাহারণ ৬৬'র ছয় দফা, ৬৯'এর গনঅভ্যুথান, ৭০'এর নির্বাচন এবং ৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে বাঙলাদেশ ছাত্রলীগের গৌরব উজ্জ্বল অংশগ্রহণ ছিলো । যার ফলে বাঙলাদেশ ছাত্রলীগ সাধারন ছাত্রছাত্রীদের সাথে সাথে গণমানুষের কাছে অতিপ্রিয় একটা ছাত্র সংগঠনে পরিনত হয়েছিলো ।

স্বাধীনতা যুদ্ধের বাঙলাদেশ ছাত্রলীগ "মুজিব বাহিনী" গঠন করে সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহন করেছিলো । অথচ আজকের ছাত্রলীগ জাতির পিতার আদর্শ কি তা ভুলেই গেছে । ধর্মনিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক চেতনাতো মাইক্রোস্কোপ দিয়ে খুঁজে দেখলেও পাওয়া যায় না !

নয়া কমিটি হচ্ছে । আশা করতে আর ইচ্ছা করে না বাঙলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে । অযোগ্য অপদার্থ ধর্মনিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক চেতনা এবং জাতির পিতার আদর্শ বিমূখ, পাতি নেতা, ছোট নেতা, বড় নেতার গোলাম ছেলেপেলেদের হাতে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ ছাত্র সংগঠন বাঙলাদেশ ছাত্রলীগকে তুলে দিলে আর কী চাওয়ার থাকে ?

তারপরেও স্বপ্ন দেখি এমন নেতৃত্ব আসবে, যারা নয়া প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের ধর্মনিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক চেতনা এবং জাতির পিতার আদর্শে ফেরত নিয়ে যাওয়ার জন্য উগ্রধর্মান্ধ মৌলবাদ পুষ্ট শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন করে মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থায় জাতীয় সংগীত গাওয়া , জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় সকল দিবস পালন বাধ্যমূলক করবে । বাঙলাদেশ ছাত্রলীগকে বানাবে ধর্মনিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক চেতনা এবং জাতির পিতার আদর্শের রক্ষাকবচ ।

এমন ছাত্রলীগ চাই , যারা বাঙলাদেশের যে প্রান্তেই উগ্রধর্মান্ধ মৌলবাদী, ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করা ধর্মব্যবসায়ীরা ধর্মনিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিরুদ্ধে কথা বলবে, রাজাকার যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে জনমত গঠন করবে সেখানেই বাঙলাদেশ ছাত্রলীগ প্রতিবাদ করে রুখে দিবে ।

কিন্তু আশা কেবলই নিরাশার বালুচরে হারিয়ে যায় ! সারাদেশে উগ্রধর্মান্ধ মৌলবাদের মাত্রাতিরিক্ত উত্থান , মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধীদের নাকের ডগায় আস্ফালন এবং রাজাকার বাচ্ছাদের রাষ্ট্রের সকলস্থরে শক্তিশালী অবস্থানের বিরুদ্ধে বাঙলাদেশ ছাত্রলীগ আশার প্রতিফলন ঘটাতে পারে নাই ।

ধর্মনিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক চেতনার রাজনীতিকে দূরে ঠেলে বাঙলাদেশ ছাত্রলীগ স্বস্ব নেতার দালালি চামচামি এবং গোলামিতে ব্যস্তছিলো । মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থায় জাতীয় সংগীত , জাতীয় পতাকা , জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, জাতীয় দিবস এবং শহীদ মিনার স্মৃতিসৌধকে চরম অবমূল্যায়ন আর অবজ্ঞা করা হয় কিন্তু বাঙলাদেশ ছাত্রলীগের সেই দিকে কিঞ্চিত পরিমানও নজর নাই ।

একটা দেশের নয়া প্রজন্ম যদি জাতীয় সংগীত , জাতীয় পতাকা , জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, জাতীয় দিবস এবং শহীদ মিনার স্মৃতিসৌধের প্রতি চরম ঘৃণা আর বিদ্বেষ নিয়ে বেড়ে উঠে তাইলে এই দেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের যে গৌরব উজ্জ্বল ইতিহাস ঐতিহ্য আছে তা রক্ষা করবে কে ?

জাতির পিতা বাঙলাদেশ ছাত্রলীগকে গঠন করেছিলো , নয়া প্রজন্মকে সংগঠিত করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভিত্তিক বাঙালি জাতীয়তাবোধ সম্পন্ন বাঙলাদেশ গড়তে ।

কিন্তু দুখের বিষয় বাঙলাদেশ ছাত্রলীগ এখন উগ্রধর্মান্ধ মৌলবাদপ্রেমী , ধর্মনিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক চেতনা এবং জাতির পিতার আদর্শ বিরোধী , দেশপ্রেমহীন ছেলেপেলেদের আখড়ায় পরিনত হয়েছে ।

নীতি নৈতিকতা , চেতনা এবং আদর্শের সাথে আঁতাত বাঙলাদেশ ছাত্রলীগকে সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের কাছে একটা আতংক আর ঘৃণার সংগঠনে পরিনত হয়েছে । কারণ সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কোন আন্দোলন সংগ্রামে ছাত্রলীগের কোন সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায় না । ছাত্রলীগের আন্দোলন সংগ্রাম মানে এখন নেতার পিছনে জয় বাঙলা শ্লোগান দেওয়ায় পরিনত হয়েছে !

অথচ ৬২'র শিক্ষা কমিশন আন্দোলনে বাঙলাদেশ ছাত্রলীগ "ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ" গঠন করে আইয়ুব শাহীর সাম্প্রদায়িক ,ব্যয়বহুল এবং অবৈজ্ঞানিক শিক্ষানীতিকে রুখে দিয়েছিলো । আজ সেই ছাত্রলীগ মাইক্রোস্কোপ দিয়ে খুঁজলেও পাওয়া যায় না ! বাঙলাদেশ ছাত্রলীগের এই গৌরব উজ্জ্বল ইতিহাস বেশির ভাগ নেতা কর্মী সমর্থকরাও জানে না ! আমি এই যাবত যতোজন ছাত্রলীগ নেতা কর্মী সমর্থককে জিগাইছি , ৬২ শিক্ষা কমিশন আন্দোলন সম্পর্কে কিছু বলতে পারবা ?- তারা এক বাক্যে বলছে তারা জানে না । তারা অমুক ভাই তমুক ভাইয় সম্পর্কে ভালো বলতে পারে কিন্তু ৬২ শিক্ষা কমিশন আন্দোলন সম্পর্কে জানে না !

তৎকালীন ছাত্রলীগ সাধারণ ছাত্রদের অধিকার আদায়ের পাশাপাশি গণমানুষের অধিকার আদায়ে আন্দোলন সংগ্রাম করতো । যার উদাহারণ ৬৬'র ছয় দফা, ৬৯'এর গনঅভ্যুথান, ৭০'এর নির্বাচন এবং ৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে বাঙলাদেশ ছাত্রলীগের গৌরব উজ্জ্বল অংশগ্রহণ ছিলো । যার ফলে বাঙলাদেশ ছাত্রলীগ সাধারন ছাত্রছাত্রীদের সাথে সাথে গণমানুষের কাছে অতিপ্রিয় একটা ছাত্র সংগঠনে পরিনত হয়েছিলো ।

স্বাধীনতা যুদ্ধের বাঙলাদেশ ছাত্রলীগ "মুজিব বাহিনী" গঠন করে সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহন করেছিলো । অথচ আজকের ছাত্রলীগ জাতির পিতার আদর্শ কি তা ভুলেই গেছে । ধর্মনিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক চেতনাতো মাইক্রোস্কোপ দিয়ে খুঁজে দেখলেও পাওয়া যায় না !

নয়া কমিটি হচ্ছে । আশা করতে আর ইচ্ছা করে না বাঙলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে । অযোগ্য অপদার্থ ধর্মনিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক চেতনা এবং জাতির পিতার আদর্শ বিমূখ, পাতি নেতা, ছোট নেতা, বড় নেতার গোলাম ছেলেপেলেদের হাতে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ ছাত্র সংগঠন বাঙলাদেশ ছাত্রলীগকে তুলে দিলে আর কী চাওয়ার থাকে ?

তারপরেও স্বপ্ন দেখি এমন নেতৃত্ব আসবে, যারা নয়া প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের ধর্মনিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক চেতনা এবং জাতির পিতার আদর্শে ফেরত নিয়ে যাওয়ার জন্য উগ্রধর্মান্ধ মৌলবাদ পুষ্ট শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন করে মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থায় জাতীয় সংগীত গাওয়া , জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় সকল দিবস পালন বাধ্যমূলক করবে । বাঙলাদেশ ছাত্রলীগকে বানাবে ধর্মনিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক চেতনা এবং জাতির পিতার আদর্শের রক্ষাকবচ ।

এমন ছাত্রলীগ চাই , যারা বাঙলাদেশের যে প্রান্তেই উগ্রধর্মান্ধ মৌলবাদী, ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করা ধর্মব্যবসায়ীরা ধর্মনিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিরুদ্ধে কথা বলবে, রাজাকার যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে জনমত গঠন করবে সেখানেই বাঙলাদেশ ছাত্রলীগ প্রতিবাদ করে রুখে দিবে ।

কিন্তু আশা কেবলই নিরাশার বালুচরে হারিয়ে যায় !

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:


নামটা বদলায়ে রাখার দরকার, "বাংলাদেশ মারাঠা লীগ"

২| ১২ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: গত বিশ বছরে ছাত্রলীগ দেশের জন্য কি কি কাজ করেছে?
বলবেন প্লীজ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.