নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিখি, ছবি তুলি আর সিনেমা বানাই ।
এই ইয়াবা ব্যবসায়ীর সাথে আমার পরিচয় হয়েছিলো জেলখানায়। আমি ৫৭ ধারায় গ্রেফতার হয়ে কর্ণফুলি বিল্ডিং-এর ৪নং ওয়ার্ডে থাকতাম। সেই ওয়ার্ডের ইনচার্জ ছিলো আলী। আমরা তারে আলী হুজুর বলে ডাকতাম। ছোট খাটো গড়নের পোলাটার থুতনিতে ছাগলের মতো দাড়ি আছে। আমি তার নাম দিয়েছিলাম "ছাগলআলী"।
ছাগলআলীর পনেরো বছর সাজা হয়েছে ইয়াবা মামলায়। ট্রাকের হেল্পার ছিলো ছাগলআলী। টেকনাফ থেকে কাঠ বোঝাই ট্রাকে দেড়লাখ ইয়াবা পাচার কালে পটিয়া থানা পুলিশ তারে গ্রেফতার করে।
আর এই ছাগলআলীর বন্ধু হচ্ছে ছবির এই শহিদুল্লাহ। সে একজন কোরানে হাফেজ। থাকতো সাঙ্গু বিল্ডিং- এর এগারো নাম্বার ওয়ার্ডে। এবং সেই ওয়ার্ডের ঈমাম। জেলখানায় যতো জামাত হেফাজতের নেতা কর্মী সমর্থক আসতো তাদের সাথে সে বিশেষ সম্পর্ক রাখতো। কারণ সে প্রায় দেড় বছরেরও বেশি সময় জেলখানায় ছিলো। জেলখানার সব নিয়ম কানুন তার জানা।
এই শহিদুল্লাহ জেলখানায় এসেছে ইয়াবা মামলা নিয়ে। ছাগলআলীর সাথে প্রায় দেখা করতে আসতো আমার ওয়ার্ডে।
ছাগলআলী তারে বলেছিলো, আমি জামাত হেফাজত এবং ধর্মীয় রাজনীতির বিরোধী। আর আমি একজন ব্লগার। ব্লগার মানেই তাদের কাছে আল্লাহ ও নবীর দুশমন।
সে আমারে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে ইসলামের দাওয়াত দিতো। আমি কইতাম, ইয়াবা ব্যবসায়ী যদি ইসলামের দাওয়াত দেয় তাইলেতো মাইনসে হাসাহাসি করবে। সে আমারে নাস্তিক ঘোষনা দিয়া বলেছিলো, কোন মুসলমান যদি আরেক মুসলমান ভাইয়ের দোষ গোপন রাখে তাইলে আল্লাহ হাশরের ময়দানে তার দোষ গোপন রাখবে।
আমি যখন জামিনে বের হয়ে আসি তখন সে বেশ হকচকিত হয়েছিলো। কারণ আমার মামলার বাদী জামাতি আকিদার একজন আওয়ামী এমপি। তার ধারনা ছিলো এমপি যতোদিন ক্ষমতায় আছে ততোদিন আমার জামিন হবে না!
এই শহীদুল্লাহ উগ্রধর্মান্ধ হেফাজতের কর্মী। তার কাছে হেফাজত মানে আল্লাহর দল। আর আওয়ামীলীগ মানে নাস্তিকদের দল।
কিন্তু আজ যখন ফেইসবুকে তার ছবি দেখলাম আমি চমকাইয়া উঠলাম! কিরে বাজি, এরাতো আসলেই চুদানিরপোয়া। ধর্ম এদের কাছেতো বিরাট ঢাল। যে ঢাল ব্যবহার করে এরা নিজেদের অপরাধ এবং অপকর্ম ঢাকতে চায়।
শহিদুল্লাহ আমারে জেলখানায় বলেছিলো, সে ইয়াবা ব্যবসায়ী না। সে ইসলামী রাজনীতি করে বলে নাস্তিকদের দল আওয়ামীলীগ তারে ফাঁসাইয়া দিছে। সে আদতে একজন কোরানের পাখি।
যার বুকে ত্রিশ পারা কোরান আছে সে কি কখনো ইয়াবা ব্যবসা করতে পারে?- এই প্রশ্ন সে আমারে জেলখানায় করেছিলো।
এখন দেখছি সে ইয়াবা লই মসজিদে নামাজ পড়তে গেছে। এবং মসজিদের ভেতরেই ইয়াবার চালান বুঝাই দিছে।
ধর্ম নিয়ে রাজনীতি যারা করে তারা আসলেই মাদারিচোদ। হেফাজতি শহিদুল্লাহ তার উত্তম প্রমান।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন: এইভাবেই দিনের পর দিন ধর্ম ব্যবহার করে মানুষ নানান খারাপ কাজ করে যাচ্ছে।