নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লিখি, ছবি তুলি আর সিনেমা বানাই ।

জিপসি রুদ্র

লিখি, ছবি তুলি আর সিনেমা বানাই ।

জিপসি রুদ্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে হলে রুখতে হবে রাজনৈতিক ক্যু ।

২০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:১৫

ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয় । আওয়ামীলীগ সরকারেরও ক্ষমতা চিরদিন থাকবে না । একটা দল যতোবেশি দিন ক্ষমতায় থাকবে এই দলের পতন ততো করুণ ভাবে হবে । এটাই রাজনৈতিক নিয়ম !

আওয়ামীলীগের একটা প্ল্যান আছে ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকা । তবে তাদের আপাতত প্ল্যান আগামী নির্বাচনে ক্ষমতায় থাকা । আগামী নির্বাচনে এখন পর্যন্ত যে পরিস্থিতি আছে দেশে সে হিশেবে বলতে গেলে ক্ষমতা আওয়ামীলীগের কাছেই থাকবে । নির্বাচনের আগে বিএনপি দল গুছিয়ে নির্বাচনে জেতা শুধু কঠিন নয় প্রায় অসম্ভব !

অবস্থা যতদূর বুঝতেছি নির্বাচনের আগে ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় হবে । সেই রায়ে বিএনপির অবস্থা এখনকার চাইতে আরো একশোগুণ খারাপ হবে । তারেক জিয়া সহ অনেকেরই সেই রায়ে ফাঁসি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি । কারণ এইটা দিবালোকের মতন সত্য ২১শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলা তারেক জিয়ার সরাসরি পরিকল্পনায় ঘটানো হয়েছে ।

তারেক জিয়া খালেদা জিয়া বিহীন বিএনপি ক্ষমতায় আসবে- এইটা বলা যায় না ।

দেশে নির্বাচনের আগে তৃতীয় কোন রাজনৈতিক দল তৈরি হলেও সেই দল ক্ষমতায় আসবে- সেটা অবিশ্বাস্য !

এরশাদ হুমকি ধামকি মারলেও তারে এবং তার দলরে নিয়ন্ত্রন করার ক্ষমতা আওয়ামীলীগ রাখে ! আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি আওয়ামীলীগরে টেক্কা দিবে- মনে হয় না !

জামাত নির্বাচন করতে পারবেনা কারণ তাদের নিবন্ধন নির্বাচন কমিশন বাতিল করে দিছে ।

আওয়ামীলীগ এখন যে অবস্থানে আছে সেই অবস্থান থেকে আওয়ামীলীগকে নামাইতে হইলে ১৫ই আগষ্টের মতন একটা সশস্ত্র ক্যু কিঙ্গবা ষড়যন্ত্র দরকার । সেই ক্যু'টা হতে পারে খন্দকার মুশতাকের উত্তরসূরিদের হাত ধরেই ! বন্ধুকের পথ ছাড়া রাজনৈতিক পথে আওয়ামীলীগকে ক্ষমতা থেকে নামানোর আর অন্য কোন পথ আগামী নির্বাচনেতো নাই-ই পরের নির্বাচনেও থাকবে কি না সন্দেহ ।

ওবাইদুল কাদেররে আমার বিশ্বাস হয় না । নীতি নৈতিকতা আদর্শ বলতে কিচ্ছু নাই হুদাই গালফাডাই ছাড়া ! ওবাইদুল কাদেরকে শেখ হাসিনা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বানাই যে ভুল করছে সেই ভুলের খেসারত দিয়াই শেখ হাসিনারে মরতে হবে ।- এইটা আমার ধারণা ।

ওবাইদুল কাদেররে সাধারণ সম্পাদক বানাইছে বইলাই বিএনপি জামাত হেফাজত থেকে এতো লোক আওয়ামীলীগে ঢুকছে । সৈয়দ আশরাফও ঐ পদে ছিলো । তখন কি একাত্তরের চিহ্নিত ঘাতক দালাল রাজাকার যুদ্ধাপরাধীর বীর্য যৌন জিহাদিরা আওয়ামীলীগের টিকেট পেয়েছিলো ?

শেখ হাসিনারে বাঁচাইতে না পারলে আওয়ামীলীগ থাকবে না । আর আওয়ামীলীগ না থাকলে বাঙলাদেশ থাকবে না । যেহেতু শেখ হাসিনা, আওয়ামীলীগ আর বাঙলাদেশ এক এবং অভিন্ন তাই রাজনৈতিক ক্যু অথবা ষড়যন্ত্র রুখে দিতে সব সময় সজাগ থাকতে হবে ।

নইলে ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার প্ল্যান ধ্বংস হই যাবে ।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:

কমেন্ট করতে ভালো লাগছে না

২| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৫:১৪

বাকপ্রবাস বলেছেন: শেষে এসে দেখি রসুনের কোয়া

৩| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৮:৪৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: বাঙলাদেশ!!!!

৪| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: আওয়ামীলীগের চেয়ে তো ভালো কেউ নাই।
কাজেই আওয়ামীলীগ'ই থাকুক।

৫| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:২৪

Mohammad Israfil বলেছেন: ইতিহাস পড়লে হয়তো বুঝতে পারবেন। আওয়ামী লীগ থেকে বাঘা বাঘা শাসক টিকে থাকতে পারে নি। আর এটা তো আওয়ামী লীগ।
বিএনপি ক্ষমতায় আসবে কিনা জানি না। তবে বিএনপি কে ক্ষমতায় চাই না। ২০০২ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত মানুষ বিএনপি'র চেহারা দেখেছে। তারপর গত ১০ বছরে বিএনপি দেশের জনগণের জন্য তেমন কিছুই করে নি। শুধুমাত্র ক্ষমতার জন্য লড়েছে।
যাইহোক, তবে বিএনপি কে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করার মত দল নয়।
আপনার মনে রাখতে হবে, ঠিক বিএনপি'র শাসন আমলে আওয়ামী লীগ এর একটা ব্যানার,ফেষ্টুনও রাস্তায় লাগাতে দেয় নি। খুজে খুজে আওয়ামী লীগ মেরেছে। হাজার হাজার মামলা ছিলো।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত কি হলো? সেটা আমি আপনি আর সবাই জানি।
আপনি বললেন, বিএনপি কে মামলা-হামলা, গ্রেফতার, জিয়া পরিবারকে জেলে নিয়ে বিএনপি কে দমিয়ে রাখতে পারবে। কিন্তু আসলে এটা সম্ভব না। এটা আওয়ামী লীগ এর ক্ষেত্রেও সম্ভব না।
কেননা, এরা দুই দল দেশে মাথার চুলের মত ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। হয়তো বললেন, কই বিএনপি'র কাউকে তো এখন দেখা যায় না, ভাই, ঠিক এমনই এক সময় আওয়ামী লীগ কেও দেখা যেত না।
এরা সবাই আবার বেড়িয়ে আসবে। ঠিক সময়ে এরা গুহা থেকে বেরিয়ে আসবে। এরা রাস্তায় মারামারী, কাটাকাটি করবে। দেশ সংঘাত এর দিকে যাবে।
কেননা, ক্ষমতা থাকার জন্য এবং আসার জন্য কেউ কাউকে এক ইঞ্চি ছাড় দিবে না।
সব শেষ দেশ চলে যাবে অনাকাঙ্ঘিত একদল ব্যক্তির কাছে। যারা হতে পারে আন্তর্জাতিক বা দেশীয় সামরিক, অ-সামরিক ব্যক্তি।
তারপর দেখবেন বাংলাদেশের চেহারা!!! হয়তো ঘুরেঘুরে আবার এরাই আসতে পারে।
তবে ক্ষমতায় থাকবে না আওয়ামী লীগ। কেননা, এভাবে কেউ টিকে নাই। আর টিকবেও না। আওয়ামী লীগ থেকে বড় বড় শাসকও টিকে নাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.