![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
‘‘আত্মত্যাগ সব সময় ভালো কিন্তু মাঝে মাঝে বিরক্তিকরও বটে...’’
দুনিয়ার মজদুর এক হও। এক হও প্রতিবাদ করো। নিজের মর্যাদা রক্ষায় সোচ্চার হও।
জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী জেমসের একটি প্রিয় গান –আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি। জম্ম দিয়েছো মাগো তুমি, তাই তোমায় ভালোবাসি। এই স্বাধীনতার মাসে গানটি বেশ বাজানো হয়। সত্যি কি এই জাতি ৭১ ছেড়ে বেরিয়ে আসতে পেরেছে? ভালোবাসতে পেরেছে কি দেশ, জাতি কিংবা একটি মানুষ অন্য আরেকটি মানুষকেও আলাদাভাবে!? যদি তাই হয়, তবে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ইতিহাস বিভাগের ছাত্রী সোহাগী জাহান তনু দেশের সবচেয়ে নিরাপত্তাবেষ্টিত এলাকায় সেনানিবাসে ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হয় কিভাবে!? কেনো সেখানে তার প্রতি ন্যুনতম ভালোবাসা কিংবা দয়া দেখানো হয় নি!? টলস্টয় বলেছিলেন-সবাই পৃথিবী বদলে দিতে চায়, শুধু নিজেকে বদলানো ছাড়া। ৭১সাল এসেছিলো এই জাতির ভাগ্য বদলের হাত ধরে। কিন্তু গত সাত বছরে প্রায় ২৫ হাজার খুনের ঘটনা ঘটেছে। দিনে কমপক্ষে দুইটি শিশু খুন এবং কিছু সংখ্যালঘুর দেশ ত্যাগের ঘটনা যেনো নিয়মে দাড়িয়েছে। দ্রুত বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশ। দলের মতে, কারো হাতে নাকি বিশ্ব বদলে দেয়ার ক্ষমতা! কিন্তু নিজেকে একচুলও বদলানো যাবে না! ৭১ হওয়ার মাধ্যমে জাতি অভিশাপ মুক্ত হওয়ার কথা। কিন্তু পাকিস্তানের সেই রেওয়াজ মনে হচ্ছে এখনো পরিচালিত হয়ে আসছে যুগ-যুগান্তর ধরে! তারই রেশ ধরেই চলছে একের পর এক ধর্ষণ এবং ধর্ষণ পরবর্তী হত্যা। যার শেষ পরিণতি সোহাগী জাহান তনু।
গত পরশুদিন আরটিভিতে একটি অনুষ্ঠানে জনাব রবিউল করিম মৃদুল স্যার-এর মাধ্যমে যা জানতে পারলাম-
মেয়েটার স্বপ্ন ছিল উড়বে পাখির মতো, হাওয়ায় হাওয়ায় ভাসিয়ে দেবে ইচ্ছেগুলো যত। ইচ্ছের ঘুড়ি তার হাওয়ায় ভাসানো হলো না আর। তার আগে নিজেই ভেসে গেল, বিষে নীল হয়ে গেল এক বা একাধিক কাল সাপের ছোবলে। স্বপ্নগুলো বুকের ভেতর লুকিয়ে রেখে তলিয়ে গেল অন্ধকারের অতল গহ্বরে। না! সে ইচ্ছে করে তলিয়ে যায়নি। তাকে জোড় করে তলিয়ে দেওয়া হয়েছে!
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের ছাত্রী সোহাগী জাহান তনু। পারিবারিক অসচ্ছলতা তাকে দমাতে পারেনি একটুও। বরং পরিবারের অনেকটা দায়িত্ব নিজের কাঁধেই যেন তুলে নিয়েছিল মেয়েটা। নিজের পড়াশোনার পাশাপাশি টিউশনি করে স্বপ্ন বুনতো একটু, একটু। বড় হওয়ার স্বপ্ন। আকাশটাকে হাতের মুঠোয় পুরার স্বপ্ন। সেই জন্যই আর্থিক অনটনকে দু-পায়ে ঠেলে, দলে নাচত গাইত বন্ধুদের সাথে। সমাজ পরিবর্তনের তাগিদে নাম লিখিয়েছিল কলেজ থিয়েটারে। নাটক, গান কবিতার মাধ্যমে বলবে পরিবর্তনের কথা। আস্তে আস্তে সমাজ থেকে বিদায় নেবে অন্ধকার। এই ছিল স্বপ্ন যার, সেই সোহাগীকেই কি না খেয়ে ফেলল এই সমাজ। দেশের সবচেয়ে নিরাপদ মনে করা হয় যে ক্যান্টনমেন্ট এলাকাকে, তার মধ্যেই হায়েনার দল হামলে পড়ল তার ওপর। নিষ্পাপ শরীরটাকে ধর্ষণ করল বিভৎসভাবে। এতেও মিটল না ক্ষুধা। গলা কেটে রক্তাক্ত করে জঘন্যভাবে একেবারে চিরবিদায় করে দেওয়া হলো সোহাগীকে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে। সবচেয়ে আশ্চর্য লাগে, দেশের প্রায় সব মিড়িয়া প্রচার করলো-তনুর লাশ জঙ্গলে পাওয়া যায়, তাহলে আপনারাই বলুন এটা কি জঙ্গল ছিলো!???
গত ২০ মার্চ বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয়ে কুমিল্লা সেনানিবাসের ভেতরে টিউশনিতে গিয়েছিল সোহাগী। ছোট্ট একটা বাচ্চাকে পড়াতো, হয়তো। হয়তো পড়াত বাংলা, অঙ্ক কিংবা ইংরেজি। সেদিন হয়তো পড়িয়েছিল আমার বাংলা তৃতীয় পাঠ হতে কোনো একটি কবিতা। হয়তো হেলে দুলে জোড় গলায় উচ্চারণ করে করে পড়াচ্ছিল এইভাবে- বাঁশ বাগানের মাথার ওপর চাঁদ উঠেছে ওই, মাগো আমার শোলক বলা কাজলা দিদি কই? সোহাগীর সে কাব্যমাখা স্বর স্তব্ধ হয়ে গেল সেদিনই। টিউশনির বাসা থেকে বের হলো ঠিকই, বাড়ি আর ফিরল না। তার আগেই মানুষরূপী হায়েনার মুখে পড়ে ত্যাগ করল এই পৃথিবীর মায়া।
সোহাগী তো মরে গিয়ে বাঁচল বরং! আমরা বেঁচে আছি কেনো? মানুষ বেঁচে আছে কেনো? এভাবে বেঁচে থাকাকে কী বেঁচে থাকা বলে? মানুষ কী এভাবে বেঁচে থাকে? একের পর এক আমাদেরই নাকের ডগার ওপর দিয়ে এভাবে হারিয়ে যাচ্ছে সোহাগী, সামিয়া, আঁখি, সাহেরা বানু! আমরা মরি না কেনো? আমাদের মরে যাওয়াই উচিত! এসব প্রতিরোধ/প্রতিকার করতে না পারলে আমাদের মরে যাওয়াই উচিত! বেঁচে থাকার অন্তত কোনো অধিকার আমাদের নেই।
খুন ধর্ষণ এখন দেশে তেমন কোনো বড় ব্যাপার নয়। প্রতিদিন পেপার পত্রিকা খুললেই অহরহ ধর্ষণ, ধর্ষণ পরবর্তী হত্যার সংবাদ চোখে পড়ে। এসব সংবাদও এখন আর তেমন একটা গুরুত্ব পায় না। পত্রিকার ভেতরের পাতায় ছোট করে ছেপে দেওয়া হয় কোনোমতে। তারপরও প্রতিদিন এ রকম অহরহ সংবাদ চোখে পড়ে। গত সপ্তাহেরই গোড়ার দিকে পাবনা এডওয়ার্ড কলেজের এক ছাত্রীকে জোর করে বাসা থেকে তুলে নিয়ে গণর্ধষণ করা হলো। গতকাল বা পরশু কোনো এক মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণ শেষে হত্যার সংবাদ চোখে পড়ল। কিন্তু কোনো ক্ষেত্রেই ধর্ষক ধরা পড়ছে, বা যথাযথ বিচার হচ্ছে সে রকম কোনো নজির চোখে পড়ছে না। কোনো কোনো ক্ষেত্রে অপরাধী ধরা পড়লেও বেরিয়ে আসছে জামিনে। আবার দ্বিগুণ শক্তিতে নেমে পড়ছে একই কাজে। ধর্ষিতার পরিবারকে প্রাণ নাশের হুমকি-ধমকি দেওয়াসহ নানা কুকর্মে জড়িয়ে পড়ছে আবার। দেখার কার্যত কেউ নেই।
দেখার থাকলেই বা লাভ কী। রক্ষক যখন ভক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় তখন আর জনসাধারণের কী করার থাকতে পারে? বেশ কিছু বছর আগে দিনাজপুরে পুলিশ ভ্যানে ইয়াসমিন ধর্ষণের বিষয়টি বেশ চাঞ্চল্য তৈরি করে। তখনই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে নারী নির্যাতনের বিষয়টি খুব রুঢ় ভাবে সামনে আসে। তারপর আরো অনেক ঘটনা ঘটেছে কতিপয় দূষ্কৃতকারীর দ্বারা। কার কি বিচার হয়েছে নাগরিকরা সেই বিষয়ে অন্ধকারেই রয়ে গেছে এবং থাকবে!
যদিও অপরাধী চিহ্তি না হওয়া পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না কুমিল্লা সেনানিবাসে সোহাগীকে আসলে কে বা কারা ধর্ষণ করে হত্যা করেছে। তবে আন্দাজ তো অন্তত করা যায় কিছুটা। সেনানিবাস এলকায় এমনিতেই সর্বসাধারণের তেমন চলাফেরার অধিকার থাকে না। যারাও বা প্রয়োজনে আসা-যাওয়া করে, সেই সংখ্যা খুব সীমিত এবং তারা কখন কোন কাজে সেনানিবাসে আসে, তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অজানা থাকার কথা নয়। বাইরের লোক আসুক আর নাই আসুক সেনানিবাস এলাকায় কোনো নারী ধর্ষিত হলে বা খুন হলে সংশ্লিষ্ট কেউই সেই দায় কিছুতেই এড়াতে পারে না। যৌক্তিকভাবেই সন্দেহের প্রথম তীর সংশ্লিষ্টদের দিকেই যায়। এটাই বড় লজ্জার।
এখন ভীষণভাবে কবি গুরু রবীন্দ্রনাথের সেই উক্তিটা বারংবার হৃদয়পটে নাড়া দিচ্ছে, বাঙ্গালি হয়েই রইলাম কিন্তু মানুষ হইলাম না। আজ সভ্যতার ক্রম বিকাশের সাথে সাথে এগিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব কিন্তু সভ্যতা হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের মাঝ থেকে। পারিবারিক শিক্ষা, সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়, বিদেশী সংস্কৃতি লালন কিংবা মডার্ণ অথবা ডিজিটাল হয়তো এগুলো বলেই আমরা আমাদের দায়িত্ব থেকে পার পেয়ে যাই। ১৯৭১ এ স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী কিংবা আলবদর, রাজাকার অথবা তাদের দোসরা আমাদের ৩ লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমহানি ঘটিয়েছিলো, তাদেরকে আমরা যতটুকু ঘৃণার চোখে দেখি? আর আজকের এই স্বাধীন সার্বভৌম একটা ভুখণ্ডের ধর্ষককে কতটা ঘৃণার চোখে দেখি? নিজেকে প্রশ্ন করে দেখুন তো? প্রশ্নের উত্তরটা মেলাতে গিয়ে আপনার মনে আরেকটা প্রশ্নের জন্ম হয়েছে আর প্রশ্নটা হলো পাকিস্তানিরা আমাদের শত্রু ছিলো আর এরা তো আমাদের ভাই। হ্যাঁ সত্যিই ভেবেছেন এরাই আমাদের ভাই, যাদের জন্য আমার ৩ বছরের বোনটি পর্যন্ত নিরাপদ নয়!
যারা এই দেশটাকে স্বাধীন করতে গিয়ে নিজের তাজা রক্ত দিয়ে গেছেন আজও বাংলার আকাশে-বাতাশে তাদের তাজা রক্তের ঘ্রাণ ভেসে বেড়াচ্ছে, বাঙ্গালী আর বাংলাদেশি বলে গর্বে বুক ভাসিয়ে দেই, কতটা পেরেছি তাদের সেই মান রাখতে ? তনুরা কখনও মরে না, ইতিহাস হয়ে যায় , আর ঐ সকল নরপশুরা ক্ষমতার দাম্ভিকে বুক ফুলিয়ে বেচেঁ থাকলেও একদিন বিষাক্ত কীটের মতো পচেঁ গলে মরে। সমাজ থেকে তনুদের বাঁচাতে হলে ভ্রাতৃত্ববোধ, পরষ্পরের প্রতি শুদ্ধাবোধ, পারিবারিক শিক্ষা আর শক্ত আইন যতকাল প্রতিষ্ঠা না হবে, ততকাল পর্যন্ত তনুদের জন্ম হবে আর নরপশুদের খোড়াকে পরিণত হবে। আমি হতবাক, আমি লজ্জিত, আমি নির্বাক, স্তব্ধ।
রাষ্ট্রের সাধারণ নাগরিকরা যদি নিরাপদ না হন, বরং নির্যাতিত হন, ধর্ষিত হন, খুন হন, এর চেয়ে ঘৃণার, এর চেয়ে লজ্জার আর কী হতে পারে! এ লজ্জার অবসান চাই। একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের কাছে এটি আমাদের যৌক্তিক চাওয়া। নিরাপদে চলতে চাই। প্রাণের নিরাপত্তা চাই। নারীরা নিরাপদে চলবে সেই নিশ্চয়তা চাই। আর একজন সোহাগীও এভাবে ধর্ষিত হয়ে নীল আকাশে মিশে যাবে না তার নিশ্চয়তা চাই এবং রাষ্ট্রকে সেটা দিতেই হবে।
তোমার কাছে ক্ষমা চাইবার ভাষা আমাদের নেই সোহাগী। তুমি অবশ্য সেই ক্ষমা চাওয়ার তোয়াক্কাও করো না আর। তুমি এখন সবকিছুর ঊর্ধ্বে। পৃথিবীর কোনো কলুষতাই ছুঁতে পারবে না আর তোমাকে। কিন্তু আমরা তো বেঁচে আছি। বেঁচে থাকতেও হয়তো হবে। জানি আমরা অপরাধী। তবুও আমরা লজ্জানত মুখে মিনতি করছি তোমার কাছে, ক্ষমা করো আমাদের! আমরা পাপী!
২| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:০৫
বিজন রয় বলেছেন: বিভৎস ছবিসহ সব ছবি সরিয়ে দিন।
২৬ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:১৩
রুপম হাছান বলেছেন: আমার প্রশ্নটা তাহলে মিথ্যে হয়ে যাবে ভাই বিজন রয়। তবে এটা কারো অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার উদ্দেশ্যে দেয়া হয় নি। কিংবা কাউকে হেয় করার উদ্দেশ্যেও নয়। সত্যকে নিয়ে প্রতিবাদ করা নিশ্চয় খারাপ কিছু নয়। আশা করছি ভাই বিজন আপনি আমার সাথে এক মত হবেন। ধন্যবাদ।
৩| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:১৭
বিজন রয় বলেছেন: আসলে আমার খুব খারাপ লেগেছিল এজন্য বলেছিলাম। আর ওরকম ছবি অনেকের মনে ভীতি সৃষ্টি করে। আর ওই ছবি দুটি তনুর নয়।
২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৫৪
রুপম হাছান বলেছেন: আপনার দৃষ্টিতে খারাপ লাগা বিষয়ের প্রতি অবশ্যই শ্রদ্ধা রইল। যেহেতু মিডিয়ায় এমন ছবিই এসেছে তাই বস্তগত দিক থেকে যাচাই করার সুযোগ আমরা এখনো পাই নি। কারণ এ ব্যাপারে ঢালাও ভাবে কোনো খবর সাধারণ মানুষ আজও জানতে পারে নি।
ধন্যবাদ ভাই বিজন রয়। আপনার অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য।
৪| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:২১
রোষানল বলেছেন: সত্যিকারের তনু যে এখন কোনটা এটাই প্রশ্ন বিদ্ধ....
২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৫৭
রুপম হাছান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই রোষানল। তবে আমরাও অপেক্ষা করছি এটার সঠিক রহস্য জানার। আশা করছি এই ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ সঠিক তদন্ত করে এবং তদন্তের মাধ্যমে সঠিক অপরাধী সনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:০৪
রুপম হাছান বলেছেন: প্রতিবাদ হোক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে। আর যেনো কোনো মানুষের জন্য প্রতিবাদ করতে না হয় সে রকম সমাজ ব্যবস্থা গঠনের জন্য হোক আজকের প্রতিবাদ। আমরা আমুল পরিবর্তনে বিশ্বাসী। আজ পর্যন্ত সকল বিচার বঞ্ঝিত নর-নারীরা ক্ষমা করো আমাদের। আমরা অপরাধী, আমরা পাপী। তাই তোমার নামে শপথ করছি-আমি অন্যায় করবো না এবং আমার সামনে অন্য কাউকে অন্যায় করতে দেবো না।