নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যকে সত্য আর মিথ্যাকে মিথ্যা বলি; বিবেকের কাছে স্বচ্ছ থেকে পথ চলি।

হালদার গৌতম

সত্যকে সত্য আর মিথ্যাকে মিথ্যা বলি। বিবেকের কাছে স্বচ্ছ থেকে পথ চলি।

হালদার গৌতম › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রথম আলোতে চন্দ্রবিন্দু দুর্বৃত্তদের দখলে

১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪১

আজও সেদিনটির কথা মনে আছে, ছোট বেলায় যখন শ -শ-ধ-র, স-হ-চ-র পার করে সবেমাত্র বানান করে শব্দগঠন শিখেছি, একদিন আবিষ্কার করলাম বইতে একটা বানান ভুল আছে। সাথে সাথে দিগ্বিজয়ী হাসি দিয়ে বাবার কাছে গেলাম-
- বাবা, দ্যাখো দ্যাখো বইতেও কিভাবে বানান ভুল লিখছে?
- বইতে আবার কী বানান ভুল লিখলো, বাবা! কই দেখাও তো! বাবার সহাস্য জিজ্ঞাসা।
- এই দ্যাখো এই। "তার" বানান লিখছে তাতে আবার ত -এ চন্দ্রবিন্দু দিছে! বলো এইটা কি ভুল না?
বাবাকে সেদিন বইয়ের বানান ভুল বের করে দেখিয়ে আমার এই মস্তবড় আবিস্কার দিয়ে কিঞ্চিত হলেও খুশি করতে পেরেছি বলে মনে মনে বেশ আমি বেশ খুশিই হয়েছিলাম, এখনও মনে আছে। মনে আছে বাবাও ছেলের এই আবিস্কারক মনোভাব দেখে কিছুটা খুশিই হয়েছিলেন। তবে এ-ও বলেছিলেন-
"বাবা, কিছু কিছু বানানে তিনি, তার, তাকে লিখতে চন্দ্রবিন্দু দিতে হয়। এই চন্দ্রবিন্দু হলো ব্যক্তির সম্মান-মর্যাদা প্রকাশ করার জন্য। যখন ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব-এর মত 'বিখ্যাত' ব্যক্তিকে বোঝাতে তাকে, তার, তিনি ব্যবহার করা হয়, তখন প্রথম বর্নের সাথে চন্দ্রবিন্দু ব্যবহার করতে হয়।"



এতদিন এটাই ছিল আমার কোন ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে সম্মান বোঝাতে চন্দ্রবিন্দু ব্যবহারের গ্রামার। তবে আজই দেখলাম প্রথম আলো পত্রিকা একজন দুর্বৃত্তকেও চন্দ্রবিন্দুর সম্মানে ভূষিত করেছে। ঠিক বুঝলাম না দুর্বৃত্তদের নামের পরিবর্তে তাকে, তিনি, তার লিখতে চন্দ্রবিন্দু প্রয়োগের মাহাত্ম কী? এটা কী চন্দ্রবিন্দুর সম্মানহানি? না দুর্বৃত্তদের সামাজিক মর্যাদাবৃদ্ধি?

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৭

গেম চেঞ্জার বলেছেন: হয়তোবা অনিচ্ছাকৃত। এইটা নিয়ে লাফানোর কিছু আছে মনে করি না।

২| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০০

হালদার গৌতম বলেছেন: @মি. চেঞ্জার, আমি নিশ্চিত যে আপনি নিশ্চিত নন এইটা "অনিচ্ছাকৃত"। আর তাই আপনার লেখার সাথে "হয়তোবা" বর্ণগুচ্ছ প্রয়োগ করেছেন।

আপনার পরের শব্দগুচ্ছ আমি কোট করলাম "এইটা নিয়ে লাফানোর কিছু আছে মনে করি না।"

আপনার 'মনে হওয়া'কে অসম্মান করি সে ধৃষ্টতা আমার নেই। কারণ মনে করা বা মনে হওয়া বিষয়টা মূলত আপেক্ষিক। অনেকটা প্রেম ভালবাসারই মতো। আমার যেটা কিংবা যাকে ভালো লাগবে, সেটা যে আপনারও ভালো লাগবে বা লাগতে হবে, তা নয়। এটা ভেদবুদ্ধি'র সাথেও সম্পর্কিত। আর ব্যক্তির পার্থক্যের সাথে সাথে ভেদবুদ্ধির পার্থক্য তো হবেই- এটা স্বাভাবিকও বটে। খুশির বিষয় এখানে চন্দ্রবিন্দুর প্রয়োগটি যথাযথ হয়নি, সে ব্যাপারে আপনি দ্বিমত নন।

তবে একটা বিষয় জানিয়ে রাখি, আপনি যখন সেরা হবেন, তখন এই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিষয়গুলো চোখে লাগে। কোনো "চটি" নিয়ে আমি কথা বলিনি। আমি কথা বলেছি বাংলাদেশের তথা বাংলা ভাষার অন্যতম সেরা পাঠকপ্রিয় দৈনিক পত্রিকা "দৈনিক প্রথম আলো" কে নিয়ে। তারা দাবি করে- তারা সেরা, আর তারা দাবি করুক বা না করুক- এটাই বাস্তবতা বাংলা ভাষায় যতগুলো দৈনিক প্রকাশিত হয়, তার প্রথম পাঁচের মধ্যে "দৈনিক প্রথম আলো" আছে, এতে দ্বিমত থাকার সুযোগ নেই। তো এইমত সেরা একটি পত্রিকা যখন এধরনের মৌলিক একটা বিষয়ে ভুল করে সেটা নিয়ে কথা বলাটা মোটেই "লাফানো" নয়। কারণ একটা পত্রিকা শুধু খবরই প্রকাশ করেনা, মানুষকে ভাষাও শিক্ষার দায়বদ্ধতাও তাদের থাকে।

পরিশেষে আরো একটা বিষয় জানিয়ে শেষ করছি, তা হলো, প্রথম আলো এটা "অনিচ্ছাকৃত" কিংবা অসতর্কতায় করেছে সে ধারনাটা কিন্তু মোটেও যথাযথ নয়। একটু লক্ষ্য করুন, খুঁজে পাবেন "এই কাজটি" ওরা হামেশাই করে।

ভালো থাকুন। মতামতের জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.