নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যকে সত্য আর মিথ্যাকে মিথ্যা বলি; বিবেকের কাছে স্বচ্ছ থেকে পথ চলি।

হালদার গৌতম

সত্যকে সত্য আর মিথ্যাকে মিথ্যা বলি। বিবেকের কাছে স্বচ্ছ থেকে পথ চলি।

হালদার গৌতম › বিস্তারিত পোস্টঃ

অনৈতিক সম্পর্ক?

১৪ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:১৬

একই বিল্ডিং এ বসবাসরত দুটি পরিবারের মধ্যে কারণে অকারণে ঝগড়া হয়। ঝগড়া হয় কমন স্পেজ নিয়ে, সিঁড়ি নিয়ে, ছাদ নিয়ে, হাঁচি -কাসি, হাসি-কান্না এমনকি বাচ্চাদের খেলাধুলা নিয়ে। কখনও যৌক্তিকভাবে কখনও অন্যায়ভাবে- সম্পদশালী আর জনবলে শক্তিশালী সামাদ সাহেবের পরিবারটি সবসময়ে ছুতোয়-নাতায় দূর্বল প্রতিবেশীর ফজল মিয়ার পরিবারের উপর চড়াও ও হয়।


একদিন ঘটলো ভিন্ন এক ঘটনা।

সামাদ সাহেবের বাড়িতে এক ইয়া মস্ত! যাকে বলে 'ইয়ামাহা ফিগার'- তেমনই এক মেহমান- 'করিম বখত' এলেন। বখত সাহেব যখন সিঁড়ি ভেঙ্গে উঠতে লাগলেন সেই সময়ে ফজল মিয়ার ছোট ছেলে সুভ'র গায়ে তাঁর টাচ লাগে। তখন অবশ্য নজরে পরেনি, তবে ঘরে ঢুকে যখন সোফায় আরাম করে বসলেন করিম সাহেব খেয়াল করলেন যেখানে বাচ্চাটির সাথে টাচ লেগেছে - সেখানে তার চোঁখ ধাঁধানো বহুমূল্য ধবধবে সাদা স্যুটে কিঞ্চিত রং পরিবর্তন হয়েছে।

বিষয়টি বখত সাহেবের প্রেস্টিজ ইস্যু। তিনি তো একেবারে রেগে-মেগে আগুন! হবারই কথা। কেবল বানিয়ে ওয়াশ থেকে নামিয়ে জাস্ট এনে আজই প্রথম পরলেন, দামী স্যুট বলে কথা! এভাবে রং নস্ট হলো! সে কি মেনে নেয়া যায়! তিনি তো বলেই বসলেন, 'সামাদ ভাই, কই থাকেন? কোন এনভারনমেন্টে থাকেন, দেখেন কী সব লোকজন? এখানে কী মানুষ থাকে? কতবার বলেছি এই পরিবেশ ছাড়ুন। শুনলেন না! নিজে তো কোনো রকম কাটিয়ে দিলেন! এবার ভাস্তিদের কথাগুলো একটু ভাবুন! ওরা এখানে-এই এনভারনমেন্টে থাকলে কী কোনদিন একটা ভালো সম্বন্ধ আসবে? ভাবুন ভাই-ভাবুন! সময় থাকতে থাকতে জায়গাটা বদলান।'

সামাদ সাহেব চটে গেলেন। যাবেনই বা না কেন? বখত তার দীর্ঘ দিনের পুরনো বন্ধু। শুধু বন্ধুই কেন, সে সামাদ সাহেবের হবু বেয়াই। তাছাড়া এমন মেহমানের সঙ্গে ওই পুচকে ছোড়ার এমন অভব্য আচরণ কি হজম করা যায়- না কেউ করে? কেউ করে না। এর একটা বিহীত হওয়া চাই। আজই এবং এখনই চাই।

সামাদ সাহেব রাগ সামাল দিতে পারলেন না। দ্রুত ফ্ল্যাট থেকে বেড়িয়ে ফজল মিয়ার ফ্ল্যাটের দরজায় নক করলেন। পিছন পিছন বেড়িয়ে এলেন মিসেস সামাদ। এদিকে কিচেন রুমে মিসেস ফজলকে বিকেলের নাস্তা তৈরিতে নিজেই ছুড়ি দিয়ে সব্জি কেঁটে সাহায্য করছিলেন ফজল মিয়া; দরজায় সজোড়ে খটখটানির শব্দে কিচেনরুম থেকে দৌড়ে এলেন সামনে।

দুই পরিবার লিপ্ত হয়ে পরে তুমুল বিতর্কে, ঘরের মধ্যে থাকা বখত সাহেব এসে দেখেন ফজল মিয়া হাতে ছুড়ি নিয়ে ঝগড়া করছেন; তিনি আর নিজেকে সামাল দিতে পারলেন না। হাত থেকে ছুড়িটা টেনে নিয়েই বসিয়ে বসলেন ফজল মিয়ার পাজরে। রক্তে ভেসে যাচ্ছে সিঁড়ি। ফজল মিয়া লুটিয়ে পড়লেন। ফজল মিয়া ছটফট করেছেন মৃত্যু যন্ত্রনায়।

চোঁখের সামনে স্বামীর এমন পরিনতি দেখে কে-ই বা স্বাভাবিক থাকতে পারে! কেউ পারে না। ফজল মিয়ার স্ত্রীও ঠিক থাকতে পারেন নি। তিনি অবস্থা দেখে বিলাপ করে ডাকলেন অন্য প্রতিবেশীকে -
- কামরুল ভাই, আপনার ভাইজানেরে সামাদের লোকজন মাইরা ফ্যালাইছে, আমাগো সবাইরে মাইরা ফ্যালাইবে, ভাই আপনের পায়ে পড়ি, আপনে আমাগো একটু বাঁচান।


শেষকথা: প্রতিবেশী মি. কামরুল-এর কাছে নিজেদের জীবন বাঁচানোর জন্য এই যে করুন আর্তনাদ! এর কারণ কি মিসেস ফজল আর মি. কামরুল-এর ‘অনৈতিক সম্পর্ক’? যদি তাই হয় তবে শুধু এডভোকেট রানা দাশ গুপ্ত আর অভিনেতা পিযুষ বন্দোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট প্রভাব খাটানোর কথিত আবেদন যদি সত্যও হয়; তবে শুধু তারাই সেই দোষে দুষ্ট নয়; একই দোষে দুষ্ট বিএনপি নেত্রী এবং ড. ইউনুস সহ আরো অনেকে। কারণ তারা যা করেছেন সেটা ‘ক্ষমতা’ ফিরে পাবার জন্য। আর রানা দাসগুপ্ত এবং পিযুষ বন্দোপাধ্যায় যদি করে থাকেন – তা সম্পূর্ণ মানুষের জীবন আর সম্পদের নিরাপত্তার স্বার্থে, মানবিক প্রয়োজনে।

[ছবি: ওয়েব]

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:৩২

বিজন রয় বলেছেন: আঁতে ঘাঁ দিয়েছেন।

২| ১৪ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৫

অশ্রুকারিগর বলেছেন: বিজ্ঞ ব্লগার খুব সুন্দর একটা গল্প দিয়ে সিচুয়েশনটাকে ব্যাখ্যা করতে চেয়েছেন।

এইদেশের সরকার কি তাহলে ব্যর্থ ?
এইদেশের সরকারের উপরে উক্ত দুজনের আস্থা নাই ?
এই রাষ্ট্রে তাহলে অন্যায়-অবিচার দেখার কেউ নাই ?

রাষ্ট্র, সার্ভভৌমত্ব সম্পর্কে আশা করি আপনার আমার চেয়ে ভালো জ্ঞান আছে।

কোনটা মান আর কোনটায় অপমান হয় আশা করি ভালো বুঝেন।

হিন্দু হিসেবে নিজেরে দেখে যদি মনে করেন আমার সর্বশেষ আশ্রয় ভারত তাহলে আপনার এই পোস্ট সার্থক।


১৪ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১:২৩

হালদার গৌতম বলেছেন: জনাব, আপনার ধারণায় মনে হয় কিঞ্চিত ভ্রম আছে। আমি ভাই অত বিজ্ঞ-পন্ডিত নই; তবে আমার চোঁখ আছে, আমার কানও আছে।
আমি ভুলে যাইনি ক্ষমতা ফিরে পেতে আমাদের দেশের একজন রাজনীতিবিদ বিদেশী পত্রিকায় খোলা চিঠি লিখে বাংলাদেশ- দেশের সরকারের প্রতি চাপ প্রয়োগ করার জন্য আমরিকাকে অনুরোধ করেছিলেন।
আমি ভুলে যাইনি আমাদের একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অর্থনীতিবিদ দেশে তার একটি প্রতিষ্ঠানে ক্ষমতা ফিরে পেতে তামাম বিশ্বের কতজনের কাছে প্রকাশ্যে মিনতি করেছেন!
আমাদের তাতে সমস্যা হয়নি, আমাদের সম্মানে টান পড়েনি। কারণ সেটা ছিলো রাজনৈতিক এবং ক্ষমতা দখলের উদ্দেশ্যে। তবে সমস্যাটা হলো হলো এখন, কারণ এখনকার আবেদনটা হলো নির্বল-ক্ষয়িষ্ণু আর অসহায় একটি গোষ্ঠির প্রাণ রক্ষার তাগিদে।
আসলে আমিই ভুল; আমাদের চিন্তাটা আসলে হওয়া উচিত প্রাণ রক্ষা কেন্দ্রিক নয় বরং ক্ষমতা দখল- ক্ষমতা রক্ষা কেন্দ্রিক; কারণ প্রাণ হারানোয় তো আর অসম্মান হয় না; ইজ্জতও যায় না; তাও যদি হয় আবার সংখ্যালঘুর প্রাণ- তাহলে তো কথাই নেই! ওদের জীবনের কি চার সিকিও দাম আছে নাকি?
তবে হ্যা ক্ষমতা দখল আর রক্ষাটা যেন ঠিক-ঠাক মতই হয়; কারণ তাতে কিন্ত ইজ্জত সম্মান দুইই যায় !

৩| ১৪ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১:৫৫

অশ্রুকারিগর বলেছেন: আপনাকে ভেবেছিলাম মান আর অপমান বুঝেন।

আপনার গল্পে স্পষ্টত দুইটা পক্ষ, এক পক্ষ হচ্ছে অত্যাচারী, আরেকপক্ষ অত্যাচারিত।

অত্যাচারী পক্ষের সবাই মিলে অত্যাচার - নির্যাতন চালায়।

এখন বাস্তবে আসেন।

আপনি কি বলতে চাচ্ছেন এই দেশে দুই পক্ষ? সকল মুসলিমরাই অত্যাচারি এবং সকল হিন্দুই অত্যাচারিত!

এইজন্য অত্যাচারিত পক্ষ তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ চাইছেন?

ভালো থাকেন, সুস্থ থাকেন।

১৪ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ২:২৫

হালদার গৌতম বলেছেন: "সকল মুসলিমরাই অত্যাচারি এবং সকল হিন্দুই অত্যাচারিত!" - আমার লেখার মধ্যে আপনি কোন অংশ থেকে এই জাতীয় অর্থ আবিস্কার করলেন?
আপনার এই আবিস্কার আমি মেনে নিতে পারলাম না। আমি মনে করি, এটা সহজ একটি কথাকে জটিল তকমা দেয়ার প্রয়াশ।
আপনাকে ধন্যবাদ।

৪| ১৪ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ২:৪৭

অশ্রুকারিগর বলেছেন: আর মন্তব্য করার ইচ্ছা ছিল না, তাও আসলাম।

দুটি পরিবারের মধ্যে কারণে অকারণে ঝগড়া হয়। ঝগড়া হয় কমন স্পেজ নিয়ে, সিঁড়ি নিয়ে, ছাদ নিয়ে, হাঁচি -কাসি, হাসি-কান্না এমনকি বাচ্চাদের খেলাধুলা নিয়ে। কখনও যৌক্তিকভাবে কখনও অন্যায়ভাবে- সম্পদশালী আর জনবলে শক্তিশালী সামাদ সাহেবের পরিবারটি সবসময়ে ছুতোয়-নাতায় দূর্বল প্রতিবেশীর ফজল মিয়ার পরিবারের উপর চড়াও ও হয়।

৫| ১৪ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৬

হালদার গৌতম বলেছেন: ওহ!
তাহলে এটাই সেই "সকল মুসলিমরাই অত্যাচারি এবং সকল হিন্দুই অত্যাচারিত!" আবিস্কারের মৌল উপাদান?
গুড। তবে এ প্রসঙ্গে একটা কথা বলে রাখি, কথায় আছে -
"মগজে যখন ঠাসা বারুদের উত্তাপ
তখন শান্তির বাণী ব্যার্থ প্রলাপ"

আপনার আবিস্কারের তারিফ করতে হয় বৈকি?

আর অনিচ্ছা সত্ত্বেও যে আবার এসেছেন- সে জন্যও ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.