নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চারদিকে নদী বেষ্টিত বৃত্তাকৃতির দ্বীপের মত, চির সবুজের সমারোহ বিকেল বেলায় পশ্চিমা আকাশে রুদ্রের লুকোচুরি খেলা এক অজপাড়া গাঁয়ের নাম নিজ ছেংগার চর।জনম দুঃখিনী মায়ের অন্ধেরযষ্টি এলএলবি সমাপ্ত করে সম্মান জনক পদে অধিষ্টিত থাকায় নিরন্তর সংগ্রাম অব্যাহত।।

আমি সম্মানের পাত্র নই

যুগ্মসাধারন সম্পাদক (রায়াব)

আমি সম্মানের পাত্র নই › বিস্তারিত পোস্টঃ

টার্গেট হত্যা করে কলম যুদ্ধাদের থামানো যাবেনা।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৫


জাতীয় ঐক্য যদি লেখক হত্যা হয়, প্রকাশক হত্যা হয়,ব্লগার হত্যা হয়, গুপ্ত হত্যা হয়,বিদেশী হত্যা হয়, পুলিশ হত্যা হয়, আস্তিক নাস্তিকের ফতুয়া হয় আর সর্বপরি 'ক্ষমতার পালা বদলই যদি সব সমস্যার সমাধান হয়" স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন এসে যায় এ অস্থিতিশীল পরিবেশের জন্য দায়ী কে ? ব্যক্তিগত ধারনা থেকে বলছি,মৌলবাদী ধর্মান্ধ উগ্রপন্থী জঙ্গি গোষ্ঠি বলেন, চাপাতি ইসলামের লোক বলেন, আইএস বলেন, আনসারউল্ল্যা বাংলা টিম বলেন, জামাত-বিএনপির ইশারায় গড়া ভিন্ন ভিন্ন নামে বিশ দলের বিষের দংশনে বিবর্ন বাংলাদেশ।
ডঃ শফিক স্যারের ভাষায়, আনসারউল্ল্যা,গাইরুল্ল্যা,শয়তানুল্ল্যা,শুকরউল্ল্যা আর আমার ব্যক্তিগত মতে জামাতউল্ল্যা,খালেদুল্ল্যা,তারেকুল্ল্যা, মাফিউল্ল্যা গুরুপের প্রধান দাউদউল্ল্যার সমন্ময়ে গঠিত বিদেশী খবিশউল্ল্যা ও বেজালউল্ল্যারাই একের পর এক ভিন্ন ভিন্ন নাম করনে " টার্গেট হত্যা" চালিয়ে শান্তির জনপদকে অশান্তির জনপদে পরিনত করতে চাচ্ছে।জনমনে আতংঙ্ক সৃষ্টি করে মুলত যাহা অর্জন করতে চায় তাহা আজ দেশবাসীর কাছে দিবা লোকের মত পরিস্কার হয়ে গেছে।

দেশীয় জ্ঞানপাপী কিছু বুদ্ধিজিবী দালাল সংলাপ আর জাতীয় ঐক্যের সমর্থন আদায়ের হীন চেষ্টায় মেতে উঠেছে।তারা মুলত শান্তির কথা বলে অশান্তিকে বেশী আলিঙ্গন করতে চায়। তারা নাকি শান্তির দূত হয়ে বাংলার আকাশে রাজাকারের জ্যোস্নালোকিত তীর্থ স্থান করতে চায়।যেমন সাইদীকে একবার তারা চাঁদে দেখতে পায়।সেই সময় ধর্মান্ধতার গুজব ছড়িয়ে শত শত নিরিহ মানুষকে আগুনে পুুড়ে কাবাব বানিয়ে প্রেরন করতে চেয়েছিলেন সুদুর লন্ডনে বসে থাকা দুর্নীতির বরপুত্র খাম্বা তারেকের জন্য। সেই দুঃস্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য বাংলার বিরুদ্ধে, অগ্রগতির বিরুদ্ধ,লবিষ্ট নিয়োগ করে মাসিক ৪০ হাজার ডলার খরচ করে দীক্ষা নিচ্ছেন টার্গেট হত্যা চালিয়ে জনমনে ভীতি সঞ্চার করে,দেশের বাহিরে থেকে চাপ প্রয়োগ করে অভিষ্ট লক্ষে পৌছতে হবে।তাহারই ধারাবাহিকতায় জাতিকে মেধাশুন্য করার নিলনক্সার ছক মোতাবেক কেউ বাদ পড়ছেন না বর্বোরচিত, নিশংস হত্যা কান্ড থেকে। দৃৃঢ়ভাবে কিশ্বাস করি অপপ্রচারে লিপ্ত দলসমুহ হত্যা যজ্ঞ চালিয়ে দিন দিন জনবিচ্ছিন্ন হয়ে ইসলামের শত্রু,মানবতার শত্রুরা যেমন কিছুদিনের মধ্যেই চান্দে পৌছে যাবে তেমনি আজকের টার্গেট হত্যাকারীরা অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করে নিজেরাই নিজেদের চান্দে যাবার পথ নির্মান করছেন।

বিদ্যানের কলমের কালি শহীদের রক্তের চেয়ে দামী,আজ সেই দামী লোকদের রক্তে রঞ্জিত হচ্ছে মাতৃভুমি।চাপাতির আঘাতে লন্ড-ভন্ড লেখকের লেখনি,সংকোচিত মুক্তবুদ্ধির চর্চা।
নিরাপত্তাহীনতা সচেতন মহলে চরম উদ্বেগ উৎকন্ঠার যে ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে ভবিষৎ জাতিকে অন্ধকারে নিপতিত করার সামিল।সৈয়দ ওয়ালি উল্ল্যাহ'র লাল সালু উপন্যাস লেখা-পড়া না জানা ভন্ডপীর মজিজ যেমন আক্কাসের স্কুল প্রতিষ্ঠার উদ্দোগকে যড়যন্ত্র করে বন্ধ করে দেয় তাহার ধর্ম ব্যবসার জন্য তেমনি বিংশ শতাব্দিতে পা দিয়ে বাংলাদেশ প্রযুক্তির দিক দিয়ে সারা বিশ্বে যখন প্রশংসিত তখন অক্ষর জ্ঞান হীন দল নেত্রী ও তার সহযোগীরা বাংলাদেশকে মুর্খের স্বর্গরাজ্য বানাতে নির্লজ্জ ঘৃনিত হত্যাকান্ড চালিয়ে মেধাশুন্য বাংলাদেশ গড়ার অশুভ চিন্তায় মেতে উঠেছে।মনে করছে জ্ঞান শুন্য জাতি তৈরি করা গেলে তাদের হীন স্বার্থের বা অপকর্মের কেউ আর প্রতিবাদ করার থাকবে না।দেশ বিরুধী অপকর্ম নির্বিগ্নে চালিয়ে যেতে প্রশিক্ষিত লোক খুজে পাওয়া সম্ভবপর হবে না।তাই তাদের টার্গেট হত্যা।

টার্গেট হত্যা মুলত শুরু হয়েছিল ২০১৩ সালে। কাদের মোল্ল্যা তথা কসাই কাদিরার বিচারের রায়কে কেন্দ্র করে বিক্ষুপে ফেটে পড়ে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের সমমনা ছাত্র সংগঠন থেকে শুরু করে মুক্তির চেতনা ধারন কারী অবাল বৃদ্ধ বনিতারা।জনতার স্রোত নেমে আসে শাহ বাগ স্কুয়ারে যাহা গনজাগড়ন মঞ্চ হিসাবে খ্যত ।গনজাগড়ন মঞ্চ যখন তৈরি করা হয় গোটা দেশে তখনি প্রথম টার্গেট হত্যার স্বীকার হয় রাজীব হায়দার ওরফে থাবা বাবা।তারপর প্রতিটি যুদ্ধাপরাধের রায়ে বিরুদ্ধে পুলিশকে টার্গেট করে আক্রমন, বোমা হামলা,অস্ত্র কেরে নেওয়াসহ নানান অপ্রীতিকর ঘটনা দেশের মানুষকে প্রত্যক্ষ করতে হয়েছিল।নির্বচন বানচালেও একই ঘটনার পুনঃরাবৃত্তি ঘটতে দেখেছে সাধারন মানুষ ।ক্রমাগত জ্বালাও পোড়া ও হত্যা কান্ড একই সুত্রে গাথা এক সন্ত্রাসী অভিযাত্রী জামাত-শিবির বিএনপি বর্তমান আনসারুল্ল্যা বাংলা টিমের কান্ডারী।

গুনিজনরা জ্ঞানের কদর করে।জ্ঞানী জাতি আগামী সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মানে কলম নামক ধারাল অস্ত্র দিয়ে রাষ্ট্রকে সহায়তা করে থাক ।তাই কলম যুদ্ধাদের রক্ষা করা,নিরাপত্তা প্রদান করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।প্রতিক্রিয়াশীলরা যতই চেষ্টা করুক কলম যুদ্ধাদের দাবীয়ে রাখতে পারবেনা।গুপ্তহত্যা করে পৃথিবীতে কেহ সফল হতে পারে নাই, আজকেও পারবে না।
টার্গেট হত্যা কারীদের জানাতে চাই চাপাতির জবাব কলমে প্রকাশ পরমানুবিক অস্ত্রের চেয়ে ক্ষতিকর ভয়াবহ।সাবধান আর বিপদ গামী হউনা।
শান্তির সপথে তোমারও অংশ নাও।
অগ্রগতির পথে তোমরাও একাত্ব হও
সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার শপথ নাও
গুপ্তহত্যা ছেড়ে দাও,জনগনের পাশে দাড়াও।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৭

আমি সম্মানের পাত্র নই বলেছেন: কলম যুদ্ধারাদের মৃত্যু নেই।তারা অভিস্মরনীয়,চির জাগরুক পাঠকের অন্তরে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.