নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চারদিকে নদী বেষ্টিত বৃত্তাকৃতির দ্বীপের মত, চির সবুজের সমারোহ বিকেল বেলায় পশ্চিমা আকাশে রুদ্রের লুকোচুরি খেলা এক অজপাড়া গাঁয়ের নাম নিজ ছেংগার চর।জনম দুঃখিনী মায়ের অন্ধেরযষ্টি এলএলবি সমাপ্ত করে সম্মান জনক পদে অধিষ্টিত থাকায় নিরন্তর সংগ্রাম অব্যাহত।।

আমি সম্মানের পাত্র নই

যুগ্মসাধারন সম্পাদক (রায়াব)

আমি সম্মানের পাত্র নই › বিস্তারিত পোস্টঃ

’সুপার হিরো শিক্ষার্থী’ দীক্ষা দিল রাষ্ট্রনীতি।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৪৩

প্রিয় শিক্ষার্থী, তোমাদের প্রতি  শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন এবং আন্তরিক ভালবাসা জ্ঞাপন পূর্বক সবিনয় অনুরোধ, ইতিমধ্যে নিহত দিয়া ও করিমের হত্যার বিচারসহ পরিবহন খ্যাতে রাষ্ট্রিয় অব্যবস্থাপনার যে চিত্র আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছ, তাতে সরকার তথা গোটা জাতির হৃদয়াকাশে এবং বাংলাদেশের ইতিহাসে চিরসম্মরনীয় হয়ে থাকবে জনতার অন্তরে ।তোমাদের এ আন্দোলন আগামী দিনের পথ চলায় এক যুগান্তকারী উদারন হয়ে স্বেচ্ছাচারিতা রোধকল্পে,মাইল ফলক হয়ে যুগে যুগে আলোর দিশারী হয়ে, আদর্শ রাষ্ট্র গঠনে সহায়ক ভুমিকা রাখবে।এ জন্য আরো একবার অভিনন্দন না জানালে অতি কৃপনতা হয়ে যাবে।তোমাদের স্যালুট।তোমরাই পারবে ,পারতে যে হবেই।তোমরাই আগামী দিনের নেতৃত্ব দানে সুপার হিরো হিসাবে রাষ্ট্রিয় দায়িত্ব গ্রহন করে দেশকে সমৃদ্ধির পথে ,তোমাদের চেতনার আলোকে, আমরা পাব এক আধুনিক রাষ্ট্র।সেই আধুনিক রাষ্ট্র গঠনে তোমাদের অংশ গ্রহন একান্ত কামনা ।
http://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1545541

সহপাঠিদের হত্যার বিচারের দাবীতে এবং নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে তোমাদের দাবীর সাথে রাষ্ট্রের চালক থেকে রাষ্ট্রের যাত্রী নামক জনগন সবাই একাত্বতা পোষন করে ,তোমাদের সকল দাবী পুরনে সরকার ঘোষনা দিয়েই শেষ করেনি তাহা বাস্তবায়নের জন্যও  নিদের্শনা জারি করেছেন।এ ব্যাপরে স্পষ্ট প্রতিয়মান সরকার আন্তরিক ও সমব্যাথি।তাছাড়া নিহতদের পরিবারকে ৪০ লক্ষ টাকার সঞ্চয়পত্র প্রদানসহ নিহত পরিবারের দাবী তথা তোমাদের ০৯ (নয়) দফা দাবী পুরনে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী খুবই আন্তরিক।যার প্রমান নবনির্বাচিত ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় ও মহানগর উত্তর-দক্ষিন কমিটির নেতারা ফুল দিয়ে সাক্ষাৎ করতে গেলে নির্দেশ দেন ছাত্রলীগ যেন শিক্ষার্থীদের পাশে অবস্থান নেন।সেই কথার আলোকে দাবীগুলো কার্যকর করার জন্য সেনা বাহিসীকে দায়িত্ব অর্পন করেছেন,যাহা সম্প্রতি সময়ে আমরা দৃশ্যমান দেখতে পাব সেই আশা করতেই পারি।এখন পরিবহন খ্যাত ও চালককের নিয়ন্ত্রয়ন মুলক আইন মহান জাতীয় সংসদে আইন পাস করনের অপেক্ষা মাত্র। আমার বিশ্বাস মানবিক নেত্রী তোমাদের সঙ্গেই আছেন,থাকবেন।এই শান্তনা অন্তরে লালন করে বিশেষ করে যাদের জন্য তোমাদের এ সংগ্রাম তাদের পরিবারও অনুরোধ করছে বাবারা তোমরা ঘরে ফিরে যাও পড়ার টেবিলে মনোনিবেশ করও।

সাধারন জনগন ও সরকার তোমাদের সুশৃঙ্খল আন্দোলকে সমর্থন ও প্রশংসা করেছে।সেই প্রশংসা সম্মানজনক অবস্থায় রেখেই দাবী পুরন করা সম্ভব।অতিরঞ্জিত কোন কিছুই ভাল বার্তা দিতে পারে নাই বরং ক্ষতির সম্ভবনাকেই হাতছানি দিয়েছে।দেখবা দুধ খুবই সুস্বাদু খাবার বেশী খাইলে পেট খারাপ হতে পারে ।তাই পরিমিত খাবার গ্রহন এবং মধ্যপথ অবলম্বন করাই একজন অভিভাবক হিসাবে কামনা করি।।

দিয়া-করিম আন্দোলন প্রকৃত পক্ষে জাতির মহাকাশে নজীর স্থাপনকারী এক উজ্জল গোলাপের সমুষ্টিগত ফসল।তোমরা দেখাতে সক্ষম হয়েছো আইন সবার জন্য সমান,কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়।একাত্তরের মহা নায়ক শ্রদ্ধেয় তোফায়েল ভাই মাননীয় মন্ত্রী,দৈনিক ইত্তেফাকের মালিক ,যার বাবার নামে মানিক মিয়া এভিনিউ মরহুম পুত্র পানি সম্পদ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু,স্বেচ্ছা সেবক লীগ নেতা সাংসদ পঙ্কজ দেবনাথ,ডিইজি সাহেব থেকে পুলিশের ছো্ট খাটো অফিসারদের  আইন পালনের দৃষ্টান্ত। আমরা দেখেছি প্রশিক্ষন ছাড়াও  ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব এই ছোট ছোট কোমল মতি শিক্ষার্থীরা কি অভিনব কায়দায় পথ চলতে সহায়তা করেছে।আরো দেখেছি জরুরী চলাচলের জন্য আলাদা পথ নির্ধারনী ব্যবস্থাসহ যুগান্তকারী ভুমিকা।তোমাদের অপেক্ষায় বাংলাদেশ।

পরিবহন খ্যাতে দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত বিষয়,রাজনীতিকদের খামখেয়ালীপনা,ট্রাফিক আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বিশৃঙ্খল অবস্থা সবকিছুই যেন লেজে-গোবরে অবস্থার যে চিত্র তাতে করে গনমানুষের জন্য তোমরাই শান্তির দূত হিসাবে রাজ পথ দখলে এবং অনুপ্রবেশকারীদের পুলিশের কাছে ধরিয়ে দিয়ে গ্রহন যোগ্যতার মাত্রা আরো বেশী সমৃদ্ধ করেছ।এই সমৃদ্ধি ,সফলতার আন্দোলনকে নৎসাত করতে বা  ভিন্ন খ্যাতে প্রবাহিত করতে চক্রান্তকারী, সুযোগ সন্ধানীরা ডালা-পালা সম্প্রসারনে ব্যস্ত।তারা তোমাদের সাথে যুক্ত হয়ে মুল চেতনাকে করতে পারে বিতর্কীত।তাই আন্দোলন আর দীর্ঘ্য না করে জনসমর্থন থাকতেই প্রত্যেক শিক্ষার্থী ঘরে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করছি। হয়ত জেনে গেছে আজ থেকে পরিবহন শ্রমিকরা ধর্ম ঘটের ডাক দিয়েছে তাদের স্বার্থ সংরক্ষেনের জন্য এখন সরকার তাদের সাথে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে যাত্রী পরিবহন করার কাজে ফিরিয়ে আনার কৌশল অবলম্বন করবে।তাছাড়া তোমাদের দাবীর সফল বাস্তবায়ন না ঘটলে আবারও রাজপথ দখল করলে সমর্থন পাবে,নতুবা কোটা আন্দেলনের পরিনতি হতে পারে।বিষয়টি বিবেচনা করে আশা করি তোমরা থাকবে প্রতিরোধের মোমবাতি জ্বালিয়ে অন্ধকারাচ্ছন্ন জাতিকে আলোর পথ দেখাবে।।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৫৩

মোহাম্মদ এন ইউ ইসলাম নাজিব বলেছেন: তারা উজ্জ্বল নক্ষত্র। তারা বুঝিয়ে দিয়েছে..দেশকে কিভাবে পরিচ্ছন্ন করতে হয়।

২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:০০

আলআমিন১২৩ বলেছেন: মাননীয় প্রধানমন্এী আন্দোলনরত ২৫০জন ছাএ এবং ২৫০ জন ছাএীকে তার বাসার সবুজলনে ডেকে আইসএীম খাওয়ার দাওয়াত দিয়ে গল্পের ছলে তাদের কথাগুলি মনযোগ দিয়ে শুনে সমাধানের আশ্বাস দিয়ে তাদের সাথে ফটোসেশন করতে পারেন।বিদায়ের সময় সবাইকে গিফ্ট দিতে পারেন।ওদের অন্য বন্ধুদের জন্য প্রতি স্কুলে গিফ্ট বক্স পাঠাতে পারেন। একই সাথে তাৎক্ষনিক কিছু যৌওিক আদেশও দিতে পারেন। আমি মাননীয় প্রধানমন্এীর যায়গায় থাকলে ইতোমধ্যে এ ধরনের ব্যাবস্হাই নিতাম।শিশুদের সাথে আবার রাগ কিসের ?

শাসন করা তারই সাজে-সোহাগ করে যেগ ...

৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: আফসোস পচা বামদের জন্য। যারা ওদের সাথে যোগ দিয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.