নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জন্মভূমির সাথে কখনোই বন্ধন ছিন্ন করা যায়না। দূরে চলে আসলেও নাড়ির টানে আবার ফিরে যেতে ইচ্ছে করে, ভালো থেকো প্রিয় বাংলাদেশ (দেশে যখন ছিলাম কাজ করেছি বিদেশীদের সাথে মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীতে, বর্তমানে প্যারিসে, সংবাদকর্মী) hasem7@জিমেইল.কম ফেসবুক.কম/hasem

হাশেম

আমি তোমার মনের ভেতর একবার ঘুরে আসতে চাই, আমায় কতটা ভালবাসো সেই কথাটা জানতে চাই...

হাশেম › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্যারিস টু স্টকহোম...

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৪


স্ক্যান্ডিনেভীয় ব্লকে অামার প্রথম যাত্রা। যাত্রা পথে এয়ার ফ্রান্সের ফ্লাইটে সোনালী চুলের সুইডিস মেয়েদের সংখ্যাধিক্য লক্ষ্য করলাম।

এয়ার ফ্রান্সের ভেতরকার ছবি...

ওয়াইফাই ব্যবহারের ব্যবস্থাও আছে...

ফরাসী ভাষা দেশটিতে না চললেও ইংরেজী বললে কেউ না কেউ উত্তর দেয়। সুইডেনের অারলান্ডা এয়ারপোর্টে নেমে লাঞ্চের জন্য খুঁজে নিলাম ম্যাকডোনাল্ডস। যিনি ক্যাশে কাজ করছেন তাকে দেখে দেশী ভাই বলে মনে হচ্ছে। বিদেশ বিভুঁইয়ে ভ্রমনের শুরুতে বিমানবন্দরে কর্মরত বাংলাদেশি কাউকে দেখে পুলকিত হলাম।

সুইডেন ইউরো অঞ্চলের বাইরের দেশ তাই প্রথমেই জিজ্ঞেস করলাম ইউরো গ্রহন করবে কি না।
ইউরো এক্সচেঞ্জ করলে কম পাওয়া যাবে এবং ওরা খুচরা টাকা ফেরত দিবে সুইডিস ক্রোনা হিসাবে তাই তিনি ক্রেডিট কার্ডে পে করলে অামার জন্য সুবিধা বলে মত দিলেন।
রেস্টুরেন্টে বসে খেয়াল করলাম অারেক বাংলাদেশি ভাইকে তিনি চাকরির ইন্টারভিউ দিতে পরদিন অাসতে বললেন। ভাল লাগলো একজন অন্যজনকে চাকরির জন্য সহযোগীতা করার দৃশ্য দেখে।

কয়েকঘন্টা পর সুইজারল্যান্ড থেকে অাগত সহযাত্রী সহ অামাদের নিতে অাসা গাড়িতে করে যাত্রা শুরু স্টকহোম শহরের উদ্দেশ্যে। পরদিন সেমিনারের পর ঢাকা থেকে অাসা সাংবাদিকসহ ঘুরছিলাম বাইরে।
পিছনদিক থেকে এক বাংলাদেশি ভাই জিজ্ঞেস করলেন কোথা থেকে এসেছি।

ফ্রান্স থেকে গিয়েছি শুনার পর তার দুঃখের কথা বললেন-
গ্রীস থেকে বলকান রোড ধরে তিনি স্বপ্নের দেশ সুইডেন এসেছেন, বর্তমানে তার কাজের অনুমতি থাকলেও কাজ পাচ্ছেননা।
অামাকে পেয়ে জানতে চাইলেন সুইডেন থেকে ফ্রান্সে কিভাবে যাওয়া যায়।

বর্তমানে শরনার্থী সমস্যায় জর্জরিত ইউরোপ, তারপরও অভিবাসীদের জন্য এখনো পর্যন্ত ফ্রান্স অনেকটা উদার। ইতিমধ্যে আশ্রয়ের আবেদন বাতিল হওয়া ৮০ হাজারেরও বেশি শরনার্থীকে ফেরত পাঠানোর ঘোষনা দিয়েছে সুইডেন। ​ইউরোপের ২৬ দেশের মধ্যে​পাসপোর্ট ছাড়া অবাধে চলাচলের লক্ষ্যে 'শেঙ্গেন' নামে যে চুক্তি ১৯৯৫ তে হয়েছিল বর্তমানে হাজার হাজার শরনার্থীর চাপ ঠেকাতে সেটি নিয়ন্ত্রিত বলা যায়। বৈধতার কাগজপত্র ছাড়া এখন ইউরোপের এক দেশ থেকে আরেকদেশে ভ্রমন নিরাপদ নয় বিষয়টি ভাইটিকে বললাম।

পরদিন ঘুরে দেখলাম স্টকহোমের গামলাস্থান সহ কয়েকটি দর্শনীয় জায়গা। যদিওবা কাজের কারনে খুব বেশি ঘুরাঘুরি হয়নি। তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে সুইডেনে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করা বাংলাদেশীরা খুব ভাল অবস্থানে রয়েছেন। মাত্র ১৪/১৫ হাজারের মতো বাংলাদেশিদের বসবাস সুইডেনে প্রবাসীদের কেউ কেউ সুইডিশ মুলধারার রাজনীতির সাথে নিজেদেরকে সম্পৃক্ত করেছেন। অনেকেই সুইডেনে উচ্চ শিক্ষা গ্রহন করে ভাল প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন বা ডাক্তার, ইন্জিনিয়ার হয়েছেন।

মেট্রোতে তোলা ছবি...

স্টকহোমে বসবাসরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী রাহাত নাওয়াজেশ জানালেন দেশ থেকে যারা ইউরোপে উচ্চ শিক্ষা গ্রহন করতে ইচ্ছুক সুইডেন তাদের জন্য উপযুক্ত দেশ। স্টুডেন্টদের জন্য ভালো সুযোগ সুবিধা সুইডেনে রয়েছে।

৩ দিন পর স্টকহোম থেকে ফিরছি। বোডিং কার্ড অনলা​​ইনে প্রিন্ট করে অরলান্ডা বিমানবন্দরে গিয়ে যখন পৌছালাম তখন আমার ফ্লাইট মিস হয়ে গেছে।
ভাবছি কি বোকার মত কাজ করলাম! এখন আক্কেল সেলামী হিসাবে আবার ১৫০ ই্উরো দিয়ে টিকেট নিতে হবে।
এয়ার ফ্রান্স এর অফিসে গিয়ে বললাম 'আই মিসড মাই ফ্লাইট'।
মেয়ে একবার জিজ্ঞেস করলো 'হোয়ার ইজ ইউর ফাইনাল ডেস্টিনেশন'?
বললাম: প্যারিস।
পাসপোর্ট দেখে আমার আগের বোডিং কার্ডটি রেখে দিয়ে পরবর্তী ফ্লাইটের আরকটি বোডিং কার্ড দিয়ে দিলো কোন রকমের চার্জ ছাড়াই।
ধন্যবাদ দিয়ে সেই ফ্লাইটে ফিরলাম আবাসস্থল ফ্রান্সে।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:০৩

অগ্নিবেশ বলেছেন: সেইরাম হাই ফাই ব্যাপার স্যাপার।

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:২৪

হাশেম বলেছেন: হাই ফাই কিছু না!
আমরা যারা এখানে থাকি তাদের জন্য ভ্রমন সাধারন একটা বিষয়....

২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৪২

ফরিদ আহমাদ বলেছেন: আপনার সাথেই ঘুরলাম, দেখেছেন কি?

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৭:৫০

হাশেম বলেছেন: ;) :)

৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৪৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ভালো লাগলো ছবি আর বর্ণনা :)

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৫

হাশেম বলেছেন: ভালো লাগার জন্য ধন্যবাদ... :)
ভালো থাকুন....

৪| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:৩৮

মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: চমৎকার ছবি আর বর্ণনায় মুগ্ধ হলাম।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৫৮

হাশেম বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ...
:) :)

৫| ০৩ রা মে, ২০১৬ রাত ৯:২৮

জহিরুল ইসলাম (রেহান) বলেছেন: সলেই সুন্দর হয়েছে পড়ে ভাল লাগলো

১০ ই মে, ২০১৬ রাত ১১:২৫

হাশেম বলেছেন: ধন্যবাদ ;)

৬| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:১৬

পবন সরকার বলেছেন: ছবি বর্ণনা ভালো লাগল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.