নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শৈবাল আহম্মেদ

শৈবাল আহম্মেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সামান্য ঘুর--

০৩ রা জুন, ২০১৭ রাত ২:২০

একজন মানুষ আরবে গিয়ে-এক বছরের মধ্যে দুই কোটি টাকা চুরি করে নিয়ে দেশে ফিরলে -সমাজের লোকেরা তাকে ভাল বলছে। মোড়ে-গ্রামে তার প্রসংসা চলছে। অনেকেই তার সাথে মেয়ে বিয়ে দেওয়ার প্রতিযগিতায় নেমেছে। অনেকেই আবার নিজের ছেলেকে এরকমভাবে টাকার মলিক হওয়ার উদ্দেশ্যে বিদেশে পাঠাতে চাচ্ছে। তাকে এলাকার বিচার কায্য সম্পন্ন করার জন্য ডাকা হচ্ছে। আত্নীয়স্বজনরা তাকে নেমন্তন্ন করে খাওয়াচ্ছে।

অনেক কমিটিরা তার কাছে সাহায্য চাইতে যাচ্ছে। তার সাথে সবাই হেসেখুশে কথা বলছে। মাবাবা অন্য সন্তাদের থেকে তাকেই যেন বেশিভাল বলে মনে করছে। অথচ সবাই এখানে কোন না কোন ধর্মের লোক। একে অন্যের ধর্মকে নিয়ে সমালোচনা করলে কেউ এখানে সয্য করেনা। এমনকি মৃত্যু ঘটাতেও দিধাবোধ করেনা। তার অর্থ সকলেই এখানে নীতিবান বা ধার্মিক বোঝাতে চায়। অথচ ধর্মের কোন কাজে তারা নেই। অধর্ম কর্মকে ধর্মের সাথে মিশিয়ে কেমন করে মোরা আবেগী সততা নিয়ে নিজেদেরকে ভাল বোঝাতে চায়!

মানুশের মনমানসিকতা এমন হলে-সমাজ কেমন হবে বা সমাজের নতুন প্রজ্বন্ম কোন সভ্যতায়,শিক্ষায়,সন্মানে,আদর্শে সমাজে বা রাষ্ট্রে টিকে থাকবে। যেখানে সমাজ অন্যায় ও অসৎ কর্মকে সন্মান দিচ্ছে আর সৎ ও ন্যায়কে বোকা ভেবে দুরে ঠেলে দিচ্ছে-তাহলে নতুন প্রজ্বন্ম নিশ্চই ভূলের মধ্যে চলে যাবে।

আজো এদেশের আঠারো আনা মানুশ জানেনা,কোন কাপড়ের পোশাক শরীরের জন্য প্রয়জন। বা শীতে,রোদে,বৃষ্টিতে,গরমে কোন- কোন কাপড় তাকে পরতে হয়। আমরা আজো জানিনা সিদ্ধ খাবার খেয়ে পরে সুস্থতা বোধ করাটায় সাভাবিক। ইচ্ছামত মসলা দিয়ে রান্না করে খাবার খেয়ে পরে অসুস্থতা বোধ করাটাই আমাদের কাছে সাভাবিক হেয়ে গেছে।আমরা শুধু এটুকু ক্লিয়ার বুঝতে পারি যে, গালে ভাল লাগার জন্য খেতে হয়। শরীরের উপকারের জন্য যে-সাস্থসম্মত খেতে হয় সেটা যানিনা বা খুব একটা বোধগম্য হয়না। এভাবে আমরা আমাদের ইচ্ছামত বাজার,হোটেল ও রাস্তার খাবার খায়। এবং অসুস্থ হলে,সেটাকে কন্ট্রোল না করে হাতুড়ে ডাক্তারের কাছ থেকে ওষুধ খায়। যার পার্শপ্রতিক্রিয়া অত্যন্ত বয়াবহ।

টিউবওয়েলের পানি,চিনি মিশিয়ে চা খালিপেটে শীতে-গরমে সবসমই খেয়ে খেয়ে ও অস্বাস্থকর দুই নাম্বারতামাকের সকল ধুমপান ও বিভিন্ন ধরনের ক্যামিকেল মিশ্রিত এনার্জি ও পানিও পান করে,আমাদের অনুভূতি একপ্রকার নষ্ট হয়ে গেছে। বিবেগ ভোতা হয়ে গেছে। জ্ঞান কাজ করতে চায়না। প্রায় সকলে একরকম বলে কেউ বুঝতে পারেনা যে,সে ডিসিপিলিনের মধ্যে আছে। বা প্রত্যেকেই ডিসিপিলিনের মধে থাকতে হয়।

বহু ভূলভাল,আবোল তাবোল কথা কাজ নিয়ে আমরা দৈনন্দিন যেসব বড় বড় দূর্ঘটনা সৃষ্টি করি সেগুলো
হতাশা,অশিক্ষা,অস্বভাবিকতা,দুর্নীতিগ্রস্ত,অকর্মন্য,উন্মাদ ও অলৌকিকতার মধ্যে ডুবে হবুডুবু খাওয়ার মত কর্ম। তার মধ্যে আবার কাল্পনীক ও আজগবি চলচিত্র মানুষকে বলদে পরিনত করছে। আর ইংরেজরা ভূত,পেত্নী ও যতসব ধংশ,আগুন,বিস্ফোরন এসব দেখিয়ে আরো মানষের সাভাবিক চিন্তা নষ্ট করে তার উপর এসব অযৌক্তিক ভাবনা ঢুকিয়ে,মিছে আত্নতৃপ্তির পথে নিয়ে যাচ্ছে।

আমরা আমাদের আবেগী ইচ্ছাটাকে প্রাধন্য দিয়ে থাকি জ্ঞানটাকে নয়। শিক্ষিত অশিক্ষিত প্রাই প্রত্যেকেই আমরা বংশগত ইগু,আবেগের পথ ধরে চলছি। ফলে নিজের ভূলগুলো আমরা কেউ যেন ভাবতেই চাচ্ছিনা-অথচ অন্যের ভূলটা আবার যেন বুঝতে বা ধরতে পারছি। এরকমপ্রায় সকল ক্ষেত্রেই ছোট্ট একটি ঘুর আমরা কাটিয়ে উঠতে পারিনা। অথচ নিজেকে ভাল ও অন্যকে সমালোচনা করে থাকি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.