![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গত ত্রিশ বছর আগে একজন মানুশ তার মালিকের দোকান থেকে এক লক্ষ টাকা চুরি
করে আর ফেরত দেয়নি। তারপর সে জিনজিরার ডুপলিকেট কসমেটিকস ও এধরনের আইটেম
বিক্রির বড় দোকান করেছে মফস্সালে। তারপর সে অনেক বড় বাড়ি,গাড়ি ও বেশকিছু
করে ফেলেছে। সমাজের লোক তাকে এখন বাপের বেটা বলে। বিচারে ডাকে। শেষবেশ তাকে
চেয়ারম্যান বনিয়ে ছেড়েছে-এলাকার লোকেরা। সে দান করে-মসজিদে,মন্দিরে।
যুক্তি বা আইনত তার দান নেওয়া যায়না অথচ তার দান নিয়ে দোয়া করে দেওয়া হয়।
এখানে তার দান করার ইচ্ছাটা সৎ হলেও পূর্বে টাকা চুরি করাটা অন্যায় ও
অপরাধ। তাকে পূর্বেই বোঝা উচিত ছিল যে পৃথিবীতে বহু মানুষ আছে তারা তার চেয়ে
দরিদ্র ও অসহায়।
মানুশ তার অবস্থানের চেয়ে নিচের ব্যক্তির দিকে না তাকালে কখনও সুখী হতে
পারেনা। তায় তার চেয়ে অসহায়,অভাবী মানুশের দিকে তাকিয়ে-তকে সৎ পথে পরিশ্রম
করে টিকে থাকা ন্যায়। পরবর্তিতে যদি তার ইচ্ছা ও সততা তাকে অর্থবান করে
তোলে,সেটা তার একধরনের লাভ হতে পারে।
কিন্তু অন্যের ক্ষতি করে,ঠকিয়ে,ব্লাকমিল করে কেউ নিদ্দোশ বা নিরাপরাধী হতে পারেনা।
এমন একজন অপরাধী ব্যক্তি অথচ সে নিজের অপরাধ ভূলে গিয়ে অন্যের অপরাধের কথা
নিদ্ধিধায় গলা উচিয়ে বলে থাকে। প্রার্থনা করে মসজিদে।
নিজেকে সৎ মানুশের কায়দায় সমাজে জিবন যাপন করে থাকে। সে কখনও তার ধর্মটাকে
দোষ দিতে চায়না অথচ -কখন কিভাবে-মনের অজানা,যুক্তিহীন আবেগে ভূলেগিয়ে
সে বড় বড় অপরাধ করছে,জিনজিরার মাল বিক্রি করে সমাজের মানুশদেরকে ঠকাচ্ছে।
যেসব কর্মগুলো তার ধর্মে চরম অপরাধ এবং তার সাস্থী অবধারিত।
বিষয়টা অবশ্যই ভেবে অবাক হবার মত। কিন্তু সমাজের মানুশগুলোর সেসব
যেন ভাববার অবকাশ নেই-বরং তার টাকা আছে বলে-
অটোমেটিক্যলি যেন তার সামনে সকলে সন্মান করে মাথা নত করে চলছে।
কি আশ্চায্য ব্যপার। টাকা হয়েছে বলে এখন সে আরেকটি বিয়েও করে ফেলেছে।
অথচ প্রথম বিয়ের সময় সে কয়েক জনের হাতপা ধরে-তার চেয়ে ভালঘরের সুন্দরী
মেয়ে বিয়ে করেছিল। তার মেয়ে বিয়ে হয়ে গেছে-অথচ তার বয়সি আরেকটি ছেলের মেয়েকে
সে মাতামাতি করে সমাজের পরিবেশ ঘোলাটে করেছে।
সে তার দুইস্ত্রীকেই সন্ধেয় করে ও কড়া শাসনে রাখে এবং মার ধোরও করে থাকে।
অথচ সে নাকি প্রায়ই বিভিন্ন নিশিদ্ধ জায়গায় রাত কাটায়। সেখানে সে নিজেকে দোষী
ভাবতে পারেনা। এমন অবাধ স্বাধীনতায় এখনও আমাদের দেশের জনগন চলে আসছে।
আবার নিজের অপরাধগুলো কোন অন্যায় না,এরকম স্বভাবিকভাবে যেন সকলেই ভেবে চলেছে।
এজন্য দরকার সমতা। অর্থাত সবার মৌলিক চাহিদা পুরন হলে কেউ অপরাধ করে অপরাধী হবেনা।
কেউ যখন অপরাধ করবেনা বিধায় অর্থবান নিশিদ্ধ এলাকায় যাবেনা বা অবৈধ পথে
অর্থ অপচয় করার সুযোগ পারবেনা। এভাবে সমাজ পুরোপুরি ভাল না হলেও, মৌলিক চাহিদা
পুরন হবার পর আইন কঠোর এর মাধ্যমে সামান্যকিছু দুর্নীতিবাজদের দমন করা সম্ভব।
©somewhere in net ltd.