নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শৈবাল আহম্মেদ

শৈবাল আহম্মেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জিরো থেকে হিরো

১৯ শে জুন, ২০১৭ রাত ৩:১২

একজন মানুশ আরবে গিয়ে এক বছরের মধ্যে দুই কোটি টাকা বস এর থেকে চুরিকরে
নিয়ে দেশে ফিরলে-সমাজের লোকেরা তাকে ভাল বলছে। মোড়ে,গ্রামে তার প্রসংশা
চলছে। তারসাথে অনেকেই মেয়ে বিয়ে দিতে চাচ্ছে। অনেকেই নিজের ছেলেকে
এরকমভাবে টাকার মলিক হওয়ার উদ্দেশ্যে বিদেশে পাঠাতে চাচ্ছে। তাকে এলাকার
বিচার কায্য সম্পন্ন করার জন্য ডাকা হচ্ছে। আত্নীয়স্বজনরা তাকে নেমন্তন্ন
করে খাওয়াচ্ছে। অনেক কমিটিরা তার কাছে সাহায্য চাইতে যাচ্ছে। তার সাথে সবাই
হেসেখুশে কথা বলছে। মাবাবা অন্য সন্তাদের থেকে তাকেই যেন বেশিভাল বলে মনে
করছে। অথচ সবাই এখানে কোন না কোন ধর্মের লোক। একে অন্যের ধর্মকে নিয়ে
সমালোচনা করলে কেউ এখানে সয্য করেনা। এমনকি মৃত্যু ঘটাতেও দিধাবোধ করেনা।
মানুষের মনমানসিকতা এমন হলে-সমাজ কেমন হবে বা সমাজের নতুন প্রজ্বন্ম কোন
সভ্যতায়,শিক্ষায়,সন্মানে,আদর্শে ও ধর্মে সমাজে বা রাষ্ট্রে টিকে থাকবে। যেখানে সমাজ
অন্যায় ও অসৎ কর্মকে বাহবা দিচ্ছে আর সৎ ও ন্যায়কে ভূল ভেবে ভেবে দুরে ঠেলে
দিচ্ছে।
আজো এদেশের আঠারো আনা মানুশ জানেনা,কোন কাপড়ের পোশাক শরীরের জন্য প্রয়জন।
বা শীতে,রোদে,বৃষ্টিতে,গরমে কোন কোন কাপড় তার পরা উচিৎ। আবেগী ইচ্ছায় বা যুক্তিহীনভাবে আমরা পোষাক পরি। আমরা আজো জানিনা সিদ্ধ
খাবার খেয়ে পরে সুস্থতা বোধ করাটাই সঠিক। আর ইচ্ছামত মসলা দিয়ে রান্না করে খাবার
খেয়ে পরে অসুস্থতা বোধ করতে হয়। আবার অনায়াসে ওষুধ কিনে খায়। প্রত্যেকটা ওষুধের ছোট-বড় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয়ঙ্কর ফলাফলটাও একটু পেছনে তাকিয়ে দেখার সময় যেন কারের নেই।আমরা শুধু এটুকু জানি যে গালে ভাল লাগার জন্য
আমরা খায়,শরীরের উপকারের জন্য যে-সাস্থসম্মত খেতে হয় সেটা ভাববার যেন বিন্দুমাত্র অবকাশ নেই।
আমরা নিজের ভূলগুলো যেমন কেউ স্বীকার করতে চাইনা তেমনি নিজেদের অচেতনতাগুলোও মনথেকে বের করতে চাচ্ছেনা। নিজেকে সবাই সঠিক মনে করে এখানে। অথচ ছোটবড় মিথ্যা বলে ও মগজধোলায় করে এখানে প্রত্যেকে প্রত্যেককে ঠকাচ্ছে। প্রায় প্রত্যেকেই ধর্মের নামে কোন কটুকথা সয্য করতে চায়না-আবার ধর্মের বাইরেই তাদের যত কর্মকান্ড বা আবেগের ছড়াছড়ি।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুন, ২০১৭ রাত ২:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপানার লেখার শুরুতে, যেভাবে একটা উদাহরণ এনেছেন, আমি সেই রকম একটা ঘটনার কথা শুনেছি: এক এলাকায় একটা জুনিয়র হাই স্কুল ছিল, এলাকার অনেকেই সেখানে ৮ম শ্রেণী অবধি পড়েছেন; একবার স্কুলটাকে বর্ধিত করার জন্য পাবলিক দান চাওয়া হলো; স্কুলের এক প্রাক্তন ছাত্র বড় আকারের দান দেয়ার প্রস্তাব করলেন; প্রধান শিক্ষক তাকে জানতেন, এবং জানতেন যে, সেই ছাত্রের পরিবার খুবই দরিদ্র ছিল। সেই ছাত্র কালক্রমে থানার ওসি হয়ে, অসৎভাবে অনেক টাকার মালিক হয়েছিল; প্রধান শিক্ষক গোপনে ছাত্রকে জানান যে, তিনি উনার দান নেবেন না।

২০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:১০

শৈবাল আহম্মেদ বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ০৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:৫৮

মিঃ আতিক বলেছেন: পড়ে ভালো লাগলো

২০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:১১

শৈবাল আহম্মেদ বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.