![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের দেশটা অর্থনৈতিক ও অজ্ঞতায় পিছিয়ে পড়ার কারনে উন্নত ও সভ্য হতে পারেনি। সর্বদিক থেকে পিছিয়ে পড়ার মূল কারন হচ্ছে জনসংখ্যা বৃদ্ধি। আর জনসংখ্যা বৃদ্ধির মূল কারন ধর্মীয় গোড়ামি। এই ধর্মীয় গোড়ামির ফলে বা রুজির মালিক আল্লাহ ভেবে প্রায় প্রত্যেকেই নিদ্দিধায় বংশ বিস্তর করেছে। সকলেই একযোগে এমন কর্ম সাধন করেছে বলে কেউ ভূলটা বুঝতে পারেনি যে-নীতি,আদর্শ,শিক্ষা,জ্ঞান দিয়ে সন্তানদের বড় করতে হয় এবং তার পূর্বে নিজের মৌলিক চাহিদা পুরণ থাকা লাগে ও সন্তানদেরও ভবিশ্যত গড়ার লক্ষে উপযুক্ত অর্থ থাকতে হয়।
এগুলো স্পষ্টই বোঝা যায় কোন ব্যক্তি সন্তান জ্বন্ম দেওয়ার পূর্বে তাকে অবশ্যই স্বাস্থ সচেতন হতে হয়। অথচ স্বাস্থ সচেতনতা বাংলার জনগনের মধ্যে আজও ঢোকেনি। তাকে অর্থনৈতিক ও মানশিক দিক থেকে অবশ্যই সাবলম্বি হতে হয়। যাহাতে সে তার সন্তানকে উপযুক্ত অর্থ দিয়ে গড়ে তুলতে পারে ও তাকে ডিসিপিলিন শেখানোর জন্য সময় দিতে পারে। অথচ এসব না ভেবে ব্যক্তিরা নিদ্দিধায় সন্তান জ্বন্ম দিয়ে- মুক্ত হয়ে নিজেদেরকে বিভিন্ন পরকিয়া ও অনুচিত,অযৌক্তিক কর্ম করে বা বিভিন্ন অযথা আবেগ ও ইগু দিয়ে তাল পাকিয়ে পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে সমাজে অপরাধ ও দুর্নীতির পথ বেছে নেয় ।
এনাদের কখন কিসে হাসি ও আনন্দ পায় আর কখন কি ভেবে কান্না,দুঃখ ও আত্নায় কষ্ট পায় বা কখনযে আবার প্রতিশোধের আগুনে জ্বলে ফুলে উঠে সেসব কিছুই বোঝার অবকাশ নেই বা তার যেন কোন অর্থই নেই। ধর্মান্ধতার কারনে এনারা সর্ব দিকগুলোর উচিত ও অনুচিত ঘুলিয়ে ফেলে একটা তাল বেতালে পড়ে থাকে। বেশি ক্ষতি করে থাকে ধর্মের ভূল ব্যবহারগুলো। এনারা বিপদ সৃষ্টি করে,সেই বিপদে নিজে পড়তে ও অন্যকে ফেলতে যেন সর্বদা প্রস্তুত থাকাটাই-এ জগতের স্বাভাবিকতা মনে করেন।
তবে নারী ঘটিত দিকগুলোতে সকলেই যেন যথেষ্ট ভাবতে,বুঝতে ও অনুধাবন করতে আগ্রহী। অনান্য দিকগুলো খুব বেশি বোধগম্য না হলেও নারীসংগত দিক গুলো যেন সিরিয়াসলি বুঝে থাকেন। কারো ইচ্ছায় অতি সহজেই একটি নিশ্বাপ শিশু এ পৃথিবীতে আসতে পারে। কিন্তু তাকে অর্থ,খাদ্য,জ্ঞান ও সময় দিয়ে সঠিকভাবে গড়ে না তুলে বা নিজেও সেসব সভ্যতা না জেনে কিভাবে কোন ব্যক্তি জ্বন্মেতে আগ্রহী ও তৎপর থাকতে পারে! তাছাড়া ধর্মীয় গোড়ামি যুক্ত সমাজ পূর্ব থেকে একই প্রচার করে আসছে যে 'পিতামাতার প্রতি সন্তানের দ্বায়ীত্ব ও কর্তব্য'। সন্তানের প্রতি পিতামাতার কর্তব্যের নমুনা যেন গুরুত্বহীন। ( বড়রা ছোটদের তুই-তকারি করে আর ছোটদেরকে আপনা আপনি করে বলতে বলে) এমনই আমাদের বোধ-বিবেক ও শিক্ষা।
দেশ শ্বাধীনের পরও যদি বাংলার জনগন,জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রন পদ্ধতিকে গুরুত্ব দিত তাহলে আজ আমরা সোনায় সোহাগা হতাম। তখন বহু মানুষের শত শত বিঘা জমি থাকত। সেসব জমির চারিদিকে বিভিন্ন খাদ্যসস্য আমদানি ফলে থাকত। এসব খাদ্য নষ্ট হওয়ার ভয়ে প্রতিবেশিকে কলা,মূলা দান করতে পারত। এদেশের উর্বর জমিতে চাষাবাদ করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্যন করা যেত। কিছু মানুষ দরিদ্র থাকত-তারা কলের লাঙ্গল ও স্যালো দিয়ে সেসব জমিতে চাষাবাদ করে-মজুরী পেত বর্তমান ২০০০ টাকার মত। ফলে সকলেই সুখী থাকত। সামান্য কিছু সংখ্যক যারা সন্তান নেওয়ার জন্য অর্থনৈতিক সফলতা অর্যন করতে না পারত-ভবিশ্যত নির্ভরতার জন্য তাদের বৃদ্ধাশ্রম থাকত। তাছাড়া নদী মাতৃক এই দেশে জনসংখ্যার চাপে নদী বন্ধ না হয়ে বরং প্রসস্ত নদীতে প্রচুর মাছ উৎপাদন করেও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা যেত।
(একগামলা খাদ্য যদি এক জনকে না দিয়ে ৪০ জনকে দেওয়া হয় তাহলে নিশ্চই যেখানে গোলযোগ ও দুর্নীতি করে টিকে থাকার চেষ্টা চলবেই বা বেচে থাকার জন্য পরিস্থিতির শিকার হয়ে পড়বে। অতৃপ্ত আত্নাকে তৃপ্ত করার জন্য ছোট বড় সকলেই যেন উন্মাদ হয়ে ছুটে চলেছে। আজো ছোট ছেলেমেয়েদের বিয়ে হচ্ছে ও একে একে বাচ্চা নিচ্ছে। অনেকের আবার নিজের প্রদিপ জ্বলছে না অথচ বংশের প্রদিপ জ্বালানোর জন্য প্রস্তুত থেকে সে কর্ম সাধন করে চলেছেন। তাও আবার ভেজাল খাদ্য খেয়ে। যাহাতে অতি দ্রুত দাত পড়ে,চুল পেকে,কম দেখে,রোগগ্রস্থ হয়ে-বৃদ্ধ হয়ে মারা যায়।
©somewhere in net ltd.