নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শৈবাল আহম্মেদ

শৈবাল আহম্মেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

\'ধাতু ক্ষয়\' বাংলার মানুষদের পিছিয়ে পড়ার আরেকটি অন্যতম কারন

০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ২:৫৪



বাংলার মানুষের পিছিয়ে পড়ার কয়েকটি কারনের মধ্যে অন্যতম কারন হল 'অপর্যাপ্ত ধাতু ক্ষয়'। বাংলার ছেলেমেয়েদের ছোট্ট বেলাথেকেই কৌতুহল থাকলেও অজানা থেকে যায় যৌবনের ব্যাখা-বিশ্লেষন। স্কুল কলেজে এ বিষয়ে জানার তেমন কোন ব্যবস্থা ছিলনা। যে যেমন ভাবে বুঝে নিয়ে চলেছে যৌনতাটাকে,তার বেশির ভাগই ভূল ও অপব্যবহার হয়েছে। প্রায় ৯৮% ছেলেমেয়ে ধাতুর ভূল ও অন্যায় ব্যবহার করে নিজেদেরকে বহু ক্ষতির মধ্যে ফেলে দিচ্ছে। যেমন অনিয়মিত হস্তোমৈথন করা,যৌবনের জ্বালায় কন্ডোম ছাড়া ময়লা জায়গায় নোংরা কারো সাথে সহবাস করা,নারীরা নিজেরা যোনিতে লিঙ্গের পরিবর্তে অনেক রকম ব্যাবস্তার মাধ্যমে যৌন তৃপ্তি করা, হোমো সেকস,লেজবিয়ন এসবের মত অযোক্তিক,ভূল ও নোংরা যৌন ব্যাবহার বাংলার নারী পুরুশ করে আসছে। কেননা এ বিষয়ে ছেটদের জানার মোটেও কোন ব্যবস্থা ছিলনা।

তাছাড়া ছেলেমেয়ে বড় হওয়ার পরও ধাতু সংক্রান্ত কোন বিষয় বা বিয়ের পর যৌন মিলনের কোন স্পষ্ট লেখাও কোথাও বলে বোঝানো হয়নি এদেশে। এজন্য বিভিন্ন পরকিয়ার মাধ্যমে তৃপ্তি মেটানো,অন্যের ঘর ভেঙ্গে বা অন্যের স্ত্রীকে ফুসলিয়ে বিয়ে করা,অবিবাহিত নারী পুরুশ লুকিয়ে যৌন মিলন করা। যেগুলো কোন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে করা হত না,বরং ইচ্ছা মত যে যেভাবে ইচ্ছা নির্বোধের মত যৌন মিলন করত বা করে। যৌন পাগল হয়ে অল্প বয়সে হটাৎ চুরি করে বিয়ে করা। এভাবে প্রায় সকলেই ধাতু ক্ষয় করে শারীরিক ও মানসিক ভাবে চরম ক্ষতির মধ্যে পড়ে আসছে। আজও সেগুলো জানার বা বোঝার তেমন কোন পদ্ধতি নেই বলে-পার্কে,হোটেলে,বাসায়,রাস্তায়,রেষ্টুরেন্টে চলছে অমানবিক ও অপর্যাপ্ত যৌনতার ক্ষয়। যৌনাজ্ঞানী মানুষ(ধর্ষণও) কি না করতে পারে।

হস্তোমৈথন,সমকামি ও বিয়ের পরও অতিরিক্ত পরিমান-ইচ্ছা মত ধাতু ক্ষয় করে আসছে বাংলার মানুষ। এভাবে দুর্বল ও অলস হওয়ার ফলে দরিদ্রতা বেড়ে গেলে-সেটা কাটিয়ে উঠতে অন্যায় পথের আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছে। ফলে অতি দ্রুত রোগগ্রস্ত হয়ে চোখ,কান,দাত,চুল নষ্টকরে বাধ্যক্যে পরিনত হচ্ছে। চরম ভাবে উদ্যামহীনতা ও স্মৃতিশক্তিহীনতা ভুগছে সকলে। হার্ড,কিডনি,ফুসফুস,পাকস্থলী ও ক্যালসিয়াম নষ্ট করে-মেমোরিকে দুর্বল ও ভোতা করে-শরীরের উপযুক্ত ক্যালোরি হারিয়ে-খিটখিটে সভাবের হয়ে-সবসময় নেগেটিভ মাইন্ডের ধারনা নিয়ে নিজেও ভূল করে ভূগছে-সমাজের পরিবেশও ঘোলাটে করে চলছে।

অতিরিক্ত যৌন মিলন করে শারীরিক দুর্বলতায় পড়ে,অল্প পরিশ্রমে অধিক লাভের আসা করে থাকে মানুষগুলো। আর এই অস্বাভাবিক ও অপরাধমূলক আশা ধর্মভীরুতার সৃষ্টি করে,দুস্বপ্ন দেখিয়ে দিনে দিনে মানুষদেরকে আরো আবেগি,ইগুওয়ালা তৈরী করে অপরাধ ও দুর্নীতি করতে বাধ্য করছে। মানুষগুলোর সবকিছুর প্রতি নেগেটিভ ধারনার ও দুর্নীতি পরায়নতার মূল-অতিরিক্ত হস্তোমৈথন ও তার বিপরিতে ভেজাল খাদ্য দ্রব্য গ্রহন করা। ফলে দিনে দিনে একদিক থেকে শক্তি অপচয় হচ্ছে আরেক দিক থেকে সেই শক্তিটাকে পুরণ না করে বরং ভেজাল খাদ্য ঢুকিয়ে আরো রোগ সৃষ্টি করে নিজেদেরকে দ্রুত মৃত্যুর দিকে নিয়ে যাচ্ছে। ফলে বাঙ্গালী অকৃতজ্ঞ,বেইমান, অপরাধী,হিংসুক,স্বার্থপর,অমানুষ ও শয়তানর আখ্যা বা উপাধি পাচ্ছে। এ কারনে মেমোরি শক্তি হারিয়ে কখন যে কি ভেবে হাসি-কান্না পায় আর কখন কি বুঝে দুঃখ পায় ও প্রতিশোধের আগুনে জ্বলে উঠে-তার কোন যুক্তি নেই এখানে। আসলে সকল শয়তানী,বেইমানি ও অপরাধী হওয়ার বা এসব ভূলের কারন অতিরিক্ত ধাতু ক্ষয়।

এজন্য মানুষদেরকে একটা লিমিটের মধ্যে থেকে ধাতু যৌনপভোগ করা উচিত এবং স্বাস্থ সচেতন হওয়া উচিত। যার ফলে তারা শরীরকে উপযুক্ত ক্যালোরি দিয়ে সঠিক বা তাজা রাখতে পারবে। ফলে মেমোরীটাও সতেজ থাকবে এবং জগতে শরীর ও মস্তিস্কের যে একটা প্রকৃত্ব সুখ ও আরাম আছে সেটা বুঝতে পারবে। পজেটিভ চিন্তা করতে পারবে মানুষ,স্বাভাবিক জ্ঞান থাকবে বলে ধর্ষন প্রবণতাও কমে যাবে,উপযুক্ত পরিশ্রম করেই তবে পারিশ্রমিকের আশা করবে,অলৌকিক ও স্বপ্নের রাজ্য থেকে বেরিয়ে যুক্তির ও জ্ঞানের বাস্তবতায় আসতে পারবে, মেমোরি সজাগ থাকায় অপরাধ ও দুর্নীতি কমে যাবে এবং সৎপথে আরো পরিশ্রমী হয়ে উঠতে পারবে তারা। অন্যকে বা সমাজকে সে ঠকাতে চাইবেনা,কেননা তার মেমোরী বা বিবেক সজাগ থাকবে। অকৃতজ্ঞ হবেনা,কেননা তার অতীতের কথা মনে থাকবে। শরীর সুস্থ থাকবে বলে তাদের মস্তিস্কের মধ্যে কোন গোলযোগের,প্রতিশোধের ও ধংশের চিন্তা স্থান পাবে না বরং উদ্যামের সাথে,আনন্দের সাথে সকলেই এক ও আপন হয়ে ত্যগী জীবন যাপন করতে পছন্দ করবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.