![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভবিশ্যতে প্রযুক্তির এমন কিছু আসছে যার মাধ্যমে কপি-পেষ্ট করে-কোন কিছু মানুষের মেমোরীর মধ্যে দ্রুত রেকডিং হয়ে যাবে। এবং মানুষ সহজেই বুঝতে,বলতে ও ভাবতে পারবে সেগুলো। তারপর মানুষের মেমোরীর এরিয়া বাড়ানোর জন্যও সিস্টেম সফটওয়ার দিনে দিনে আপডেট হবে। মানুষ যে যেমন জ্ঞান ঢোকানোর প্রয়জন মনে করবে সে সেগুলো ঢোকাবে। পড়াশুনা করা লাগবে না-ঘরে বসে প্রয়জনীয় বই-পত্রাদির মেমোরির থেকে কপি-পেষ্ট করবে ও সেগুলো প্রকাশের মাধ্যম থাকবে। সেখানে সকল বিষয়ের আলোচনা,সমালচনা ও মন্তব্য চলবে। ফলে মানুষের জ্ঞান আরো দ্রুত বেড়ে যাবে। তখন অন্য ভিন্ন ভিন্ন দিকে মানুষগুলো বা জগৎ চলে যাবে,মানুষের লাইফ ষ্টাইল আলাদা ও অন্য রকম হবে। যেগুলো আগে থেকে খুব বেশি বোধগম্য হয়না।
মানুষ তখন নিত্য নতুন প্রযুক্তির ও কেমিক্যালের ব্যবহার করে এমনই একটি ইনজেকশন তৈরী করবে-যেটা মানব দেহে পুষ করলে-তার আর মুখ দিয়ে খাদ্য গ্রহন করা লাগবে না। কেমিক্যাল ইনজেকশন আটোমেটিক প্রয়জনীয় পদার্থ বা শক্তি-দেহের ক্যালোরি পুরণ করতে থাকবে এবং রোগমুক্ত রাখবে ও বাতাসের কাছ থেকে প্রজনীয় পানি দেহকে গ্রহণ করাবে। মানুষের খাদ্য ঘাটতি পুরণ হওয়ার পর বা খাদ্যের কোন ভাবনা না থাকায় মানুষ প্রযুক্তিতে আরো এগিয়ে যেতে থাকবে। আরো অকল্পনীয় আবিস্কার হতে থাকবে। যেগুলো মানুষের জীবন যাপন এত বেশি সহজ করে দেবে-তখন মানুষ প্রায় থেমে থাকবে। এক স্থানে থেকেই মানুষ সকল কর্ম ও বিনোদন সহজ ও সুন্দরভাবে মিটিয়ে থাকবে।
মানুষ উন্নত প্রযুক্তির আবিস্কারের মাধ্যমে পৃথিবীর উৎপত্তি ও আমাদের সৃষ্টির স্পষ্ট রহস্য ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে দেখতে পারবে।
যেটা পৃথিবীর মধ্যে অতীতের সকল মানুষের যাবতিয় কর্ম কান্ডের ভিডিও চিত্র অভিনব সফটওয়ারের মাধ্যমে দেখতে পাবে। মানুষ তার বংশধরদের বা পূর্ব পুরুশদের চলা চল,কথা বার্তা,আচার আচরণ ও কার্যালাপ সবই ভিডিও কায়দায় দেখতে পাবে। সাল,স্থান,সময় ছারস করলেই অতীত সবকিছুর ভিডিও প্রযুক্তির বাতাশের মধ্যে থেকে পর্দায় দেখা যাবে। ফলে মানুষের চিন্তাভাবনার আপেক্ষিকতা কেটে গিয়ে বাস্তব ও যুক্তিতে সকলেই কমন প্লাটফর্মে আসবে ও কেমিক্যালের মাধ্যমে ক্যাপিটেলিজমের বিভেদকে নিশ্ক্রিয় করতে পারবে।
মানুষ তখন সৃষ্টিকর্তা বিষয়ে আরো ভাবনায় এগিয়ে যাবে। দেখবে,আমরা কোন শক্তির দেহের মধ্যে অবষ্থান করছি। কিন্তু সেই শক্তি তার নিজের সুভিদা মত তার প্রয়জনে-নিজেকে টিকিয়ে রাখার চেষ্টায় সে ব্যস্ত আছে। তার উপরের শক্তিকেও তারও উপরের শক্তির উপর নির্ভর করে টিকে থাকতে হচ্ছে। এভাবে বেশকিছু পর্বের কোন এক পর্বে আমরা অবস্থান করছি।
আস্তে আস্তে মনুষগুলো বিলুপ্তপ্রায় প্রানীর মত হয়ে ধংশ হয়ে যাবে। পৃথিবী ও জ্যোতিস্ক সবই টিকে থাকবে। আমাদের বয়সের তুলনায় আমাদের নির্ভর শক্তির বয়স অকল্পনীয়। এভাবে আরো বড় শক্তি বা একে একে যে যার উপর নির্ভর করে আছে-ক্রমান্বয়ে বড় থেকে বড় শক্তির আয়ুস্কাল ততই বেশি থাকে। মানুষগুলো একদিন ধংশ হয়ে গেলেও পরবর্তিতে অন্য ভিন্ন প্রানের উৎপত্তি হবে পৃথিবীতে। এই পৃথিবীর পদার্থ থেকেই আমাদের সৃষ্টি হয়েছে এবং পদার্থই আমাদের যার যার মস্তিস্কে ভিন্ন ভিন্ন ভাবনা ও কর্মের সৃষ্টি করে আমাদেরকে নিয়ন্ত্রন করে নিয়ে চলেছে বা আমাদের টিকে থাকার অনুভূতির উপর যেভাবে প্রভাবিত করছে-সেভাবেই প্রত্যেকেই আলাদা আলাদা ভাবনায় টিকে থাকতে হচ্ছে। যদিও আমাদের নির্ভরশক্তির বেশকিছু অপশন আছে-ইচ্ছা করলে সেসব অপশনে গিয়ে আমরা আমাদের জীবন যাত্রার সিস্টেম পদার্থ ও কেমিক্যাল ব্যবহারের মাধ্যমে পাল্টাতে থাকব।
সবকিছুর মূলে পদার্থ। মনোজগত আপেক্ষিক হলেও পদার্থ সুস্পষ্ট ও প্রমানিত। পদার্থই আমাদের সৃষ্টিকর্তা। মানুষের পেটের মধ্যে যেমন কৃমি-মানুষের খাদ্য থেকে সৃষ্টি হয়ে জীবন যাপন ও বংশ বিস্তর করছে-অথচ আমরা কৃমির সৃষ্টিকর্তা নই। প্রায় তেমনি মানুষগুলোও পৃথিবীর থেকেই জ্বন্মে গেছে। ফলে মানুষের সৃষ্টিকর্তা ও নিয়ন্ত্রক একক ভাবে কেউ নেই। এক সৃষ্টি আরেক সৃষ্টি বা সিস্টেমের উপর নির্ভরশীল।
তবে মানুষগুলো পৃথিবীর মধ্যে যত বেশি ধংশ,ক্ষয় ও উলট পালট সৃষ্টি করে-বেশি সুভিদা পাওয়ার চেষ্টা করবে ততই দ্রুত ধংশের পথের দিকে চলে যেতে থাকবে।
১২ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:৪৩
শৈবাল আহম্মেদ বলেছেন: ধন্যবাদ,
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই আগস্ট, ২০১৭ ভোর ৫:০৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনার লেখা ১ম পেইজে যায় না?
না গেলে,
[email protected] কে অনুরোধ করেন।