নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শৈবাল আহম্মেদ

শৈবাল আহম্মেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোরবানী,হ্বজ ও নানাবিধ কর্মে অর্থাপচায় রোধে রাষ্ট্রউন্নয়ন সম্ভব

২১ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:১১

শুরুতেই একটি উদাহারন দেওয়া যাক,ধরুনঃ- পিচের রাস্তা ও ব্রিজ আবিস্কারের পূর্বে এলাকার কোন জ্ঞানী ব্যক্তি বা মহামানব জনগনের মঙ্গলের জন্য নিয়ম করল যে,নদীর ওপারের রসুলপুর গ্রাম থেকে এপারের বাজারে আসার জন্য,গ্রামের ওলি গলির পথ ধরে এসে নৌকাযোগে নদী পার হয়ে তারপর এপারের বাজারে প্রবেশ করাই গ্রামের লোকের সবচেয়ে উত্তম ব্যবস্থা হবে। সেই গ্রামের লোকজনও সেই পদ্ধতিকে সঠিক বলে মনে করল। কিন্তু পরবর্তিতে যখন গ্রামের পাশদিয়ে পিচের রাস্তার আবিস্কার হল এবং নদীতেও ব্রিজের আবিস্কার হল তখন তো আর ওলি গলি ও নৌকায় পার হবার পুরানো পদ্ধতির অনুসরন করা সঠিক হয়না। তাছাড়া অন্যগ্রামের লোকেসান,নদী ও শহর রসুলপুর গ্রামের মত হুবহু হয়না বলে অন্যদের ক্ষেত্রেও সেই জ্ঞানী লোকের পুরানো পদ্ধতিটি সঠিক নাও হতে পারে।

ঠিক তেমনই অভাবী ও জনসংখ্যা বৃদ্ধির এই বাংলায় লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে পশু কোরবানী করা,হজ্ব করতে যাওয়া ও সন্তান জ্বন্ম দেওয়া অযৌক্তিক,অপচয় ও ধংশমূলক হয়। ভেবে দেখুন,অসংখ্য প্রানী একদিনে কোরবানী করে বাংলার মুসলিম সমাজ অগাধ অর্থাপচায় ও মাংশাপচায় করে-বাতাশে পশুরক্তের এক করুন বন্যা আজো সৃষ্টি করে চলেছে। অথচ এদেশের মুসলিমরা যে ইসলামের আদর্শ মেনে চলছে সেটাও সঠিক নয়। যেমন তারাই আবার এসব পশুদেরকে মোটাতাজা করনের জন্য যেসমস্ত ইনজেকসান ব্যবহার করছে সেগুলো চরম ক্ষতিকারক এবং নিদ্দিষ্ট সময়ে বিক্রি করতে না পারলে পশু মারা যাবে। আর পশু মারা যাওয়ার আগেই সেটাকে জবাহ করে মুসলিমরা খেয়ে চরম রোগে ভুগে নিজেরাই দ্রুত মারা যায়। এগুলো কেমন ধরনের অজ্ঞতায় পড়ে!

তাছাড়া অধিকাংশ মানুষ সমাজে গৌরব দেখানোর জন্য,আত্নসন্মানের কথা ভেবে ও মাংশ খাওয়ার লোভে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আয় করে পশু কোরবানি করে থাকে। কোন মুসলিম বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবে যে সে কোন দুর্নিতি করেনা বা দুর্নীতির অর্থে কোরবানী করেনা বা মসজিদে টাইলস,দুতলা ও এসি লাগানোর জন্য দান করেনা। ঈদকে উপলক্ষ করে সাজ পোশাক ও আসবাপপত্র বিক্রিতে দুর্নীতি ও কেনাকাটায়ও দুর্নীতির অর্থ। অধিকাংশই দুর্নিতি করে এখানে স্বাভাবিক হয়ে গেছে বলে দুর্নিতির কথা বল্লে বিশ্বাস হয়না বা খারাপই লাগে। ইসলাম বলেছে অপরাধ না করতে ও হালাল খেতে অথচ তারা ভূলবুঝে হারামের টাকায় মসজিদ পাচতলা করছে! আবার রুজীর মালিক আল্লাহ ভেবে একটি নিশ্বাপ শীশুকে পৃথিবীর আলোয় এনে করুন অবস্থার মধ্যে ফেলে দেওয়া কি মানুষের শোভাপায়? এসব কোন ধরনের অজ্ঞতা দিয়ে রাসুলের সাথে প্রকাশ্য ইয়ারকি চলছে।

যদিও বাংলাদেশ রসুলপূর গ্রামের সেই মহামানবের জ্বন্মস্থান নয়। ফলে সেইখানকার নিয়ম এখানে চালানোর উপযোগী নাও হতে পারে।
তবুও দীর্ঘ দিনের সেই অভ্যাস গুলোকে একটু জ্ঞান দিয়ে-চোখ কান খুলে যদি ব্যবহার করা যায় তাহলে হয়ত গরু ছাগলের বদলে কোয়েল পাখি,কবুতর,হাস ও মুরগী কোরবানীর ব্যবস্থা করে অনেক অর্থাপচায় রোধ করা যায় এবং কোরবানীর জন্য বরাদ্দকৃত বাকি ব্যাপক অর্থ দরিদ্রমুক্তির তহবিলে দান করে জনকল্যান ও সমাজকল্যান করা যায়। ফলে কোরবানীর ও হ্বজের ব্যাপক অর্থে এদেশ দ্রুত চোর,ডাকাত,ছিনতাকারী,ব্লাকমিল,দুর্নীতিমুক্ত,রাজনীতিমুক্ত ও নেষামুক্ত রাষ্ট্রে গড়ে উঠতে পারে। যদিও কোরবানী ও হ্বজের টাকার পাশাপাশি আরো বহু অর্থাপচায় ঘটছে দেশে যেমন,উদ্ভট চলচিত্র,অহেতুক ধুমপান,প্রাইভেট গাড়ির ব্যবহার,কেমিক্যালযুক্ত কসমেটিকস ও ফুডস,মিসিল-মিটিংয়ে,মারিং-কাটিংয়ে ইত্তাদী ইত্তাদীতে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.