শিক্ষা ও জ্ঞানের আপডেট মানুষদের ও পৃথিবীকে ধংশের পথে নিয়ে চলেছে

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ভোর ৪:২৩

পৃথিবীতে পূর্বের ন্যায় আজও কিভাবে হত্যা,যুদ্ধ ও ধংশ ঘটে চলতে পারে! তাহলে মানুষের শিক্ষা,সভ্যতা ও জ্ঞানের প্রকাশ কোথায়? পৃথিবীতে সভ্যতা আসার পরও লক্ষ-কোটি মানুষের মৃত্যু,সম্পদ-ধংশ,নির্যাতন,ধর্ষন ইত্যাদী হয়ে আসছে। প্রত্যেক পথে অন্যায়,দুর্নীতি ও একে অন্যকে ঠকানোর নতুন নতুন কৌশল এবং সুভিদাবাদী কর্মকান্ড ঘটে চলেছে। আত্নরক্ষার জন্য রাষ্ট্র রাষ্ট্রকে শত্রু ভেবে অগাধ অর্থাপচয় করে সৈনিক পালন করছে এবং যুদ্ধের জন্য বিভিন্ন ধংশ মূলক পদার্থ একে অন্যের উপর বিস্ফোরন ঘটানোর লক্ষে পৃথিবীর অভ্যান্তর খালি করে বিবর্তন ঘটিয়ে পৃথিবীকেও ধংশ ও পরিবর্তন করে দিচ্ছে। বিজ্ঞানের বহু ভূল ব্যবহার ও কেমিক্যালের ভেজাল দিকগুলো মানুষের মস্তিস্ক ও শরীরের চরম ক্ষতি ও পরিবর্তন করে আসছে। এসকল জ্ঞানের প্রকাশ কখনই সঠিক বা স্বাভাবিক হতে পারেনা।

অপরাধ ঠিকই ঘটে চলেছে পৃথিবীতে-শুধু অপরাধের আপডেট সৃষ্টি চলছে। এসব অকর্মের আপডেট মানুষের আত্নাকে তৃপ্তও করছে। প্রত্যেকেই এখানে বিভিন্ন অপরাধমূলক লোভ ও ক্ষমতার লোভে করছে পাপ,আর পাপে ঘটছে মৃত্যু। তবুও সকলেই অনুধাবন করে আসছে যেন মানুষেরা দিনে দিনে ডিজিটাল,আপডেট ও উন্নত হয়ে চলেছে। অথচ একে অন্যকে ঠকানোর বানিজ্যই চলছে জগতের সর্বত্র। এভাবে ঠকিয়ে উপরে ওঠার পদ্ধতিতে মানুষের লাভ না হয়ে বরং লোকসানই হয়ে চলেছে। সেগুলো ইতিহাসে স্পষ্টই ফুটে আছে। এজন্য পুরা পৃথিবীর মানুষের কর্ম ও জীবন ব্যবস্থার নতুন ভাবনায় পরিবর্তনের দরকার।

তাহলে নিশ্চই মানুষের জ্ঞানের সৃষ্টি ও সিস্টেমের পরিবর্তন করতে হবে। আবিস্কার করতে হবে জ্ঞানের ভিন্ন নতুন পথ। যেখানে মানবতাবোধ,কৃতজ্ঞতাবোধ ও বিবেকবোধের জ্ঞান নিহিত থাকে। যে সমস্ত জ্ঞান ও বিজ্ঞান পৃথিবীর সকল মানুষের মঙ্গল বয়ে আনে। যেখানে কাউকে অপরাধমূলক ও সুভিদাবাদি বানিজ্য করা লাগেনা। মানুষ জন্মানোর সাথে সাথেই বিশেষ সংস্থার মাধ্যমে তার মৌলিক চাহিদাগুলোকে পূরণ করবে। যেখানে পৃথিবীর অভ্যন্তর থেকে বিভিন্ন খনিজের বিবর্তনের কোন প্রয়জন হবেনা। ক্যপিটেলিজমের বিভেদকে সহজেই নষ্ট করে প্রত্যেককেই একক করার সিস্টেম-প্রক্রিয়া থাকবে। মানুষে মানুষে ভূল বোঝাবুঝি,হিংসা,গোলযোগ বা মিল ও অমিল সৃষ্টির পিছনে অদৃশ্য কোন শক্তির ৫০% হাত আছে বলে বিশ্বাস করতেই হবে। এবং নিয়ন্ত্রকদের সাথে মানুষের কোন কথোপকথোন হয়না। এখানে মানুষদের নিজেদেরই নিজেদের জীবনের সুন্দর ও সমাধানের পথ বের করতে হবে।

তাহলে আসুন পৃথিবীর সকলেই মিলেমিসে এক হয়ে সৎ কর্ম করে বেচে থাকার নতুন পথের গবেশনা সৃষ্টি ও আবিস্কার করি। যেখানে পৃথিবীর সকলেই মতোবিরোধ না করে-জ্ঞানী বা ত্যাগী হয়ে মিলেমিসে আলোচনার মধ্যেই সমাধানের সঠিক পথ বের করার লক্ষে সময় ও অর্থব্যয় করি। সকলের মৌলিক চাহিদা পূরণ করি। সমানভাবে বিনোদন উপভোগ ও অনুভব করি। শক্তিকে হত্যা ও ধংশের পথে ব্যায় না করে-জ্ঞানকে আরো পজেটিভ দিকে নিয়ে রাষ্ট্র-রাষ্ট্রের সাথে সমঝোতার পথ আবিস্কার করি যেন পুরা পৃথিবীটাতে একটাই জাতি বা মানব জাতী থাকে। যেখানে মনে হতে পারে পূর্বের মানুষেরা যেসব গোলযোগ, ক্ষমতালোভ হত্যা,যুদ্ধ ও ধংশ করে এসেছে তা সত্যিই নির্বোধের ও অধমের কাজ ছাড়া কিছু ছিলনা।

০ টি +০/-০