![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সমালোচনা সঙ্গে নিয়েই প্রতি বছর বাড়ছিল উচ্চ মাধ্যমিকসহ অন্যান্য পাবলিক পরীক্ষায় পাসের হার, আর তার সঙ্গে বাড়ছিল অস্বস্তিও। এবার বিষয়টি একটু যেন থেমে গেছে। এইচএসসিতে পাসের হার ১০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম এবার (২০১৮)। এবার পাসের হার ৬৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ; যা ২০০৯ সালে ছিল ৭০ দশমিক ৪৩ শতাংশ, আর ২০১২ সালে ৭৬ দশমিক ৫০ শতাংশ। কত বড় বৈষম্য! কত বড় বৈপরীত্য! ওই বছরগুলোয় যারা উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে উচ্চশিক্ষায় আছে কিংবা বিদেশে গেছে বা কর্মস্থলে প্রবেশ করেছে, তারা কি বেশি মেধাবী ছিল? দিন দিন মেধার প্রকাশ তো আরো বেড়ে যাওয়ার কথা, হয়েছে উল্টো! বিষয়টি সবারই জানা, তাই সচেতন নাগরিকরা অস্বস্তি প্রকাশ করে আসছিলেন, এত পাস কীভাবে হয়? পাস হয় কিন্তু যে মানে শিক্ষার্থীদের পৌঁছার কথা, তারা অনেকেই তার ধারেকাছেও নেই। তাই ড. মনজুরুল ইসলাম বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা ভর্তি হতে আসে, তাদের অনেকের দক্ষতা অষ্টম-নবম শ্রেণীর পর্যায়ে থাকে। আর গণহারে যখন পাস করে এবং জিপিএ ৫ পায়, তখন সরকার থেকে বলা হয়, দেশে পড়ার সুষ্ঠু পরিবেশ ছিল, কোনো রাজনৈতিক গোলযোগ ছিল না, শিক্ষকরা ভালোভাবে পড়িয়েছেন, শিক্ষার্থীরাও মনোযোগী ছিল— এসব কারণে পাবলিক পরীক্ষার ফল ভালো হয়েছে। আবার সবার সমালোচনা যখন হজম করার মতো অবস্থা থাকে না, তখন শিক্ষাসংক্রান্ত সংস্থাগুলো যেমন— মন্ত্রণালয়, বোর্ড, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পরীক্ষক ও প্রধান পরীক্ষকরা পরীক্ষাসংক্রান্ত ফ্যাক্টরগুলোর দিকে একটু বেশি নজর দেন। আর তখনই ফল হয় নিম্নগামী। তার মানে কী? পাবলিক পরীক্ষা এখনো পুরোপুরি বিশ্বাসযোগ্যতার দিকে এগোয়নি। আগে যেমন কোনো শিক্ষার্থী প্রথম বিভাগে পাস করলে ধরেই নেয়া হতো, সে কিছু জানে। এখনকার দিনে পাবলিক পরীক্ষার ফল নিম্নগামী হলেও সরকার ক্রেডিট নেয়ার জন্য আবার নতুন কিছু কথা যোগ করে। কিন্তু সেটি যে আগের সমস্যাগুলোকে সাপোর্ট দেয় অর্থাৎ প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে, শিক্ষার্থীরা দেখাদেখি করে লিখেছে, খাতা ঠিকমতো দেখা হয়নি, বোর্ডগুলোকে পাসের হার বাড়িয়ে দেয়ার জন্য পরোক্ষভাবে নির্দেশ দেয়া ইত্যাদি বিষয় প্রকারান্তরে স্বীকার করে নেয়া হয়। মন্ত্রণালয় থেকে যদিও বলা হয়, এখন আমরা মানের দিকে এগোচ্ছি, তাই ফল এমন হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ‘কম পাস করলেও অপরাধ, বেশি পাস করলেও অপরাধ।’ বিষয়টি কিন্তু উল্লিখিত ব্যাখ্যার মধ্যে নিহিত। একটি বিষয় কিন্তু আমরা ভুলে যাইনি, প্রশ্নে যখন বাজার সয়লাব, সবাই যখন মুখে মুখে বলছে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে, প্রতিবারই সরকার থেকে বলা হচ্ছিল— ‘কোনো প্রশ্ন ফাঁস হয়নি, এটি বরং অপপ্রচার।’ তাই ফাঁসকারীরা নির্বিঘ্নে কাজটি করে যাচ্ছিল। বিষয়টি হজম করার কোনো পর্যায়ই যখন ছিল না, সরকার তখন স্বীকার করতে শুরু করল। আর তাই কিছু পদক্ষেপ নেয়ার ফলে এবারকার ফল এমন হয়েছে। এটিই সত্যি কথা। এ সত্য বিষয়টিই মানুষ চায়, সচেতন শ্রেণী দেখতে চায়। সমাজের সবাই তো আর রাজনীতি করে না যে রাজনৈতিক স্বার্থে তারা এসব কথা বলছেন। এ বিষয়টি আমাদের কর্তাব্যক্তিরা বুঝতে চান না। তারা সবকিছু রাজনীতি দিয়ে দেখতে চান। আর সমস্যা হয় তখনই।
এবার এইচএসসির গড় পাসের হার ২০১৭ সালের পাসের হার থেকে ২ দশমিক ২৯ শতাংশ কমেছে। জিপিএ ৫ পেয়েছে ২৫ হাজার ৫৬২ জন, যা গতবারের চেয়ে ৭ হাজার ৬৮০ জন কম। ২০১৪ সালের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই, ৫৭ হাজার ৭৮৯ জন জিপিএ ৫ পেয়েছিল। তাহলে এবার কী হলো? মন্ত্রণালয় কিন্তু তখনো দাবি করেছিল, শিক্ষার্থীদের মান বেড়েছে, পড়াশোনার মান বেড়েছে, শিক্ষকদের মান বেড়েছে। তাই এত জিপিএ ৫ পাওয়ার হার বেড়েছে? তাহলে উপরের সব মানই এ চার বছরে কমে গেল? এ চার বছরে তো আরো বেড়ে যাওয়ার কথা! আর এ কারণেই মানুষ পাবলিক পরীক্ষার ফল নিয়ে কথা বলে, প্রশ্ন তোলে, যা সরকার বা শিক্ষা মন্ত্রণালয় বুঝতে চায় না।
উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত ইংরেজি বাধ্যতামূলক বিষয় হিসেবে পড়ানো হয়। যে উদ্দেশ্যে বিষয়টিকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে এবং পড়ানো হচ্ছে, শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিশাল একটি অংশ তার ধারেকাছেও যায় না। তারা বিষয়টিতে যেনতেনভাবে পাস করে আসতে চায়। মূলত ইংরেজি পড়ানো হচ্ছে, যাতে তারা ইংরেজি শুনে বুঝতে পারে, নিজে ইংরেজিতে স্বাভাবিক কমিউনিকেশনগুলো করতে পারে, নিজে লিখতে পারে এবং ইংরেজিতে লেখা বিষয় পড়ে বুঝতে পারে। যাতে একজন শিক্ষার্থীর উচ্চশিক্ষা নিতে সুবিধা হয়, বিদেশে যেতে সুবিধা হয়, দেশে কিংবা বিদেশে একটি ভালো কাজের ব্যবস্থা হয়। এ প্র্যাকটিস তো স্কুল-কলেজে হয় না। স্কুল-কলেজে যা হয় তা হচ্ছে, টেক্সট বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ চার-পাঁচটি প্যাসেজ থেকেই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বছরের পর বছর প্রতিটি শিক্ষা বোর্ডে গত্বাঁধা কয়েকটি প্রশ্ন আসে, ওই কয়টিই ক্লাসে, কোচিং সেন্টারে কিংবা প্রাইভেট পড়ানো হয়। ওই নির্দিষ্ট কয়েকটি প্যাসেজ, প্যারাগ্রাফ, দু-তিনটি রচনামূলক প্রশ্ন সব বোর্ডেই ঘুরেফিরে আসতে থাকে। শিক্ষার্থীরা ওই বিষয়গুলোতেই প্রস্তুতি নেয়। অর্থাৎ নিজে লেখা বা এর বাইরে লেখার কোনো ধরনের সামর্থ্য অর্জন করানোর চেষ্টা করা হয় না। শিক্ষার্থীদেরও দরকার পাস করা কিংবা গ্রেড পাওয়া। তাদের যে স্কিল অর্জন করতে হবে অন্তত রিডিং ও রাইটিংয়ে, যার ওপর পরীক্ষা নেয়া হয়, সে বিষয়টি তারা এড়িয়ে যায়। আর স্পিকিং ও লিসেনিং নিয়ে তো কোনো কথাই নেই, যদিও ভাষার এ দুটো স্কিলই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ লিসেনিংয়ের মাধ্যমে আমরা ৪০ শতাংশ আর স্পিকিংয়ের মাধ্যমে ৩৫ শতাংশ কমিউনিকেশন করে থাকি। শিক্ষার্থীদের প্র্যাকটিস করা চার-পাঁচটি প্যাসেজ ছাড়া টেক্সট বইয়ের অন্যান্য চ্যাপ্টার থেকেও যদি কোনো প্রশ্ন করা হয়, তখন শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক, সমাজ সবাই বলে, ইংরেজির প্রশ্ন খুব কঠিন হয়েছে। আর এর বাইরে থেকে দিলে তো কথাই নেই, যা এবার বলা হচ্ছে। ইংরেজি প্রশ্ন কঠিন হয়েছে বলে সিলেট বোর্ডে ৩০ শতাংশ, দিনাজপুর বোর্ডে ৩৫, রাজশাহী বোর্ডে ২৮, কুমিল্লা বোর্ডে ২৭ শতাংশ শিক্ষার্থী ফেল করেছে। এ নিয়ে গবেষণার দরকার। কিন্তু আমাদের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এমন কি কোনো ইউনিট আছে, এ বিষয়গুলোর ওপর গবেষণা করবে? নেই। কিংবা শিক্ষা বোর্ডগুলোয় একটি গবেষণা ইউনিট থাকা প্রয়োজন, সেই চিন্তা কি আমরা কখনো করছি?
আবার দেখা যায়, বাংলায় পাসের হার একটি বোর্ড বাদে সব বোর্ডেই ৯০ শতাংশের উপরে। গত বছর বাংলায় পাসের হার ছিল ৯৪ শতাংশ, এবার ৯৫ শতাংশ। বাংলায় এত পাস করা বা নম্বর পাওয়ার কারণ কী? বাংলা কি খুব সহজ? এত বছর ধরে প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত পাবলিক পরীক্ষাগুলোয় বাংলা ও ইংরেজিতে গণহারে পাস করত এবং জিপিএ ৫ পেত। হঠাৎ একটু খেয়াল করে দেখা হলো, শিক্ষার্থীরা এত নম্বর যে পাচ্ছে, এত হারে পাস করছে, তারা ভাষা কতটা আয়ত্ত করতে পারছে তা দূরে থাক, তারা বাংলা দেখে পড়তে পারছে তো? দেখা গেল, বাংলা বই দেখে বিশাল একটি অংশ পড়তে পারছে না, ইংরেজি তো দূরের কথা। কিন্তু বাংলা ও ইংরেজিতে পাস করা, জিপিএ ৫ পাওয়া কোনোটাই থেমে নেই। এখন প্রাথমিক পর্যায়ে শুরু হয়েছে ‘শিক্ষার্থীদের রিডিং’ উন্নত করার কাজ। শুরু হয়েছে নতুন প্রজেক্ট। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকেও এ অবস্থার খুব একটা পার্থক্য নেই। কিন্তু পাস তো ৯৫ শতাংশ করে ফেলল। বিষয়টিকে মন্ত্রণালয় কীভাবে দেখছে?
গত বছর দেশজুড়ে আলোচনা চলছিল, কুমিল্লা বোর্ডে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলে ভরাডুবি হয়েছে। এবার এক লাফে ফল ১৬ শতাংশ বেড়ে গেছে। জাদুটা কোথায়? কুমিল্লা বোর্ড হঠাৎ কী এমন করল? ‘খাতা একটু উদারতার সঙ্গে দেখবেন’— এ জাদু ছাড়া আর তো কিছু দেখছি না। কিন্তু বোর্ড কর্তৃপক্ষ কি তা স্বীকার করবে? যদি অন্য কিছু বলতেই চায়, তাহলে তার জন্য অবশ্যই গবেষণা ও নিবিড় পর্যবেক্ষণ থাকতে হবে। তা না হলে সচেতন সমাজকে বিশ্বাস করাতে পারবে না। এবার বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার ৮১ দশমিক ৮২ শতাংশ, যা গতবার ছিল ৮৮ দশমিক ৩৬ শতাংশ। বিজ্ঞান কি মুখস্থ করে শেখার বিষয়? বিজ্ঞান কি নকল করে শেখার বিষয়? কিন্তু ফল তো তা-ই বলছে। গতবার অবৈধ সুযোগ পেয়েছিল শিক্ষার্থীরা, বিষয়টি তাই নয় কি? বিজ্ঞান এভাবে পড়ার বা পড়ানোর ফলটা কী হচ্ছে?
পদার্থবিজ্ঞানে এবার পাসের হার ৮৬ দশমিক ১৫ শতাংশ, গত বছর ছিল ৯২ দশমিক ১৭ শতাংশ, রসায়নে এবার ৯৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ, গত বছর ছিল ৯৭ দশমিক ৫৮ শতাংশ, উচ্চতর গণিতে এবার পাস করেছে ৮৭ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ, গতবার ছিল ৯৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ। জীববিজ্ঞানে এবার ৯৪ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ, গতবার ছিল ৯৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ। আইসিটিতে এবার পাসের হার ৮২ দশমিক ৮৩ শতাংশ, গতবার ছিল ৮৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ। আইসিটিতে তো সব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নেই বলে আমরা জানি। কিন্তু বিজ্ঞান বিষয়ের পাসের হারের তারতম্য অনেক কিছু বলে দেয়। এবার মানবিকে পাসের হার ৫৫ দশমিক ২৩ শতাংশ, গত বছর যা ছিল ৫৬ দশমিক ৫৯ শতাংশ। বাণিজ্যে ৭০ দশমিক ৫৭ শতাংশ, গতবার ছিল ৭৪ দশমিক ৫০ শতাংশ। অর্থাৎ প্রতিটি বিভাগ ও বিষয়েই বলতে গেলে ফল নিম্নগামী হয়েছে।
মেয়েরা শিক্ষায় এগিয়ে যাচ্ছে। এটি আনন্দের সংবাদ। কিন্তু এ আনন্দের সংবাদের পেছনের কারণগুলো তো বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হতে হবে। আমাদের জানতে হবে, সবাইকে জানাতে হবে। সেজন্য তো গবেষণা ছাড়া উপায় নেই। ১০টি শিক্ষা বোর্ডে ছেলেদের পাসের হার ৬৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ আর মেয়েদের ৬৯ দশমিক ৭২ শতাংশ। ২০১৭ সালে ছাত্রদের পাসের হার ছিল ৬৮ দশমিক ৬১ শতাংশ আর ছাত্রীদের ৭০ দশমিক ৪৩ শতাংশ। ২০১৬ সালেও ছাত্রদের পাসের হার ছিল ৭৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ আর ছাত্রীদের ৭৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। এ ক্রমবর্ধমান পাসের বিভিন্নতা সম্পর্কে শিক্ষা বোর্ড বা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উত্তর কী? উত্তর অবশ্যই তাদের তৈরি করা আছে কিন্তু সেটি তো আর সচেতন সমাজ মেনে নেবে না। দরকার গবেষণা। বলা হচ্ছে, যেসব বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্ন রয়েছে, অনেক শিক্ষার্থী তা ভালোভাবে বোঝে না, তাই এইচএসসির ফলে তার প্রভাব পড়েছে। এখানে তাহলে বলা যায়, মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে একটু বেশি সৃজনশীল, ব্যাপারটি কি আসলেই তা-ই? সে প্রমাণও তো বিজ্ঞানভিত্তিক হতে হবে।
এবারের পরীক্ষা ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ইতিবাচক যে বিষয়গুলো যুক্ত হয়েছে, সেগুলো প্রশংসার দাবিদার। যেমন— পরীক্ষা শুরুর আধঘণ্টা আগে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে বলা। পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে কোন সেটে পরীক্ষা হবে তা ঠিক করা। পূর্ববর্তী বছরগুলোয় পরীক্ষা শুরুর আগে আগেই এমসিকিউ প্রশ্ন ফাঁস হয়ে সর্বত্র মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ত, আর উত্তর তৈরি করে শিক্ষার্থীদের দেয়া হতো। মন্ত্রণালয় বিষয়টি স্বীকারই করত না। বহু আলোচনা, সমালোচনার পর শিক্ষাবিদরা কিছু পরামর্শ দিলেন, মন্ত্রণালয় পরামর্শগুলো মানতে শুরু করেছে এবং কিছুটা ভালোর দিকে এগোচ্ছে। সবাই হাল ছেড়ে দিয়েছিল। পরীক্ষকরা অনেকেই ঠিকমতো খাতা মূল্যায়ন করতেন না। তারা জানতেন, ভালোভাবে খাতা না দেখলেও কোনো অসুবিধা নেই, বরং কেউ ফেল করলে অসুবিধা। এবার সেদিকেও একটু খেয়াল করা হয়েছে। প্রধান পরীক্ষকরা খাতায় শুধু সই করতেন, যদিও ১০-১২ শতাংশ খাতা তাদের পুনর্মূল্যায়ন করার কথা। এবার তারা করেছেন। আর মডেল উত্তরপত্র দেয়া হয়েছিল, যা পরীক্ষকদের অনেকটাই সহায়তা করেছে উত্তরপত্র মূল্যায়নে। সংশ্লিষ্ট সবাই সত্য স্বীকার করে নিলে আমাদের শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অবশ্যই উজ্জ্বল হবে।
©somewhere in net ltd.