নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেই মন্তু শেখ। হাজার বছরের সেই মন্তু শেখ

Monthu

হিটলার ইজ ব্যাক

Monthu › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রশ্ন: এক ব্যক্তি নামায-কালাম ঠিকমত করে তবে তার স্ত্রীকে পর্দায় রাখে না। এমন স্ত্রীর জন্য তার নামায-বন্দেগীর কোনো ক্ষতি হবে কি না, জানাবেন।

২২ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৫৯

উত্তর: একজন স্বামীর পক্ষে তার স্ত্রীকে পর্দায় রাখা কর্তব্য। কর্তব্যে অবহেলার জন্য স্বামী গোনাহগার হবে। এ জন্যে তার নামায-বন্দেগী বরবাদ হবে না। স্ত্রীর শরীয়ত বিরোধী আচরণ যদি স্বামী নিয়ন্ত্রণ না করে তাহলে এ স্বামীর কঠোর শাস্তির কথা হাদীসে পাওয়া যায়। এক হাদীসে আছে যে, এমন পুরুষ জান্নাতে প্রবেশ করবে না। তবে সর্বাত্মক চেষ্টার পর ব্যর্থ হলে সেটিও আল্লাহ দেখবেন।
সূত্র: জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফতওয়া বিশ্বকোষ।
উত্তর দিয়েছেন: আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী।।।













আমি ছোট থাকতেই আমার বাবা মারা যান। বর্তমানে তার কবরের কোনো চিহ্ন নেই। কবর বাঁধিয়ে রাখলে আমি তা দেখতে পেতাম, জিয়ারত করতে পারতাম। কবর না জানার বিষয়টি আমাকে খুবই পীড়া দেয়। আমি এখন কী করব?
সিফাত-ই-রব
কুয়েত

আপনার মরহুম আব্বার জন্য আপনি দোয়া করবেন। আল্লাহর হুকুম এটিই। এছাড়া দান-খয়রাত, নফল ইবাদত ইত্যাদি করে তার রূহে সওয়াব পৌঁছানোর জন্য আল্লাহর নিকট দোয়া করবেন। যে কবরস্থানে তিনি আছেন সম্ভব হলে সেখানে গিয়ে জিয়ারত করবেন। নির্দিষ্ট করে কবর না চিনলেও সওয়াব হবে। কবর চিহ্নিত করে রাখার জন্য মাথার দিকে কোনো পাথর বা চিহ্ন রেখে দেয়া হয়। অনেকে গাছও লাগিয়ে রাখেন। এর বেশি কিছু করা শরীয়ত উৎসাহিত করে না। কারণ যদি সবাই কবর বাঁধাই করে রাখে তাহলে পরবর্তীতে নতুন কবর দেয়ার সুযোগ সীমিত হয়ে পড়বে। অথচ কবরস্থান প্রজন্মের পর প্রজন্ম চালু রাখার জন্য সকল কবর বাঁধাইবিহীন থাকাই অধিক সমীচীন। আপনার মনের কষ্ট সওয়াব আকারে আপনি পাবেন, ধৈর্য ও দোয়ার মাধ্যমে। আল্লাহর ফায়সালায় সন্তুষ্ট থাকার মাধ্যমে। আপনি আব্বার জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা ও দয়া লাভের দোয়া করে যান। এতেই আপনার আব্বা উপকৃত হবেন। আপনারও অনেক সওয়াব হবে। কবর না থাকার কষ্ট মনে পুষে রাখবেন না।
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফতওয়া বিশ্বকোষ।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী







প্রশ্ন : আমি আমিরাতে চাকরি করি। বিয়ের সাত দিনের মাথায় ছুটি ফুরিয়ে যাওয়ায় দেশ থেকে চলে আসতে হয়েছে। দু’বছর যাবত বাড়ি যেতে পারি না। স্ত্রীকে আমিরাতে আনা সম্ভব হচ্ছে না। এখন সে তালাক চাচ্ছে। আমি এখন কী করতে পারি?
হাকিম মোল্লা
আরব আমিরাত।




উত্তর : এত অল্প ছুটি হাতে থাকতে এবং স্ত্রীকে সাথে রাখার নিশ্চয়তা না থাকা অবস্থায় আপনার বিয়ে করাই ঠিক হয়নি। স্বামী-স্ত্রীর বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার প্রধান উদ্দেশ্য একসঙ্গে থাকা। সন্তানাদি হওয়া। যেহেতু আপনি অপারগ আর আপনার স্ত্রী এ দূরত্ব মেনে নিতে সম্মত নয়, অতএব উভয়পক্ষের আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে একটি ফায়সালায় আসা উচিত। আমাদের দেশে প্রবাসীরা এমন অস্বস্তিকর বিয়ে-শাদী করে। যাতে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের চরম কষ্ট হয়। বিয়ের উদ্দেশ্যও নষ্ট হয়ে যায়। অনেক সময় উভয়ের জীবনেই গোনাহ সংঘটিত হয়। সমাজ তখন নানা কথা বলে। কিন্তু শরিয়তের নির্দেশনা লোকেরা ফলো করে না। এ দেশের অসংখ্য স্বামী-স্ত্রীর মতো অসুখী জীবন নিয়েও যারা ধৈর্য ও সততার পথে রয়েছেন তাদের কথা আলাদা। তবে যারা এমন জীবন চান না, তাদের আপসে আলাদা হয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। অনেক খারাপের চেয়ে এটি কম খারাপ।
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফতওয়া বিশ্বকোষ।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী






মৃত্যুর আগে আমার পিতা তার সম্পত্তির বিরাট এক অংশ দান করে যান। যে বিষয়ে আমরা ভাই-বোন অবগত ছিলাম না। আমাদের আর্থিক অবস্থাও তেমন ভালো না। এখন আমরা কি সবাই একমত হয়ে সে সম্পত্তি ফিরিয়ে নিতে পারব?
মো. ইসমাইল
পটুয়াখালী।



আপনার পিতা যদি নিজ সম্পত্তির এক তৃতীয়াংশ বা এর কম দান করে গিয়ে থাকেন, তাহলে তিনি কোনো ভুল করেননি। কারণ, এক তৃতীয়াংশ দান বা ওসিয়ত করে যাওয়া শরিয়তে অনুমোদিত রয়েছে। এ বিষয়ে আপনাদের অবহিত করাও তার জন্য জরুরি ছিল না। ইসলামে এক তৃতীয়াংশের বেশি সম্পদ দান বা ওসিয়ত করে যাওয়া নিষিদ্ধ। তবে বেশি দান করে ফেললে সেটি দান বলেই সাব্যস্ত হয়ে যায়, ওয়ারিশানরা ফেরত নিতে পারে না। তবে আপনাদের অবস্থা যদি সচ্ছল না থেকে থাকে, তাহলে এতটুকু দান করাও তার জন্য জরুরি ছিল না। তার জন্য বরং আপনাদের জন্য সম্পত্তি রেখে যাওয়াই অধিক সমীচীন ছিল। সাধারণত সন্তানদের প্রতি কোনো কারণে বিরক্ত হয়েও মানুষ সম্পত্তি অন্যকে দিয়ে দেয়। বর্তমানে আপনাদের যে সম্পত্তি আছে তাই আপনারা সঠিক হারে বণ্টন করে ভোগদখল করতে পারবেন। দানকৃত সম্পত্তি ফিরিয়ে নেয়ার কোনো নিয়ম নেই। তবে দান যদি কোনো ব্যক্তিকে করে থাকেন, আর তিনি যদি দয়াপরবশ হয়ে আপনাদের তা ফিরিয়ে দেন তাহলে অন্য কথা। তবে ধর্মীয় বা জনকল্যাণমূলক কোনো প্রতিষ্ঠানে দান করলে তা আর কেউ ফিরিয়ে দিতে বা নিতে পারে না।
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফতওয়া বিশ্বকোষ।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.