![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মন ছুঁয়ে গেলো
একবার হলেও পড়ার অনুরোধ রইল সকলের কাছে।
"অবশেষে আমি
ডিভোর্স পেয়েছি..
1. এখন আমার একটু দেরিতে ঘুম ভাঙ্গলে শুনতে হয় না আমার বাবা মা আমাকে কিছু শেখায় নি।
2. এখন আমার জ্বর আসলে কেউ বলে না রোগ ধরা মেয়েকে বৌ করে ঘরে এনেছি৷
3. এখন আমি ভাত রান্না করতে গেলে কেউ এসে বলে না চাল কি আমার বাবার বাড়ি থেকে এনেছি কিনা।
4. এখন আমি বারান্দায় একটু মন খারাপ করে দাঁড়ালে কেউ বলে না আমি বাইরের পুরুষ মানুষ দেখার জন্য দাঁড়িয়েছি৷
5. এখন আমার মায়ের ফোন আসলেই কেউ বলে না এত বারবার মেয়ের খোঁজ নেওয়ার কি আছে?
6. এখন আমি না খেয়ে কারো জন্য অপেক্ষা করার পর কেউ বলে না এসব ঢং৷
7. এখন আমি কাঁদতে গেলে কেউ বলে না আমি নাটক করি৷
8. এখন আমি আমার পছন্দের একটা জামা কিনতে গেলে আমাকে ভাবতে হয় না এই রং টা আমার জন্য নিষিদ্ধ।
9. এখন আমি চুলটা খুলে আয়নার সামনে দাঁড়ালে আমাকে কেউ বলে না আমি বেহায়া৷
10. এখন আমি রান্না করতে গিয়ে আমার হাত পুড়িয়ে ফেললে আমাকে শুনতে হয় না আমি কোন কাজই পারি না।
11. এখন আমার মা আমাকে একটা জামা দিলে কেউই বলে না এত দেয়ার কি আছে?
12. এখন আমাকে আমার আশেপাশের মানুষ কেমন আছি জিজ্ঞেস করলে আমাকে মিথ্যা বলতে হয় না যে 'আমি ভাল আছি।'
13. এখন আমি প্রতিবাদ করতে গেলে আমাকে আমার স্বামীর হাতের মার খেতে হয় না।
14. এখন আমি আমার অধিকার চাইলে গালি শুনতে হয় না।
15. এখন আমি ক্লান্ত থাকলেও আমার উপর কারো শরীরের খিদা মিটানোর অধিকার নাই।
16. এখন আমি চাকরি করতে গেলে আমাকে কেউ বলে না তার পরিবারের কোন মেয়ে বাইরে গিয়ে নিজের ট্যালেন্ট দেখায় না।
17. এখন কেউ আমাকে বলে না আমার সার্টিফিকেট গুলো শুধু মানুষকে বলার জন্য যে আমি শিক্ষিত।
18. এখন আমাকে শুনতে হয় না কারো ঘরের অশান্তির কারনটা আমি।
19. এখন আমাকে কোন বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে কেউ ঐখানের বৌ কে উদ্দেশ্য করে দেখায় না আমার বাপের বাড়ি থেকে আমাকে ভরিভরি গয়না দেয় নি।
20. এখন আমার মা অসুস্থ হলেও আমাকে দুদিন যাবৎ কাউকে বুঝিয়ে কাকুতি মিনতি করে আমার মা কে দেখতে আসতে হয় না।
21. এখন আমায় শুনতে হয় না 'ঐ মেয়েটার সাথে বিয়ে করলে আমি সুখী হতাম, তোমার সাথে আমি সুখী নই।'
22. এখন আমাকে রাতের পর রাত জেগে একটা ঘুমিয়ে থাকা মানুষের মুখের দিকে তাকিয়ে ভাবতে হয় না এই মানুষটাকেই কি ভালবেসেছিলাম যে আজ আমাকে মেরেছে?
23. এখন আমি শ্বাস নেওয়ার সময় কারও অনুমতির প্রয়োজন হয় না।
.
.
তবে আমাকে এখন শুনতে হয় অন্যকিছু।
#এক. আমি ভাল না তাই আমি সংসার করতে পারিনি, দোষটা আমারই৷
#দুই. আরো কিছুদিন নাকি আমার সহ্য করার দরকার ছিল।
#তিন. আমার নাকি চুপ করে সহ্য করা উচিত ছিল।
#চার. আমি এখন দুশ্চরিত্রা একটা মেয়ে৷
#পাঁচ. অনেক সিঙ্গেল ছেলে আমাকে দেখে বলে "ডিভোর্সী মাল, একটু পটালেই পাওয়া যাবে"৷
#ছয়. আমার আত্মীয়স্বজন আমার বাবা মাকে বলে "তোমাদের আল্লাদে মেয়ে খারাপ হয়েছে"৷
#সাত. বন্ধুবান্ধব বলে "মা তোর সাথে মিশতে মানা করছে, তুই ডিভোর্সী"৷
.
.
হাহাহাহা হা হা হা হা৷ আমার প্রশ্নঃ.........
#a. কোথায় ছিলেন আপনারা যখন আমি রাত জেগে কাঁদতাম।
#b. কোথায় ছিল আমাকে নিয়ে এত সমালোচনা যখন আমার চোখের নিচে এত কালি পরেছিল যে আমার চোখ গুলোই দেখা যেত না।
#c. কোথায় ছিলেন আপনারা যখন আমার স্বামী আমাকে নোংরা ভাষায় গালাগালি করত৷
#d. কোথায় ছিল আপনাদের সম্মান যখন আমাকে আমার বাবা মা কে প্রতি মুহুর্তে অপমান করা হত৷
#e. কোথায় ছিল আমার বন্ধু বান্ধব দের চিন্তা যখন আমার বিয়ের পিড়িতে আমার শ্বশুড় শ্বাশুড়ী আমার বাবা মা কে অপমান করছিল আর তারা ঐ মুহুর্তে সেলফি তুলায় ছিল ব্যস্ত।
#f. কোথায় ছিল সবার এই বিবেক যখন আমি শরীরের ব্যথায় কাঁদতে কাঁদতে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পরতাম।
.
.
#সত্যি করে বলুন তো কেউ কি ছিলেন? সংসার ছেড়েছি অন্যায় করেছি আর যেগুলো আমার সাথে হচ্ছিল সেগুলা কি ন্যায় হচ্ছিল? তখন তো কেউ এভাবে আমাকে নিয়ে একটু সচেতনতা দেখান নি.... এখন কেন আপনাদের গল্পের আসরের মূল বিষয় টা আমি? এই দুনিয়ার কোন মেয়ে ই চায় না তার সংসার ভাঙ্গুক। সবাই সুখের আশাতেই আরেকটা মানুষের হাত ধরে। আমিও তো তাই চাইতাম৷ ভুল কয়েকটা মানুষের মাঝে পরে গেছিলাম।
আপনার মেয়ে অথবা বোনের সাথে যদি এমনটা হত তাহলে ভেবে দেখেছেন আপনি কি করতেন! সে জায়গায় আমার এই অবস্থায় আমার বাবা মা আমাকে আশ্রয় দেওয়াতে আপনারা তাকে খারাপ বলছেন?
কোনটা ভাল হতো বলুন তো? আমি আত্মহত্যা করলে? তখন হয়তো সবার টনক নড়ত৷ বলতেন "আহারে মেয়েটা ভাল ছিল। অনেক সহ্য করছে ঈশ্বর ওর আত্মাকে শান্তি দিক"৷ ফেসবুকে আমাকে নিয়ে তোলপাড় পড়ত "নিড জাস্টিস ফর অমুক/তমুক"৷ কিন্তু যারা জন্ম দিয়েছে তারা কি করত? আমি অন্তত বেঁচে আছি এতেই তারা খুশী।
আপনারা কিছু হলেই কেন মেয়েটার দোষ বের করেন? সম্পূর্ণ ঘটনাটা জেনেই কি সমালোচনা টা করছেন? আমি বেঁচে আছি। ভাল না থাকি অন্তত খারাপ নেই। কাঁদছি না৷ আমি মনে করি এটা আমার ব্যার্থতা না যে আমি সংসার ছেড়ে এসেছি....এটা তার ব্যার্থতা যে এটা বুঝতে পারেনি যে একটা মেয়ে তার জন্য একটা পৃথিবী ছেড়ে শুধু মাত্র তার হাত ধরে সম্পূর্ণ জীবন পারি দেওয়ার আশা করেছিল। সম্মান, ভালবাসা, অধিকার ছিল আমার প্রাপ্য৷ যেটা সে দিতে পারে নি। সে পেরেছে আমাকে ভিতর থেকে শেষ করে দিতে।
.দয়া করে একটা মেয়ের সম্পর্কে আঙ্গুল তোলার আগে অন্তত সম্পূর্ণ ঘটনা টুকু জানুন। তারপর বিচার করুন!"
★লেখাটি ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৫
Monthu বলেছেন: জি।। আপনার কথায় যুক্তি আছে।। আসলে সংসার জায়গাটা এতো সহজ নয়। কিছু মানিয়ে চলাই লাগে।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৭
Monthu বলেছেন: আমিও দেখেছি। মেয়েরাই মেয়েদের দেখতে পারেনা
।।
বান্ধবীর ভালো বান্ধবী। ননদ দেখতে পারেনা ভাবিকে। আর শাশুড়ি বউককে। বউ শাশুড়িকে। অথচ সে নিজেও একদিন শাশুড়ি হবে।
২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৩
টিয়া রহমান বলেছেন: চরম বাস্তবধর্মী কথা
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫০
Monthu বলেছেন: জি। মানুষের এই অভ্যাস খুব খারাপ লাগে। মানুষের কোন একটু দুঃখ দেখলে সেখানে তাকে সাহায্যের হাত না বাড়িয়ে। খুচা দেয়। খারাপ কথা বলে। আর কাটা গায়ে নুনের ছিটা দেয়
৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৩
পবিত্র হোসাইন বলেছেন: আসলেও কি এমন ?
৪| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৫
ঢাকার লোক বলেছেন: বাংলার ঘরে ঘরে এই এক চিরন্তন চিত্র ! জানিনা কবে এর হবে অবসান , শুধু স্বামী স্ত্রী পুত্র কন্যার আধুনিক ছোট্ট পরিবারের জনপ্রিয়তা ও সংখ্যা বৃদ্ধি হয়তো কিছু হলেও এ অবস্থার উন্নয়নে সহায়ক হচ্ছে, তবে আমাদের সবার মানসিক উন্নয়ন বেশি জরুরি !
আল্লাহ আমাদের সবাইকে এ দুঃখজনক পরিস্থিতি থেকে হেফাজত করুন !
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৫
Monthu বলেছেন: জি। মানসিকতা উন্নয়ন খুব ই জরুরী
৫| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: ভালোবাসাটাই সবচেয়ে কঠিন কাজ।
৬| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:০৫
বরুন মালাকার বলেছেন: বিবাহ ভিত্তিক সমাজ নিয়ে নতুন করে ভাবনার প্রয়োজন।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৭
Monthu বলেছেন: বিবাহ একটা কাজ ই না। একটা সন্তানের ঠিকানা। ভাই বিবাহ, পরিবার বন্ধন না থাকলে তো দেখা যাইবো। কথা নাই বার্তা নাই প্রেমের মত ব্রেক আপ করব। তখন সেই সন্তান কোথায় যাবে? অনাথ আশ্রমে?
৭| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১২
করুণাধারা বলেছেন: এটা আপনার নিজের লেখার কিনা জানিনা! যদি আপনি লিখে থাকেন, তবে বলতেই হবে আপনার সংবেদনশীল মন এবং ভাষার উপর খুবই ভালো দখল আছে। খুবই ভালো লিখেছেন।
+++++++
৮| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২০
নয়া পাঠক বলেছেন: জানিনা ঠিক কি কারণে এমন হয়, তবে মনে হয় প্রকৃতির ধরণটাই এমন। আমরা একেকজন একেকভাবে হৃদয়ের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ করে থাকি। এমনও দেখেছি আমি সারাক্ষণ বউ-শ্বাশুড়ির যুদ্ধ লেগেই আছে, তথাপি বউ কিংবা শ্বাশুড়ি কেউ একজন অসুস্থ্য হলে অন্যজন সর্বান্তকরণে তার সেবা করে যায়। তাহলে কি বলা উচিত, বা ভাবা উচিত তাদের সম্পর্ক নিয়ে। অবশ্যই ভালোবাসার অধিকার থেকেই আসে শাসন করার অধিকার। কিন্তু কেউ কেউ এই অযথা খবরদারিকে/ শাসনকে ঘৃনা/অপছন্দ বিষয় হিসেবে ধরে নেয়। যার যার চিন্তাধারা এক্ষেত্রে তাদের প্রভাবিত করে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৩
চোরাবালি- বলেছেন: মানিয়ে চলার একটা যোগ্যতা লাগে। যেটা মেয়েদের মধ্যে কম থাকে। নিজে যখন বউ, শ্বাশুরী খারাপ, নিজে যখন শ্বাশুরি তখন ছেলের বউ খারাপ। অদ্ভুদ এক গ্যাড়াকলে। কিছু ছেলে যেমন খারাপ আছে মেয়েওরার আছে। তবে মেয়েদের সংখ্যাই অধিকতর। এক মেয়ে কি জন্য যেন আরেক মেয়েকে সহ্য করতে পারে না। বিশেষ করে ছেলের বউকে শ্বাশুরী আর শ্বাশুরীকে ছেলের বউ। সংসার মানে নিয়মতান্ত্রিক জীবন যেটা না মানলে শৃঙ্খলা থাকে না যেটা অধিকাংশ সময় মেয়েরা মানতে চায় না, কি শ্বাশুরী কি ছেলের বউ। যদি সংসারে ননদ থাকে তা হলে তো কথায় নেই, সারাদিন কানপড়ানি দিয়ে ভাবিকে কি ভাবে দৌড়ের উপর রাখা যায় সে ধান্দায়। একটা সংসারে গেলে সবাই যে নিয়মে চলে নবাগতাকেও সে নিয়ম মানতে হয় তা না হলে সবাই নিয়মের বাইরে চলে যায়। যে মেয়ে বউ হয়ে শ্বাশুরীর খোটা শুনছে সেই মেয়ে শ্বাশুরী হয়ে একই কাজ করছে। মায়েরা নিজ সন্তানদের অধিক আদর করে বলেই ছেলের বউয়ের নামে ছেলের কাছে উল্টাপাল্টা বা ছোটখাটো অপরাধ বলে দেয়, ক্ষেত্র বিশেষ উষ্কে দেয়, শাসন তো দুরে থাক।
এ চক্র ভাঙতে পারে মেয়েরাই। ছেলেরা নয়।