নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করব,মানবতার সমাজ গড়বো ইনশাআল্লাহ।

মোঃ হৃদয় মোল্লা

বিএসসি অনার্স(রসায়ন)নরসিংদী সরকারি কলেজ

মোঃ হৃদয় মোল্লা › বিস্তারিত পোস্টঃ

মদীনা কি মহামারী থেকে নিরাপদ ?

২১ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:৩৭

মদীনা কি মহামারী থেকে নিরাপদ?

অনেকের ধারণা মদীনা মহামারী থেকে নিরাপদ। অথচ ইহা তাদের একটি ভ্রান্ত ধারণা, এবং অজ্ঞাতার পরিচয়ও বটে। কারণ ইতিপূর্বে উমর রাদিআল্লাহু এর শাসনামলে মদিনাতে মহামারী প্রবেশ করেছিল।

عَنْ أَبِي الأَسْوَدِ، قَالَ أَتَيْتُ الْمَدِينَةَ وَقَدْ وَقَعَ بِهَا مَرَضٌ، وَهُمْ يَمُوتُونَ مَوْتًا ذَرِيعًا، فَجَلَسْتُ إِلَى عُمَرَ ـ رضى الله عنه ......
আবুল আসওয়াদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, একবার আমি মদীনায় আসলাম। আর সেখানে তখন ‎মহামারী দেখা দিয়েছিল। এতে ব্যাপক হারে লোক মারা যাচ্ছিল। আমি ‘উমার (রাঃ)-এর নিকট উপবিষ্ট ছিলাম।............
(সহিহ বুখারী, হাদিস নং ২৬৪৩)

এই হাদীস প্রমাণ করে যে, মদীনাতে মহামারী প্রবেশ করেছিল এবং মদীনা মহামারী থেকে নিরাপদ নয়। তবে অন্য আরেকটি বর্ণনায় এসেছে, মদীনাতে তা'ঊন প্রবেশ করতে পারবে না। মদীনা তা'ঊন থেকে নিরাপদ।

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم‏.‏ ‏ "‏ عَلَى أَنْقَابِ الْمَدِينَةِ مَلاَئِكَةٌ، لاَ يَدْخُلُهَا الطَّاعُونُ وَلاَ الدَّجَّالُ ‏"‏‏.‏
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মদীনার প্রবেশ পথসমূহে ফেরেশ্‌তা পাহারায় নিয়োজিত আছে। তাই প্লেগ রোগ এবং দাজ্জাল মদীনায় প্রবেশ করতে পারবে না।
[সহিহ বুখারী, হাদিস নং ১৮৮০]

আর তা'ঊন ও ওয়াবা' (মাহামারী) এক নয়। উভয়ের মাঝে পার্থক্য রয়েছে।

ক্বাজী ইয়ায রাহিমাহুল্লাহ বলেনঃ
তা'ঊন হচ্ছেঃ শরীরে ক্ষত বের হওয়া।
আর ওয়াবা' হচ্ছেঃ রোগের ব্যাপকতা, মহামারী।
তবে ধ্বংসের ক্ষেত্রে তা'ঊনের সাথে মিল থাকার দরুন ওয়াবা'কেও তা'ঊন বলা হয়।

মূলতঃ প্রত্যেক তা'ঊনই ওয়াবা' (মহামারী) তবে প্রত্যেক ওয়াবা'ই (মহামারীই) তা'ঊন নয়।

[আওজাযুল মাসালিক ইলা মুআত্তা মালিক, ১৪/৭৭]

ইবনুল কাইয়্যিম রাহিমাহুল্লাহও এমনটি বলেছেন।

তা'ঊনের পরিচয় দিতে গিয়ে ইমাম নববী রাহিমাহুল্লাহ বলেনঃ
এটা এক ধরনের ফোসকা, ফোঁড়া যা তীব্র বেদনাদায়ক। এটি অগ্নিশিখার মতো বের হয় এবং তার আশেপাশের অংশকে কালো বা রক্তিম বর্ণ করে ফেলে। এর সাথে হৃৎকম্প ও ভূমিও আসে। ইহা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কনুই ও বগলে বের হয় তবে কখনো কখনো হাত, আঙ্গুল ও সমস্ত শরীরেও বের হয়। (আঊনুল মা'বূদ, ৮/২৫৫)

সুতরাং বুঝা যাচ্ছে, তা'ঊন নির্দিষ্ট একটা রোগ। আর হাদীসে মদিনাকে এ রোগ থেকেই নিরাপদ বলা হয়েছে। তবে ওয়াবা' নির্দিষ্ট কোন রোগ নয়, মহামারী আকার ধারণকারী সকল রোগকেই ওয়াবা' বলা হয়। আর যারা ওয়াবা'কে তা'ঊন বলেন তারা রূপক হিসেবে বলে থাকেন।

ইবনু হাজার (রাহঃ) উপরের হাদীস (বুখারী, ২৬৪৩)
এবং তা'ঊন ও ওয়াবা'র ক্ষেত্রে ইমাম দ্বয়ের সংজ্ঞা নকল করার পর বলেছেনঃ
"এসব কিছুই প্রমাণ করে মদীনাতে মহামারী বিদ্যমান ছিল"। (ফাতহুল বারী,১০/১৯০)

অতএব মদীনা তা'ঊন থেকে নিরাপদ, অন্যান্য মহামারী থেকে নয়। আল্লাহ আমাদের সকলকে এ মহামারী থেকে রক্ষা করুন। আমীন।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:২৮

রানার ব্লগ বলেছেন: মক্কা মদিনা কোনটাই রোগ বালাই বা মহামারি থেকে মুক্ত নয়।

২| ২১ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:৩৮

নতুন বলেছেন: অলৌকিক কিছু দুনিয়াতে হয় না। এটা যত তারাতাড়ি সবাই বুঝতে পারবে ততই মঙ্গল।

অজ্ঞতার কারনেই এমন অলৌকিক বিষয়ে মানুষ বিশ্বাস করতে শুরু করে।

৩| ২১ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:২১

রাজীব নুর বলেছেন: করণা ভাইরাসের কাছে মক্কা মদীনা, গুলিস্তান বা চিটাগাং সব সমান।

৪| ২১ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৩৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আল্লাহ ছাড়া কেউ নাই। অসামান্য l

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.