| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সুলাইমান হোসেন
সামুতে যা প্রকাশযোগ্য নয় তা আমার ব্যক্তিগত ব্লগে লিখে রাখি যেমন আত্মজীবনি,কবিতা ইত্যাদি https://hridoyeralo.blogspot.com/
নিচের কবিতাগুলো সুধু ধার্মিকদের জন্য,অন্যরাও পরতে পারেন।
আমার লেখায় কোনো ভুল থাকলে সংশোধন করে দিবেন,আমি তা গ্রহন করব,যেহেতু আমি এখনো কাব্যগ্রন্থ টি সম্পূর্ন করিনি।
এটি একটি রচনাসমগ্র, যা আমি বিভিন্নসময়ে লিখেছি। আমি মনের গভীরের ভাবাবেগসমূহ লেখার মাধ্যমে প্রকাশ করার চেষ্টা করেছি,আমার উদ্দেশ্য হল আত্মভোলা অচেতন মনগুলোকে জাগ্রত এবং সচেতন করে তোলা।
১ম অধ্যায় :আমন্ত্রণ
হারিয়ে যাই চলো অনন্ত প্রেমে
একটুখানি গিয়ে কভু নাহি যাও থেমে
কষ্ট দুঃখ আসুক যত ক্লান্তি লাগুক মনে
সব কিছু মেনে নাও হাস্য বদনে।।
কঠিণ ঘাটি সহজ হবে প্রেমের গুনে,
চলো বন্ধু ঝাপিয়ে পড়ি এই আগুনে,
কোনো কিছু পেতে হলে জ্বালাতে হয় জান
বিনা ক্লেশে যাহা আসে থাকেনা তার প্রান
দুনিয়া পেতেই যবে এত কষ্ট রবে
তাকে পেতে নাহ জানি কত কষ্ট হবে।
সহজেই যদি তুমি পেয়ে যাও তাকে
স্বাদ নাহি জাগে মনে কদর না থাকে।
যে জিনিস অনেক কষ্টের পরে হাসিল হয়,
সে জিনিসের মূল্য ভাই,অনেক বেড়ে যায়।।
(২)
কষ্টের প্রতিদান
হক পথে যদি তুমি কষ্ট কর ভাই
বৃথা তাহা যাবে নাকো পাবে পাই পাই।
কুপথে কষ্ট যদি কর তুমি ভাই
সবকিছু যাবে বৃথা,করবে হাই!হাই!!
আজ যদি প্রভুকে দাও করজে হাসানা
কাল তুমি পাবে তাহা সহ পুরো খাজানা
প্রতি কষ্টের বদলে পাবে এত প্রতিদান
যাহা দেখে চোখ জুড়াবে শীতল হবে প্রান
হৃদয় হবে পুলকিত,চোখে মুখে হাসি
বিপরিতে জাহান্নামে যাবে কত ফাসি।
শুকরিয়া তাহার যিনি দিয়াছেন নিয়ামত
যদিও নিয়াছি কাঁধে বিরাট আমানত
মাফ কর প্রভু যবে হবে কিয়ামত
তোমার সাথে রাখ সদা,কর হেফাজত।
(৩)
নিচের কবিতাটি সেই আত্মিক জ্বালার প্রতিচ্ছবি, যেখানে আগুন শুধু পোড়ায় না—গড়ে তোলে, পরিশুদ্ধ করে, আর অবশেষে আলোকিত করে।ব্যাথিত হৃদয়:যত জ্বলবে তত খাঁটি হবে।।
বিরহ বিচ্ছেদে জ্বলতে থাকুক হৃদয় নিরন্তর
জ্বলতে জ্বলতে একদিন পাবে একটি প্রশান্ত অন্তর।
জ্বালাতে থাকো নিজেকে নিরবধি এক আগুনে,
যে আগুন জাহান্নামের থেকেও অধিক ভয়ংকর
যে আগুন অপূর্ণতাকে জ্বালিয়ে পরিপূর্ণ করে,
যদি কারো প্রতি থাকে গভীর প্রেমের বন্ধন
হঠাৎ ভেঙে গিয়ে যদি শুরু হয় বিরহ ক্রন্দন।
তখনই হৃদয় দগ্ধ হতে থাকে এক আগুনে,
যে আগুন দেখা যায়না,কিন্তু অনুভূত হয় হৃদয়ে
তুমি জ্বলতে থাক,যতক্ষণ না পরিপূর্ণ হতে পার
যেনে রেখ,যে কোনোদিন জ্বলেনি সেই আগুনে
সে কখনো পারবে না হতে তোমার মতো পূর্ণ ।।
পরিশেষে একদিন হবে তিক্ত যুগের সমাপ্তি
আনন্দিত হবে হৃদয়, এবং চোখে সজীবতার দৃপ্তি
(৪)
প্রকৃতিতে খুজি তোমায়
প্রকৃতির মাঝে খুঁজি তোমায় ওহে চিরন্তন,
আশা নিয়ে বের হতে চাই,করব বিশ্ব ভ্রমন।।
গাছগাছালি তরুলতা আছে যত ধরায়
তাহা নিয়ে চিন্তা করব নিপুণ গবেষনায়।
আসমানের ঐ তারকারাজি, চন্দ,সূর্য মাঝে,
খুঁজব বসে তোমায় আমি প্রতি সকাল-সাঝে
দুনিয়াদারি সব ছেরে যাই তোমায় পাবার আশে
কাছে কাছে রেখ সদা আমায় ভালবেসে।
নানা রঙের গাছ গাছালীর নানা প্রকার ক্রিয়া,
যত দেখে তত ভাবে অবাক বনে হিয়া
কোনো গাছের ফলে থাকে মিষ্টি ভরা রস
আবার কোনো গাছে থাকে বিষে ভরা কষ
কোনো গাছের গায়ে থাকে সূচের মত কাটা
আবার কোনো গাছে থাকে,দুদের মত আঠা
কোনো গাছের পাতা থাকে সাদা দুদে ভরা,
খেলে পরে বিষক্রিয়ায় যাবে তুমি মারা
কোনো গাছে থাকে ঝুলে,কালো ফুলের ছড়া,
তাহা খেলে জীবন বাচে,শরীর হয় তাজা
সব হয়েছে মানুষ জাতির উপকারে সৃজন
,,কেউ বুজেনা,বুঝে সুধু ভাবে বসে যেজন।।
(৫)
ভূমিকা:
প্রকৃতিতে খুজি তোমায় ৪র্থ পর্ব
হে দয়াময় :তোমার দয়া কূলহীন,অসীম
হাজার হাজার আলমে এবং অগণিত প্রানে
তোমারই সীমাহীন দয়া মায়া চোখে পরে।
তোমারই নিপুণ হাতে গড়া এধরনীতে,
যেখানেই তাকাই সুধু তোমাতেই চোখ থামে।
রাত দিনের এই পরিবর্তনের মাঝে,
পর্বতের ফাঁকে বয়ে চলা নদীতে,
ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে চলা পাখিতে,
নদীর কলকর ধ্বনিতে,পাহাড়ী ঝরনায়
নদী সাগরে সাতরে বেড়ানো মৎসে।
স্তন্যপায়ী দের নানা ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ায়
চতুষ্পদ জন্তুর মত নিরিহদের নিরবতায়,
তোমাকেই খুঁজে পাই,তোমাতেই চোখ থামে।।
পাহাড়ের গিরিখাতে,এবং বর্ণিল গিরিপথে,
সূর্যের প্রখর দীপ্তিতে,চন্দ্রের স্নিগ্ধ আলোতে,
প্রানীদেের নরাচড়ায়,এবং ফসলের ঢেউয়ে
হৃদয়ের আলোতে,সুধু খুঁজি তোমায়।।
উত্তপ্ত মরুতে,গাও-গেরামেের আকা বাকা পথে,
গভীর জঙ্গলে, মৌমাছির চাকে এবং মধুতে,
তোমার নিপুণ কারিগরি দেখি এবং মুগ্ধ হই।।
গভীর রজনীর নিস্তব্ধ নিরবতায়,
তোমায় খুজতে আমি উঠে পরি,
শয়তান, নফস,অলসতা ভেদ করে।
পানি দিয়ে চোখের নিদ্রাকে দূর করি,
জায়নামাজে বসে ডুব দেই গভীর ভাবনায়,
আপনার সৌন্দর্যের কোনো শেষ নেই।
অনিঃশেষ আলোয় মনকে হারিয়ে ফেলি।
হে দয়াময়। একটাই সুধু আবদার জানাই।
যদ্দিন বাচি,তোমাতেই সুধু হারাতে চাই।
©somewhere in net ltd.