নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“পড় তোমার প্রভূর নামে যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন”- আল কোরআন।

ইক্বরা

ইক্বরা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আলেমরা কি বলেছেন তারাবীহ নিয়ে ?

১৬ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৫:৪৩

বরাবর,
মুহতারাম মুফতী সাহেব সমীপেষু
জামিয়া রাহমানিয়া ‍আরাবিয়া
সাত মসজিদ, মুহাম্মদপুর, ঢাকা-1207

বিষয়: তারাবীহ পড়িয়ে বিনিময় নেয়া প্রসঙ্গে।

জনাব,
বিনীত নিবেদন এই যে,
খতম তারাবীহ এবং সূরা তারাবীহ পড়িয়ে বিনিময় নেয়া জায়েয আছে কি ?
কিছু আলেম বলেন, খতম তারাবীহ পড়িয়ে বিনিময় নেয়া জায়েয নেই। তবে সূরা তারাবীহ পড়িয়ে বিনিময় নেয়া জায়েয আছে। এ কথাটি কতটুকু সহীহ।
খতম তারাবীহ এবং সূরা তারাবীতে বিনিময় গ্রহণ করা বা গ্রহণ না করার ক্ষেত্রে ইল্লত বা কারণ কি? দলিল প্রমাণসহ জানাবেন। আল্লাহ আপনাদের সহায় হোন।

নিবেদক
হাফেজ মাওলানা মুহা. শেখ শাফায়াত করিম
সোনাতলা বাজার, অভয় নগর, যশোর

بسْم الله الرّحْمن الرّحيْم
ফত্ওয়া বিভাগ তারিখ16:/3/1434 হিজরি
জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া,সাত মসজিদ,মুহাম্মদপুর,ঢাকা-১২০৭,মোবাইলঃ ০১৮১৬৩৬৭৯৭৫

حامدا و مصليا ومسلما
উত্তরঃ-
সূরা তারাবীহ পড়িয়ে টাকা নেয়া জায়েয আছে। কেননা, সূরা তারাবীতে মূল লক্ষ্য থাকে নামায পড়ানো। আর নামাযের ইমামতি করে বিনিময় গ্রহণ করা বৈধ। তাই সূরা তারাবীহ পড়িয়ে টাকা নেয়া যাবে।
পক্ষান্তরে খতম তারাবীতে যেহেতু খতমই মূল লক্ষ্য থাকে, তাই খতম তারাবীহ পড়িয়ে টাকা নেয়া ও দেয়া জায়েয নেই। কেননা, তা খতমেরই বিনিময় বলে গণ্য হবে। বিশেষ করে বর্তমানে আমাদের সমাজে রমযানের শেষে যে পদ্ধতিতে হাফেজগণের জন্য চাঁদা উঠানো হয় এবং হাফেজ সাহেবদের তা প্রদান করা হয়, তা সম্পূর্ণ নাজায়েয ও হারাম। কেননা, উক্ত পদ্ধতিতে শরিয়তে নিষিদ্ধ একাধিক কারণ বিদ্যমান।
উল্লেখ্য, কোরআনে কারীম হেফজ করার ‍সুযোগ পাওয়া বান্দার প্রতি আল্লাহ পাকের বিশেষ নেয়ামত সমূহের অন্যতম। কয়েকটি টাকা কখনই এর বিনিময় হতে পারে না। তাই কোরআনে কারীমের খতম উপলক্ষে কোনো টাকা প্রদান করা এবং গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকা অবশ্য কর্তব্য। তবে যদি কোথাও মসজিদের ইমামই তারাবীর নামায পড়ান, সেক্ষেত্রে পূর্ব চুক্তি ছাড়া ইমাম সাহেবকে অন্য মাসের তুলনায় বোনাস হিসাবে অতিরিক্ত হাদিয়া দেয়া যাবে। অথবা কোনো ক্ষেত্রে কোনো পক্ষ থেকেই টাকা-পয়সা দেয়া-নেয়ার ব্যাপারে পূর্ব চুক্তি না থাকলে এবং টাকা না দিলে কোনোরূপ অসন্তুষ্ট না হলে কোনো ব্যক্তি কাউকে কিছু না জানিয়ে একান্ত ব্যক্তিগত ভাবে বিনিময়ের নিয়্যত ছাড়া হাফেজ সাহেবকে হাদিয়া স্বরূপ ‍কিছু দেন, তাহলে তা গ্রহণ করা তার জন্য বৈধ হবে। অবশ্য সর্বাবস্থায় কোনো টাকা-পয়সা ইত্যাদি না নেয়াই উত্তম।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.