![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
“If you tell a lie big enough and keep repeating it .Peoples will eventually come to believe it-Joseph Goebbels.
এই উদ্ধৃতিটি যদিও হিটলারের প্রচারণা মন্ত্রী জোসেফ গোয়েবলস কর্তৃক উদ্ধৃত হয়েছিলো বিংশ শতাব্দীতে, তবে এই তত্ত্ব রুপায়ন লাভ করেছিলো আরও আগে সেই উপনিবেশ আমল থেকে।তথাকথিত orientalist (প্রাচ্যবিদ) রা পালন করছিলো জোসেফ গোয়েবলস এর উক্ত নীতি উপনিবেশ এবং সামাজ্যবাদকে জায়েজ করার জন্য।ঐইসব প্রাচ্যবিদদের কাজ ছিলো প্রাচ্যর উপর পাশ্চাত্যের প্রভুত্বকে হালাল করার লক্ষ্য রেখে বুদ্ধিবৃত্তিক সাংস্কৃতিক রচনা বয়ন করা। এডওয়ার্ড সাইদ ঐই তথাকথিত প্রাচ্যবিদ্যারসংজ্ঞা দিয়েছেন এইভাবে
“orientalism” as an ideology, discourse and body of knowledge created by westerners that misinterprets and then homogenises the eastern world and its culture, and justifies Western superiority and domination over the East. In Culture and Imperialism (1993),
প্রাচ্যবিদ্যা হলো পাশ্চাত্য সভ্যতা কর্তৃক সৃষ্ট এমন একটি আদর্শ, আলোচনা এবং জ্ঞানের একটি শাখা যা একপেশে আখ্যান প্রদানের মাধ্যমে প্রাচ্যর উপর পাশ্চাত্যের প্রভুত্ব , অবৈধ দখলদারিত্ব, আধিপত্যকে জায়েজ করে।(সংস্কৃতি ও সাম্রাজ্যবাদ ১৯৯৩)।
সাম্রাজ্যবাদের পৃষ্ঠপোষক প্রাচ্যবিদ্রা তাদের রচিত প্রাচ্যবিদ্যায় মধ্যপ্রাচ্য এবং এশিয়ার জনগোষ্ঠীর চিত্র অঙ্কন করেছেন সেকেলে, বর্বর, অসভ্য এবং কুসংস্কার পরায়ন জাতি রুপে যাদের নিকট পাশ্চাত্য উপনিবেশ এসেছিলো আশীর্বাদ হয়ে ।ঐসব প্রাচ্যবিদ্রা প্রাচ্যর উপর পাশ্চাত্যের উপনিবেশ স্থাপন করাকে ন্যায্যতাদান করেছিলেন বুদ্ধিবৃত্তিক মিথ্যাচার দ্বারা। এডওয়ার্ড সাইদ ঐসব তথাকথিত প্রাচ্যবিদদের স্বরুপ চমত্কারভাবে উন্মোচন করছেন তার বিখ্যাত বই Orientalism এ। বিংশ এবং একবিংশ শতাব্দীতে প্রযুক্তিগত বিবর্তনের ফলে সাম্রাজ্যবাদী প্রাচ্যবিদদের ভূমিকা পালন করছে যায়নবাদী সাম্রাজ্যবাদী সিএনএন, বিবিসি ,ফক্স নিউজ এর মত পশ্চিমা মিডিয়াগুলো।এইসব মিডিয়াগুলো যায়নবাদী এবং সাম্রাজ্যবাদী অপকর্মগুলো জায়েজ করে গোয়েবলস তত্ত্ব সফলভাবে প্রয়োগ মারফত।যার উদাহারন আমরা দেখি আমেরিকা কর্তৃক ইরাক আক্রমনের আগে ইরাকের কাছে গণবিধ্বংসী অস্ত্র আছে এইনিয়ে এইসব মিডিয়াগুলোতে মিথ্যাচার দেখে। সাদ্দামের অপসারন মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি এবং গণতন্ত্র স্থাপন উদ্দেশ্যে কতটা প্রয়োজনীয় তা নিয়ে ঐ মিডিয়া গুলো ছিলো সবচেয়ে সরব,যা ছিলো ইরাকে আমেরিকার আক্রমনকে জায়েজ করার প্রক্রিয়া।একি ঘটনার পুনরাবৃত্তি গঠেছে লিবিয়ার বেলায়ও।বিপরীতে প্যালেস্টাইনের বেলায় যায়নবাদী ইহূদিদের দ্বারা আরব ভূমিদখলকে গৌন করে যায়নবাদী দখলদারীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ বিদ্রোহকে সন্ত্রাসবাদী অপকর্ম হিসেবে আলোচ্য মিডিয়াগুলো প্রচার করে থাকে।এইভাবেই মগজ-ধোলাই চলে বুদ্ধিবৃত্তিক মিথ্যাচার দ্বারা।যা এডওয়ার্ড সাইদের ভাষায় সংস্কৃতিক সাম্রাজ্যবাদ।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৭
ইকরামা বলেছেন:
এই পোস্টটিতে মুসলিমরা কি অর্জন করেছে কি অর্জন করেনি তা আলোচ্য বিষয় নয়। পোস্টটি ছিলো প্রাচ্যকে নিয়ে পাশ্চাত্যের বুদ্ধিবৃত্তিক মিথ্যাচার এবং সংস্কৃতিক সাম্রাজ্যবাদ নিয়ে। প্রাচ্যে শুধু মুসলিমরা বাস করেনা। পোস্ট এর সাথে সংশ্লিষ্ট মন্তব্য করলে খুশি হবো।
২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৩
বাংলার জামিনদার বলেছেন: আর আমি বলছি, মুসলমানের হাতে যদি ঐ ব্যাবসা, প্রযুক্তি থাকতো তাহলে খেলা জমতো সমানে সমান।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৮
ইকরামা বলেছেন: এই দায় মুসলিম অমুসলিম সকল বুদ্ধিজীবির যারা সাম্রাজ্যবাদের এই কদর্য দিকটি অবগুন্ঠন করবে যেমন এডওয়ার্ড সাইদ কিন্তু মুসলিম ছিলেননা। আর সাম্রাজ্যবাদের পদলেহনকারী বুদ্ধিজীবি এবং মিডিয়াগুলোকে বর্জন করতে হবে একই সাথে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৩২
বাংলার জামিনদার বলেছেন: মুসলমানদের টাকা নাই এই কথাটা কেউ বলতে পারবেনা। দুনিয়ার সবচেয়ে বিলাসি ব্যাবসা মুসলমানের, কিন্তু সৃষ্টিশিল কিছু নাই।
ইহুদিরা দুনিয়ার মোট জনসংখ্যার ০.২%
মুসলমানরা ২০%
তারা সাইন্সে মোট পুরুষ্কারের ৬০%
আর মুসলমান পাইছে ২ টা ০.০০১%
তাইলে পারবেন ক্যামনে?????? খালি বেহেস্তের খোয়াব দেখলে হয়না।