![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিরোনাম দেখেই বুঝতে পারছেন সেই বানান নিয়ে আবার ক্যাচাল করতে এসেছি। কয়েকদিন ধরেই বানান নিয়ে লেখা হয় না। তার জবাবদিহিতা করে নিতে হয়। মাথায় অনেক বানান ঘুরছিল। অভিধান দেখে ভুল কী ঠিক বানান বের করা হয়ে ওঠেনি। তবে যা দেখলাম আমার নিজের যথেষ্ট পড়াশোনা করার দরকার আছে। তা নাহলে এই অল্পবিদ্যা ভয়ংকর রূপ নিতেই পারে। যাক...আসল কথায় আসি।
ফার্মগেট দিয়ে যখন মহাখালীর দিকে যাই তখন চোখে পড়ে একটা বিদ্ঘুটে বানান। দোকানের সাইনবোর্ডের নিচে লেখা, বিজয় স্বরনী। তাছাড়া একটি বাসও বোধহয় অনেকে খেয়াল করবেন তাতে লেখা বিজয় সরনী। দেখলাম আসল বানানটা কী...
সরণ, সরণি, সরণী- ১ পথ; রাস্তা। ২ মরিচা; লৌহমল।
বিণ গমনশীল। সরণি, সরণী- রাস্তা; সড়ক; শ্রেণী; সারি; পংক্তি; প্রণালী; রীতি; পন্থা। যেমন, তুমি মূল সরণী দিয়েই এসো। তবে এখানে কোন রাস্তার নামকরণের ক্ষেত্রে সরণী এর ব্যবহার লক্ষ্যযোগ্য। কিন্তু বাক্যের বেলায় সড়ক বেশি ব্যবহৃত হয়। যেমন, তুমি মূল সড়কের কাছে থেকো।
একুশে ফেব্রুয়ারির দিন। চারুকলার ভেতর থেকে পাওয়া টাপুর টুপুর প্রকাশনার একটা পত্রিকা হাতে পেলাম। নাম মঞ্চকথা। সেখানে সেলিম আল-দীনের একটা বিশাল ছবি পুরো দুই পাতা জুড়ে দেওয়া হয়েছে। পাশে লেখা, "আমারে দেখো আমি শুণ্যে ভাসমান"। শূন্য বানানটা মানুষ এত কেন ভুল করে আমার জানা নেই। তবু কচি তাজা প্রাণে শূন্যতা শব্দটি কতবার কাব্যিক ভাবে যে ব্যবহার হয় তার ইয়ত্তা নেই। অথচ শূন্য বানানটা জানা নেই অনেকেরই।
শূন্য- zero 0; রিক্ততাসূচক চিহ্ন; আকাশ (অসীম শূন্যে); অনস্তিত্ব; অভাব। বিণ রিক্ত; বিহীন; রহিত (জনশূন্য); খালি; ফাঁকা; উদাস (শূন্য হৃদয়)। যেমন, আমি পরীক্ষায় শূন্য পেয়েছি। নিজেকে শূন্য করে দিলাম। আমার এই শূন্যতা (অভাব) পূরণ হবার নয়। তোমাকে এতটাই শূন্য (উদাস) লাগছে কেন?
শূন্যকুম্ভ- জলহীন কলসি; বস্তুহীন; অসার।
শূন্যগর্ভ- অভ্যন্তরে কিছু নেই এমন। বি শূন্যতা।
শূন্যদৃষ্টি- উদাস চাউনি।
শূন্যপথ- আকাশরূপ পথ।
শূন্যবাদ- নাস্তিকতা; সবকিছুই শূন্য থেকে সৃষ্টি হয়েছে ও বিনাশ একমাত্র শূন্যেই-এইমত।
শূন্যময়- ফাকা; খালি; লোকজন বা অন্য কিছু নেই এমন।
(সূত্রঃ বাংলা একাডেমী)
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:৪০
হমপগ্র বলেছেন: হুমম...
২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:৪৮
মুজিব মেহদী বলেছেন: আপনার উদ্যোগটি প্রসংশনীয়। চালিয়ে যান।
আর দয়া করে এই বানানগুলো ঠিক করে নিন--
'ঘুরছিলো' স্থলে লিখুন 'ঘুরছিল'।
'উঠেনি' স্থলে লিখুন 'ওঠেনি'।
'ইয়োত্তা' স্থলে লিখুন 'ইয়ত্তা'।
'সূত্রঃ' স্থলে লিখুন 'সূত্র :'
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:৫৬
হমপগ্র বলেছেন: মুজিব ভাই,
আমার ব্লগে প্রথমবার রিপ্লাই করলেন। এইজন্য অনেক ধন্যবাদ।
বাঁশ সংরক্ষণ করা হইলো। ইহা পরে কাজে লাগিবে। আর "সূত্র ঃ" আপনার মত করে লিখতে গ্যালে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:৪১
আকাশচুরি বলেছেন: প্রয়োজনীয় পোস্ট
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:৪২
হমপগ্র বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন।
৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:৫৩
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আমি নাই। বানান এবং ব্যকারণ শব্দগুলো দেখলেই মাথা ঘুরায়। আমি নাই।
বানান নিয়ে মহা সমস্যায় আছি। আমার জন্য বানান করে দোয়া করবেন যাহাতে বানান সহজ হয়।
সালাম জানবেন।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:৫২
হমপগ্র বলেছেন: ধন্যবাদ রিপ্লাইয়ের জন্য। বানান খুব কঠিন যেমন নয় তেমনি সহজও নয়।
ভালো থাকবেন। ফিরতি সালাম রইলো।
৫| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১:০৮
মুজিব মেহদী বলেছেন: ধন্যবাদ, সাড়া দেবার জন্য।
সূত্র লিখবার পরে একটা স্পেস দিন, তারপর বিসর্গ (ঃ) নয় কোলন ( দিন। আমরা কোলনের কাজ প্রায়ই বিসর্গ দিয়ে করতে চাই, সেটা ঠিক নয়। মনে রাখা ভালো যে, বিসর্গ একটি বর্ণ।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:৫৩
হমপগ্র বলেছেন: হা! আমি এই কথাটিই ভাবছিলাম।
ধন্যবাদ আপনাকে মুজিব ভাই। আশা করি আরও আসবেন আমার ব্লগে। স্বাগতম বারংবার।
৬| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ ভোর ৫:১৯
বিষাক্ত মানুষ বলেছেন: চলুক .....
আচ্ছা "বিক্ষত" বানান টা কি ঠিক আছে মিয়া ভাই !!
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:৫৪
হমপগ্র বলেছেন: বিক্ষত বানানটা ঠিক আছে গো বিমা।
ভালো থাইক্যো + শুভকামনা।
৭| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৩৫
প্রণব আচার্য্য বলেছেন: ইমরোজ ভাই, এই পোষ্টা আমার খুব ভালো লেগেছে!
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:৫৫
হমপগ্র বলেছেন: প্রণব দা, আপনাকে ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন দাদা।
৮| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৫৯
সোনাপাখি (ভুল) বলেছেন: আর দয়া করে এই বানানগুলো ঠিক করে নিন--
'ঘুরছিলো' স্থলে লিখুন 'ঘুরছিল'।
'উঠেনি' স্থলে লিখুন 'ওঠেনি'।
'ইয়োত্তা' স্থলে লিখুন 'ইয়ত্তা'।
'সূত্রঃ' স্থলে লিখুন 'সূত্র :'
এই ওঠা আর উঠা নিয়ে ভুল করেন অনেকেই। একটু খেয়াল করুন... এবং বুঝতে চেষ্টা করুন; সমাপিকা ক্রিয়া এবং অসমাপিকা কাকে বলে!
প্রতিদিন সূর্য ওঠে। এটি ওঠে আর প্রতিদিন সূর্য পূর্বদিকে উঠে পশ্চিমে অস্ত যায়। বুঝতে পারছেন? উঠে মানে অসমাপিকা ক্রিয়ার ক্ষেত্রে, আর ওঠে সমাপিকা ক্রিয়ার ক্ষেত্রে।
আচ।চা এবার বলুনতো--- সর্বাঙ্গিণ বানানটা কী হবে? সর্বাঙ্গীণ? ইন প্রত্যয়ে দীর্গ- ই নাকি হ্রস্ব-ই?
যেমন গুণিন= গুণ+ইন
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:২৯
মামু বলেছেন: জ্ঞানের কতা
কামের জিনিস কিন্তু পড়তে ভাল লাগে না।
একটু পরে আইস্যা - দিয়া যামু....